Skip to main content

অপারেশন থিয়েটারে সবুজ বা নীল রঙের পোশাক পড়া হয় কেন?

আপনি যখন অপারেশন থিয়েটারের ডাক্তার বা নার্সের দিকে তাকান কিংবা হাসপাতালের দিকে তাকান, তখন আপনি সবুজ বা নীল পোশাক বা পর্দা দেখতে পাবেন। তবে আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন অপারেশনর সময় চিকিৎসকেরা কেবল সবুজ বা নীল রঙের পোশাক পরেন? লাল, হলুদ বা অন্য কোনও রঙ কেন নয়!!

সাধারণত ডাক্তার থেকে শুরু করে হাসপাতালে সমস্ত স্টাফ একসময় সাদা পোশাক পরিধান করতো। এমনকি এখনো কিছু ডাক্তার সাদা পোশাক পরেন। তবে ১৯১৪ সালে, একজন প্রভাবশালী ডাক্তার সাদা পোশাকের ঐতিহ্যকে সবুজ পোশাকে পরিবর্তন করেছিলেন। কিছু ডাক্তার নীল কাপড় বা সাদা ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয়, হাসপাতালের পর্দার রঙগুলোও সবুজ বা নীল। এছাড়াও, হাসপাতালের কর্মীদের পোশাক এবং মুখোশ সবুজ বা নীল।

বিশ শতকের শুরুর দিকে, সার্জনরা তাদের অপারেশন থিয়েটারে সাদা পোশাক (এপ্রোন) ব্যবহারের সমস্যাগুলো উপলব্ধি করতে শুরু করেছিলেন। সমস্যাটি হলো সার্জন যদি তার দৃষ্টিকে রক্তের দিক থেকে ঘুরিয়ে সহকর্মীর এপ্রোনের দিকে দেয় তবে তা কয়েক সেকেন্ডের জন্য সার্জনকে অন্ধ করতে পারে। শীতকালে আপনি যখন বাইরে বের হন এবং তুষারপাতের উপর থেকে সূর্যের আলো প্রতিবিম্বিত হয় দেখেন একই প্রভাব ঘটে।

এটি এমন পর্যায়ে এসেছিল যে অস্ত্রোপচারের সময় যখন ডাক্তাররা দীর্ঘদিন ধরে তাদের সহকর্মীদের সাদা এপ্রোনের দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য মাথা ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেছিলেন।

১৯১৪ সালে, একজন প্রভাবশালী ডাক্তার অপারেশন করার সময় সবুজ এপ্রোনের প্রচলন করেছিলেন। কারণ তিনি ভেবেছিলেন যে এটি তার চোখের জন্য আরামদায়ক হবে।

অবশেষে, সারা বিশ্ব জুড়ে সার্জনরা তাদের সাদা এপ্রোনের পরিবর্তে নীল বা সবুজ রঙের এপ্রোন ব্যবহার শুরু করে। এটি হাসপাতালের কর্মচারীদের পক্ষেও সহজতর হয়েছিল, কারণ সবুজ পোশাক থেকে রক্তের দাগ দূর করা সহজ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্যান্য রং অস্ত্রোপচারের সময় অপটিক্যাল ইলিউশন বা দৃষ্টি ভ্রম এর জন্য দায়ী। যার ফলে অস্ত্রোপচার চালিয়ে যেতে সমস্যা হয়। আর তাই এ সময় চারপাশের পরিবেশ বা পোশাকে সবুজ বা নীল রঙের উপস্থিতি চোখকে আরাম দেয় এবং দৃষ্টি ভ্রমের প্রভাব কমিয়ে দেয়।

মূলত এই সবুজ রং নির্বাচন করার পিছনে কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ আছে:

অপারেশন থিয়েটারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটা-ছেড়া আর রক্ত নিয়ে কাজ করা হয়। দীর্ঘ সময় একটানা রক্ত দেখার ফলে ওটিতে থাকা চিকিৎসক-নার্সদের চোখ ধাঁধিয়ে যায় (আপনার মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে যা অবস্থা হয় সে রকম)। তখন তারা সবকিছুতেই লাল রঙে ছোপ দেখতে পান। এটি তাদের মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।

