Skip to main content

স্বজাগ্রত হিন্দু Vs স্বয়ংসেবকের মধ্যে পার্থক্য

একজন স্বজাগ্রত হিন্দু আর একজন স্বয়ংসেবকের মধ্যে প্রচুর পার্থক্য থাকে-

একটা ধর্মের ষাঁড়, অন্যটা কলুর বলদ।

একজনের শক্তি আর ইচ্ছা অসীম, অন্যজন হাল টানতে টানতে আর বৃত্তের চারিদিকে ঘুরতে ঘুরতে নিজের শক্তির কথা ভুলে যায়।

একজন নিজের ইচ্ছা অনুসারে কাজ করে, অন্যজনকে লাঠি মেরে মেরে কাজ করাতে হয়। 

সারাদিন দৌড়ে বেড়ালেও, পরিশ্রম করলেও কোনো অহংকার বোধ জন্মায় না। অন্যজন 
যেহেতু সারাক্ষণ গলায় দড়ি বাঁধা থাকে, তাই তার মনে হয়, সে সারাক্ষণ কাজ করছে। তাই তার কিছুটা অহংকার বোধ জন্মায়।

বিধ্বংসী শক্তির অধিকারী, যতটা শান্ত, ততটাই উগ্র। উল্টোদিকে, সারাক্ষণ ফোঁসফোঁস করে, কিন্ত লড়াইয়ের সময় আক্রমণ করতেই পারে না।

Type 1 - যোগী আদিত্যনাথ, হিমন্ত বিশ্বশর্মা 
Type 2- মনোহারলাল খট্টর, (former Pracharak, RSS)
শিবরাজ সিং চৌহান


🟢মুসলমান সম্পর্কে প্রত্যেকের বিচারধারা আলাদা আলাদা। বামপন্থীদের মতে, সংখ্যালঘু মুসলমানরা অত্যাচারিত, প্রতারিত, ক্ষুধার্ত। তাই তারা কখনো সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের করা বঞ্চনার প্রতিবাদে, কখনো ক্ষিদের জ্বালায় কাতর হয়ে ধনবান হিন্দুদের উপর আক্রমণ করে। সেটা করতেই পারে, এর মধ্যে কোনো দোষ নেই।

বঞ্চিত মানুষ যে বঞ্চনার প্রতিবাদ করবে, ক্ষুধার্ত মানুষ যে নিজের ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য আক্রমণ করবে এটাই স্বাভাবিক। এটাই জীবজগতের নিয়ম। 

🟠সঙ্ঘের বিচারধারা কিন্ত একটু আলাদা। তাদের মতে আমরা সবাই ভারতবাসী, আমরা একই মায়ের সন্তান, আমরা ভাই-ভাই। আমাদের DNA একই। আমাদের মধ্যে মতভেদ হয়ে যায়, কখনো কখনো হাতাহাতি হয়ে যায় তাই বলে আমরা হিন্দু আর মুসলমানদের আলাদা করতে পারি না। 'হিন্দু' আর 'মুসলমান' তো একই, এই শব্দ দুটো ব্যবহার করাই উচিত নয়। তারা পরস্পর এক সূত্রে গাঁথা, বরং যখন তারা যখন নিজেদেরকে পৃথক মনে করে তখনই তো ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

মুসলমানকে মুসলমান ভাবা বা তাদেরকে ঘৃণা করা উচিত নয়, বরং তাদেরকে ভালোবাসা উচিত। দুই ভাইয়ের একজন ঘর ছেড়ে চলে গেছে, তাদেরকে ভালোবেসে ঘরে ফিরিয়ে নেওয়াই আমাদের উচিত কাজ। যারা দাঙ্গা করে, তারাও তো 'বিগড়ে যাওয়া হিন্দু'ই। তাই তাদেরকে আক্রমণ করার অর্থ নিজেকেই আক্রমণ করা।

এইসব ভণিতা তো ঠিক আছে, বুঝলাম। কিন্ত যখন কোনো হিন্দু গো-হত্যা বন্ধ করার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে দুজনকে হত্যা করে তখনই তাঁর রূপ বদলে যায়। তিনি বলেন, "যারা lynching করছে তারা হিন্দুত্ব বিরোধী, তারা আততায়ী, আইনের মাধ্যমে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া দরকার"
(Link - https://youtu.be/AgTXNGY8fSQ )

কেনো এই lynching করা হিন্দুদের জন্য সহানুভূতি দেখালেন না সরসঙ্ঘচালক? কেনো বললেন না তারা 'বিগড়ে যাওয়া হিন্দু'? কেনো তাদের শাস্তির দাবি করলেন তিনি?

