Skip to main content

ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত উৎসব তালিকা

ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত উৎসব ও সেই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য | Famous Festival of India
ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত উৎসব

নমস্কার বন্ধুরা,

এই পেজে আমরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত উৎসব ও সেই সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় famous festival of India থেকে কখনো কখনো প্রশ্ন আসতে দেখা গেছে। আজকের এই পেজটি আপনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত উৎসব গুলির নাম এবং সেই উৎসব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য আজকের পেজে আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম। সম্পূর্ণ পেজটি একবার পাঠ করুন যাতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত উৎসব সম্পর্কিত প্রশ্নগুলোর সমাধান আপনারা সহজেই করতে পারেন।

ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যের বিখ্যাত উৎসব

জাতীয় উৎসব (National Festival)

উৎসবের নাম:- প্রজাতন্ত্র দিবস

মাস:- ২৬ জানুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- সমগ্র ভারত

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- ১৯৫০ সালের এই দিনেই ভারতের সংবিধান গৃহীত হয়েছিল। তাই এই দিনকে স্মরণ করে প্রতিবছর এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। এই উৎসব উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ পরিবেশন করে থাকেন। সেইসঙ্গে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই দিনেই বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদেরও আমন্ত্রণ করা হয়ে থাকে।

উৎসবের নাম:- স্বাধীনতা দিবস

মাস:- ১৫ আগস্ট

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- সমগ্র ভারত

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- ১৯৪৭ সালের এই দিনেই ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল ভারতবর্ষ। তাই এই দিনকে স্মরণীয় করে প্রতি বছরে এই দিবস পালন করা হয়ে থাকে। এই দিবস উপলক্ষে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নিজের জীবন উৎসর্গকারী মহাপুরুষদের সম্মান প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। এই দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ পরিবেশন করে থাকেন।

উৎসবের নাম:- দেওয়ালি

মাস:- অক্টোবর/নভেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- সমগ্র ভারত

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব। এটি আলোর উৎসব হিসেবেও পরিচিত। এই উপলক্ষে প্রতিটি মানুষের গৃহ বিভিন্ন প্রকারের আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হয়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রকম আতশবাজির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

নববর্ষ উৎসব (New Year Festival)

উৎসবের নাম:- লোসার

মাস:- ফেব্রুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অরুণাচল প্রদেশ, লাদাখ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি তিব্বতীয় বৌদ্ধ দের নববর্ষকালীন উৎসব। এটি ১৫ দিন ধরে পালন করা হয়।

উৎসবের নাম:- রঙ্গোলি বিহু

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অসম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি অসমের খুবই পরিচিত উৎসব। বিহু লোকনৃত্যও এই সময় দেখা যায়। স্থানীয় দেবতা 'ব্রাই শিবরায়' কে মরসুমের প্রথম শস্য উৎসর্গ করা হয়। নববর্ষের সূচনা হিসেবে রঙ্গোলি বিহু পালিত হয়।

উৎসবের নাম:- হলদা উৎসব

মাস:- জানুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- হিমাচল প্রদেশের লাহুল জেলা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি হিমাচল প্রদেশের নববর্ষের উৎসব। লাহুল জেলায় প্রতি বছর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উৎসবের নাম:- উগাধি

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- কর্ণাটক/অন্ধ্রপ্রদেশ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- নববর্ষের সূচনা হিসেবে এই উৎসব পালিত হয়।

উৎসবের নাম:- গুড্ডিপর্বা

মাস:- মার্চ-এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- মহারাষ্ট্র

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- নববর্ষের সূচনা হিসেবে মারাঠি জাতিরা প্রতিবছর এই উৎসব পালন করে থাকে।

উৎসবের নাম:- বৈশাখী

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পাঞ্জাব

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- নববর্ষের সূচনা হিসেবে শিখ সম্প্রদায় বৈশাখ মাসের প্রথম দিন উৎসব পালন করে থাকে। এই দিনই শিখদের দশম গুরু গোবিন্দ সিংহ খালসা প্রথার সূচনা করেন।

উৎসবের নাম:- লোসং

মাস:- ডিসেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- সিকিম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি নববর্ষের উৎসব হিসেবে পালিত হয় তিব্বতীয় কালপঞ্জি অনুযায়ী। চারদিন ধরে এই উৎসব পালিত হয়। সিকিমের ভুটিয়া উপজাতি মূলত এই উৎসব পালন করে থাকে।

