★ ডানপন্থীঃ- রাজনীতিতে ডানপন্থা বা ডানপন্থী বিশেষণগুলো ব্যবহৃত হয় এমন মতাদর্শের ক্ষেত্রে, যা মানুষের অর্থনৈতিক বা ঐতিহ্যগত বা সামাজিক শ্রেণীগত বিভেদ বা ধাপবিন্যাসকে সমর্থন করে। ভিন্ন ভিন্ন ডানপন্থী রাজনৈতিক দল বিভিন্ন মাত্রায় বামপন্থী রাজনীতি সমর্থিত সাম্যবাদের বিরোধিতা করে থাকে, এবং সার্বিক সাম্য চাপিয়ে দেওয়াকে সমাজের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করে থাকে।
ডানপন্থা এবং বামপন্থা শব্দগুলো রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রথম প্রচলিত হয় ফরাসি বিপ্লবের সময়। ফরাসি সংসদে ভিন্ন মতধারার মানুষেরা যেসব দিকে আসন গ্রহণ করতেন, সেই দিকের নামানুসারে মতগুলোকে নির্দেশ করতে এই শব্দগুলো ব্যবহার শুরু হয়। রাষ্ট্রপতির ডানপাশে উপবিষ্ট মানুষেরা সাধারণভাবে পূর্বতন অভিজাত শাসনব্যবস্থা, রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম তথা চার্চ প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির সমর্থক ছিলেন। ১৮১৫ সালে রাজতন্ত্রের পুনপ্রতিষ্ঠার পরে ডানপন্থা বলে উগ্র-রাজতন্ত্রীদের নির্দেশ করা হত। যদিও ফ্রান্সে ঐতিহ্যগত রক্ষণশীলদের নির্দেশ করতে 'ডানপন্থা' ব্যবহৃত হত, পরবর্তীতে ইংরেজিভাষী দেশগুলোতে এই বিশেষণের অর্থ আরও বিস্তৃত হয়ে উদারপন্থী রক্ষণশীল, ঐতিহ্যগত উদারপন্হী এবং উদারবাদী রক্ষণশীলদের, এবং পাশাপাশি খ্রীস্টিয় গণতান্ত্রিক এবং কিছু জাতীয়তাবাদিদের নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
বামপন্থীঃ- ১৭৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের সময় বাম ইংরেজি left শব্দটির উৎপত্তি হয়। তখন পার্লামেন্টের ডানদিকে বসতেন শাসকদল এবং সভাপতির বাঁম পাশের আসনগুলোয় বসতেন বিরোধীদল। বাঁম দিকে বসার জন্য তাদের বলা হতো বামপন্থী বা লেফটিস্ট। সমাজতন্ত্রী ও প্রগতিশীলদেরই এখন সাধারণভাবে বামপন্থী বলা হয়। পরবর্তীকালে ফ্রান্সের অনুকরণে অন্যান্য দেশের আইনসভায়ও বিরোধী দলের সদস্যদের বামদিকে বসার রীতি চালু হয়। সমাজতন্ত্রী ও প্রগতিশীলদেরই এখন সাধারণভাবে বামপন্থী বলা হয়। পরবর্তীকালে ফ্রান্সের অনুকরণে অন্যান্য দেশের আইনসভায়ও বিরোধী দলের সদস্যদের বামপাশে বসতে দেখা যায় ।
বামপন্থী রাজনীতির কর্মসূচি :-
বিশ শতক পরবর্তীকালে বামপন্থী হতে হলে যে বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার তা হচ্ছে বামপন্থিদের সাম্রাজ্যবাদী ও সম্প্রসারণবাদ বিরোধী হতে হবে। এছাড়াও বামপন্থি হতে হলে তাদের অবশ্যই সামন্তবাদবিরোধী তথা সামন্ততন্ত্রের অবশেষ উচ্ছেদের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে; সবরকম সম্ভাব্য আকার ও রূপে বিরাজমান ভূমিদাস প্রথার জেরগুলো, যেমন বর্গাপ্রথার উচ্ছেদ করে ভূমিসংস্কার করতে হবে । তৃতীয়ত রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়াশীল আইন বা বিধিবিধানকে তারা সমর্থন করবে না। চতুর্থত, তারা উগ্র- জাতীয়তাবাদের বিরোধী অবস্থানে সুদৃঢ় থাকবে।
অর্থনীতি :-