♠️হিন্দু মুসলমান ঝামেলা তাঁর কাছে "সামান্য মতভেদ"
♠️ মুসলমানের করা বড় বড় দাঙ্গা তাঁর কাছে, দুই ভাইয়ের "হাতাহাতি"
♠️বড় বড় দাঙ্গাকারী তাঁর কাছে, 'বিগড়ে যাওয়া হিন্দু'
♠️ গণহত্যায় অস্ত্র ধরার অর্থ 'নিজের ভাইকে হত্যা করা!'

এই প্রসঙ্গে আমার মনে একটা প্রশ্ন জাগছে,

 ধরুন একজন মুসলমানের হাতে একজন স্বয়ংসেবক মারা গেলো, তাহলে সরসঙ্ঘচালক তখন কি বলতেন?

"একটু সামান্য মতভেদের কারণে ছোটো ভাই বড় ভাইয়ের গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়েছে। এটা অতি সামান্য পারিবারিক ঘটনা। ছোটো ভাইয়ের বায়না মেনে না নিলে ছোটো ভাই রাগ করে গলায় ছুরি চালিয়ে দিতেই পারে। এ অতি সামান্য ঘটনা, এসব নিয়ে এতো উত্তেজিত হওয়ার দরকার নেই!"

-- পরম পূজ্যনীয় সরসঙ্ঘচালকের বক্তব্যটা কিছুটা এইরকমই হতো। যেহেতু আজ পর্যন্ত কখনোই কোনো বড় ভাইয়ের (স্বয়ংসেবকের) মৃত্যু প্রসঙ্গ তিনি ছোটো ভাইকে দোষারোপ করেননি, তাই আমরা শুনতে পাইনি। এইসব অতি ছোট্ট ঘটনা, তাই পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা উচিত, তাই নয় কি!? বলুন?



#FreeTemples নিয়ে গোটা দেশ উথাল-পাথাল হলেও একটি আন্দোলনও দিল্লীর রাজপথ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলো না! কেনো!?

দিল্লীর রাজপথে পৌঁছানোর দ্বার কি কেউ বন্ধ করে রেখেছে ? কেনো একটিও প্রতিবাদ দিল্লী পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না? উত্তর জানা আছে আপনাদের?

যখনই কোনো দাবি দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় তোলপার হয়, তখনি ছোটো ছোটো সংগঠনগুলো active হয়ে যায়। এই সংগঠনগুলো মহকুমা বা ছোটো শহর স্তরে আন্দোলন করে। তারপর সেই আন্দোলন আর অগ্রসর হয় না! 

এই আন্দোলন ছোটো শহর থেকে বড় শহরের দিকে অগ্রসর হয় না, তার কারণ বড় বড় সংগঠন এবং নেতারা সেই আন্দোলনকে হাইজ্যাক করে Political রূপ দিয়ে দেয়। সমস্ত দোষ গিয়ে পড়ে কংগ্রেসের উপর। এবং ভরসা দেওয়া হয় একমাত্র বিজেপির সরকার থাকলে তবেই এই কাজ করা সম্ভব, অন্য কেউ এই কাজ করবে না। এটা তো গেলো Political angle.... কিন্ত আসল কারণ কি!?

হিন্দুত্বের সবচেয়ে বড় সংগঠন RSS, VHP -এরা কখনোই চাই না সরকারের উপর চাপ পড়ুক, তাই মহকুমা স্তরে আন্দোলন করে ভোট ব্যাংকে প্রভাব ফেলা হয়, কখনোই এই বিষয় নিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে দেওয়া হয় না। RSS কখনোই কোনো বিজেপি সরকার বিরোধী বড় আন্দোলন করতে দেবে না। তাহলে বিকল্প পথ কি?

বেশ কিছু ছোটো ছোটো সংগঠন আছে যারা এই কাজগুলো করতে পারে, কিন্ত তাতেও একটু সমস্যা আছে। হতে পারে এই সংগঠনগুলো স্বতন্ত্র, কিন্ত এতেও বেশ কিছু বিজেপি বিধায়ক কে সাম্মানিক সদস্যতা দেওয়া হয়েছে। তারা এইসব সংগঠনের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেন। তাহলে বিকল্প কি?