উৎসবের নাম:- নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ

মাস:- এপ্রিল (বাংলা কালপঞ্জী অনুযায়ী বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে)

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি পশ্চিমবঙ্গের নববর্ষ উৎসব। বাঙালি ব্যবসায়ীরা এই সময়ে নতুন খাতা চালু করে যাকে বলা হয় 'হালখাতা'।

উৎসবের নাম:- সাজিবু চেইরাহোবা

মাস:- মার্চ/এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- মণিপুর

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- মনিপুরের নববর্ষ উৎসব।

উৎসবের নাম:- নওরোজ

মাস:- জুলাই/আগস্ট

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- মহারাষ্ট্র, গুজরাট

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- পারসিক বা জরুস্টীয়গণ এই নববর্ষ উৎসব পালন করে থাকেন।

উৎসবের নাম:- নাবরেহ

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- জম্মু ও কাশ্মীর

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- কাশ্মীরি হিন্দু পণ্ডিতেরা এই নববর্ষ উৎসব পালন করে থাকেন।

উৎসবের নাম:- আসাদি বিজ

মাস:- জুন/জুলাই

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- গুজরাট

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- কচ্ছ অঞ্চলে এই নববর্ষ উৎসব পালিত হয়ে থাকে যা কচ্ছী নববর্ষ নামেও পরিচিত।

উৎসবের নাম:- বালি প্রতিপাদ

মাস:- নভেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- গুজরাট, রাজস্থান

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- চন্দ্র পঞ্জিকার বিক্রম সাম্বাত অনুযায়ী এই নববর্ষ উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।

উৎসবের নাম:- চেটি চাঁদ

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- জম্মু ও কাশ্মীর

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- সিন্ধি হিন্দুরা চন্দ্রপঞ্জিকা অনুযায়ী এই নববর্ষ উৎসব পালন করে থাকে।

উৎসবের নাম:- চৈত্র নবরাত্রি

মাস:- মার্চ/এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড, ছত্রিশগড়

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি হিন্দু চন্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী পালিত নববর্ষ উৎসব।

উৎসবের নাম:- মেসা সংক্রান্তি

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পাঞ্জাব, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ (দার্জিলিং)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- হিন্দু সৌর পঞ্জিকা অনুযায়ী পালিত নববর্ষ উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।

উৎসবের নাম:- পুতান্ডু

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- তামিলনাড়ু

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি তামিল নববর্ষ উৎসব যা সৌর পঞ্জিকা অনুযায়ী পালন করা হয়ে থাকে।

উৎসবের নাম:- বুইসু

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- ত্রিপুরা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- ত্রিপুরী নাগরিকরা সৌর পঞ্জিকা অনুযায়ী এই নববর্ষ উৎসব পালন করে থাকে।

উৎসবের নাম:- বিসাণ্ড

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অসম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- বোরো উপজাতি সৌর পঞ্জিকা অনুযায়ী বোরোল্যান্ড অঞ্চলে এই নববর্ষ উৎসব পালন করে থাকে।

উৎসবের নাম:- পান সংক্রান্তি

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- ওড়িশা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- ওড়িশা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই নববর্ষ উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।

উৎসবের নাম:- জুর শীতল

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- বিহার

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি মিথিলা নববর্ষ হিসেবে ভারতে ও নেপালে সৌর পঞ্জিকা অনুযায়ী পালন করা হয়।

উৎসবের নাম:- পালদান নামচোত

মাস:- ডিসেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- লাদাখ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- লাদাখি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষেরা এই নববর্ষ উৎসব পালন করে থাকে।

উৎসবের নাম:- গ্যালপো লোসার

মাস:- মার্চ

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- সিকিম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- সিকিমের সেরপা উপজাতি এই নববর্ষ উৎসব পালন করে থাকে।

উৎসবের নাম:- তামু লোসার

মাস:- ডিসেম্বর/জানুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- সিকিম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- সিকিমের গুরুং উপজাতি এই নববর্ষ উৎসব পালন করে থাকে।

উৎসবের নাম:- সোনম লোসার

মাস:- ফেব্রুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- সিকিম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- সিকিমের তামাং এবং হোইলমো উপজাতি এই নববর্ষ উৎসব পালন করে থাকে।

উৎসবের নাম:- বিজু

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- চাকমা উপজাতি এই উৎসব পালন করে থাকে।

কৃষি উৎসব (Harvest Festival)