তাই চিকিৎসকরা অপারেশন করতে যাওয়ার সময় সবুজ রঙের এপ্রোন/মাস্ক পরিধান করেন

Popular posts from this blog

 বর্তমানে রাত্রীকালীন বিবাহের প্রাসঙ্গিকতা :- ____________________________________ মুসলমান অত্যাচারের কারণে 'রাত্রি কালীন গোপন বিবাহ' রীতির প্রচলন। এসব সত্য জানার সত্ত্বেও এখনও এই রীতি বয়ে নিয়ে হচ্ছে। তার সম্ভাব্য কারণ কি কি হতে পারে? ১| দিনের বেলা সকলে ব্যস্ত থাকে নানা কাজে। কেও স্কুলে, কেও অফিসে কেও বা অন্য কোনো কাজে লিপ্ত থাকেন। তাই সেই কাজের মাঝে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না। তাই সন্ধ্যার লগ্নে বিয়ে হলে মানুষ দুপুরে কাজের শেষে বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যেয় সেজেগুজে এসে বিয়ে দেখতে পারে। রাত্রে প্রায় সকলেই বাড়িতে থাকেন। তাই কোথাও নিমন্ত্রণ রক্ষা করা বিষয়টা অনেকটাই নির্ঝঞ্ঝাট মনে হয়। ২| এখন বিবাহ একটি পারিবারিক উৎসব নয়। বরং বিবাহ আত্ম অহংকার, ক্ষমতার প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে। রাতে জমকালো Light Show দেখানো যায়। বাজীর প্রদর্শনী করা যায়। এর সাথে আরও যত রকমভাবে নিজের ক্ষমতার প্রদর্শন করা সম্ভব সবরকম চেষ্টাই করা হয়। কিন্ত দিনে এই সমস্ত ঘটনার Prime Focus একজনের উপর পড়া সম্ভব নয়, তাই রাত্রে। ৩| সামাজিক দৃষ্টিকোণ: বর্তমানে দিনে বিবাহ দেওয়াকে দারিদ্রতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ...

ব্রাহ্মণ্য অত্যাচার তত্ত্বের Propaganda Vs Reality

ভারত বাংলাদেশ আর পাকিস্তান মিলে প্রায় 50 কোটি মুসলিম বাস করে। কিন্তু, এতো মুসলিম তো আরবেও নেই। তাহলে এতো মুসলমান এলো কোথা থেকে? অন্য ধর্মের লোক এতো দ্রুত হারে বাড়ছে না কেনো? অন্য ধর্মের 50 কোটি লোক হলোনা কেনো ? Communist আর secular দের বক্তব্য এরা হিন্দুই ছিল, কিন্তু ব্রাহ্মণদের অত্যাচারের ফলে আর মুসলিমদের ধর্মের উদারতার কারণে জাত-পাতহীনতার কারণে এরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। এরা মুসলিমদের দান-ধ্যানের নীতি, সুফি_সন্তদের জীবনযাত্রায় প্রভাবিত হয়ে "ইসলাম" ধর্ম গ্রহণ করেছে। ব্রাহ্মণদের অত্যাচার তত্ত্ব  Communist রা হিন্দু সমাজকে দুইভাগে ভাগ করেন-- 1. উচ্চ বর্ণ  2. নিম্ন বর্ণ সমাজের সবচেয়ে ভক্তিবান মানুষ হলো তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষরা। তাদের কাছে ধর্মই সব। তাঁরা সব করতে পারেন কিন্তু ঠাকুর কে অবহেলা করেন না। তাঁরা শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের অত্যাচারের জন্যেই ধর্মান্তরিত হয়েছে এটা বিশ্বাস করেন কিভাবে❓ এটা তো গেলো পুরোনো যুগের কথা.... এবার এখনকার কথা বলি.... আচ্ছা বলুন তো, আমরা আমাদের পারিবারিক সূত্রে বা বন্ধুদের সূত্রে প্রায় প্রতিদিন নানান রকম খবর শুনি। যেমন- কারোর বিয়ে হয়েছে, কার...

বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথালয় এর সংযুক্তিকরণ

আমি কিছু ছোট ছোট old age home এবং orphan home এ গেছি এবং সেখানে গিয়ে মনে হয়েছে বৃদ্ধ মানুষগুলো তাঁদের পরিবারের ছোটো-ছোটো নাতি-নাতনীদের মিস করেন। আবার অনাথালয়ের orphan দের কাছে গিয়ে মনে হয়েছে তারা যদি দাদু ঠাকুমাদের মত কাওকে পেত, যারা তাদের একটু গল্প বলবে, মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের আদর করবে তাহলে তারাও হয়ত অনেকটা ভালো থাকত। তাই আমার মনে হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম ও orphan home যদি একই ছাদের নীচে করা সম্ভব হয় তাহলে ওইসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার যে কষ্ট, সেটা সামান্য হলেও লাঘব হবে। এবার আমি এটা নিয়ে কতটা ঠিক ভেবেছি বা এটা ইমপ্লিমেন্ট করা কতটা সম্ভব বা তার প্রতিবন্ধকতার জায়গা গুলো আমি সম্পুর্ন ওয়াকিবহল নই। সম্পূর্ণ একটা ইমোশনাল ভাবনা থেকে এটা আমি ম্যাডামকে জানিয়েছি। ম্যাডাম বা ডিপার্টমেন্ট এ যারা দীর্ঘদিন ধরে অনেক গুরুদায়িত্ব সামলেছেন তাঁদের সবার পর্বত সমান অভিজ্ঞতা। যদি তাঁরা এই ভাবনার মধ্যে কোনো পজিটিভ দিক আছে বলে মনে করেন এবং প্রাকটিক্যাল গ্রাউন্ডে এটা ইমপ্লিমেন্ট করা সম্ভব মনে করেন এবং এক ছাদের তলায় old age home এবং orphan home তৈরী করা...