Skip to main content

BJP ছাড়া আর কেউ হিন্দুত্বের রাজনীতি করেনা কেন?

সবাই প্রশ্ন করে BJP ছাড়া আর কেউ হিন্দুত্বের রাজনীতি করে না কেনো? কারণ টা কি জানো?



Aoo Kavi haveli pe, dialog টা শুনেছো? RSS ও এই একই ডায়লগ দেয়। বুঝতে পারলে না তো বুঝিয়ে বলছি আমি। ধরো, কেউ হিন্দু সংগঠন করতে চাইছে, রাজনীতিতে নামতে চাইছে, কিছুটা সংগঠন তৈরী করে ফেলেছে। তখনই entry নেয় RSS। 


অন্য পার্টিকে আঁটকানোর দুটো style আছে। প্রথমত, ধরো সংগঠন প্রথম তৈরী হচ্ছে, তারা অতিরিক্ত active হয়ে রাস্তায় নেই আন্দোলন করতে , প্রতিবাদ করছে, তখন RSS ওইসব কার্যকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে এবং বলে তোমরা যথেষ্ট ভালো কাজ করছো, কিন্ত তোমাদের সংগঠন অত্যন্ত দুর্বল, তাই আমাদের সংগঠনে যোগ দাও। সংগঠন না থাকলে হিন্দু ঐক্য সম্ভব নয়, আর হিন্দু ঐক্য না থাকলে হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা করাও সম্ভব নয়। 


যদি তারা বলে, না, আমাদের সংগঠন মজবুত, তখন সঙ্ঘ বলে তোমাদের পন্থা/পথ ঠিক নয়, কতজন কে মারবে? কতজন কে কাটবে? তারচেয়ে তোমার গ্রামে শাখার প্রসার করে হিন্দুদের হিন্দুত্বকে জাগ্রত করো, তাহলে মুসলমানরা এমনিতেই হেরে যাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এতেই কাজ শেষ হয়ে যায়। 


যদি কেউ মানতে না চাই, তাহলে তাকে মহকুমা/জেলা স্তরে RSS এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এইভাবে ওই সংগঠনের 30 জনের মধ্যে অন্তত 17 জনকে নিজেদের আয়ত্তে আনা যায়। 


এরপরেও যদি তারা পৃথক মত-পন্থা আর পথে চলতে চাই এবং রাজনৈতিক দল তৈরীর চেষ্টা করে তখন তার উপর চাপ তৈরী করা হয়- "তুমি হিন্দুত্বকে দুর্বল করছো। হিন্দুদের ভোটকে বিভক্ত করছো। তুমি অপরাধী। এতো বড় ভুল কাজ করো না।" রাজনৈতিক দল তৈরীর ইচ্ছা থেকে সম্পূর্ণ দূরে সরিয়ে ফেলার জন্য এই কয়েকটি কথাই যথেষ্ট!


যদি তবুও সে মানতে না চাই তবে তার জন্য বিজেপিতে বুথ সভাপতি/জেলা সভাপতির পদ বেছে দেওয়া হয়। তবুও মানতে না চাইলে বিজেপির সাথে রাজনৈতিক জোট করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। অতঃপর সারাজীবন বিজেপির দলদাস হয়ে থাকার দায়িত্ব নিজের হাতে তৈরী করে দেয় RSS।  উদাহরণ- Shiv Sena, Maharashtra Navanirman Sena,Bihar er JDU। আরো আছে , পশ্চিমবঙ্গের হিসাব যদি ধরো তবে হিন্দু সংহতি- দেবতনু ভট্টাচার্য, হিন্দু সেবাদল- দিবাকর দেবনাথ, হিন্দু মহাসভা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নামতে চাইছে, উড়িশ্যার একটি হিন্দু দল রাজনীতিতে নামতে চাইছে, কেউ সফল হবে না। কারণ -সঙ্ঘ বিজেপিকে monopoly বা একচ্ছত্ররাজ দিয়েছে। আর কেউ পারবে না। হিন্দু ভোট শুধুমাত্র বিজেপির।  অন্য কোনো হিন্দু-দল হিন্দু ভোটের ভাগ চাইতে এলে তার ঘাড় মটকে দেওয়ার দায়িত্ব সঙ্ঘের। সেইজন্যই ভূ-ভারতে বিজেপি ব্যতীত অন্য কোনো হিন্দুবাদী রাজনৈতিক দল নেই। এখন প্রশ্ন, শিবসেনা,MNS, JDU এরা তো বর্তমানে হিন্দু-বিরোধী। তারা তো মুসলমানদের তোষন করছে। হ্যাঁ করছে। বিজেপিও করে, সেটা তোমার চোখে পড়বে না। সঙ্ঘতন্ত্র বলে গোটা দেশে রাজনীতি করতে গেলে এসব একটু-আধটু করতে হয়! বিজেপি করলে দোষ নেই, কিন্ত শিবসেনা করলেই দোষ! এটাই পার্থক্য। এইজন্যই  ভূ-ভারতে বিজেপি ব্যতীত অন্য কোনো হিন্দুবাদী রাজনৈতিক দল নেই! কিন্ত আমার প্রশ্ন হলো, বিজেপি কি হিন্দুবাদী?