উৎসবের নাম:- ড্রি

মাস:- জুলাই

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অরুণাচল প্রদেশ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এই উৎসব ধান চাষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তিব্বতীয় বৌদ্ধদের আপতনি উপজাতি এই উৎসব পালন করে থাকে।

উৎসবের নাম:- সোং

মাস:- জুলাই/আগস্ট

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অরুণাচল প্রদেশ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি এই রাজ্যের 'আধি' উপজাতিদের উৎসব। কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। বর্ষাকালে সাতদিন ধরে এই উৎসব পালিত হয়।

উৎসবের নাম:- অসম চা উৎসব

মাস:- নভেম্বর/ডিসেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অসম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- অসীম সরকার এই উৎসবের আয়োজন করে।

উৎসবের নাম:- লোহরি

মাস:- জানুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- রবি শস্য উৎপাদনের সময় এই উৎসব পালিত হয়।

উৎসবের নাম:- ফুলাইচ

মাস:- সেপ্টেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- হিমাচল প্রদেশ কিন্নর উপত্যকা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি ফুলের উৎসব নামে পরিচিত। সাতদিন ধরে এই উৎসব পালন করা হয় এবং গরিবদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হয়।

উৎসবের নাম:- ওনাম

মাস:- আগস্ট/সেপ্টেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- কেরল

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি নতুন ফসল উৎপাদনকে কেন্দ্র করে পালন করা হয়। মালয়ালি সম্প্রদায়ের রাজা 'মহাবলীর' গৃহে আগমনের সময়কে ধরে এই উৎসব পালিত হয়। দশ দিন ধরে চলে।

উৎসবের নাম:- নুয়াখাই জুয়ার

মাস:- সেপ্টেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- ওড়িশা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি কৃষিকার্যের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি উৎসব। নতুন ফসল দেবীকে উৎসর্গ করে এই উৎসবের সূচনা করা হয়।

উৎসবের নাম:- বটুকম্মা

মাস:- সেপ্টেম্বর/অক্টোবর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- তেলেঙ্গানা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি ফুলের উৎসব এবং তেলেঙ্গানার মহিলারা মূলত এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে থাকে।

উৎসবের নাম:- পোঙ্গাল

মাস:- জানুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- তামিলনাড়ু

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- কৃষিকার্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই উৎসব প্রতিবছর নতুন শস্য উৎপাদনের পর মকর সংক্রান্তির সময় পালিত হয়।

উৎসবের নাম:- চাপচর কূট

মাস:- মার্চ

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- মিজোরাম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- মিজোরামের বৃহত্তম উৎসব। পাহাড়ের ধাপ পরিষ্কার করে ঝুম চাষে উপযুক্ত করে তোলা হয় এই উৎসবে।

উৎসবের নাম:- ভাদু উৎসব

মাস:- আগস্ট/সেপ্টেম্বর (বাংলা কালপঞ্জি - ভাদ্র মাস)

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এই উৎসব মূলত আউশ ধান চাষের সময় ভাদ্র মাসে পালিত হয়। বাগরি এবং বৌরি উপজাতি এই পুজোয় অংশগ্রহণ করে থাকে।

উৎসবের নাম:- টুসু উৎসব

মাস:- জানুয়ারি (বাংলা কালপঞ্জি - পৌষ মাসের শেষ দিন)

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- পৌষ সংক্রান্তিতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবে মূলত টুসু দেবীর উপাসনা করা হয়ে থাকে। টুসু হল লক্ষ্মীর লৌকিক রুপ। টুসু সঙ্গীতও এই সময় পরিবেশন করা হয়ে থাকে।

উৎসবের নাম:- মাঘ বিহু

মাস:- জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অসম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- মূলত অগ্নিদেবের উপাসনায় এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

উৎসবের নাম:- নবান্ন উৎসব

মাস:- নভেম্বর/ডিসেম্বর (বাংলা কালপঞ্জি অনুযায়ী অগ্রহায়ণ মাস)

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। নতুন ফসল ঘরে তোলার পর দেবতা কে উৎসর্গ করে এই উৎসবের সূচনা করা হয়। এই উৎসব উপলক্ষে প্রতিবছর নবান্ন মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

উৎসবের নাম:- ওয়াঙ্গলা উৎসব

মাস:- নভেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- মেঘালয়

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- গাঢ় উপজাতিদের এই কৃষি উৎসব সূর্যদেবতা সালজোংয়ের উপাসনার জন্য অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এটি একশো ড্রামের উৎসব কারণ এই উৎসবে একশোটি ড্রাম ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

