Skip to main content

নেহেরুর বংশপঞ্জী

মতিলাল নেহেরুর পাঁচজন পত্নী ছিল,

1) স্বরূপ রানী,

2) থুসু রহমান বাই,

3) মঞ্জরী দেবী,

4) একজন ইরানী মহিলা,

5) একজন কাশ্মিরী মহিলা,

এক নম্বর পত্নী স্বরূপ রাণী ও তিন নম্বর পত্নী মঞ্জুরী দেবীকে নিয়ে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু দু'নম্বর পত্নী থুসু রহমান বাইকে নিয়ে, চার নম্বর ও পাঁচ নম্বর পত্নীকে নিয়েই যত সমস্যা, মতিলালের দু নম্বর পত্নী থুসু রহমান বাইয়ের প্রথম পক্ষের স্বামী বা শোহরের নাম ছিল "মুবারক আলী", মতিলাল মোবারক আলীর অধীনে চাকরি করতো, মোবারক আলীর আকস্মিক মৃত্যুর কারণে মতিলাল তার পত্নী থুসু রহমান বাইকে নিকা করে নেয় ও প্রত্যক্ষ রূপে মোবারক আলীর সমস্ত সম্পত্তির মালিক হয়ে যায়, থুসু রহমান বাইয়ের মতিলালকে নিকা করার আগের থেকেই দুই সন্তান ছিল যাদের পিতা ছিল মোবারক আলী,

1) শাহিদ হুসেন,

2) জওহর লাল,

যেহেতু মতিলাল থুসু রহমান বাইকে নিকা করে সেহেতু মতিলালকে এই দুই সন্তানকে পুত্ররূপে মেনে নিতে হয়, এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য জওহরলালের মাতা পিতা হলো থুসু রহমান বাই ও মোবারক আলী, মতিলাল থুসু রহমানকে নিকা করার পর জহরলাল সেই অর্থে মতিলালের পালক পুত্র হয়, মতিলালের চতুর্থ নম্বর পত্নী একজন ইরানি মহিলা ছিল যার মহম্মদ আলী জিন্নাহ নামক একটি সন্তান ছিল, মতিলালের পাঁচ নম্বর পত্নী একজন কাশ্মীরি মহিলা ছিল যে মতিলালের বাড়িতে কাজ করতো, এই কাশ্মীরি মহিলার শেখ আব্দুল্লাহ নামের একটি সন্তান ছিল যে পরে কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হয়, অর্থাৎ নেহেরু, জিন্না, শেখ আব্দুল্লাহ এই তিনজন ভাই মুসলমান ছিল, কিন্তু যখন ভারত ভাগ হওয়া শুরু হলো তখন এই তিন ভাইয়ের মধ্যে ক্ষমতার বন্টন নিয়ে ঝগড়া লেগে যায়, তখন,,,,,

1) জওহরলালকে ভারত,

2)জিন্নাকে পাকিস্তান,

3) শেখ আব্দুল্লাহকে (চাকরানীর ছেলে) কাশ্মীর দিয়ে দেওয়া হলো,

যেহেতু কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না সেহেতু শেখ আবদুল্লাহকে সুরক্ষার দিক দিয়ে অনুচ্ছেদ 370 প্রদান করা হলো, যাতে কাশ্মীর ভারতের হয়েও ভারতের না থাকতে পারে। এরপরে জহরলালের মেয়ে ইন্দিরা ফিরোজ খানকে নিকা করে। তাদের দুই সন্তান হয় রাজীব খান ও সঞ্জয় খান। আর এই সঞ্জয় খানকে অন্য এক মুসলিমের থেকে উৎপন্ন সন্তান মনে করা হয়। অর্থাৎ রাজীব খান ও সঞ্জয় খান দুইজনই বৈমাত্রেয় ভাই। রাজীব খান ইতালির বিদেশি মহিলা ক্রিশ্চান সোনিয়াকে নিকা করে। রাজীবের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ক্রিশ্চান রবার্ট বাট্রাকে নিকাহ করে।

Popular posts from this blog

ছেলেরা কেন দিনদিন 'বৌদিবাজ' হয়ে উঠছে?