বিকল্প, আমাদেরকে রাজনীতির উপরে উঠে ধর্ম কে সর্বোচ্চ স্থান দিতে হবে। সংগঠন কে মনে রাখতে হবে তারা কোনো রাজনৈতিক দলের দলদাস নয়, তারা হিন্দু সংগঠন, সমস্ত হিন্দুদের ভরসা, তাই মেরুদন্ড সোজা রাখতে হবে, কোনও রাজনৈতিক দলের চ্যালাগিরি করা তাদের মানায় না। 

রাজনীতির উপরে উঠে হিন্দুত্বকে সর্বোচ্চ স্থান দিলে একদিন হিন্দুরাও দিল্লীর রাজপথ অবরোধ করতে পারবে, একদিন দিল্লীর রাজপথেও হিন্দু-সিংহেরা গর্জে উঠবে!

জয় শ্রীরাম ||🙏🏻

আমাদের জীবনে কিছু কিছু কাজের জন্য অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়। যখন ওই ব্যক্তিটি খুবই প্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য হয় তখন আমরা তাকে বিশ্বাস করতে আরম্ভ করি। এই বিশ্বাস থেকে আমাদের মনে ভবিষ্যতের পূর্বানুমান জন্মায়। আমরা আশা করি আমাদের প্রিয় মানুষটি এই কাজটি করতে চলেছেন হয়তো। যেহেতু তিনি বলেননি, আমরা সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হলেও আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস থাকে এই কাজটি হতে চলেছে।

এবার ধরুন আপনার প্রিয় মানুষটি কিছুতেই সেই কাজটি করছে না। তখন আপনার মনে হয় এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনো বড় কারণ আছে। তিনি আরও বড় কিছু ভাবছেন, সেইজন্যই এক কাজটি করছে না। কিন্ত যখন দেখেন, না, বড় কিছু তো ভাবছে না। তাহলে করছে না কেনো? যাহোক নিশ্চয়ই কেউ কাজটি করতে বাধা দিচ্ছে, নাহলে করবে না কেনো? এরপর যখন মনে হয় না কেউ তো বাধা দিচ্ছেনা, তখন মনে হয় নিশ্চয়ই অন্য কোনো কাজ আগে করা দরকার, তিনি এখন সেই কাজেই মনোনিবেশ করেছেন, সেইজন্য করছেন না।

এইসব কথা ভাবতে ভাবতে অনেকদিন পার হয়ে যায়, তখন আপনার মনে হয়, দীর্ঘদিন হয়ে গেলো, নিশ্চয়ই তিনি ভুলে গেছেন, নাহলে করতেন নিশ্চয়ই। তাই আপনি ভাবেন, এবার আমার একবার মনে করিয়ে দেওয়া দরকার। নাহলে কাজটি আর হবে না।" তখন আপনি আপনার প্রিয় পাত্রটিকে বলেন, মহাত্মা, এই কাজটি দীর্ঘদিন পড়ে আছে, আপনি যদি একটু দেখেন, উপকৃত হবো। তখন মহাত্মা বলেন, "ঠিক আছে মহাশয়া, এটা তো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি বিষয়টিকে আত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখবো।" আপনিও আশ্বাসন পেয়ে আনন্দিত হন এবং ভাবেন এবার কাজটি নিশ্চয়ই খুব তারাতারি হয়ে যাবে। 

তারপর আবার অনেকদিন পার হয়ে যায়। আপনি মনে করেন, নিশ্চয়ই তিনি উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় আছেন, সেইজন্যই হচ্ছে না। উপযুক্ত সময় এলে কাজটি নিশ্চয়ই হয়ে যাবে। এইরকম ভাবতে ভাবতে বেশ কয়েকটি উপযুক্ত সময় পার হয়ে যায়, তখন আপনি আবারো আপনার প্রিয় পাত্রটিকে মনে করিয়ে দেন। তিনি আবারও আশ্বাসন দেন... বিষয়টি এইরকম ভাবেই চলতে থাকে। 

শেষমেশ আপনি রাগ করে গালিগালাজ করেন, তখনও তিনি বলেন, "উপযুক্ত সময় এলে নিশ্চয়ই হবে...." আপনি রেগে জিজ্ঞেস করেন, আপনার উপযুক্ত সময় কখন হবে, আমার মৃত্যুর পর? তিনি মুচকি হাসেন এবং বলেন, "তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো না। আমার প্রতি কি তোমার বিশ্বাস নেই? আমি না করলে এই কাজটি কে করবে? অন্য কেউ করতে পারবে?" আপনি বলেন বিশ্বাস করি আপনাকে। তখন মহাত্মা বলেন, "অপেক্ষা করুন, সময় এলে নিশ্চয়ই হবে...."

