Skip to main content

আজ সংসদে যা হল

আজ সংসদের (রাজ্যসভা এবং লোকসভার) কার্যকলাপ 5+5 = 10 মিনিটের বেশি টিকলো না। আজ সংসদের অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন। সংসদের অধিবেশন শুরু হয়েছিল যথা সময়ে। কিন্ত অধিবেশন শুরু হওয়া মাত্রই বিরোধী দলের হৈ-হট্টগোলের কারণে অধিবেশন বন্ধ হয়ে যায়। সংসদের উভয় কক্ষেই এই একই ঘটনা ঘটে। বলা হয়- "সদনের কার্য দুপুর 02:00 পর্যন্ত স্থগিত রাখা হল"। দুপুর দুটোর পরে আবারও অধিবেশন শুরু হয়। কিন্ত আবারও 10 মিনিটের মধ্যেই সব শেষ।


কিন্ত কেনো হচ্ছে এমন? এর আগে কি হৈ-হট্টগোল হত না? এটাই কি প্রথম? মাত্র 10-15 জনের চিৎকারের জন্য যদি সংসদের এত মূল্যবান সময় নষ্ট হয়, তাহলে কাদের ক্ষতি?

ক্ষতি যে জনগণের এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর হৈ-হট্টগোল করার ঘটনাও এই প্রথম নয়, এর আগেও হৈ-হট্টগোল হত। কিন্ত সরকার পক্ষ কঠোর হাতে তা প্রতিরোধ করতো। কিন্ত গত 3 টে অধিবেশন থেকে সরকারের অন্যরকম অভিমত দেখা যাচ্ছে। সরকার পক্ষের অধিকাংশ সাংসদ ও মন্ত্রী সংসদে উপস্থিত হচ্ছেন না। ফলে একতরফা চিৎকার ও প্রতিরোধহীনতায় সংসদের কার্য বিঘ্নিত হচ্ছে।


এখন প্রশ্ন মাত্র 10-15 জনের চিৎকারের জন্য যদি সংসদের কার্য অচল হয় তবে বিলগুলো পাশ হয় কিভাবে? এর উত্তর - যেদিন বিল পাশ হয় সেদিন আগে থেকেই হুইপ জারি করে নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের আসতে অনুরোধ করা হয়। তাই সংসদে সরকার পক্ষের এক গর্জনেই বিরোধীরা মুতে ফেলে। সরকারপক্ষের "শেইমমমম্" (shame) বলা হোক বা টেবিল বাজানো কোনোটাই বিরোধীদের বুক কাঁপাতে বাকি রাখেনা। পাশাপাশি তর্ক করার জন্য তাবড় তাবড় নেতারা উপস্থিত থাকেন। ছোটখাট মন্ত্রীরাও সেদিন কিছু কম যাননা। অমিত শাহ্ তো বসেন, "क्या कह करी हो। हाम जान दे देंगै इसके लिए।"

সুতবাং পার্থক্যটা পরিস্কার। একটা aggressive mode, আরেকরা গা-ছাড়া মনোভাব। আজ যেই 15 জনের চিৎকারে সংসদের কার্য স্থগিত হয়ে গেল সেদিন 150 জনের চিৎকারেও সংসদের কার্য স্থগিত হয় না। আজ যা 5 মিনিটের চিৎকারেই স্থগিত হয়ে গেলো সেদিন তা 6-7 ঘন্টার বিতর্কের পরেও শেষ হয় না।

মিডিয়া রিপোর্টস্ অনুযায়ী আজ সংসদে বিল পাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত আদৌ কি বিল পাশ করানোর ইচ্ছা ছিল আজ? এই কয়েকজন সাংসদের ভরসায় যদি বিল পেশ করা হত তবে কি বিল আদৌ পাশ হত?

সংসদের কোনোকক্ষেই হাজির ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এবং কিছু উপমন্ত্রী। দুপুরের পর যখন আবার 02:00 থেকে সংসদের কার্য শুরু হয় তখন সংখ্যাটা আরও কমে যায়। সংসদে সরকারপক্ষের সাংসদদের উপস্থিতির হার এরকম হলে সরকারকে অধিবেশনের কার্য যে স্থগিত করতে হবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। আবারও হয় অধিবেশনের শেষ দিনে মাননীয় স্পিকার কেঁদে কেঁদে বলবেন, "বিরোধীরা সংসদের কার্য চালাতে দিল না। সংসদে কার্য চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সংসদের অধিবেশন বন্ধ করা হল।"

Popular posts from this blog

ছেলেরা কেন দিনদিন 'বৌদিবাজ' হয়ে উঠছে?