বামপন্থী অর্থনীতি মূলত কেইন্সীয় অর্থনীতিতে বিশ্বাস করে এবং কারখানা গণতন্ত্র ও সামাজিক বাজারের মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্রে অর্থনীতির জাতীয়করণে এবং কেন্দ্রীয় পরিকল্পনায় একটি নৈরাজ্যবাদী/ সিণ্ডিক্যালবাদের পক্ষে স্বব্যবস্থাপনার নৈরাজ্যবাদী সাম্যবাদের পক্ষে দাঁড়ায়। শিল্প বিপ্লবের সময় বামপন্থীরা ট্রেড ইউনিয়নকে সমর্থন করত। বিশ শতকের শুরুতে, অনেক বামপন্থী অর্থনীতিতে সরকারের শক্তিশালী হস্তক্ষেপের পক্ষে দাঁড়ান।
★ মধ্যপন্হীঃ- ধর্ম ও রাজনীতিতে মধ্যমপন্থী বা মধ্যপন্থী বলতে এমন ব্যক্তিদের বোঝানো হয় যারা চরমপন্থি, দলীয় পক্ষপাতী কিংবা আমূলপন্থী নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, রাজনৈতিকভাবে মধ্যপন্থী পরিভাষাটি একটি বহুল আলোচিত শব্দ হিসেবে স্থান করে নিয়েছে।সত্যিকারের মধ্যমপন্থি কোন রাজনৈতিক মতবাদ না থাকার কারণে বাস্তবে আদর্শ মধ্যপন্থিদের অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দার্শনিক এরিস্টটল অঢেল সম্পদশালী ও হতদরিদ্র অথবা গোত্রীয় ও অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী অপেক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত মিত্রভাবাপন্ন রাজনীতির পক্ষপাতী ছিলেন।
★ কট্টরপন্থীঃ-
অনেক বিষয়ে দ্বিমত থাকলেও তর্ক কিংবা আলাপচারিতার একপর্যায়ে মানুষ অন্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্বাসের মতো কিছু বিষয়ে বিরোধী যুক্তি থাকার পরও বেশির ভাগ মানুষ তা মানতে রাজি নয়। এর কারণ কী—মূলত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই গবেষণাটি করা হয়েছে।
তাতে দেখা গেছে, এমন 'কট্টর' অবস্থানের পেছনে মানুষের মস্তিষ্কের একটা অংশ জড়িত। যে অংশটি বিরোধী যুক্তি দেখলেই মানুষের মধ্যে 'আমার আদর্শ কী জাতীয় প্রশ্নকে উসকে দেয়। আর এই প্রশ্নের মুখে বেশির ভাগ মানুষ কট্টরপন্থা ছাড়তে পারে না।
৪০ ব্যক্তির ওপর গবেষণাটি চালিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার একদল স্নায়ুবিজ্ঞানী। তাতে সবাইকে বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খাতায় লিখতে বলা হয়। স্বাভাবিক প্রশ্নের পাশাপাশি কিছু প্রশ্ন ছিল রাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে। দুই দফায় তাদের কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর নেওয়া হয়। কিন্তু প্রথম দফায় তারা যেসব উত্তর দিয়েছে, দ্বিতীয় দফার আগে সেসব উত্তরের বিরুদ্ধে কিছু যুক্তি তুলে ধরা হয়। কিন্তু ওই যুক্তির পরও তারা রাজনীতির মতো বিষয়ে নিজেদের বিশ্বাসে অটল থাকে।
উত্তর দেওয়ার সময় বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের মস্তিষ্ক পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাতে দেখা গেছে, রাজনৈতিক বিশ্বাসবিরোধী যুক্তি দেখলেই মস্তিষ্কের একটা অংশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। সূত্র : ডেইলি মেইল।
* উদারনীতিবাদ বা উদারপন্থী মতবাদ (ইংরেজি: Liberalism )) সাম্য ও মুক্তির উপর নির্ভর করে সৃষ্ট একধরনের বৈশ্বিক রাজনৈতিক দর্শন।এ দুইটি নীতির উপর ভিত্তি করে উদারতাবাদকে অনেক বিস্তৃত আকার দেওয়া হয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, জনগণের অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, মুক্তবাণিজ্য, ব্যক্তিগত মালিকানা প্রভৃতি ধারণার উদ্ভব ঘটেছে এ দর্শনের উপর ভিত্তি করে।