এই থিয়োরীতেই চলে আমাদের জীবন। যখন উত্তরদাতা অনুপস্থিত থাকে তখন আমাদের মন নিজে থেকেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে। এইরকম দুটি আত্মিক থিয়োরী হলো - "গভীর_ষড়যন্ত্র_তত্ত্ব" এবং "Masterstroke_Theory"...

 যেমন ধরুন, NRC না করার কারণ কি, সে উত্তর টা আমরা নিজেই তৈরী করে নিয়েছি। CAA লাগু করতে দেরী করার কারণও আমরা মনে মনে ভেবে নিয়েছি। আরও অনেক কিছুই আছে.... এইসব প্রশ্নের উত্তর আমাদেরকে মোদী দেয়নি... উত্তর দাতা অনুপস্থিত, তবুও উত্তরদাতা অনুপস্থিতেই আমাদের মন নিজে থেকেই উত্তর খুঁজে নিয়েছে.... তাই নয় কি?



🎯 আমার ভবিষ্যত প্রজন্ম যদি আমাকে প্রশ্ন করে যে - যখন দেশ বরবাদ হচ্ছিলো,তখন আমি কোথায় মুখ লুকিয়ে বসেছিলাম!

তখন আমার সম্ভাব্য উত্তর হবে, আমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিলাম, কিন্ত আমাদের সেনাপতি অস্ত্র চালানোর অনুমতি দেয়নি। তিনি শুধুমাত্র সৈন্য সংগ্রহ করে গেছেন, তাদেরকে যথাযথ ট্রেনিংও দেননি, শেখাননি যুদ্ধ কৌশলও। তবুও তিনি বলেছেন আমরাই যুদ্ধে জিতবো, বিপক্ষের সৈন্যদল আমাদের বিরাট সৈন্যবাহিনী দেখে ভয়ে পালিয়ে যাবে। তাই যুদ্ধ কৌশল শেখার বা অস্ত্র চালানোর কোনো প্রয়োজন নেই। তাই আমরা যুদ্ধে হেরে গেছি।


এক পাগলা দোচা Vs এক ঢ্যামনা দোচা

আশ্বিনী উপাধ্যায় বারবার মোদী, অমিত শাহ, B L সন্তোষ এর সাথে দেখা করে বিলগুলো পাশ করানোর এবং কোর্টে হাজিরা দেওয়ার অনুরোধ করেন। তখন তারা বলে, ঠিক আছে। কিন্ত কাজের বেলা কিচ্ছু করে না।

কোর্টে যাদের হাজির হওয়ার কথা তারা হলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের প্রতিনিধি এবং Atorney General of India (K. K. Menon) যারা কোর্টের সামনে সরকারের পক্ষ রাখে।

আশ্বিনী উপাধ্যায় কে PIL Man of India বলা হয়। তাঁর বক্তব্যের যুক্তিগ্রাহ্যতা কে স্বীকার করে কোর্ট তার জন্য একটি সম্পূর্ণ আলাদা বেঞ্চ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেখানে শুধুমাত্র তার PIL গুলো শোনা হবে। কিন্ত তা হলে কি হয়! এই ঢ্যামনা দোচাগুলোও কিছু কম যায় না! এরা কোনোমতেই কোর্টে হাজির হয় না। যদি সংশ্লিষ্ট দফতর/ মন্ত্রকের প্রতিনিধি আসে তো সরকার পক্ষের উকিল আসে না। আর যদি উকিল আসে, তাহলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের প্রতিনিধি আসে না। এইভাবেই আজকে 7/8 ধরে কেসগুলো Delay করছে সরকার ইচ্ছাকৃত। 

তবুও এই পাগলা দোচাও কিছু কম যায় না। তাঁর বক্তব্য সরকারকে একদিন কোর্টের সামনে মাথা নত করতেই হবে। একদিন তিনিই জিতবেন আর সরকার হ্রবে। আর সের হারের ভয়েই সরকার পক্ষের উকিল কোর্টে হাজিরা দেন না।

এই পাগলা দোচা আবার একটা PIL করেছে #ওয়াকফ বোর্ডের বৈধতা নিয়ে। কিন্ত সরকারের গাঁডে এতটুকু দম নেই যে এই কেসের বিরোধীতা করে বা এই কেস কে সমর্থন করে! ছ্যা! ল্যাওরামি চলছে সব! এরাই আবার হিন্দুবাদী_দল বলে বুক চাপরায়!