উৎসবের নাম:- কা পমব্ল্যাং নকরেম

মাস:- নভেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- মেঘালয়

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি একটি বাৎসরিক কৃষি অনুষ্ঠান যা স্থানীয় মানুষ ও উপজাতি সকলেই পালন করে থাকে। এই উৎসব উপলক্ষে লোকসংগীত ও লোকনৃত্য পরিবেশিত হয়ে থাকে।

উৎসবের নাম:- বিষু

মাস:- এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, পুদুচেরি

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় উৎসব। এই উৎসব উপলক্ষে কেরলের শবরীমালা মন্দিরে বহু পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে।

উৎসবের নাম:- লাদাখ হারভেস্ট ফেস্টিভ্যাল

মাস:- সেপ্টেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- লাদাখ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এই কৃষিজাত উৎসব মূলত লেহতে পালিত হয়ে থাকে। এই উৎসব উপলক্ষে নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়ে থাকে।

ধর্মীয় উৎসব (Religious Festival)

উৎসবের নাম:- রে

মাস:- ফেব্রুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অরুণাচল প্রদেশ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- 'মিসমি' উপজাতি গোষ্ঠীর উৎসব। তারা স্থানীয় দেবতা 'ননীনিতয়ার' পুজা করেন। মহিষ বলি দিয়ে এই উৎসবের সূচনা করা হয়।

উৎসবের নাম:- অম্বুবাচি

মাস:- জুন

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অসম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- প্রতিবছর কামাক্ষা মন্দিরে এই উৎসব পালিত হয়। এই উৎসব উপলক্ষে অম্বুবাচী মেলারও আয়োজন করা হয়।

উৎসবের নাম:- ছট পূজা

মাস:- অক্টোবর/নভেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- বিহার

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- বিহারের সবচেয়ে বড় উৎসব, চারদিন ধরে চলে। সূর্যকে দেবতা রূপে পূজিত হয়।

উৎসবের নাম:- বিহুলা

মাস:- আগস্ট

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- বিহার (ভাগলপুর জেলা)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এই উৎসবে দেবী মনসার পূজা করা হয়।

উৎসবের নাম:- গুগানৌমি

মাস:- আগস্ট-সেপ্টেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- হরিয়ানা, পাঞ্জাব

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এই উৎসবে সাপের পূজা করা হয়।

উৎসবের নাম:- ডুংরি উৎসব

মাস:- মে

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- হিমাচল প্রদেশ (কুলু)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এই উৎসব হিড়িম্বা দেবীর জন্মদিন উপলক্ষে পালিত হয় এবং হিড়িম্বা দেবী মেলার আয়োজন করা হয়।

উৎসবের নাম:- আট্টুকুল পোঙ্গালা

মাস:- ফেব্রুয়ারি-মার্চ

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- কেরল

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এই উৎসব গ্রিনিজ বুকে নাম তুলেছে, প্রতিবছর এই উৎসবে সবচেয়ে বেশি মহিলা দর্শনার্থীরা আগমন ঘটার দরুন। স্থানীয় দেবী 'আট্টাকুলের' উপাসনা করা হয়। এই উৎসব দশ দিন ধরে চলে।

উৎসবের নাম:- মকরাবিলাক্কু

মাস:- জানুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- কেরল

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- প্রতিবছর মকর সংক্রান্তির দিন 'শবরীমালা' মন্দিরের এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উৎসবে স্থানীয় দেবতা 'আয়াপ্পার' উপাসনা করা হয়।

উৎসবের নাম:- গণেশ চতুর্থী

মাস:- আগস্ট-সেপ্টেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- মহারাষ্ট্র

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় উৎসব। দেবতা গণেশের উপাসনা করা হয় এই উৎসবে। এই উৎসবের ব্যাপ্তি সাত দিন।

উৎসবের নাম:- উরস

মাস:- মার্চ

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- রাজস্থান (আজমীর)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি মুসলিম সম্প্রদায়ের উৎসব। সুফিসন্ত খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই উৎসবের আয়োজন করা হয় আজমির লেকের ধারে।

উৎসবের নাম:- ক্ষীরভবানী

মাস:- মে/জুন

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- জম্মু-কাশ্মীর

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ অষ্টমীতে জম্মু-কাশ্মীরের গান্ধেরবাল জেলার রাজন্য দেবীর মন্দিরে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা এই উৎসব পালন করে থাকেন। এই উৎসব উপলক্ষে ক্ষীরভবানী মেলার আয়োজন করা হয়।

