Skip to main content

মিষ্টি জিনিস খাওয়া ও দাঁতে ব্যাথার মধ্যে কি কোনো সম্পর্ক আছে?

হ্যাঁ, মিষ্টি জিনিস খাওয়া ও দাঁতে ব্যাথার মধ্যে সম্পর্ক আছে। মিষ্টি জিনিস খাওয়ার ফলে দাঁতের ক্ষয় বা ক্ষয়ের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর কারণ হল মিষ্টি জিনিসগুলোতে থাকা চিনি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করে। এনামেল হল দাঁতের সবচেয়ে বাইরের স্তর, যা দাঁতকে রক্ষা করে। এনামেল ক্ষয়ে গেলে দাঁত নরম হয়ে যায় এবং ব্যথা হতে পারে।

মিষ্টি জিনিস খাওয়ার ফলে দাঁতে ব্যাথা হওয়ার আরেকটি কারণ হল এগুলোতে থাকা অ্যাসিড। অ্যাসিড দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করে। এছাড়াও, অ্যাসিড দাঁতের মধ্যে থাকা মিনারেলের সাথে বিক্রিয়া করে এবং দাঁতকে দুর্বল করে দেয়।

মিষ্টি জিনিস খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করা এবং ফ্লস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে দাঁতের উপর থাকা চিনি এবং অ্যাসিড দূর হয়ে যায়। এছাড়াও, দাঁতের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে চেকআপ করা উচিত।

মিষ্টি জিনিস খাওয়ার ফলে দাঁতে ব্যাথা হওয়া থেকে বাঁচার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত:

  • মিষ্টি জিনিস খাওয়ার পর অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করুন।
  • মিষ্টি জিনিস খাওয়ার পর ফ্লস করুন।
  • দাঁতের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত দাঁতের স্কেলিং এবং পোলিশিং করুন।
  • চিনির পরিমাণ কমিয়ে দিন।
  • ফলের রস এবং সোডার মতো অ্যাসিডযুক্ত পানীয় পরিহার করুন।

এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে দাঁতের ক্ষয় এবং দাঁতে ব্যাথা হওয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

Popular posts from this blog

দাড়িভিটের স্ফুলিঙ্গ থেকে ভাষা আন্দোলনের প্রদীপ জ্বালাতে আমরা ব্যর্থ

এসো হে সেপ্টেম্বর, আমার ভাষার মাস। ভাষাতীর্থ দাড়িভিট, রাজেশ তাপসের বাস।। ২০১৮-র ২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার দাড়িভিট হাইস্কুলের গুলি চালনার ঘটনা এখন সবাই জানেন। আলোচনার সুবিধার জন্য অল্পকথায় প্রেক্ষাপটটা আরেকবার দেখে নেওয়া যাক। দাড়িভিট হাইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ছিল বাংলা ও বিজ্ঞান শিক্ষকের। এই স্কুলে উর্দুভাষী ছাত্র-ছাত্রী নেই। স্থানীয়রা মুসলমান। তৃণমূল নেতার তৎপরতায় সরকারের বিদ্যালয় দপ্তর পাঠালো বাংলা ও বিজ্ঞান শিক্ষকের জায়গায় উর্দু শিক্ষক এবং সংস্কৃত শিক্ষক। অবাঞ্ছিত উর্দু শিক্ষকের নিয়োগকে একটু সহনশীল করার জন্য সম্ভবত সংস্কৃত শিক্ষককের নামটাও যুক্ত করা হয়েছিল। ছাত্ররা মানেনি, প্রতিবাদ করেছিল। প্রতিবাদ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। অতএব পুলিশ সামান্য উত্তেজনাতেই গুলি চালায়, ফলে দুই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণের মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ সপ্তাহখানেক উত্তাল হয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি মিছিল মিটিং করে। বিজেপি ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ বন ডাকে যা আংশিক সফল হয়। এই বনধকে সফল করতে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার দাড়িভিট গেল...

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? ক...