Skip to main content

সংখ্যালঘু শিক্ষা

'সংখ্যালঘু' ব্যাপারটি চাপিয়েছে মূলত United Nation। যেসব দেশে কোনো একটি নির্দিষ্ট ধর্মের শাসন চলে, সেইসব দেশে অন্য ধর্মের মানুষদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ে। তাই তাদের জন্যই এই যেমন- Islamic Country - পাকিস্তান, Christian Country- ইতালি। কিন্ত secular দেশে সংখ্যালঘু ব্যাপারটি চলে না।

ভারতীয় সংবিধান অনুসারে সংখ্যালঘুরা নিজেদের শিক্ষার জন্য নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করতে পারে। এই আইন অনুসারেই মাদ্রাসা, convent school গড়ে ওঠে।

মাদ্রাসা সাধারণত যেখানে যেখানে মুসলমান থাকে, শুধুমাত্র মুসলমান এলাকাতেই দেখা যায়। কিন্ত, convent School দেশের সর্বত্র দেখা যায়। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী না থাকলেও convent school দেখা যায়। আসলে, এই সংখ্যালঘু শিক্ষা আইনের সুবিধা নিয়ে খ্রিস্টান মিশনারী গুলো শিক্ষা-ব্যবসা শুরু করেছে।

মিশনারীদের Target হলো প্রত্যেক জেলায় তাদের স্কুল-কলেজ, মেডিক্যাল কলেজে, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ খোলা।

এই স্কুলগুলোর কিছু সাধারণ বৈশ্যিষ্ট্য হল-
এই স্কুলের শিক্ষার মাধ্যম হয়- ইংরাজী ভাষা। 
শিক্ষকের চাকরি পান কোনো ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান। 
বই- খ্রিস্টান প্রেস থেকে ছাপা।
বই- কিনতে হয় স্কুল থেকেই 
গাড়ি- স্কুলের গাড়ির ড্রাইভার আদিবাসী।

-- আসলে এটি দিয়ে খ্রিস্টান মিশনারী রা দুটো কাজ করে থাকে — (১) অর্থ উপার্জন এবং সেই অর্থ দিয়েই হিন্দুদেরকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরণ (২) ধর্মান্তরিত হিন্দুদেরকে দেওয়া (আর্থিক স্বচছলতার) চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ।

খ্রিষ্টান Convent School গুলো যে ব্যবসা চালাচ্ছে, সেটা বন্ধ করার উপায় হলো প্রত্যেক convent স্কুলের মোট ছাত্রদের মধ্যে 70% Christian ছাত্র থাকতে হবে। সরকারের এই একটি নির্দেশিকা হাজারো convent school বন্ধ করতে পারে। বন্ধ করতে শিক্ষার নামে চলা শিক্ষা_ব্যবসা কে। বন্ধ করতে পারে, হাজারো হিন্দুর ধর্মান্তরণ।

ভারতবর্ষের 'সংখ্যালঘু' রাজনীতিকে এক নতুন পথে চালানো সম্ভব। যদি সরকার সে পথে চালাতে ইচ্ছুক হয়। সংখ্যালঘুকে ধর্মগত সংখ্যালঘু এবং ভাষাগত সংখ্যালঘুতে ভাগ করা হয়েছে সংবিধানে। কিন্ত ভোটের রাজনীতি সংখ্যালঘুকে শুধুমাত্র ধর্মগত সংখ্যালঘুতে পরিণত করেছে।

সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করে তার 90% ধর্মগত সংখ্যালঘুদের কাছে পৌঁছায়। কিন্ত লিপি, কৃষ্টি, সংস্কৃতিগত সংখ্যালঘুদের কাছে তা পৌঁছয় না বললেই চলে। তাই আদিবাসীদের লিপি, কৃষ্টি, সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। তাঁরা অর্থের অভাবে ধর্মান্তরিত হচ্ছেন।

ভারতবর্ষের নতুন রাষ্ট্রপতি তথা ভারত সরকার এই বিষয়টি আলোচনা করে অধিকাংশ খরচ আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষা, লিপি এবং কৃষ্টি রক্ষার্থে খরচ করতে পারে। সংবিধানের 29 (a) ধারা এই বিষয়ে সরকারকে নির্দেশ দেয়।

Popular posts from this blog

দাড়িভিটের স্ফুলিঙ্গ থেকে ভাষা আন্দোলনের প্রদীপ জ্বালাতে আমরা ব্যর্থ

এসো হে সেপ্টেম্বর, আমার ভাষার মাস। ভাষাতীর্থ দাড়িভিট, রাজেশ তাপসের বাস।। ২০১৮-র ২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার দাড়িভিট হাইস্কুলের গুলি চালনার ঘটনা এখন সবাই জানেন। আলোচনার সুবিধার জন্য অল্পকথায় প্রেক্ষাপটটা আরেকবার দেখে নেওয়া যাক। দাড়িভিট হাইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ছিল বাংলা ও বিজ্ঞান শিক্ষকের। এই স্কুলে উর্দুভাষী ছাত্র-ছাত্রী নেই। স্থানীয়রা মুসলমান। তৃণমূল নেতার তৎপরতায় সরকারের বিদ্যালয় দপ্তর পাঠালো বাংলা ও বিজ্ঞান শিক্ষকের জায়গায় উর্দু শিক্ষক এবং সংস্কৃত শিক্ষক। অবাঞ্ছিত উর্দু শিক্ষকের নিয়োগকে একটু সহনশীল করার জন্য সম্ভবত সংস্কৃত শিক্ষককের নামটাও যুক্ত করা হয়েছিল। ছাত্ররা মানেনি, প্রতিবাদ করেছিল। প্রতিবাদ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। অতএব পুলিশ সামান্য উত্তেজনাতেই গুলি চালায়, ফলে দুই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণের মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ সপ্তাহখানেক উত্তাল হয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি মিছিল মিটিং করে। বিজেপি ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ বন ডাকে যা আংশিক সফল হয়। এই বনধকে সফল করতে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার দাড়িভিট গেল...

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? ক...