Skip to main content

বিজেপি সমালোচনা

অঙ্কিতার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে সামাজিক দায় দায়িত্ব থেকে মুক্ত হওয়া যেতেই পারে। কিন্তু সেটা escapism ছাড়া কিছুই না। যারা 2014 এর পর থেকে 2022 পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকেও মানুষকে সরকারী বেসরকারী স্তর থেকে জিহাদীদের এজেন্ডা সম্পর্কে সচেতন করতে পারলো না, এমনকি ইদানীং যারা জিহাদীদের প্রতি নরম নীতি নিয়ে তাদের ব্লাসফেমী বন্ধ করতে উঠে পড়ে লেগেছে, তাদের অযৌক্তিক সংবেদনশীলতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, দোষটা বা দায়টা তারা চাইলেই ঘাড় থেকে নামাতে পারবে না। বিশেষ করে যখন দেখা যাচ্ছে না। তাই, অঙ্কিতাদের "taken for granted" হিসেবে ধরে নেওয়া যেতেই পারে।

জীবনযাপনের যুদ্ধে সংগ্রামরত মানুষ তাদের কাছে অনেক প্রত্যাশা করেছিল বলেই তাদের ক্ষমতায় এনেছিল।

এই অঙ্কিতাই তো নিজের ধর্ম না পাল্টে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিল। শাহরুখের রাগটাও ছিল এখানেই।

চোর তাবরেজ বা মৌলবাদের পৃষ্ঠপোষক শাবানা আজমীর জন্য মোদী টুইট করতে পারে, কিন্তু অঙ্কিতার জন্য তার কোনও সমবেদনা থাকতে পারে না!

কারণ, উনি এবং ওর ভক্তরা বুঝে গেছে, 2024 পর্যন্ত ওর বিকল্প ধরে নেওয়া যেতেই পারে!

যে দোষে অঙ্কিতাকে দোষী করা হচ্ছে, বিজেপি নেতারা বা সমর্থকরা সেই একই দোষে তাদের নেতা মন্ত্রী সৈয়দ শাহনওয়াজ বা মুখতার আব্বাস নাকভীর স্ত্রীদেরও দায়ী করলে ওদের মন্ত্রী বানাতো না!

ঝাড়খণ্ডের চোর তাবরেজের জন্য যে টুইটারে কেঁদে ভাসিয়েছিল, শাবানা আজমীর ছোট্ট দুর্ঘটনার পর যে হৃদয় নিংড়ানো টুইট করেছিল, সেই মোদী একই রাজ্যের অঙ্কিতার ক্ষেত্রে চুপ! শাহরুখের হাতে জীবন্ত পুড়ে যাওয়া অঙ্কিতার জন্য শোক প্ৰকাশ করলে হয়তো তার আরব মিত্রগন গোঁসা করবে। সেই রিস্ক বানিয়ারা নেয় না।

একটা সময় ছিল, যখন সেকুলারিজমের নামে সংখ্যালঘুদের বোকা বানাতো কিছু দল। এখন মোদীর দল সংখ্যাগুরুদের বোকা বানিয়ে ভোটে জেতে। এই সরকার যেভাবে "সর তন সে জুদা" বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, যেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে যে তাদের ধরা-ছোঁয়ার ক্ষমতা রাষ্ট্রের নেই, তা আগে কখনও হয়েছে কিনা সন্দেহ এতে অবশ্য বিজেপির ভোটে টান পড়বে না।

কিন্তু, Competitive Communalism বাড়বে। দেশের পরিস্থিতি খারাপ হবে৷ এবং, হিন্দুদের মধ্যে submissive and subordinate হওয়ার প্রবণতা বাড়বে। এরপরেই হয়তো একদিন জনবিপ্লবের মাধ্যমে এই অক্ষম নেতৃত্বের হাত থেকে দেশ মুক্ত হবে ।