সমাজটা খুবই খারাপ দিকে যাচ্ছে। ছেলেরা এখন বৌদিবাজ হয়ে উঠেছে! তারা একবার করে প্রেমে ছেঁকা খাওয়ার পর আর অন্য কোনও প্রেমিকা জোটায় না, বৌদিদের সাথে গল্প করে। কারণ - ১| ধোঁকা খায় না ২| হৃদয়ে আঘাত লাগে না ৩| Break up 💔 বলে কিছু থাকে না ৪| অনেকটা Stunt বাজীর মতো, মাথায় কোনো চাপ নেয়ার দরকার পরে না  আর একটা বিষয় হলো এখন বেশিরভাগ ছেলে পড়াশোনা দিকে ব্যস্ত। তাই তাদের হাতেও বেশি সময় থাকে না। আবার বৌদিদের হাতেও বেশি সময় সীমিত। তাই একটা Understanding বজায় থাকে। আরেকটা জিনিস হল নতুন প্রেমিকারা যেরকম নানারকম চাপ দেয়। বৌদীরা অনেকটা বোঝে ব্যাপারগুলো। যেমন- ফাঁকা পকেট, কম সময়, Relation Public না করা... এসব জিনিস। সেই কারণে তারা এতটা চাপ দেয় না। অল্পবয়সী মেয়ের একটু জেদি হয়। তাই তারা অকারণেই ঝগড়া করে যা এমনিতেই চাকরি আর ভবিষ্যতের চিন্তায় চিন্তিত ছেলেদের ভালো লাগে না। তাই তারা বৌদিদের দিকেই ঝোঁকে। বিয়ে তো অবশ্য ভালো কোনো মেয়ে দেখেই করবে, তার আগের সময়টা অন্য দিকে দেয় - বৌদিদের সাথে আড্ডা মারে। বৌদিদের সাথে কথা বলে আর কিছু হোক বা না হোক মানসিক শান্তি আছে। আমার বৌদিবাজ বন্ধুদের জন্য 💖

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? কেন আমরা ব

রাষ্ট্রভক্ত বীরাঙ্গনা হীরা দে

 🌹💥🕉️ দুর্নীতিবাজদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত তার উদাহরণ আমাদের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা থেকে জানা যায়। এই শাস্তিও কোন রাজা বা সরকার দিয়েছিল না দিয়ে ছিল শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্যরা। 💢 1311 খ্রিস্টাব্দে, আলাউদ্দিন খিলজিকে জলোর দুর্গের গোপন কথা বলার জন্য পুরস্কার হিসাবে পাওয়া অর্থ নিয়ে ভিকা দাহিয়া আনন্দের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন।এত টাকা এই প্রথম দেখল। হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিল যুদ্ধ শেষ হলে এই টাকা দিয়ে একটা বিলাসবহুল প্রাসাদ তৈরি করে আরামে বসবাস করবে।প্রাসাদের সামনে ঘোড়া বাঁধা থাকবে, চাকর থাকবে।  তার স্ত্রী হীরা স্বর্ণ ও রৌপ্য গয়না দ্বারা সারা শরীর ঢাকা থাকবে। আলাউদ্দিন কর্তৃক জালোর কেল্লায় নিযুক্ত সুবেদারের দরবারে তিনি বড় মর্যাদার বিবেচিত হবেন।বাড়িতে পৌঁছে বিড়বিড় করে হেসে টাকার বান্ডিলটা বাড়িয়ে দিলেন স্ত্রী হীরা দে'র হাতে।  🌹স্বামীর হাতে এত টাকা এবং স্বামীর মুখ ও অভিব্যক্তি দেখে হীরাদে আলাউদ্দিন খিলজির সৈন্যদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কারণ বুঝতে পেরে জালোরের যুদ্ধে হতাশ হয়ে হঠাৎ জালোরের দিকে ফিরে যায়। হীরা দে বুঝতে পেরেছিলেন যে তার স্বামী ভিকা দাহিয়া তার জন্মভূমি জ