Skip to main content

⚙ সংসদের কার্যাপ্রণালী ⚙

⚙ সংসদের কার্যাপ্রণালী ⚙

সংসদের সময় - 11:00 - 06:00 
|-> প্রশ্নকাল (11:00 -12:00)
|-> শূন্যকাল (12:00 - 01:00)
|-> Lunch Break ( 01:00- 02:00)
|-> প্রস্তাবের চর্চা 02:00 - 06:00

🔰প্রশ্নকাল (11:00 -12:00) :-
--------------------------------------

প্রশ্নকালে যারা প্রশ্ন করতে চাই, তাদেরকে সেইসব প্রশ্নের পূর্বসূচনা দশ দিন আগে সংসদের আধিকারিক ( অধ্যক্ষ/ উপাধ্যক্ষ/ মহাসচিব) কে দিতে হয়। 

এতে চার ধরনের প্রশ্ন করা যায়-

১| তারাঙ্কিত প্রশ্ন (Oral Question)

* একজন সদস্য অধিকতম 5 টি Oral Question করতে পারেন 
* একদিনে সর্বোচ্চ 20 টি oral প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়। সময় বিভাজনের কারনে এর বেশি উত্তর দেওয়া সম্ভব হয় না।
* বিরোধীরা সরকার পক্ষকে এইসব প্রশ্ন করে থাকেন। 

কোনো প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যদি সেই সম্পর্কেই আরও কিছু স্পষ্ট তথ্য পাওয়ার জন্য ওই বিষয়েই প্রশ্ন করা হয়, তখন তাকে পূরক প্রশ্ন বলা হয় ।

২| অতারাঙ্কিত প্রশ্ন 

* একদিনে সর্বোচ্চ 230 টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়। 
* বিরোধীরা সরকার পক্ষকে এইসব প্রশ্ন করে থাকেন। 
* এতে সরকারের কাছ থেকে বিরোধীরা লিখিত উত্তর দাবি করে। এবং সরকার যথাসম্ভব লিখিত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করে।

৩| অল্প সূচনামূলক প্রশ্ন :-

হঠাৎ কোনো কিছু ঘটলে মহাসচিব কে সূচনা দিয়ে এই প্রশ্ন করা হয়। 

৪| সরকার পক্ষের সাধারণ সাংসদরা এই সময় সরকারের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করেন।

* Oral question answer
* সরকার পক্ষের সাংসদ সরকার পক্ষের মন্ত্রীদেরকে এইসব প্রশ্ন করেন।

🔰 শূন্যকাল (12:00- 01:00)

শূন্যকালে যারা প্রশ্ন করতে চাই, তাদেরকে সেইসব প্রশ্নের পূর্বসূচনা আগে থেকে সংসদের আধিকারিক ( অধ্যক্ষ/ উপাধ্যক্ষ/ মহাসচিব) কে দিতে হয় না। তারা সরাসরি প্রশ্ন করতে পারেন। 

🔰LUNCH BREAK (01:00 - 02:00)

🔰চর্চা (02:00 - 06:00) :-
----------------------------------
** বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়
*** প্রস্তাব পাশ করানো হয় এই সময়ে 
ক) বিশেষাধিকার প্রস্তাব 
খ) অবিশ্বাস প্রস্তাব 
গ) কটোতি প্রস্তাব 
ঘ) নিন্দা প্রস্তাব 
ঙ) স্থগণ প্রস্তাব 
চ) কাজ বন্ধের পতর

○বিশেষাধিকার প্রস্তাব:- যখন অর্ধেক তথ্য দেওয়া হয়, তখন এটি আনা হয় সম্পূর্ণ তথ্য জানার জন্য।

○দৃষ্টি আকর্ষন প্রস্তাব :- সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের 
যে কোনা সদস্য এই প্রস্তাব আনতে পারেন। সেই সম্বন্ধিত মন্ত্রীকে এই সূচনা দিতে হয়।

○কার্য স্থগণ প্রস্তাব:- সম্পূর্ণ সব বিষয়ের আলোচনা ছেড়ে emergency ভাবে এই আলোচনা শুরু হয়। তবে এই প্রস্তাব আনার জন্য 50 সদস্যের সহমতি দরকার।
* এই প্রস্তাব পাশ হলে একটানা 2 ঘন্টা ওই বিষয়ের উপর চর্চা হয়।

