Skip to main content

জ্ঞানবাপী

জ্ঞানভাপি আজকাল খবরের শিরোনামে। কারণ সেখানে সার্ভে হচ্ছে | সে কারণে রাস্তা থেকে দৃশ্যমান জ্ঞানভাপির অংশ সবুজ পর্দা এবং হোর্ডিং দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে । সার্ভে টীম আসার সাথে সাথে বাইরের এলাকায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় | মুসলমানরা তাদের স্বভাবচরিত আচরণ শুরু করে | বাচ্চা-বুড়ো-মহিলা নির্বিশেষে, চাকুরে-বেকার নির্বিশেষে, শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে বিরোধ প্রদর্শন করে | এসবের জন্য ওরা সময়-পরিস্থিতি-পেটের ভাত-পকেটের পয়সা-ছেলেমেয়ের পড়াশোনা- মা বাবার চিকিত্সা কিছুর ধার ধারে না | শুনেছিলাম "খালি পেটে ধর্ম হয় না", কিন্তু অধর্ম-কুধর্ম হয়, সেটা বুঝতে ডানপন্থী হতে হয় না |

353 বছর আগে এই এলাকায় আজকের চেয়ে বেশি কোলাহল ছিল। ওরঙ্গজেবের সেনাবাহিনী কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভাঙার জন্য এই এলাকা অবরোধ করেছিল। সৈন্যদের অট্টহাসি আর মন্দির থেকে পালাতে থাকা মানুষের চিৎকার আজকের থেকে বেশি কোলাহলের সৃষ্টি করেছিল । তখন একজন পুরোহিত সাহস দেখালেন। তিনি স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেন । আজ তাঁর কাহিনী | 

1669 সালের 18 এপ্রিল, ওরঙ্গজেব বিশ্বনাথ মন্দির আক্রমণ করার জন্য একটি ফরমান জারি করে। তার বাহিনী মন্দিরটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মন্দিরে | কিন্তু মন্দিরের জ্যোতির্লিঙ্গটি আগুনের কবলে পড়েনি। কারণ সেদিন মন্দিরের মহন্তরা ভগবানকে রক্ষা করছিলেন। তিনজন মহন্ত আক্রমনকারীদের প্রতিহত করেন | আক্রমণকারী সেনাদের আসতে দেখে প্রধান মহন্ত শিবলিঙ্গ নিয়ে জ্ঞানভাপি কুণ্ডে ঝাঁপ দেন। আক্রমনকারীদের হাত থেকে জ্যোতির্লিঙ্গ কে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবন আহুতি দেন ওই কুণ্ডে | এই জ্ঞানবাপী কুন্ডের ছবি 1900 সালের আশেপাশে ক্যামেরায় ধরা পড়ে। লন্ডনের কে এম এ শেরিং-এর 'সেক্রেড সিটি অফ দ্য হিন্দুস' বইতেও এর উল্লেখ করা হয়েছে। ওরঙ্গজেবের সেনাবাহিনী স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গের ক্ষতি করতে ব্যর্থ হয়ে মন্দিরের বাইরে বসে থাকা ৫ ফুট উঁচু নন্দীমূর্তির ওপর হামলা চালায়। মূর্তির উপর অনেক আঘাত করা হয়েছিল কিন্তু নন্দী তাঁর স্থান থেকে সরেন নি। সর্বাত্মক চেষ্টার পর সেনারা পরাজিত হয় এবং নন্দীকে ছেড়ে চলে যায়। গত বছর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের সম্প্রসারণে করিডোরের অংশ হয়ে ওঠে 353 বছরের পুরনো জ্ঞানভাপি কুণ্ড। এটি এখন মন্দিরের সম্প্রসারণে করিডোরের একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। এই মূর্তিটি জ্ঞানবাপী মসজিদের পাশে। পোস্টের সাথে দেওয়া ২ নম্বর ছবিটা স্বাধীনতার আগের।

