Skip to main content

দেশ বড় নাকি ধর্ম বড়

এক ভাই জিজ্ঞেস করলেন "দেশ" বড় নাকি "ধর্ম"?

এ নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়েন। কেউ বলেন "দেশ" আবার কেউ বলেন "ধর্ম"। কেও আবার দুটোর মধ্যে তুলনা করতেই চান না।

যদি আজ থেকে 10 বছর আগে আমাকে এই প্রশ্ন করা হত তাহলে "দেশ" বলতে 1 সেকেন্ড সময় নিতাম না। কিন্তু আজ আমি "ধর্ম" বলতে দেরি করব না ।

দেশ... দেশ কি?

যতদিন এই দেশে আছেন, এই দেশে যতদিন নিরাপদ থাকবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত এটি আপনার দেশ। এই দেশকে তখনও দেশ বলা হবে, যখন কেউ এই দেশকে দখল করে তোমাকে তাড়িয়ে দেবে। কিন্তু তখন এই দেশ হানাদারদের হবে, তোমার নয়। এর অর্থ পরিষ্কার- যতদিন দেশে আপনার শাসন থাকবে, ততদিন দেশ আপনার। কিন্ত, দেশ রক্ষা হয় ধর্ম দিয়েই।

যে ধর্মের মানুষের একটিও দেশ ছিল না, কেবল ধর্ম আঁকড়ে ধরে তারা 57 টি দেশ তৈরি করেছে। আর যারা ধর্মের চেয়ে জাতীয়তাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, দেশ তাদের হাত থেকে হারিয়ে গেছে একটি গোটা মহাদেশ।

পাকিস্তান, আফগানিস্তান আকারে দেশের একাধিক বড় অংশ আমাদের হাত থেকে হারিয়ে গেছে কেন? কারণ আমরা ধার্মিক কম ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী বেশি হয়ে গেছিলাম।

হিন্দুরা যদি কট্টর হত, ধর্মের জন্য লড়াই করতে অনড় থাকত... লড়াই করত যে তারা মরবে কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষকে তাদের জায়গা দেবে না। তাহলে পাকিস্তানের মতো একাধিক বিধর্মী দেশ তৈরী হতো না।

🖊 Mondal Rita

Popular posts from this blog

স্বাধীনতার নায়করা পর্ব: ~ ২

|| কালাপানির ডাক... || পার্ক স্ট্রিট সেভেন পয়েন্টের দিকে গেছেন নাকি কোনদিন ? গেলে দেখতে পাবেন গ্রীল দিয়ে ঘেরা এক যুবকের হাফ বাস্ট মূর্তি। নীচে নামটা লেখা আছে কিন্তু ধুলোয় বিবর্ণ। স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ইনি, তবে তাম্রপত্র জোটেনি। বদলে যে পরাধীন দেশবাসীর স্বাধীনতার জন্য জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টা কাটিয়েছেন মর্ত্যের নরক সেলুলার জেলে, তারাই কেড়ে নিয়েছিলো তাঁর প্রাণ..! প্রকাশ্য রাস্তায় দিনের বেলায় প্রথমে মাথায় লোহার রডের বাড়ি। তারপর মাংস কাটার চপার দিয়ে ফালাফালা করে দেয়া হলো পেট। রক্তের স্রোতের সঙ্গে বেড়িয়ে এল নাড়িভুঁড়ি। এরই মধ্যে শাবল দিয়ে কেউ দু'চোখ খুবলে নিল তাঁর, জিভটা টেনে বের করে কেটে ফেলল মানুষের বেশে একদল শ্বাপদ! অনাথ হয়ে গেল তিন বছরের শিশুপুত্র সহ এক তরুণী বধু। শুনবেন নাকি মানুষটির পরিচয়..? তাহলে পিছিয়ে যাই বেশ কয়েকটি বছর.. ১৭ই আগষ্ট ১৯৩২ সাগর পাড়ি দিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে একটা জাহাজ এসে ভিড়লো পোর্ট ব্লেয়ার জাহাজ ঘাটায়। ডান্ডাবেড়ি লাগিয়ে নামিয়ে আনা হলো একদল তরুণ কে। শাসকের বয়ানে এরা ছিলেন বিপজ্জনক কয়েদী। দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মোচনে শ্বেতাঙ্গদের ...

