দাড়িভিটের স্ফুলিঙ্গ থেকে ভাষা আন্দোলনের প্রদীপ জ্বালাতে আমরা ব্যর্থ

আগেকার যুগে পতাকা কি গেরুয়া রঙের হতো? সেখানে কি ॐ থাকতো? নাকি লাল, হলুদ আর সাদা রঙের হত?

একটু কেমন খটকা লাগছিল, তাই গুগল সার্চ করলাম। সত্যিই কি সনাতনের চিহ্ন শুধুমাত্র গৈরিক? সত্যিই কি গেরুয়া রঙ ই হিন্দুত্বের প্রতীক? তাহলে হলুদ রাঙানো কাপড়ের এত গুরুত্ব কেনো হিন্দু ধর্মে?

অনেকের মতে, আগে মানুষ বেশিরভাগ জিনিস নিজেই বাড়িতে রঙ করতো। পতাকা বা দৈবিক কোনো জিনিস লাল ও হলুদ রঙ দিয়েই ছাপা হতো। হলুদ আর লাল- দুই মিলেই সনাতন। আর ঐ দুটো মিলেই গেরুয়া রঙ হয়।

কারো কারো মতে, হলুদ রঙের পতাকাও নাকি গৈরিক ধ্বজ ছিল। হলুদ রঙে রঙিন পতাকাও নাকি গেরুয়া। তবে এই যুক্তিকে মানা যায় না। হলুদ আর গেরুয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। 

তবে যুগের প্রয়োজন আর পরিবর্তন আমাদেরকে সব ভুলিয়ে দেয়। যুগের প্রয়োজনে আমরা গৈরিক ধ্বজ কে আপন করে নিয়েছি। আর ভুলে গেছি হলুদ কিংবা লাল কে। তবে আজও মন্দিরে লাল এবং হলুদ রঙের ধ্বজ ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়। 

অধুনা যে ধরনের পতাকা বা ধ্বজ ব্যবহৃত হয় প্রাচীনকালে পতাকা ঠিক এরকম ছিল না। মহাভারতের মহারথীদের ধ্বজের বর্ণনা থেকে সে সম্পর্কিত ধারণা পাওয়া যায়-

 অতীতের পতাকা সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে চাইলে -

https://tamilandvedas.

একইরকম একটি  উদাহরণ দেওয়া যায়- ভারতমাতা ও অখণ্ড ভারতবর্ষ 

>মাথা উপরে থাকা মুসলমান দেশ ও নিচের ছোটো দ্বীপপুঞ্জ গুলো বাদ চলে গেছে। ওগুলোর দরকার নেই। ওগুলো সাথে এখন ভারতের কোন সম্পর্কের কথা চিন্তাও করতে পারবেন না।

যেটুকু একটু আধটু ছিলো সেটুকুও ভুলে যাও। "অখণ্ড ভারতবর্ষ " এখন শুধুমাত্র ভারত।

বাংলাদেশটাও বাদ। কয়েকদিন পরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অরুণাচলের কথাও ভুলে যেতে হতে পারে।

একইরকম ভাবে নিচের ছবিগুলো লক্ষ্য করুন। দেবতাদের হাতে যদি 'তেরঙ্গা'।

পরবর্তী প্রজন্মের কেও যদি প্রশ্ন করে, দেবতাদের হাতে তেরঙ্গা এলো কীভাবে? ভগবানের জন্ম কি 1947 এর পর? উত্তর দিতে পারবেন তো? পাকিস্তান বা বাংলাদেশের হিন্দুরা কি উত্তর দেবে?