উৎসবের নাম:- খারচি পূজা

মাস:- জুলাই

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- ত্রিপুরা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- প্রতিবছর অষ্টমী শুক্লা পক্ষ তিথিতে এই পালিত হয়। এই উৎসব উপলক্ষে চোদ্দো জন দেবতার উপাসনা করা হয় পুরাতন আগরতলার চতুর্দশা মন্দিরে।

উৎসবের নাম:- বনালু

মাস:- জুলাই/আগস্ট

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- তেলেঙ্গানা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- দেবী মহাকালির উপাসনা করা হয়।

উৎসবের নাম:- গরিয়া পূজা

মাস:- এপ্রিল (বাংলা কালপঞ্জি চৈত্র-বৈশাখ মাস অনুসারে)

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- ত্রিপুরা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- গরিয়া পূজা ত্রিপুরার একটি পরিচিত পূজা। চৈত্র মাসের শেষ দিন থেকে বৈশাখ মাসের প্রথম সাত দিনের মধ্যে এই পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ত্রিপুরি জাতিগোষ্ঠীরা মূলত এই পূজায় অংশগ্রহণ করে থাকে।

উৎসবের নাম:- নবরাত্রি

মাস:- সেপ্টেম্বর/অক্টোবর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- উত্তরপ্রদেশ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- হিন্দুদের পবিত্রতম উৎসব হিসাবে বিবেচিত হয়। নয় দিন ধরে এই উৎসব পালিত হয়। দেবী দুর্গা এই উৎসবের উপাসনা দেবী। উৎসবের শেষে দেবী মূর্তি নদীতে বিসর্জন করা হয়।

উৎসবের নাম:- ব্রাহ্মোৎসব

মাস:- সেপ্টেম্বর/অক্টোবর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অন্ধ্রপ্রদেশ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- প্রতিবছর অন্ধপ্রদেশের তিরুপতি শ্রীভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে এই অনুষ্ঠান নয় দিন ধরে পালিত হয়।

উৎসবের নাম:- জলপেশ মেলা

মাস:- ফেব্রুয়ারি/মার্চ

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গ (জলপাইগুড়ি)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- প্রতিবছর শিবরাত্রির সময় জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি শহরের অন্তর্গত জলপেশ মন্দিরকে ঘিরে এই মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই মেলার উপলক্ষে প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ঘটে থাকে।

উৎসবের নাম:- দুর্গোৎসব

মাস:- সেপ্টেম্বর/অক্টোবর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। প্রতিবছর শরৎকালের এই পূজায় বাংলার প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ খুশিতে মেতে ওঠে।

উৎসবের নাম:- রথযাত্রা

মাস:- জুলাই

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গ/ওড়িশা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- পশ্চিমবঙ্গের পুরাতন উৎসবগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। হুগলি জেলার অন্তর্গত মাহেশের রথযাত্রা, পশ্চিমবঙ্গের পুরাতন রথযাত্রা। এছাড়া মহিষাদলের রথযাত্রা বিখ্যাত।

উৎসবের নাম:- জগদ্ধাত্রী পূজা

মাস:- অক্টোবর/নভেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চন্দননগর ও নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর জগদ্ধাত্রী পূজার জন্য বিখ্যাত। এই পূজার মূল আকর্ষণ দেবী জগদ্ধাত্রীর বৃহৎমূর্তি ও আলোকসজ্জা।

উৎসবের নাম:- সাগা দাওয়া

মাস:- জুন

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- সিকিম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি মহাযানী বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের উৎসব। এই উৎসবে তারা মন্দিরে জমায়েত হয়ে দেবতার কাছে নিজেদের প্রার্থনা নিবেদন করেন।

সাংস্কৃতিক উৎসব (Cultural Festival)

উৎসবের নাম:- হর্নবিল উৎসব

মাস:- ডিসেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- নাগাল্যান্ড

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- নাগাল্যান্ডের সবচেয়ে বড় উৎসব। নাগাল্যান্ডের পর্যটন ও শিল্প সংস্কৃতিক দপ্তর প্রতিবছর এই উৎসবের আয়োজন করে নাগাল্যান্ডের কিসামা শহরে।

উৎসবের নাম:- আন্তর্জাতিক হিমালয়ান উৎসব

মাস:- ডিসেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- হিমাচল প্রদেশ (কাংড়া জেলার মেকলিয়ডগঞ্জ)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এই উৎসব প্রতিবছর শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে পালিত হয়।

