দেবস্থানম্ বোর্ড সম্পর্কে জানেন কি? জানেন না!? আচ্ছা, দূর্গাপূজোর আগে রাস্তায় পিচের পট্টি আর ব্লিচিং পাউডারের দাগ তো নিশ্চয়ই দেখেছেন, কিন্ত ঈদের আগে এটা দেখা যায়না। কারণটা কি?🤔 কখনো ভেবে দেখেছেন!? দেখেননি!?
ঠিক আছে বুঝিয়ে বলছি।
মন্দিরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, সমন্বয়সাধন, এবং উন্নয়নের কথা বলে দেবস্থানম্ বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। বলা হয়েছিলো, মন্দিরগুলোতে আরো বেশি পর্যটক আসবে এবং মন্দিরগুলোর আরো বেশি লাভ হবে।
দেবস্থানম বোর্ডের সদস্য প্রায় 17-19 জন। দেবস্থানম্ বোর্ডের Head হলেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও থাকে- ADG (Law & Order), Tourism Department, Road Development Department, আর মন্দিরের কিছু প্রতিনিধি।
দেবস্থানম বোর্ডের আলোচনার বিষয়-
১| টাকাগুলো কোন খাতে কতটা বরাদ্দ করা হবে।
২| পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে কত টাকা বরাদ্দ করা হবে।
৩| কোনটা সংস্কার, কোনটা কুসংস্কার ..... পুজো আয়োজনের অনুমতি দেওয়া যাবি কি না, সেসব আলোচনা করা।
*বোর্ডের সর্বোচ্চ নেতা মুখ্যমন্ত্রী, তাই তার সিদ্ধান্তই সব, অন্যান্য সদস্যদের কথাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
*মন্দিরের উপার্জন 'অতিরিক্ত_বেশি' -এইকথা বলে রাজ্য সরকার ওই টাকা রাজ্যের উন্নতির কাজে ব্যবহার করে, যেমন- স্কুল তৈরী করা, সড়ক তৈরী করা, এমনকি সরকার সেটা মুসলমানদের কাজেও ব্যবহার করতে পারে। মন্দিরের ট্যাক্স তখন সরকারী টাকায় পরিণত হয়। তাই, সরকার এই টাকা দিয়ে যা খুশি করতে পারে।
*বোর্ডের মিটিংয়ে মন্দিরগুলোকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্দিরের টাকায়, মন্দিরের জমিতে সরকারি Infrastructure গড়ে তোলা হয়, তখন কিন্ত সেগুলো সরকারের সম্পত্তিতে পরিণত হয়। সেইসব নির্মাণকার্য থেকে হওয়া লাভ সরকারের, কিন্ত Tax দেবে মন্দির!
--যদি যথাযথভাবে লক্ষ্য করেন, তাহলে বুঝবেন হিন্দুদেরকে ক্রমশ দুর্বল করে দেওয়াই দেবস্থানম বোর্ডের লক্ষ্য।
আর্থিকভাবে হিন্দুদেরকে দুর্বল করাই