Skip to main content

টেরেজা -মুখ ও মুখোশ

টেরেজা সেবার নামে খৃষ্ট ধর্ম প্রচার করেন। তার সেবা কার্য ছিল সম্পূর্ণ লোক দেখানো। সনাতন ধর্মে সেবা হল ' সর্বে ভবস্তু সুখিনঃ সর্বে সন্তু নিরাময়।" (বৈদিক ঋষি) জীবে দয়া নামে রুচি (শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু), 'জীবে সেবা (শ্রী রামকৃষ্ণ ), "নিঃশর্ত মানব সেবা" (বিবেকানন্দ)। কিন্তু টেরেজার নিজস্ব ধর্ম সঞ্জাত বিশ্বাস, 'মানুষ যত কষ্ট পাবে ততই যীশুর কাছাকাছি আসবে "।কয়েকটি ঘটনার মধ্যে টেরেজার আসল রূপটি পরিস্ফুট হয়।

1) 1984 সালে ভূপাল গ্যাস দূর্ঘটনার সময় সাড়ে তিন হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। টেরেজা কোন সাহায্য করেন নি, শুধুমাত্র মৌখিক স্রোতবাক্য "আমি বলি ক্ষমা কর" ছাড়া। এই সময়ে ডেভিড পোর্টার মাদারকে বিদ্রুপ করে একটি ছবি এঁকেছিলেন যাতে টেরেজা ভূপালের এক আর্ত মানুষকে একটা গাঁদা ফুল তুলে দিচ্ছেন, তলায় লেখা "মাদার এক গ্যাস আক্রান্তকে সাহায্য করছেন।"

2) 1993 সালে লাটুর ভূমিকম্পে আট হাজার মানুষ মারা যান। কমবেশী 200 টি সংগঠন ত্রাণ কার্যে ছুটে গেলেও মাদারের মিসনারিজ অব চ্যারিটির দেখা পাওয়া যায় নি। বরং দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আলেকজান্ডার লেস এর হয়ে ওকালতি করতে আমেরিকা গিয়েছিলেন

3) 1995তে বাংলায় বন্যা হলে নিষিদ্ধ পল্লীর মেয়েরা কৌটো হাতে অর্থ সংগ্রহ করলেও, মাদারের দর্শন মেলেনি।

4) 1991 সালে স্ট্রিট কিড ইন্টারনেশনলের প্রতিষ্ঠাতা কানাডার পিটার ডালগ্লিস যখন একদিন সুদানের খার্তুমে তার আশ্রম টেরেজাকে ঘুরিয়ে দেখান, টেরেজা তখন তাকে জিজ্ঞেস করেন ' তুমি কি তাদের বাইবেল পড়াচ্ছ?"

5) 1994 সালে তার সেবার পোল খোলেন বৃটিশ সাংবাদিক ক্রিষ্টোফার হেচেনস্ ও তারিক আলী 'HELL'S ANGELS" নামের একটি তথ্যচিত্রে।

6) মেরি লাওডন নামক এক সমাজসেবী তার সেবার মুখোশ খুলেছেন।

7) রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসী শ্রীমৎ স্বামী লোকেশ্বরানন্দ আনন্দ বাজার পত্রিকায় একথা স্বীকার করেন এক স্বাক্ষাতকারে।

৪) অমৃতবাজার ও দি ফার ইস্টার্ন রিভিউ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল অনেক লেখা তার ধর্মান্তকরণ নিয়ে বিতর্কটি।

9) 2016 সালে তাঁকে সেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে এজন্য যে মনিকা বেসরা নামক একজন মহিলাকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে তার গর্ভের ক্যানসার সারিয়েছেন। একথা কোনো হিন্দু বললে কুসংস্কার বলে চিহ্নিত করা হত। কিন্তু পোপ 20 বছর ধরে পারকিনসন্স রোগে ভুগছিলেন কিন্তু মাদার তাকে সারাতে পারলেন না। কেন?

10) 'Mother Teresa - The Final Verdict "বইটিতে অরুণ চট্টোপাধ্যায় খুব সুন্দর ভাবে টেরেজার ভন্ডামী তুলে ধরেছেন

তবুও আমরা তাকে নিয়ে নাচানাচি করি। আর সারা দেশে 197 টি হাসপাতাল ( 85 লক্ষ্য রোগীর সেবা) ও 1186 টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (3-4 লক্ষ্য ছাত্র পড়ে) যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে, সেই স্বামী বিবেকানন্দকে ভন্ড সাধু ও সাম্প্রদায়িক তকমা লাগিয়ে দিতে ভালবাসি। সাবাশ ইন্ডিয়ান সেকুলারিজম। যুগ যুগ জিও।