উৎসবের নাম:- পুষ্কর মেলা

মাস:- নভেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- রাজস্থান (পুষ্কর)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এই উৎসব ভারতবর্ষের বৃহত্তম 'উট মেলা' হিসাবে পরিচিত। পুষ্কর লেকের ধারে প্রতিবছর ৫ দিন ধরে এই মেলার আয়োজন করা হয়। এখানে উট ক্রয়-বিক্রয় ঘটে থাকে।

উৎসবের নাম:- কালাঘোড়া উৎসব

মাস:- ফেব্রুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- মহারাষ্ট্র

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এই উৎসবের সূচনা হয় ১৯৯৯ সালে এবং এই উৎসবের আয়োজক হলো কালাঘোড়া অ্যাসোসিয়েশন। এটি একটি সাংস্কৃতিক উৎসব। এই উৎসবে নৃত্য, নাটক ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

উৎসবের নাম:- সোপান

মাস:- ফেব্রুয়ারি/মার্চ

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- দিল্লি

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- দিল্লি সরকারের অন্তর্গত 'সাহিত্য কলা পরিষদ' যুব গায়ক ও নৃত্যকারদের সকলকে সামনে তুলে ধরার জন্য এই উৎসবের আয়োজন করে।

উৎসবের নাম:- বালিযাত্রা

মাস:- নভেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- ওড়িশা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- প্রতিবছর মহানদীর ধারে বালিযাত্রার সূচনা করা হয়। অতীতে ওড়িশার উপকূলবাসীদের ইন্দোনেশিয়ার বালির উদ্দেশ্যে যাত্রা এবং ব্যবসা ও সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যাত্রাকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রতিবছর এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

উৎসবের নাম:- ভাগোরিয়া

মাস:- মার্চ

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- মধ্যপ্রদেশ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি ভীল উপজাতি গোষ্ঠীর একটি উৎসব। এই উৎসবে তারা নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সকলের সামনে তুলে ধরেন।

উৎসবের নাম:- এলিফ্যান্ট উৎসব

মাস:- মার্চ

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- রাজস্থান (জয়পুর)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- প্রতিবছর রাজস্থানের গোলাপি শহর জয়পুরে উৎসব পালিত হয়ে থাকে হোলির আগের দিন ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে।

উৎসবের নাম:- নকরেম নৃত্য উৎসব

মাস:- নভেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- মেঘালয়

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- দেবী 'কা বিলেই সিনসারের' উপাসনায় প্রতিবছর এই উৎসব পালিত হয়। অবিবাহিত পুরুষ ও মহিলা উভয়েই উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করে থাকে।

উৎসবের নাম:- ইয়োসাং

মাস:- ফেব্রুয়ারি/মার্চ

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- মনিপুর

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে পাঁচদিন ব্যাপী এই উৎসব পালিত হয়। থাবল চোংবা নৃত্য এই উৎসবের মূল আকর্ষণ।

উৎসবের নাম:- তিস্তা চা ও পর্যটন উৎসব

মাস:- নভেম্বর/ডিসেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গ (দার্জিলিং জেলা)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এই উৎসব পর্যটন ও চা শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবার উদ্দেশ্যে প্রতিবছর আয়োজন করা হয়।

বিবিধ উৎসব (Miscellaneous Festival)

উৎসবের নাম:- সিয়াং নদী উৎসব

মাস:- ডিসেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অরুণাচল প্রদেশ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এই রাজ্যের জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সুসম্পর্ক তুলে ধরার জন্য প্রতিবছর এই উৎসব পালিত হয়। এই উৎসব পূর্বে, ব্রহ্মপুত্র দর্শন উৎসব নামে পরিচিত ছিল।

উৎসবের নাম:- নিয়োকুম

মাস:- ফেব্রুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অরুণাচল প্রদেশ

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- 'নিশি' উপজাতির এই উৎসব প্রতিবছর ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় ও দুদিন ধরে চলে।

উৎসবের নাম:- মাজুলি উৎসব

মাস:- নভেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- অসম

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- মাজুলির প্রধান দপ্তর গ্যারামুরে নদীর পাড়ে, এই উৎসব প্রতি বছর পালিত হয়।

উৎসবের নাম:- সোনপুর পশুমেলা

মাস:- নভেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- বিহার, সোনপুর

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- সোনপুরে সোননদীর ধারে প্রতিবছর ভারতের বৃহত্তম পশু মেলার আয়োজন করা হয়।