○ অল্পকালীন চর্চা: 
*2ঘন্ট চর্চা হয়
*Normal Serious matter এর আলোচনা হয় অল্পকালীন চর্চায়
*সপ্তাহে তিন দিন সময় দেয় অধ্যক্ষ 

○আধাঘন্টা চর্চা :- 
*সময় আধ ঘন্টা
*সপ্তাহে তিন দিন এই ধরনের আলোচনার সুযোগ দেন অধ্যক্ষ 

○ধন্যবাদ প্রস্তাব:-
রাষ্ট্রপতির অভিভাষনের পরে এই ধন্যবাদ প্রস্তাব পাশ করা হয়। এর জন্য 50% সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন।

ধন্যবাদ প্রস্তাব পাশ করাতে না পারলে মন্ত্রী পরিষদের মন্ত্রীদেরকে পদত্যাগ করতে হয়। কিন্ত লোকসভা ভঙ্গ হয় না বা নতুনভাবে নির্বাচনও করতে হয় না।

○নিন্দা প্রস্তাব:- যখন কোনো সরকার ভালো কাজ করছে না,  তখন আনা হয় নিন্দা প্রস্তাব। এর জন্য 50% সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন।

নিন্দা প্রস্তাব পাশ করাতে পারলে মন্ত্রী পরিষদের মন্ত্রীদেরকে পদত্যাগ করতে হয়।

○ বিশ্বাস প্রস্তাব (Floor Test) :- 

বিশ্বাস মত বা বহুমত প্রমাণ করা প্রয়োজন পড়ে।
* অবিশ্বাস প্রস্তাব আনা হয় লোকসভায়।
* একটি অধিবেশনে একবারই এই প্রস্তাব আনা যায়। 
* 50 জন সদস্যের হস্তান্তর ছাড়া অধ্যক্ষ রাজি হন না।
* 10 দিনের মধ্যেই অবিশ্বাস প্রস্তাব চর্চা করার জন্য অধ্যক্ষের উপর চাপ দেয় বিপক্ষ 
* অবিশ্বাস প্রস্তাব পাশ হলে দ্বিতীয়বার নির্বাচন হয়।

* প্রথম অবিশ্বাস প্রস্তাব আনা হয়েছিল 1963 তে J. B. Kripalini এর বিরুদ্ধে জওহরলাল নেহেরুর বিরুদ্ধে। কিন্ত নেহেরু বিশ্বাসমত প্রমাণ করেন।
* মোট 27 বার অবিশ্বাস প্রস্তাব আনা হয়েছিল 
* সর্বাধিক অবিশ্বাস প্রস্তাব (15 বার) আনা হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধির বিরুদ্ধে, কিন্ত লাভ হয়নি।
* 4 বার বিশ্বাস পায় নি
a) চৌধুরী চরণ সিং
 b) ভি পি সিং 
c) চন্দ্রশেখর 
d) অটল বিহারী বাজপেয়ী (1 টা ভোটে হার)

○কাটোতি প্রস্তাব:- 

কোনো প্রস্তাব পাশ করানোর সময় সরকার ওই প্রস্তাবের কিছু কিছু অংশ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আর বিরোধীদের কাজ ওই কেটে বাদ দেওয়া অংশের উপর আলোকপাত করা। তাই ওই অংশের উপর আবার আলোচনার প্রস্তাব রাখা হয়। এটাই কটোতি প্রস্তাব।

●এতো কিছু পড়ে confused হয়ে গেলেন, তাইতো!? এতো চিন্তার কিছু নেই! আমরা সহজ কথায় আলোচনাকে দুটো ভাগে ভাগ করতে পারি।
১| লাঞ্চের আগে বিরোধীদের প্রশ্নের সময় (2 ঘন্টা)
২| লাঞ্চের পরে সরকারের উত্তর দেওয়ার ও নতুন প্রস্তাব পাশ করানোর সময় ( 4 ঘন্টা)