কয়েকদিন আগেই হিন্দুরা সুপ্রীম কোর্টে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে হিন্দুরাও সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি পাবে। এই নিয়ে বেশ কয়েকজন লাফালাফি করছিলো। কিন্ত জানেন কি, হিন্দুরা সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি পেলো কিভাবে?

ভারতবর্ষে হিন্দুরা এই স্বীকৃতি পেয়েছে PIL এর মাধ্যমে। আশ্বিনী উপাধ্যায় দীর্ঘদিন আগে একটি PIL করেছিলেন। সরকার পক্ষ দীর্ঘদিন কেসটিকে অবহেলা করে। এর জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে ভৎ্সনাও শুনতে হয়েছে। দীর্ঘদিন অবহেলার পরে সরকার সংখ্যালঘুর সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। কিন্ত হিন্দুদেরকে সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি দেয়নি। 

আশ্বিনী উপাধ্যায় আবারো নতুন কে PIL ফাইল করেন এবং বলেন "দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে, অথচ তারা সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি পাচ্ছেন না। তাই অবিলম্বে সংখ্যালঘুর শতাংশ নির্ধারণ করা হোক। এবং হিন্দুদেরকে জেলাস্তরে সংখ্যালঘু স্বীকৃতি দেওয়া হোক।"

ফলাফল - সরকার অনেক টালবাহানার পরে হিন্দুদেরকে সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি দিয়েছে ঠিকই। কিন্ত, সংখ্যালঘুর শতাংশ নির্ধারণ করেনি। এর ফলে সরকারের ইচ্ছা হলে যে কাওকে সংখ্যালঘুর স্বীকৃত দেওয়া যাবে, আবার সরকারের ইচ্ছা না হলে কেউ সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি না পেতেও পারে!

এতে আর যাই হোক মুসলমানদের সংখ্যালঘু Tag সরবে না। কিন্ত সরকার যদি সংখ্যালঘুর শতাংশ নির্ধারণ করতো, তাহলে মুসলমানরা অধিকাংশ জেলায় সংখ্যালঘুর tag হারাতো। কিন্ত, এতে তো সরকারের লোকসান হবে! সরকারের ভোট কমে যাবে, সেই ভয়ে এখনও সরকার সংখ্যালঘুর শতাংশ নির্ধারণ করতে নারাজ। কিন্ত আশ্বিনী উপাধ্যায়ও সেইরকম পাগলাদোচা। হয়তো আবারো কোনোদিন আর একটা PIL করে বসবেন!



🔴 আসাদউদ্দিন ওয়েসি ভারতবর্ষের পরবর্তী জিন্না হতে চলেছে। সে মুসলমানদের জন্য জমি দখল করতে মরিয়া। কিন্ত সুযোগটা কে দিচ্ছে? সরকার চাইলে কি তাকে দুমরে মুচরে আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলতে পারতো না!? কিন্ত সেটা করার ইচ্ছাই তো নেই সরকারের!

🔴 আকবরউদ্দিন ওয়েসির বক্তব্য টা সকলেই জানি। কোন প্রসঙ্গে কেনো বলেছিলো সেটাও সকলের জানা। সরকার চাইলে বিনা জামিনে 6 মাস ধরে জেলে পঁচাতে পারতো। NSA লাগাতে পারতো। তার বদলে সরকার কি করলো? কিচ্ছু না!
কোর্ট বললো- আকবরউদ্দিন ওয়েসির বক্তব্য "Hate Speech নয়"

🔴প্রশান্ত কিশোর যদি সত্যিই সরকারের শত্রু হতো, সব যায়গায় বিজেপির হারের কারণ হতো তাহলে এতোদিনে - ipac নামক সংস্থার কোনো অস্তিত্বই থাকতো না। কারণ- 
১| অবৈধ আর্থিক লেনদেন
২| ভোট গণণা কেন্দ্রে জালিয়াতি করে নিজস্ব কোম্পানির প্রতিনিধি পাঠানো এবং পরিসংখ্যান বদলানো।
৩| ভোট গণনা কেন্দ্রে টাকা লেনদেনের মাধ্যমে ভোট কেনা

-এইসব অভিযোগে আজীবন কারাবাস ভোগ করতে হতো।




Popular posts from this blog

ছেলেরা কেন দিনদিন 'বৌদিবাজ' হয়ে উঠছে?