উৎসবের নাম:- শ্যামা চাকেবা

মাস:- নভেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- বিহার

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- ভাই ও বোনের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায়ের জন্য প্রতি বছর এই উৎসব পালিত হয়। শ্যামা ও চকেবা দুটি পাখির নাম থেকেই এই উৎসবের সূচনা।

উৎসবের নাম:- শেখরেনি

মাস:- ফেব্রুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- নাগাল্যান্ড

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- নাগাল্যান্ডের 'অঙ্গমি' উপজাতিদের এই উৎসব প্রতিবছর পালিত হয়। দশদিন ধরে এই উৎসব চলে।

উৎসবের নাম:- ডিসার্ট উৎসব

মাস:- ফেব্রুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- রাজস্থান (জয়সলমীর)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- প্রতি বছর এই উৎসব পালিত হয়। রাজস্থানি লোক সংস্কৃতিক চিত্র এই উৎসবে তুলে ধরা হয়।

উৎসবের নাম:- বেহদিনখলম

মাস:- জুলাই

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- মেঘালয়

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- জয়ন্তীয়া উপজাতিদের সবচেয়ে বড় উৎসব। জয়ন্তীয়া পাহাড়ের অন্তর্গত জোয়াই শহরে এই উৎসব প্রতি বছর পালিত হয়।

উৎসবের নাম:- সিন্ধু দর্শন

মাস:- জুন/জুলাই

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- লাদাখ (পূর্ব জম্মু কাশ্মীর রাজ্য)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- সিন্ধুনদের সামনে প্রতি বছর পূর্ণিমার দিনে এই উৎসব পালিত হয়। এই উৎসব সৌজন্যমূলক ও সৌভ্রাতৃত্বের পরিচায়ক।

উৎসবের নাম:- সোরহুল

মাস:- মার্চ/এপ্রিল

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- ঝাড়খন্ড

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- ঝাড়খণ্ডের ওঁরাও, মুণ্ডা এবং হো উপজাতিরা এই উৎসব পালন করে চৈত্র মাসের তৃতীয় দিন। উপজাতিরা এই উৎসবে শাল গাছ ও প্রকৃতির উপাসনা করে থাকেন।

উৎসবের নাম:- গঙ্গা দশেরা

মাস:- জুন

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- উত্তরাখণ্ড

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- উত্তরাখণ্ডের প্রধান প্রধান গঙ্গার ঘাটে জুন মাসের সময় প্রতিবছর এই উৎসব পালিত হয়। এই সময় প্রচুর পুণ্যার্থী গঙ্গাস্নানে যায়।

উৎসবের নাম:- বনবিবি উৎসব

মাস:- জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- এটি মূলত সুন্দরবন বাসীদের উৎসব। এই উৎসবে হিন্দু-মুসলিম উভয়ই অংশগ্রহণ করে থাকে। 'বনবিবি' কথার অর্থ হল 'জঙ্গলের রানী'।

উৎসবের নাম:- জয়দেব মেলা

মাস:- জানুয়ারি

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- বীরভূমের কেন্দুলি গ্রামে বিখ্যাত কবি জয়দেবের জন্মস্থানকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর এই মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই মেলার মূল আকর্ষণ বাউল সঙ্গীত।

উৎসবের নাম:- বসন্ত উৎসব

মাস:- মার্চ

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- প্রতি বছর দোল যাত্রার সময় বীরভূমের বোলপুর শহরের শান্তিনিকেতনে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই উৎসব উপলক্ষে প্রচুর দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। এইসময় বোলপুর শহরের রাস্তাঘাট রঙিন আবিরে ভরে ওঠে।

উৎসবের নাম:- গঙ্গাসাগর মেলা

মাস:- জানুয়ারি (বাংলা কালপঞ্জি অনুযায়ী পৌষ মাস)

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- প্রতিবছর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগরদ্বীপে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই উৎসব উপলক্ষে কপিলমুনির মন্দিরে প্রচুর দর্শনার্থীদের আগমন ঘটে।

উৎসবের নাম:- বেরা উৎসব

মাস:- সেপ্টেম্বর (বাংলা কালপঞ্জি অনুযায়ী ভাদ্র মাস)

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গ (মুর্শিদাবাদ জেলা)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- ভাগীরথীর তীরে লালবাগে প্রতিবছর এই উৎসব পালিত হয়।

উৎসবের নাম:- বিষ্ণুপুর উৎসব

মাস:- ডিসেম্বর

রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নাম:- পশ্চিমবঙ্গ (বাঁকুড়া জেলা)

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:- বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরে এই উৎসব প্রতি বছর আয়োজন করা হয়। এই উৎসব উপলক্ষে হস্তশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়ে থাকে।


Original Link - https://www.banglagkdiary.com/2022/06/famous-festival-of-india.html?m=1


https://www.linkedin.com/pulse/onam-festival-harvests-communal-harmony-shiju-roy-1c

Popular posts from this blog

ছেলেরা কেন দিনদিন 'বৌদিবাজ' হয়ে উঠছে?