লাঞ্চের পরে খেয়ে-দেয়ে এসে বিরোধীরা চুপচাপ বসে পড়ে। তখন থেকে শুরু হয় সরকারের আসল কাজ। বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগের জবাব লাঞ্চের আগে যা দেওয়ার দেয়, তারপর আবার আঝোড়া বাঁশ দিতে শুরু করে লাঞ্চের পরে। এই বাঁশ দেওয়ার পাশাপাশিই এই সময়েই পাশ করানো হয় গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি। যেমন- দুপুর 02:30 তে পেশ করা হয়েছিল 370 ধারা শেষ করার প্রস্তাব। সংসদের অধিকাংশ প্রস্তাব পাশ করার জন্য ভোটাভুটি হয় ঠিক - 4 টে বা 5 টার দিকে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে 2019 এর পরপর 5 টি বিল পাশ করানোর কথা। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সময় ছিল একই।

● এখন প্রশ্ন, বর্তমানে সরকার বিল বা প্রস্তাব পাশ করাতে পারছে না কেনো!? আমার উত্তর সরকার কোনো বিল নিয়ে  সংসদে হাজিরই হয় না, তো পাশ করাতে কোথা থেকে?
( https://prsindia.org/billtrack )
এখানে দেখে নেবেন সরকার কোনো বিল পাশ করানোর জন্য সংসদকে inform করেনি। স্পিকারের অবহেলার কারনে কোনো বিল আটকে নেই। অর্থাৎ, সরকারের বিল পাশ করানোর কোনো ইচ্ছাই নেই।
 
●সরকার অজুহাত দিচ্ছে বিরোধীদের হাঙ্গামার কারণে সরকার বিল পাশ করাতে পারছে না। আসলে তা সর্বৈব মিথ্যা। বিরোধীরা হাঙ্গামা করে সাধারণত সকাল 11 টা থেকে। কারণ সবাই পূর্বসূচনা না দিয়ে সরকারের কাছে উত্তর চায়। যাতে স্পিকার অনুমতি দেননি, তাই হাঙ্গামা হয়। তাছাড়া এই হাঙ্গামা কিছুটা পূর্ব-পরিকল্পিত। এই হাঙ্গামার কারনে ক্ষতি হয় বিপক্ষের। তারা সরকারের কাছে কোনো প্রশ্ন করতে পারে না। অবশ্য তাদের কোনো কিছুই জানার ইচ্ছা নেই, পুরোটাই অভিনয়। কিন্ত সরকার কি করছে?

●আপনি জানলে অবাক হবেন, দুপুরের লাঞ্চ-ব্রেকের পরে বিশেষ কোনো মন্ত্রী আর সংসদ ভবনে হাজির হননা। কারণ-
১| বিরোধী নেতারা কোনো প্রশ্ন করেননি, তাই বিশেষ কিছু উত্তর দেওয়ার নেই।
২| যদি কেও কোনো প্রশ্ন করে থাকেন তাহলে উপ-মন্ত্রীকে দিয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয় কিংবা মন্ত্রী মহাশয় পরেরদিন লিখিত উত্তর দিয়ে দেন।
৩| কোনো বিল পেশ করার জন্য সরকার নির্দেশ দেননি। তাই সংসদে বসে থাকার অর্থ বেকার,  সময় নষ্ট করা।

এবার দু-একদিন হুইপ জারি করে সকলকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়-
১| কোনো বিল পাশ করানোর থাকলে
২| প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি এলে। কিংবা বিদেশী রাষ্ট্র_নেতারা সংসদ পরিদর্শন করতে এলে

তাই সংসদ জুড়ে এখন ছুটির আমেজ!

