সংসারে কিছু থাকুক বা না থাকুক, নারীরা সংসারকে নিজের সম্পদ হিসেবে আঁকরে ধরে রাখে। এ নারীর এক অসীম গুণ। নারীর এই সেবা পরায়নতাতেই তো সংসার স্বর্গে পরিনত হয় ।
কিন্তু, নারীর এই মহান গুণটিও কখনো কখনো বিপদ ডেকে আনে। যেমন, পুত্রের বিবাহের পরেও সেই পুত্রের মাতা সংসারের চাবিটি নবাগত পুত্রবধূর হাতে তুলে দিতে রাজি হননা। তখনি হয় বিপদ। দুজনেই নিজের সম্পদকে নিজ করগত করার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। তারফলে দ্বন্দ্ব ততদিন চলতে থাকে যতদিন না একজন সম্পূর্ণ শেষ হচ্ছে।
যদি চতুরাশ্রম চলতো, তাহলে নিয়ম অনুসারে, পুত্রের বিবাহের পর পিতা-মাতার শুরু হয় বানপ্রস্থ আশ্রম। এই সময়ের কাজ হলো সংসার চিন্তা ছেড়ে, সাংসারিক দায়িত্ব পুত্র ও পুত্রবধূর হাতে দিয়ে ইশ্বর চিন্তায় নিজেকে সমর্পিত করা।
আধুনিক যুগে যদিও বা এই আশ্রম প্রথা মানা সম্ভব নয়, তাও যদি পিতা-মাতারা সংসার চিন্তা ছেড়ে, সংসারের বাইরে থেকে সংসারের উন্নয়নে নজর দেন তাহলে এই যুদ্ধটা এমনিতেই শেষ হয়ে যায়...!
আমার বক্তব্য কাউকে আঘাত করলে আমি দুঃখিত। পিতা মাতার প্রতি আমি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু, শাশুড়ি ও বৌমার ঝামেলা থামানোর এটাই একমাত্র স্বাভাবিক উপায় |