স্বাধীনতার নায়করা পর্ব ~ ১২

 ||গুমনাম বিপ্লবী || সেদিন ছিলো ২৭শে জুলাই ১৯৩১.. সকাল দশটা নাগাদ একটা কালো অস্টিন গাড়ি ঢুকলো আলিপুর কোর্ট চত্বরে। সামনে বসা দেহরক্ষী নেমে দরজা খুলে দিতে ধীর পায়ে নামলেন বিচারপতি গার্লিক। কদিন আগেই রাইটার্স বিল্ডিং অলিন্দ যুদ্ধের নায়ক বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। তার আগে আরো এক কিশোর চট্টগ্রামের রামকৃষ্ণ বিশ্বাস কেও পাঠিয়েছেন ভবপারে। বড়লাটের অভিনন্দন পেয়ে সকাল থেকেই মনটা খুশি খুশি। গুনগুন করে একটা গানের সুর ভাঁজতে ভাঁজতে পা দিলেন আদালতের সিঁড়িতে। দু তিন ধাপ উঠেছেন অমনি ওপরের থামের আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো এক রোগাটে কিশোর। বিস্ময়ে হতবাক জজসাহেব দেখেন সে দুহাতে পিস্তল উঁচিয়ে তাক করেছে তারই দিকে। চীৎকার করার আগেই পরপর পাঁচটা গুলি ফুঁড়ে দিল তাকে। বিচারকের সম্পন্ন হলো শেষ বিচার! ততক্ষণে দেহরক্ষীও গুলি চালিয়েছে। আহত হয়েও কিশোর পকেট থেকে সায়ানাইড ক্যাপসুল বের করে মুখে দিল আর ঢলে পড়লো সিঁড়ির ওপর। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত টেগার্ট সহ কলকাতা পুলিশের বাঘা গোয়েন্দারা, তল্লাশি চালিয়ে কিশোরের পকেট থেকে পাওয়া গেল একটা নোটবুক। তাতে লেখা, "Get destroyed, get ...

স্বাধীনতার নায়করা পর্ব - ১৬

সত্যবতীকে চেনেন..? চিনবেনই বা কি করে আমাদের ইতিহাস বইতে তো আর এদের কথা লেখার মতো জায়গা হয়নি। তবে শুনুন সেই মহীয়সীর গল্প যিনি তাঁর দেহের বিনিময়ে দেশসেবায় ব্রতী হয়েছিলেন.... মেদিনীপুরের এই বিধবা সত্যবর্তী ছিলেন দেহপসারিনি। তাঁর কাছে যৌনক্ষুধা মেটাতে আসা পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে গোপন খবর জেনে নিয়ে বিপ্লবীদের জানিয়ে দিতেন সত্যবতী। পুলিশের পৌঁছোনোর আগেই পালিয়ে যেত বিপ্লবীরা। কিন্তু এ কাজেও শান্তি পাননি। পরে আইন অমান্য আন্দোলনে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছিলেন। নন্দীগ্রাম ও আসাদতলায় প্রথম লবণ আইন অমান্য করেছিলেন সত্যবতী। ১৯৩২-এ ১১ ফেব্রুয়ারি তেরপেখিয়া বাজারে মদের দোকানের সামনে পিকেটিং করার সময় পুলিশের লাঠির ঘায়ে জ্ঞান হারালে তাঁকে ওই জেলহেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। জেল থেকে তিন মাস পর এসে আবার প্রতিরোধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ১৯ আগস্ট নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে গিয়ে আবারও গ্রেফতার হয়েছিলেন। ততদিনে পুলিশ জানতে পেরেছিল যে, তিনি পুলিশের গোপন খবর বিপ্লবীদের জানিয়ে দেয়। পুলিশের লাঠির ঘায়ে তাঁর শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। তাঁর কিডনি আর অস্ত্র প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সব...