Popular posts from this blog

হিন্দু বিরোধী, বৈষম্যমূলক OBC আইন

২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসে। আর তারপরই রাজ্যের তথাকথিত পিছিয়ে পড়া (?) মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য কল্পতরু হয়ে ওঠেন মমতা ব্যানার্জি। মুসলিমদের জন্য নানা রকম সুযোগ সুবিধা দিতে থাকেন। আর সেই সময় চুপিসারে ২০১২ সালে পাস হয়ে যায় একটি আইন- “ The West Bengal Backward Classes (Other than Scheduled Castes and Scheduled Tribes) (Reservation of Vacancies in Services and Posts) Act, 2012,”  🔴কি ছিল সেই আইনে? আইন অনুযায়ী OBC ( Other Backward Classes ) কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়; OBC-A এবং OBC-B । আর এইভাবে রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ঢালাও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ দিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই সংরক্ষণ দেওয়া হয় পিছিয়ে পড়া হিন্দুদের কোটার ভাগ কেটে। এখানে উল্লেখযোগ্য, OBC-তে হিন্দুরা যে সংরক্ষণের সুবিধা লাভ করতেন, তা পিছিয়ে পড়ার মাপকাঠিতে। তাছাড়া, সংরক্ষণ তালিকায় তাদের জাতির সঙ্গে হিন্দু কথা লেখা থাকতো না। কিন্তু OBC-A এবং OBC-B ক্যাটাগরিতে  যাদের পিছিয়ে পড়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে তাদের জাতির পাশে পরিষ্কার ‛মুসলিম’ কথা...

𝒯𝒽𝑒 𝐻𝒾𝓃𝒹𝓊𝓉𝓋𝒶 𝒟𝒶𝒾𝓁𝓎

||হিন্দুত্বের সারাদিন ||   ১|  জনপ্রিয়তার নিরিখে রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে ফের শীর্ষে মোদি, বলছে মার্কিন সমীক্ষা। মর্নিং কনসাল্টের সমীক্ষা অনুযায়ী, ১২ রাষ্ট্রপ্রধানকে পিছনে ফেলে জনপ্রিয়তার নিরিখে এবারও একনম্বরে নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ঝুলিতে ৭৭ শতাংশ জনপ্রিয়তা।  আমেরিকার সংস্থা মর্নিং কনসাল্ট বিভিন্ন দেশের প্রধানদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সমীক্ষা করে। ৭ দিন অন্তর সমীক্ষা করেন তারা। এবারের সমীক্ষাতেও মোদির মুকুটে নয়া পালক জুড়েছে। এবারের তালিকায় একনম্বরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (৭৭ শতাংশ), দ্বিতীয় স্থানে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওবারডার (৬৩ শতাংশ), তৃতীয় স্থানে ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। সাত নম্বরে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২| "সিনেমাটার জন্য তো সমাজ ভেঙে ২ টুকরো হয়ে যাবে!'' The Kashmir Files-নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ নানা পটেকরের (Support link- https://dainik-b.in/NGBwPX0Wvob )

Parallel Government in Hindu Rastra

অনেকেই এখনও confusion এ আছেন। ব্যাপারটা পরিষ্কার করে দিই। আপনাদের কি মনে হয়? বিনা বাক্যে মুসলমানদের হাতে আফগানিস্তান ছেড়ে দিয়ে এসেছিলো হিন্দুরা? কি মনে হয় বিনা যুদ্ধেই বালোচিস্তান মুসলমানদের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলো? কোনো প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ছাড়াই মুসলমানরা হিন্দুদের দেশগুলো দখল করেছে? কোনো প্রতিবাদ হয়নি? কোনো প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি?  পোস্ট টা লেখার আগে ভাবছিলাম লেখার আদৌ দরকার আছে কি না? জ্ঞানপাপীরা এসব সমস্ত কিছুই জানে, তবুও মানে না। আসলে অন্ধের চেয়েও অন্ধ হওয়ার ভান করে যারা তারা কিছুই দেখতে পায় না। অনেকেরই ধারণা হিন্দুরা হয়তো বিনা যুদ্ধেই মুসলমানদের হাতে আফগানিস্তান ছেড়ে দিয়ে এসেছিলো হিন্দুরা। বিনা যুদ্ধেই হিন্দুরা মুসলমানদের হাতে বালোচিস্তান ছেড়ে দিয়ে এসেছিলো? এমন ধারণা যে সর্বৈব মিথ্যা তার প্রমান-  1. https://youtu.be/VSIyCwVQRio 2. https://youtu.be/VSIyCwVQRio 3. https://youtu.be/re8txYC56vo এখন প্রশ্ন, হিন্দুরা আফগানিস্তান, বালোচিস্তান ছেড়ে আসতে বাধ্য হলো কেন? এর উত্তর রাজশক্তির পতনের সাথে সাথেই হিন্দুদের পতন। ধরুন একজন হিন্দু রাজা কোনো মুসলমান রাজার সাথে পরাজিত হল...