1669 সালের সেই ঘটনার পরেও আরো দু বার আক্রমন করা হয় এই মন্দির | মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর নির্লজ্জভাবে একটা মসজিদ বানিয়ে নেওয়া হয় | আস্তে আস্তে মূল মন্দিরের চারপাশের দেবীমন্দিরগুলোকেও গ্রাস করে মুসলমানরা | 1669 সালের 322 বছর পর এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে | হরিহর, সোমনাথ ও রামরঙ নামের তিনজন হিন্দু ১৯৯১ সালে জ্ঞানবাপিতে পূজার অনুমতি চেয়েছিলেন | আবেদনে বলা হয়, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে এখানে মন্দির তৈরি করেছিলেন মহারাজা বিক্রমাদিত্য | পুজো করার জন্য দেওয়ানী আদালতে মামলা করেছিলেন তাঁরা । এর মধ্যে হরিহর পান্ডে, সোমনাথ ব্যাস এবং রামরং শর্মা ছিলেন, যিনি সম্পূর্ণানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। আদালতে মামলা দায়েরের কয়েক বছর পর পণ্ডিত সোমনাথ ব্যাস ও রামরং শর্মা মারা যান। এখন এই মামলায় হরিহরকে পক্ষ হিসেবে রাখা হয়েছে । আজ যে আমরা জ্ঞানভাপি কে এত আলোচনা করছি, আজ যে আদালত সার্ভে করার অনুমতি দিচ্ছে, এই সবের মূল কারণ হলেন এই তিনজন মহন্ত | আমাদের সনাতন ধর্মে পুনর্জন্মের উল্লেখ আছে | অনেক মুখরোচক গল্প শোনা যায়, কিছু গল্প নিয়ে তো বেশ কতকগুলো সিনেমাও হয়েছে | আমার মনে হয় এনাদের গল্প বলতে বোধ হয় আমরা ভুলে গেছি | 

২০২১ সালে রাখি, লক্ষ্মী, সীতা, মন্জু এবং রেখা শ্রিংগার গৌরী মামলায় আবেদন করেছিলেন | তাঁরাও জ্ঞানভাপি কমপ্লেক্সে পূজার দাবি করেন | অর্থাৎ যে পিটিশনের পরে জ্ঞানবাপিতে সমীক্ষা করা হচ্ছে, তার আসল সূচনা ১৯৯১ সালেই। শ্রিংগার গৌরী মামলাটি ৭ মাস আগের হতে পারে, তবে এর ভিত্তি 1669 সালের দিকে। যখন আওরঙ্গজেব কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভাঙার নির্দেশ দেন। বিএইচইউ-এর অধ্যাপক ডাঃ রাজীব শ্রীবাস্তব -এর মতে ১৯৯১ সালের সেই মামলার কারণেই আজ জ্ঞানভাপি খবরের শিরোনামে | 

ওরঙ্গজেব কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন বলে জনসমক্ষে আলোচনা রয়েছে। ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, এগুলোর নির্মাণ ও পুনর্গঠন সম্পর্কিত অনেক কাহিনী রয়েছে। ইতিহাস বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক ডঃ রাজীব শ্রীবাস্তব বলেছেন, "বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণের সাথে সম্পর্কিত অনেক তথ্য রয়েছে। ১৫৮৫ সালে, আকবরের নয়টি রত্নগুলির মধ্যে একটি, রাজা টোডরমল কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন৷ এর পরে 1669 সালে আওরঙ্গজেব কাশীর মন্দিরগুলি ধ্বংস করার নির্দেশ দেন এবং এটিকে একটি মসজিদের আকার দেন ৷ 

1669 সালের আগস্ট মাসে, ঘোষণা করা হয় যে মসজিদটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং তার জায়গায় একটা নতুন মসজিদ তৈরী করা হয়েছে। ওরঙ্গজেবের এই আদেশের একটি কপি এখনও কলকাতার এশিয়াটিক লাইব্রেরিতে রাখা আছে। ওরঙ্গজেবের সময়ের লেখক সাকি মুস্তাইদ খান তার 'মাসিদে আলমগিরি' গ্রন্থেও এই আদেশের কথা উল্লেখ করেছেন। ইতিহাসবিদ এলপি শর্মার বই 'মধ্যযুগীয় ভারত' -এর 232 পৃষ্ঠায় মন্দির ভেঙে ফেলা এবং অন্যান্য ধর্মীয় ভবন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে |  ঐতিহাসিক এলপি শর্মা তার 'মধ্যযুগীয় ভারত' বইয়ের 232 নম্বর পৃষ্ঠায় লিখেছেন 1669 সালে, সমস্ত সুবেদারকে হিন্দু মন্দির ও বিদ্যালয় ধ্বংস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর মনিটরিংয়ের জন্য আলাদা বিভাগও তৈরি করা হয়েছিল । এই আদেশের পর বানারসের কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, মথুরার কেশবদেব মন্দির, পাটনের সোমনাথের মতো বড় মন্দির ভেঙে ফেলা হয়। এবং তাদের জায়গায় অন্যান্য ধর্মীয় ইমারত নির্মিত হয়েছিল।