উদারতাবাদের ইংরেজি Liberalism উদ্ভব হয়েছে লাতিন শব্দ liberalis থেকে। উদারনীতিবাদের সাধারণ অর্থ হলো রাষ্ট্রীয় কতৃত্ববাদ এর বিরুদ্ধে ব্যক্তিস্বাধীনতা নীতি প্রতিষ্ঠা করা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হব হাউসের মতে উদারনীতিবাদ হলো এমন একটি মতবাদ যেখানে প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতা জীবনের কণ্ঠস্বর তাদের চিন্তা বিকাশ-এ বিকশিত হয়। উদারনীতিবাদের প্রধান ও প্রতিপাদই হলো স্বাধীনতা।
উদারনীতি এমন একটি রাজনৈতিক মতবাদ যেখানে ব্যক্তির
স্বাধীনতাকে রক্ষা করা ও এর উন্নতিসাধন করাকে রাজনীতির মূল
সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উদারপন্থীরা বিশ্বাস করেন
ব্যক্তিবিশেষকে অন্যদের সৃষ্ট ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য
সরকারের প্রয়োজনীয়তা আছে, কিন্তু তারা এও বিশ্বাস করেন যে
সরকার নিজেও ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য হুমকি হতে পারে। মার্কিন
বিপ্লবী লেখক টমাস পেইন ১৭৭৬ সালে লিখেছিলেন যে সরকার এক
ধরনের "প্রয়োজনীয় মন্দলোক"। ব্যক্তির স্বাধীনতা ও জীবন সুরক্ষার
জন্য আইন, বিচারব্যবস্থা ও পুলিশের দরকার আছে, কিন্তু এগুলির
দমনমূলক ক্ষমতা ব্যক্তির বিরুদ্ধেই প্রযুক্ত হতে পারে।
সুতরাং সমস্যা হচ্ছে এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা সৃষ্টি করা যাতে ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষার জন্য সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা থাকবে কিন্তু একই সাথে সেই ক্ষমতার যাতে অপব্যবহার না হয়, সেটিও প্রতিরোধের ব্যবস্থা থাকবে। রাজনৈতিক দর্শনের একটি বিশেষ মতবাদ হিসেবে উদারতাবাদের বয়স দেড়শ বছরের কিছু বেশি হলেও এর উৎস মূল ষোড়শ শতাব্দীর রেনেসাঁ ও রিফর্মেশন আন্দোলন পর্যন্ত বিস্তৃত। রেনেসাঁ ও রিফর্মেশন আন্দোলনে ব্যক্তিকে তার স্বকীয় সত্তায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে প্রয়াস চালানো হয় তার পরোক্ষ ফলশ্রুতি হিসেবে উদারতাবাদের জন্ম হয়। উদারতাবাদ তার বিকাশপথে প্রথমে একটি নেতিবাচক আন্দোলন হিসেবে, এবং পরে একটি ইতিবাচক আদর্শ হিসেবে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে। নেতিবাচক আন্দোলন হিসেবে এটি যুগ যুগ ধরে মানুষের প্রগতি ও মুক্তির পথে সৃষ্ট বাধাসমূহকে দূর করার কাজে নিয়োজিত হয় এবং ইতিবাচক আদর্শ হিসেবে মানুষের মধ্যে যে বিপুল শক্তি ও সম্ভাবনা প্রোথিত রয়েছে তার সার্থক বিকাশ সাধনের মাধ্যমে মানুষকে তার স্বকীয় সত্তায় প্রতিষ্ঠিত করার কাজে ব্রতী হয়। উদারতাবাদ যদিও মূলত একটি রাজনৈতিক আন্দোলন, তবু তা শুধুমাত্র রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনেও সম্প্রসারিত হয়েছে। জন হলওয়েলের মতে, উদারতাবাদ নিছক একটি চিন্তাধারা নয়, এটি একটি জীবনদর্শনও বটে। জীবনদর্শন হিসেবে তা মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষাসমূহকে প্রতিফলত করে। ধর্মীয় আন্দোলন হিসেবে উদারতাবাদ রোমান ক্যাথলিকবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয় এবং ক্যালভিনপন্থীদের, ফরাসী হুগুয়েনটদের ও অন্যান্য প্রটোস্ট্যান্ট সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতার সংগ্রামকে রাজনৈতিক সমর্থন প্রদান করে। সপ্তদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের গৃহযুদ্ধকালে উদারতাবাদ ব্রিটিশ নন-কনফর্মিস্ট আন্দলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে এবং রোমান ক্যাথলিক চার্চের বিশেষাধিকারের দাবিকে নস্যাৎ করে দেয়। মোট কথা, সপ্তদশ শতাব্দী থেকে উদারতাবাদ শুধু যে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ থেকে স্বাধীন ধর্মাচরণের অধিকারকে রক্ষা করার চেষ্টা করে তাই নয়, চার্চের প্রভাব থেকে সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহকে মুক্ত করার প্রয়াসেও লিপ্ত হয়। এরকম একটি নিউজে তথ্য প্রদান করা হয়।
★ রক্ষণশীলতা বা রক্ষণশীলতাবাদ (ইংরেজি: Conservatism) হল দ্রুত পরিবর্তনের বিরোধিতা, এবং এটি সমাজে ঐতিহ্যকে ধরে রাখার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করে। গ্র্যাজুয়ালিজম বা পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তনবাদ এর একটি প্রকরণ। ১৮১৮ সালে ফ্রান্সিস-রেনে দে চেটব্রিয়ার্ল্ড রাজনৈতিক প্রসঙ্গে সর্বপ্রথম এই পরিভাষাটি ব্যবহার করেন।এটি ছিল বর্বোন পুনুরুদ্ধারকালীন সময়, যখন ফরাসি বিপ্লবের প্রণীত নীতিসমূহ প্রত্যাবর্তনের দাবি করা হয়েছিল। ডানপন্থী রাজনীতির সঙ্গে উক্ত পরিভাষাটি সম্পর্কিত। বিস্তৃত পরিসরের একটি দৃষ্টিভঙ্গিকে ব্যাখ্যা করার জন্য এই পরিভাষাটি বারংবার ব্যবহৃত হয়েছে। রক্ষণশীল হিসেবে স্পষ্টভাবে বিবেচিত কোন একটিও নির্দিষ্ট নীতিমালা নেই, কারণ রক্ষণশীলতার সংজ্ঞার্থ এ সম্পর্কিত স্থান ও কালের উপর নির্ভর করে। প্রধানত আব্রাহামিক ধর্মের ঐতিহ্যবিশিষ্ট দেশগুলোতে রক্ষণশীলতাবাদে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি সমর্থনের প্রবণতা দেখা যায়, যেখানে সেগুলো হল প্রধান বা সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম। ইংল্যান্ডে প্রকাশিত এডমান্ড বার্কের Reflections on the revolution in France বইয়ে লেখক অভিমত দেন যে, কোন যত্নবান সরকারের কর্তব্য হল জনগণকে সন্তুষ্ট রাখা এবং আইনানুগভাবে তাদের ব্যবস্থাপনা করা। তার এই দুটি নীতিই পরবর্তীকালে একই সঙ্গে প্রচলিত হয়।কিছু রক্ষণশীলবিদ প্রচলিত বিষয়গুলোকে যেমন আছে তেমনই রাখতে চায়, অন্যদিকে বাকিরা চায় সেগুলোকে সেই অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে যে অবস্থায় এগুলো পূর্বে ছিল বা এগুলোর উৎপত্তি ঘটেছিল। ইংল্যান্ডে একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছিল যার লক্ষ্য ছিল ধনী দরিদ্রের মাঝে উন্নত সমবায়, গণতন্ত্র, এবং কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। সে সময়ে ফ্রান্স এবং ইউরোপের অন্যান্য অংশের রক্ষণশীলপন্থীরাও একে সমর্থন জানিয়েছিলেন। অতীতে যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীলপন্থীরা কেন্দ্রীকরণের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন, তারা কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারণাকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখতেন এবং ব্যবসায়ীদেরকে মজুরি ও পণ্যের মূল্যের ব্যপারে আস্থাভাজন বলে মনে করতেন।
ধন্যবাদ 💙