Popular posts from this blog

মুসলমানের Business Policy :- __________________________ মুসলমানের দোকানের জিনিস সস্তা হয় কেনো? মুসলমানরা কাজ করতে টাকা কম নেয় কেনো? আসল উদ্দেশ্য পুরো ব্যবসাটাকে capture করা। যেমন - গরু কেনাবেচার ব্যবসা... একসময় পশ্চিমবঙ্গ গরু কেন-বেচার ব্যবসা টা বেশিরভাগই করতো বিহারী পাইকাররা... এখানকার বাঙালি লোকেরা সাহায্য পাইকাররা গরু কিনতো...  তখন গোয়ালারা মুসলমানদেরকে গরু বিক্রি করতো না... কোনো মুসলমান গরু কিনতে চাইলে গালাগালি দিতো, মারতো, বলতো "মরুক তাও ভালো, তবুও মুসলমানের হাতে গরু তুলে দেবো না" তারপর, মুসলমান পাইকাররা হিন্দু গোয়ালাদের হাতে পায়ে ধরে, সারাক্ষণ চাচা চাচা বলে পিছনে পিছনে ঘুরে গরু কিনতে শুরু করলো, প্রয়োজনে কিছু টাকা বেশিও দিলো... এখানকার যারা গরুর খবর দিতো, মধ্যস্থতা এর কাজ করতো তাদেরকে টাকা দিয়ে ব্যবসাটা সম্পূর্ণ নিজেদের হাতে করলো...  তারপরে, গরু ব্যবসার বর্তমান পরিস্থিতি কী জানো?  1. গরু কেনার জন্য মুসলমান ছাড়া অন্য কোনো পাইকার নেই, যেসব বিহারীরা গরু কিনতো, তারা loss খেয়ে বসে গেছে, গরু লুটপাট হয়েছে, খাটালে চুরি হয়েছে... তাই, এখন তারা গরু কেন বেচার বদলে dairy ব্...

চিন্তাধারার পার্থক্য

আমার নবীর সম্মানে হাত তুললে ওই হাত কেমন করে ভেঙে দিতে হয় সেটাও আমাদের জানা আছে। বিশ্ব নবীর সম্মান is an unparalleled issue। এই ইস্যুতে হেফাজত নাই, এই ইস্যুতে জামাত নাই, এই ইস্যুতে তবলিগ নাই, আওয়ামীলীগ নাই, ১৭ কোটি মানুষ এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে যায়। হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে একটি প্রাথমিক চিন্তাধারার পার্থক্য আছে। একই পরিস্থিতি এবং একই ধরনের মানুষের ভিত্তিতে যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় তবে পার্থক্য টি আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে। ঘটনা ১ :- কোনো জনবহুল স্থানে একজন মুসলমান হিন্দুদের দেবতার বদনাম করলে হিন্দু যুবকটির দুটি সম্ভাবনা থাকে-  প্রথমত, প্রতিবাদ করা দ্বিতীয়ত, চুপচাপ শুনে চলে আসা ধরুন যুবকটি প্রতিবাদ করে বললো, এইসব আলবাল বললে কানের নীচে দেবো। এরপর কথা কাটাকাটি শুরু হবে। তারপর লোক জড়ো হবে। কয়েকজন মুসলমান অবশ্যই ছুটে আসবে। এরপর হালকা ধস্তাধস্তি হয়ে ব্যাপার টা মিটমাট হয়ে যাবে তখনকার মতো। ওই মুসলমান ছেলেটি যখন বাড়ি ফিরবে তখন সে পরিবার, প্রতিবেশি, এবং মসজিদের তরফ থেকে সাবাসি পাবে। সবাই তার কাজকে সমর্থন করে আবারো একই কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।  অন্যদিকে, ওই হিন্দু ছেলেটি য...

দেবস্থানম্ বোর্ড

দেবস্থানম্ বোর্ড সম্পর্কে জানেন কি? জানেন না!? আচ্ছা, দূর্গাপূজোর আগে রাস্তায় পিচের পট্টি আর ব্লিচিং পাউডারের দাগ তো নিশ্চয়ই দেখেছেন, কিন্ত ঈদের আগে এটা দেখা যায়না। কারণটা কি?🤔 কখনো ভেবে দেখেছেন!? দেখেননি!? ঠিক আছে বুঝিয়ে বলছি।  মন্দিরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, সমন্বয়সাধন, এবং উন্নয়নের কথা বলে দেবস্থানম্ বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। বলা হয়েছিলো, মন্দিরগুলোতে আরো বেশি পর্যটক আসবে এবং মন্দিরগুলোর আরো বেশি লাভ হবে। দেবস্থানম বোর্ডের সদস্য প্রায় 17-19 জন। দেবস্থানম্ বোর্ডের Head হলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও থাকে- ADG (Law & Order),  Tourism Department, Road Development Department, আর মন্দিরের কিছু প্রতিনিধি। দেবস্থানম বোর্ডের আলোচনার বিষয়- ১| টাকাগুলো কোন খাতে কতটা বরাদ্দ করা হবে। ২| পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কত টাকা বরাদ্দ করা হবে। ৩| কোনটা সংস্কার, কোনটা কুসংস্কার ..... পুজো আয়োজনের অনুমতি দেওয়া যাবি কি না, সেসব আলোচনা করা। *বোর্ডের সর্বোচ্চ নেতা মুখ্যমন্ত্রী, তাই তার সিদ্ধান্তই সব, অন্যান্য সদস্যদের কথাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। *মন্দিরের উপার্জন 'অতিরিক্ত_বেশি' -এইকথা বলে...