মা শ্রিংগার গৌরীর মামলায় যে মহিলারা পিটিশন দাখিল করেন তারা বলছেন, মা শ্রিংগার গৌরী আমাদের আরাধ্য দেবী, তাঁর পূজা আমাদের অধিকার। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত মা শ্রিংগার গৌরীর নিয়মিত পুজো হত। সীতা সাহু, বিশ্ব বৈদিক সনাতন ধর্ম সংঘের সদস্য, শ্রিংগার গৌরী মামলার আবেদনকারী।  তিনি বলেন, "মা শৃঙ্গার গৌরী আমাদের আরাধ্য দেবতা। তাঁর পূজা করার অধিকার আমাদের আছে। যখন 1992 সাল পর্যন্ত মা শ্রিংগার গৌরীর নিয়মিত দর্শন-আরাধনার অনুমতি ছিল। তাহলে এখন কেন নয় ?গনেশ, হনুমান, নন্দী সহ বহু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে এই জ্ঞানভাপি মন্দিরের পরিসরে | 

26 এপ্রিল, 1991 সালে দায়ের করা পিটিশনগুলির উপর জ্ঞানভাপি ক্যাম্পাসে সমীক্ষার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এরই মধ্যে পূজা স্থান আইন অনুমোদন করেছে সংসদ। এই আইনে এখানে বলা হয়েছে যে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আগে যে কোনো ধর্মের উপাসনালয় গড়ে উঠেছিল তাকে অন্য কোনো ধর্মের উপাসনালয়ে পরিণত করা যাবে না। কেউ এটা করলে তাকে ১ থেকে ৩ বছরের জেল ও জরিমানা দিতে হবে। স্বাধীনতার পর থেকেই অযোধ্যা রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদ মামলা বিচারাধীন ছিল। তাই মামলাটি এ আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। 

1991 সালের পর 6 বার লাইমলাইটে এসেছে জ্ঞানবাপী মসজিদ
1991: মসজিদ পরিচালনা কমিটি হাইকোর্টে এই পিটিশনকে চ্যালেঞ্জ করে।
1993: এলাহাবাদ হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়।
2018: সুপ্রিম কোর্ট 6 মাসের জন্য স্থগিতাদেশের বৈধতা বহাল রাখে।
2019: এই মামলার শুনানি আবার শুরু হয় বারাণসী আদালতে।
2021: ফাস্ট ট্র্যাক আদালত জ্ঞানভাপির প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ(সার্ভে) অনুমোদন করেছে।
2022: জ্ঞানভাপি মসজিদে সমীক্ষা চালানো হয়েছে।

জ্ঞানভাপি মসজিদের এই স্কেচটি (ছবি নম্বর ৩) 1834 সালে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান জেমস প্রিন্সেপ তৈরি করেছিলেন। স্কেচটিতে বেনারসের বিশ্বেশ্বর মন্দিরের কিছু অংশ দেখানো হয়েছে, যা ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এতে মসজিদের বড় গম্বুজ এবং এর বাইরের প্রান্তে ভাঙা অংশে বসে থাকা লোকজনকে দেখা যায়। এই ভাঙা অংশের মূল প্রাচীরটি এখন জ্ঞানবাপী মসজিদে দাঁড়িয়ে আছে। লন্ডনের ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে রাখা কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের এই মানচিত্রটিও তৈরি করেছিলেন জেমস প্রিন্সেপ। এই মানচিত্রে মাঝখানে কাশী বিশ্বেশ্বর মন্দিরের গর্ভগৃহ দেখানো হয়েছে। এর ওপর ইংরেজিতে লেখা হয়েছে মহাদেব। এর চারপাশে আরও কিছু মন্দির রয়েছে। মানচিত্রে অঙ্কিত বিন্দুযুক্ত রেখাটি বিদ্যমান মসজিদ দ্বারা দখলকৃত মন্দিরের অংশ দেখায়। এই মানচিত্রটি 1832 সালে প্রস্তুত করা হয়েছিল।  ব্রিটিশ আমলেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলেন ৫ ফুট নন্দী (ছবি নম্বর ৪) |  কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের এই ছবিটি তোলা হয়েছিল 1890 সালে (ছবি নম্বর ৫)। ছবিতে জ্ঞানবাপী কুণ্ডের সামনে স্থাপিত নন্দীর মূর্তি এবং তার ঠিক পাশেই তৈরি মন্দিরে বসে থাকা পুরোহিতকে দেখা যায়। ইতিমধ্যে, ব্রিটিশ সরকার কাশীতে তার উত্তরের সদর দপ্তর তৈরি করছিল।  ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে নির্মিত জ্ঞানভাপি কুণ্ডে প্রতিদিনের পূজায় অংশ নিতে প্রচুর পুরোহিত জড়ো হয়েছেন। ছবির ডান পাশে বিশাল নন্দী মূর্তি দেখা যায়। জ্ঞানবাপী কুণ্ডের ঠিক পিছনে উপরের দিকে তাকালে মসজিদের সামান্য অংশও দেখা যায়। ছবিটি 1880 সালের।