সমাজটা খুবই খারাপ দিকে যাচ্ছে। ছেলেরা এখন বৌদিবাজ হয়ে উঠেছে! তারা একবার করে প্রেমে ছেঁকা খাওয়ার পর আর অন্য কোনও প্রেমিকা জোটায় না, বৌদিদের সাথে গল্প করে। কারণ - ১| ধোঁকা খায় না ২| হৃদয়ে আঘাত লাগে না ৩| Break up 💔 বলে কিছু থাকে না ৪| অনেকটা Stunt বাজীর মতো, মাথায় কোনো চাপ নেয়ার দরকার পরে না  আর একটা বিষয় হলো এখন বেশিরভাগ ছেলে পড়াশোনা দিকে ব্যস্ত। তাই তাদের হাতেও বেশি সময় থাকে না। আবার বৌদিদের হাতেও বেশি সময় সীমিত। তাই একটা Understanding বজায় থাকে। আরেকটা জিনিস হল নতুন প্রেমিকারা যেরকম নানারকম চাপ দেয়। বৌদীরা অনেকটা বোঝে ব্যাপারগুলো। যেমন- ফাঁকা পকেট, কম সময়, Relation Public না করা... এসব জিনিস। সেই কারণে তারা এতটা চাপ দেয় না। অল্পবয়সী মেয়ের একটু জেদি হয়। তাই তারা অকারণেই ঝগড়া করে যা এমনিতেই চাকরি আর ভবিষ্যতের চিন্তায় চিন্তিত ছেলেদের ভালো লাগে না। তাই তারা বৌদিদের দিকেই ঝোঁকে। বিয়ে তো অবশ্য ভালো কোনো মেয়ে দেখেই করবে, তার আগের সময়টা অন্য দিকে দেয় - বৌদিদের সাথে আড্ডা মারে। বৌদিদের সাথে কথা বলে আর কিছু হোক বা না হোক মানসিক শান্তি আছে। আমার বৌদিবাজ বন্ধুদের জন্য 💖

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? কেন আমরা ব

রাষ্ট্রভক্ত বীরাঙ্গনা হীরা দে

 🌹💥🕉️ দুর্নীতিবাজদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত তার উদাহরণ আমাদের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা থেকে জানা যায়। এই শাস্তিও কোন রাজা বা সরকার দিয়েছিল না দিয়ে ছিল শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্যরা। 💢 1311 খ্রিস্টাব্দে, আলাউদ্দিন খিলজিকে জলোর দুর্গের গোপন কথা বলার জন্য পুরস্কার হিসাবে পাওয়া অর্থ নিয়ে ভিকা দাহিয়া আনন্দের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন।এত টাকা এই প্রথম দেখল। হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিল যুদ্ধ শেষ হলে এই টাকা দিয়ে একটা বিলাসবহুল প্রাসাদ তৈরি করে আরামে বসবাস করবে।প্রাসাদের সামনে ঘোড়া বাঁধা থাকবে, চাকর থাকবে।  তার স্ত্রী হীরা স্বর্ণ ও রৌপ্য গয়না দ্বারা সারা শরীর ঢাকা থাকবে। আলাউদ্দিন কর্তৃক জালোর কেল্লায় নিযুক্ত সুবেদারের দরবারে তিনি বড় মর্যাদার বিবেচিত হবেন।বাড়িতে পৌঁছে বিড়বিড় করে হেসে টাকার বান্ডিলটা বাড়িয়ে দিলেন স্ত্রী হীরা দে'র হাতে।  🌹স্বামীর হাতে এত টাকা এবং স্বামীর মুখ ও অভিব্যক্তি দেখে হীরাদে আলাউদ্দিন খিলজির সৈন্যদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কারণ বুঝতে পেরে জালোরের যুদ্ধে হতাশ হয়ে হঠাৎ জালোরের দিকে ফিরে যায়। হীরা দে বুঝতে পেরেছিলেন যে তার স্বামী ভিকা দাহিয়া তার জন্মভূমি জ