Popular posts from this blog

আগেকার যুগে পতাকা কি গেরুয়া রঙের হতো? সেখানে কি ॐ থাকতো? নাকি লাল, হলুদ আর সাদা রঙের হত? একটু কেমন খটকা লাগছিল, তাই গুগল সার্চ করলাম। সত্যিই কি সনাতনের চিহ্ন শুধুমাত্র গৈরিক? সত্যিই কি গেরুয়া রঙ ই হিন্দুত্বের প্রতীক? তাহলে হলুদ রাঙানো কাপড়ের এত গুরুত্ব কেনো হিন্দু ধর্মে? অনেকের মতে, আগে মানুষ বেশিরভাগ জিনিস নিজেই বাড়িতে রঙ করতো। পতাকা বা দৈবিক কোনো জিনিস লাল ও হলুদ রঙ দিয়েই ছাপা হতো। হলুদ আর লাল- দুই মিলেই সনাতন। আর ঐ দুটো মিলেই গেরুয়া রঙ হয়। কারো কারো মতে, হলুদ রঙের পতাকাও নাকি গৈরিক ধ্বজ ছিল। হলুদ রঙে রঙিন পতাকাও নাকি গেরুয়া। তবে এই যুক্তিকে মানা যায় না। হলুদ আর গেরুয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে।  তবে যুগের প্রয়োজন আর পরিবর্তন আমাদেরকে সব ভুলিয়ে দেয়। যুগের প্রয়োজনে আমরা গৈরিক ধ্বজ কে আপন করে নিয়েছি। আর ভুলে গেছি হলুদ কিংবা লাল কে। তবে আজও মন্দিরে লাল এবং হলুদ রঙের ধ্বজ ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়।  অধুনা যে ধরনের পতাকা বা ধ্বজ ব্যবহৃত হয় প্রাচীনকালে পতাকা ঠিক এরকম ছিল না। মহাভারতের মহারথীদের ধ্বজের বর্ণনা থেকে সে সম্পর...

শিক্ষাব্যবস্থার সংকট ও উত্তরণ

Q. অনলাইন ক্লাসের ওপর ছাত্রদের কিভাবে আগ্রহী করে তোলা যায়? সারাদেশে অনলাইন ক্লাস কিভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায়? গ্রামে অনলাইনে সমস্যা থাকা সত্বেও ছাত্ররা কিভাবে অনলাইন ক্লাস করবে প্রবন্ধ রচনা। (২৫০ শব্দে) উত্তর- বিশ্ব চিরাচরিত যে শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত ছিল এবং বিগত দশকগুলোতে যে অগ্রগতির ধারায় এগুচ্ছিল, কোভিড-১৯-এর কারণে ব্যাপকভাবে তার  পরিবর্তন ঘটে। দীর্ঘকালের ধারাবাহিকতায় শিক্ষা ব্যবস্থার ধরন ও স্বরূপ বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়েছে এবং ক্রমশ তার আধুনিকায়ন ঘটেছে। কিন্তু কোভিড-১৯-এর কারণে যে পরিবর্তন ঘটেছে তাতে নতুন প্রজন্মের আগামী শিক্ষাব্যবস্থার একটি সম্পূর্ণ নতুন পথ খুলে গেছে। গত বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৬০টিরও বেশি দেশের স্কুল বন্ধ ছিল। এতে ১০০ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় মোট শিক্ষার্থীর ৯৪ ভাগ কোনো-না-কোনোভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ৯০ ভাগই নিম্ন বা নিম্নমধ্য আয়ের দেশের শিক্ষার্থী। শিক্ষাগ্রহণ প্রক্রিয়ায় একটা সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সশরীরী উপস্থিতি ও চিন্তা-চেতনা-ভাবনার প্রকাশের মূল কেন্দ্র ছিল শ্রেণিকক্ষ।...