গত ৬ মে জ্ঞানভাপি মসজিদে জরিপ চালায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। এর আগে জ্ঞানবাপী ক্যাম্পাসের বাইরে শত শত মানুষের ভিড় জমে যায়। পুরো এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে আইবি দল মোতায়েন করেছে প্রশাসন। এছাড়া আধাসামরিক বাহিনী ও পিএসিকেও স্ট্যান্ডবাই মোডে রাখা হয়েছে।  
✍️ অনিন্দ্য নন্দী


Popular posts from this blog

ছেলেরা কেন দিনদিন 'বৌদিবাজ' হয়ে উঠছে?

সমাজটা খুবই খারাপ দিকে যাচ্ছে। ছেলেরা এখন বৌদিবাজ হয়ে উঠেছে! তারা একবার করে প্রেমে ছেঁকা খাওয়ার পর আর অন্য কোনও প্রেমিকা জোটায় না, বৌদিদের সাথে গল্প করে। কারণ - ১| ধোঁকা খায় না ২| হৃদয়ে আঘাত লাগে না ৩| Break up 💔 বলে কিছু থাকে না ৪| অনেকটা Stunt বাজীর মতো, মাথায় কোনো চাপ নেয়ার দরকার পরে না  আর একটা বিষয় হলো এখন বেশিরভাগ ছেলে পড়াশোনা দিকে ব্যস্ত। তাই তাদের হাতেও বেশি সময় থাকে না। আবার বৌদিদের হাতেও বেশি সময় সীমিত। তাই একটা Understanding বজায় থাকে। আরেকটা জিনিস হল নতুন প্রেমিকারা যেরকম নানারকম চাপ দেয়। বৌদীরা অনেকটা বোঝে ব্যাপারগুলো। যেমন- ফাঁকা পকেট, কম সময়, Relation Public না করা... এসব জিনিস। সেই কারণে তারা এতটা চাপ দেয় না। অল্পবয়সী মেয়ের একটু জেদি হয়। তাই তারা অকারণেই ঝগড়া করে যা এমনিতেই চাকরি আর ভবিষ্যতের চিন্তায় চিন্তিত ছেলেদের ভালো লাগে না। তাই তারা বৌদিদের দিকেই ঝোঁকে। বিয়ে তো অবশ্য ভালো কোনো মেয়ে দেখেই করবে, তার আগের সময়টা অন্য দিকে দেয় - বৌদিদের সাথে আড্ডা মারে। বৌদিদের সাথে কথা বলে আর কিছু হোক বা না হোক মানসিক শান্তি আছে। আমার বৌদিবাজ বন্ধুদের জন্য 💖

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? কেন আমরা ব

রাষ্ট্রভক্ত বীরাঙ্গনা হীরা দে

 🌹💥🕉️ দুর্নীতিবাজদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত তার উদাহরণ আমাদের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা থেকে জানা যায়। এই শাস্তিও কোন রাজা বা সরকার দিয়েছিল না দিয়ে ছিল শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্যরা। 💢 1311 খ্রিস্টাব্দে, আলাউদ্দিন খিলজিকে জলোর দুর্গের গোপন কথা বলার জন্য পুরস্কার হিসাবে পাওয়া অর্থ নিয়ে ভিকা দাহিয়া আনন্দের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন।এত টাকা এই প্রথম দেখল। হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিল যুদ্ধ শেষ হলে এই টাকা দিয়ে একটা বিলাসবহুল প্রাসাদ তৈরি করে আরামে বসবাস করবে।প্রাসাদের সামনে ঘোড়া বাঁধা থাকবে, চাকর থাকবে।  তার স্ত্রী হীরা স্বর্ণ ও রৌপ্য গয়না দ্বারা সারা শরীর ঢাকা থাকবে। আলাউদ্দিন কর্তৃক জালোর কেল্লায় নিযুক্ত সুবেদারের দরবারে তিনি বড় মর্যাদার বিবেচিত হবেন।বাড়িতে পৌঁছে বিড়বিড় করে হেসে টাকার বান্ডিলটা বাড়িয়ে দিলেন স্ত্রী হীরা দে'র হাতে।  🌹স্বামীর হাতে এত টাকা এবং স্বামীর মুখ ও অভিব্যক্তি দেখে হীরাদে আলাউদ্দিন খিলজির সৈন্যদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কারণ বুঝতে পেরে জালোরের যুদ্ধে হতাশ হয়ে হঠাৎ জালোরের দিকে ফিরে যায়। হীরা দে বুঝতে পেরেছিলেন যে তার স্বামী ভিকা দাহিয়া তার জন্মভূমি জ