সমাজটা খুবই খারাপ দিকে যাচ্ছে। ছেলেরা এখন বৌদিবাজ হয়ে উঠেছে! তারা একবার করে প্রেমে ছেঁকা খাওয়ার পর আর অন্য কোনও প্রেমিকা জোটায় না, বৌদিদের সাথে গল্প করে। কারণ - ১| ধোঁকা খায় না ২| হৃদয়ে আঘাত লাগে না ৩| Break up 💔 বলে কিছু থাকে না ৪| অনেকটা Stunt বাজীর মতো, মাথায় কোনো চাপ নেয়ার দরকার পরে না  আর একটা বিষয় হলো এখন বেশিরভাগ ছেলে পড়াশোনা দিকে ব্যস্ত। তাই তাদের হাতেও বেশি সময় থাকে না। আবার বৌদিদের হাতেও বেশি সময় সীমিত। তাই একটা Understanding বজায় থাকে। আরেকটা জিনিস হল নতুন প্রেমিকারা যেরকম নানারকম চাপ দেয়। বৌদীরা অনেকটা বোঝে ব্যাপারগুলো। যেমন- ফাঁকা পকেট, কম সময়, Relation Public না করা... এসব জিনিস। সেই কারণে তারা এতটা চাপ দেয় না। অল্পবয়সী মেয়ের একটু জেদি হয়। তাই তারা অকারণেই ঝগড়া করে যা এমনিতেই চাকরি আর ভবিষ্যতের চিন্তায় চিন্তিত ছেলেদের ভালো লাগে না। তাই তারা বৌদিদের দিকেই ঝোঁকে। বিয়ে তো অবশ্য ভালো কোনো মেয়ে দেখেই করবে, তার আগের সময়টা অন্য দিকে দেয় - বৌদিদের সাথে আড্ডা মারে। বৌদিদের সাথে কথা বলে আর কিছু হোক বা না হোক মানসিক শান্তি আছে। আমার বৌদিবাজ বন্ধুদের জন্য 💖

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? কেন আমরা ব

রাষ্ট্রভক্ত বীরাঙ্গনা হীরা দে

 🌹💥🕉️ দুর্নীতিবাজদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত তার উদাহরণ আমাদের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা থেকে জানা যায়। এই শাস্তিও কোন রাজা বা সরকার দিয়েছিল না দিয়ে ছিল শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্যরা। 💢 1311 খ্রিস্টাব্দে, আলাউদ্দিন খিলজিকে জলোর দুর্গের গোপন কথা বলার জন্য পুরস্কার হিসাবে পাওয়া অর্থ নিয়ে ভিকা দাহিয়া আনন্দের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন।এত টাকা এই প্রথম দেখল। হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিল যুদ্ধ শেষ হলে এই টাকা দিয়ে একটা বিলাসবহুল প্রাসাদ তৈরি করে আরামে বসবাস করবে।প্রাসাদের সামনে ঘোড়া বাঁধা থাকবে, চাকর থাকবে।  তার স্ত্রী হীরা স্বর্ণ ও রৌপ্য গয়না দ্বারা সারা শরীর ঢাকা থাকবে। আলাউদ্দিন কর্তৃক জালোর কেল্লায় নিযুক্ত সুবেদারের দরবারে তিনি বড় মর্যাদার বিবেচিত হবেন।বাড়িতে পৌঁছে বিড়বিড় করে হেসে টাকার বান্ডিলটা বাড়িয়ে দিলেন স্ত্রী হীরা দে'র হাতে।  🌹স্বামীর হাতে এত টাকা এবং স্বামীর মুখ ও অভিব্যক্তি দেখে হীরাদে আলাউদ্দিন খিলজির সৈন্যদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কারণ বুঝতে পেরে জালোরের যুদ্ধে হতাশ হয়ে হঠাৎ জালোরের দিকে ফিরে যায়। হীরা দে বুঝতে পেরেছিলেন যে তার স্বামী ভিকা দাহিয়া তার জন্মভূমি জ