𝒯𝒽𝑒 𝐻𝒾𝓃𝒹𝓊𝓉𝓋𝒶

কেমন হওয়া উচিত দূর্গা পূজা? লেখক: প্রণয় কুমার নাথ •অপসংস্কৃতির মোহ •পূজা প্রকৃতপক্ষে কী? •কেমন হবে দূর্গা মূর্তি? •কেমন হবে পূজা উদ্যাপন? • মূর্তি বিসর্জনের নিয়ম কি কি? ● অপসংস্কৃতির মোহ বর্তমান সময়ে পূজা একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে ভক্তিচর্চার পরিবর্তে চলছে আচারসর্বস্ব সংস্কৃতির চর্চা। তা-ও ভালো হতো যদি সংস্কৃতিটা আদর্শ হতো; কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, তা ক্রমশ খারাপ হতে হতে অপসংস্কৃতির রূপ ধারণ করেছে। পূজা নয়, যেন ডেকোরেশন আর লাইটিং-এর তুমুল প্রতিযোগিতা, উঠতি ছেলেমেয়েদের বিকৃত আনন্দ-উল্লাস। উগ্র শব্দে উগ্র গান চালিয়ে তারা মদ-গাঁজা খেয়ে অশালীন ভঙ্গিতে মায়ের সামনেই নৃত্য করে। যেকোনো সাধারণ ভদ্রলোকও সে নৃত্য দেখে মুখ না লুকিয়ে পারবেন না, তা উপভোগ করা তো দূরের কথা। অপসংস্কৃতির দ্বারা মোহিত হয়ে বর্তমানে যারা এভাবে মায়ের পূজা করছে, প্রকৃতপক্ষে একে পূজা বলা যায় না। বৈদিক শাস্ত্রে কোথাও এভাবে মায়ের পূজা করার নির্দেশ দেয়া হয়নি। কেউ কি নিজের মায়ের সামনে মদ-গাঁজা খেয়ে এভাবে অশালীন ভঙ্গিতে নৃত্য করতে পারে? যে কারো মা, এমনকি বোনের সামনেও যদি কেউ নেশাগ্রস্ত হয়ে মাতলামি করে, অশালীন ভঙ্গিতে নৃত্

চৈত্রের সংক্রান্তির আগের দিনে সন্তানের মঙ্গলকামনায় মায়েরা নীলের পূজা বা ব্রত করে থাকেন। আজকে সেই দিন। এইদিন গ্রামে গঞ্জে "শিবের বিয়ে" বলেও পালিত হয়। আজকের দিনে নীলধ্বজ কন‍্যা নীলাবতী পরমেশ্বরীর সাথে শিবের বিবাহ হয়েছিল যিনি ছিলেন মহামায়ার ই অংশ। গ্রামে গ্রামে এই উপলক্ষে উৎসব, আচার অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। নীলপূজা বা "নীলষষ্ঠী" বা নীলযাত্রা, এটা এলো কিকরে? জানা যায় বহু পূর্বে এক ব্রাহ্মণ দম্পতি ছিলেন, যাঁরা সব ব্রত করেছিলেন, তবু তাঁদের সন্তানরা বেশিদিন বাঁচতো না। দুঃখে একপ্রকার বাঁচার ইচ্ছাই হারিয়ে ফেলেন তাঁরা। কাশীর গঙ্গার ঘাটে তাঁরা এলে দেখা হয় এক বৃদ্ধার সাথে। তাঁরা নিজেদের দুঃখের কথা বৃদ্ধাকে বলেন, বৃদ্ধা তখন বলেন " তোমরা ব্রত করলেও তাতে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসের অভাব ছিল, যার দরুণ তোমাদের এই অবস্থা।" তাঁরা বুঝতে পারেন ইনি সাধারণ বৃদ্ধা নন, স্বভাবতই তাঁরা পরিচয় জানতে চাইলে সেই বৃদ্ধা নিজের রূপ ধারণ করেন। তিনি আর কেউ নন, মা ষষ্ঠী নিজেই। মা ষষ্ঠী তাঁদের বলেন নীলষষ্ঠী বা নীলপূজা পালনের কথা। চৈত্রমাসে সন্ন‍্যাস নিয়ে সংক্রান্তির আগের দিন উপবাস করে নীলাবতীর পুজো করে