🖊 Psephologist Dev Asis Banerjee

Popular posts from this blog

 বর্তমানে রাত্রীকালীন বিবাহের প্রাসঙ্গিকতা :- ____________________________________ মুসলমান অত্যাচারের কারণে 'রাত্রি কালীন গোপন বিবাহ' রীতির প্রচলন। এসব সত্য জানার সত্ত্বেও এখনও এই রীতি বয়ে নিয়ে হচ্ছে। তার সম্ভাব্য কারণ কি কি হতে পারে? ১| দিনের বেলা সকলে ব্যস্ত থাকে নানা কাজে। কেও স্কুলে, কেও অফিসে কেও বা অন্য কোনো কাজে লিপ্ত থাকেন। তাই সেই কাজের মাঝে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না। তাই সন্ধ্যার লগ্নে বিয়ে হলে মানুষ দুপুরে কাজের শেষে বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যেয় সেজেগুজে এসে বিয়ে দেখতে পারে। রাত্রে প্রায় সকলেই বাড়িতে থাকেন। তাই কোথাও নিমন্ত্রণ রক্ষা করা বিষয়টা অনেকটাই নির্ঝঞ্ঝাট মনে হয়। ২| এখন বিবাহ একটি পারিবারিক উৎসব নয়। বরং বিবাহ আত্ম অহংকার, ক্ষমতার প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে। রাতে জমকালো Light Show দেখানো যায়। বাজীর প্রদর্শনী করা যায়। এর সাথে আরও যত রকমভাবে নিজের ক্ষমতার প্রদর্শন করা সম্ভব সবরকম চেষ্টাই করা হয়। কিন্ত দিনে এই সমস্ত ঘটনার Prime Focus একজনের উপর পড়া সম্ভব নয়, তাই রাত্রে। ৩| সামাজিক দৃষ্টিকোণ: বর্তমানে দিনে বিবাহ দেওয়াকে দারিদ্রতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ...

ব্রাহ্মণ্য অত্যাচার তত্ত্বের Propaganda Vs Reality

ভারত বাংলাদেশ আর পাকিস্তান মিলে প্রায় 50 কোটি মুসলিম বাস করে। কিন্তু, এতো মুসলিম তো আরবেও নেই। তাহলে এতো মুসলমান এলো কোথা থেকে? অন্য ধর্মের লোক এতো দ্রুত হারে বাড়ছে না কেনো? অন্য ধর্মের 50 কোটি লোক হলোনা কেনো ? Communist আর secular দের বক্তব্য এরা হিন্দুই ছিল, কিন্তু ব্রাহ্মণদের অত্যাচারের ফলে আর মুসলিমদের ধর্মের উদারতার কারণে জাত-পাতহীনতার কারণে এরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। এরা মুসলিমদের দান-ধ্যানের নীতি, সুফি_সন্তদের জীবনযাত্রায় প্রভাবিত হয়ে "ইসলাম" ধর্ম গ্রহণ করেছে। ব্রাহ্মণদের অত্যাচার তত্ত্ব  Communist রা হিন্দু সমাজকে দুইভাগে ভাগ করেন-- 1. উচ্চ বর্ণ  2. নিম্ন বর্ণ সমাজের সবচেয়ে ভক্তিবান মানুষ হলো তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষরা। তাদের কাছে ধর্মই সব। তাঁরা সব করতে পারেন কিন্তু ঠাকুর কে অবহেলা করেন না। তাঁরা শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের অত্যাচারের জন্যেই ধর্মান্তরিত হয়েছে এটা বিশ্বাস করেন কিভাবে❓ এটা তো গেলো পুরোনো যুগের কথা.... এবার এখনকার কথা বলি.... আচ্ছা বলুন তো, আমরা আমাদের পারিবারিক সূত্রে বা বন্ধুদের সূত্রে প্রায় প্রতিদিন নানান রকম খবর শুনি। যেমন- কারোর বিয়ে হয়েছে, কার...

বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথালয় এর সংযুক্তিকরণ

আমি কিছু ছোট ছোট old age home এবং orphan home এ গেছি এবং সেখানে গিয়ে মনে হয়েছে বৃদ্ধ মানুষগুলো তাঁদের পরিবারের ছোটো-ছোটো নাতি-নাতনীদের মিস করেন। আবার অনাথালয়ের orphan দের কাছে গিয়ে মনে হয়েছে তারা যদি দাদু ঠাকুমাদের মত কাওকে পেত, যারা তাদের একটু গল্প বলবে, মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের আদর করবে তাহলে তারাও হয়ত অনেকটা ভালো থাকত। তাই আমার মনে হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম ও orphan home যদি একই ছাদের নীচে করা সম্ভব হয় তাহলে ওইসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার যে কষ্ট, সেটা সামান্য হলেও লাঘব হবে। এবার আমি এটা নিয়ে কতটা ঠিক ভেবেছি বা এটা ইমপ্লিমেন্ট করা কতটা সম্ভব বা তার প্রতিবন্ধকতার জায়গা গুলো আমি সম্পুর্ন ওয়াকিবহল নই। সম্পূর্ণ একটা ইমোশনাল ভাবনা থেকে এটা আমি ম্যাডামকে জানিয়েছি। ম্যাডাম বা ডিপার্টমেন্ট এ যারা দীর্ঘদিন ধরে অনেক গুরুদায়িত্ব সামলেছেন তাঁদের সবার পর্বত সমান অভিজ্ঞতা। যদি তাঁরা এই ভাবনার মধ্যে কোনো পজিটিভ দিক আছে বলে মনে করেন এবং প্রাকটিক্যাল গ্রাউন্ডে এটা ইমপ্লিমেন্ট করা সম্ভব মনে করেন এবং এক ছাদের তলায় old age home এবং orphan home তৈরী করা...