সমাজটা খুবই খারাপ দিকে যাচ্ছে। ছেলেরা এখন বৌদিবাজ হয়ে উঠেছে! তারা একবার করে প্রেমে ছেঁকা খাওয়ার পর আর অন্য কোনও প্রেমিকা জোটায় না, বৌদিদের সাথে গল্প করে। কারণ - ১| ধোঁকা খায় না ২| হৃদয়ে আঘাত লাগে না ৩| Break up 💔 বলে কিছু থাকে না ৪| অনেকটা Stunt বাজীর মতো, মাথায় কোনো চাপ নেয়ার দরকার পরে না  আর একটা বিষয় হলো এখন বেশিরভাগ ছেলে পড়াশোনা দিকে ব্যস্ত। তাই তাদের হাতেও বেশি সময় থাকে না। আবার বৌদিদের হাতেও বেশি সময় সীমিত। তাই একটা Understanding বজায় থাকে। আরেকটা জিনিস হল নতুন প্রেমিকারা যেরকম নানারকম চাপ দেয়। বৌদীরা অনেকটা বোঝে ব্যাপারগুলো। যেমন- ফাঁকা পকেট, কম সময়, Relation Public না করা... এসব জিনিস। সেই কারণে তারা এতটা চাপ দেয় না। অল্পবয়সী মেয়ের একটু জেদি হয়। তাই তারা অকারণেই ঝগড়া করে যা এমনিতেই চাকরি আর ভবিষ্যতের চিন্তায় চিন্তিত ছেলেদের ভালো লাগে না। তাই তারা বৌদিদের দিকেই ঝোঁকে। বিয়ে তো অবশ্য ভালো কোনো মেয়ে দেখেই করবে, তার আগের সময়টা অন্য দিকে দেয় - বৌদিদের সাথে আড্ডা মারে। বৌদিদের সাথে কথা বলে আর কিছু হোক বা না হোক মানসিক শান্তি আছে। আমার বৌদিবাজ বন্ধুদের জন্য 💖

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? কেন আমরা ব

রাষ্ট্রভক্ত বীরাঙ্গনা হীরা দে

 🌹💥🕉️ দুর্নীতিবাজদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত তার উদাহরণ আমাদের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা থেকে জানা যায়। এই শাস্তিও কোন রাজা বা সরকার দিয়েছিল না দিয়ে ছিল শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্যরা। 💢 1311 খ্রিস্টাব্দে, আলাউদ্দিন খিলজিকে জলোর দুর্গের গোপন কথা বলার জন্য পুরস্কার হিসাবে পাওয়া অর্থ নিয়ে ভিকা দাহিয়া আনন্দের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন।এত টাকা এই প্রথম দেখল। হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিল যুদ্ধ শেষ হলে এই টাকা দিয়ে একটা বিলাসবহুল প্রাসাদ তৈরি করে আরামে বসবাস করবে।প্রাসাদের সামনে ঘোড়া বাঁধা থাকবে, চাকর থাকবে।  তার স্ত্রী হীরা স্বর্ণ ও রৌপ্য গয়না দ্বারা সারা শরীর ঢাকা থাকবে। আলাউদ্দিন কর্তৃক জালোর কেল্লায় নিযুক্ত সুবেদারের দরবারে তিনি বড় মর্যাদার বিবেচিত হবেন।বাড়িতে পৌঁছে বিড়বিড় করে হেসে টাকার বান্ডিলটা বাড়িয়ে দিলেন স্ত্রী হীরা দে'র হাতে।  🌹স্বামীর হাতে এত টাকা এবং স্বামীর মুখ ও অভিব্যক্তি দেখে হীরাদে আলাউদ্দিন খিলজির সৈন্যদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কারণ বুঝতে পেরে জালোরের যুদ্ধে হতাশ হয়ে হঠাৎ জালোরের দিকে ফিরে যায়। হীরা দে বুঝতে পেরেছিলেন যে তার স্বামী ভিকা দাহিয়া তার জন্মভূমি জ