Skip to main content

বাল্যবিবাহের কারন ও ফলাফল

 বাল্যবিবাহ কি?


সাধারণত বাল্যবিবাহ হল যৌবনে পৌঁছানোর আগেই বাল্য অবস্থায় বিবাহ। কিন্তু বর্তমানে বাল্যবিবাহের ধারণা কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে সরকারী উদ্যোগে বিবাহের জন্য নির্দিষ্ট বয়সের সীমানা বেধে দেয়া হয়। সরকারের বেঁধে দেওয়া ওই নির্দিষ্ট বয়সের সীমানার নিচে যে বিবাহ হয় সেটা হল বাল্যবিবাহ। বর্তমান বয়স সীমানা অনুযায়ী পাত্র ২১ বছর এবং পাত্রী ১৮ বছরের কম বয়সী হলে সেটা বাল্যবিবাহ।


বিবাহের ক্ষেত্রে এই বয়স সীমানা ক্রমশ বাড়ছে। এই বিবাহের বয়স বেঁধে দেওয়া শুরু হয় ইংরেজি আমল থেকে। 1872 সালে পাশ হওয়া The Native Marriage Act 1872 অনুসারে মেয়েদের বিবাহের বয়স ছিল ১৪ বছর এবং ছেলেদের বিবাহের বয়স ছিল ১৮ বছর। পরবর্তীতে ব্রিটিশ আমলে পাশ হওয়ার Child Marriage Restraint Act 1929 (Sarda Act.) অনুসারে ছেলেদের ক্ষেত্রে এই বয়স ছিল ১৮ বছর এবং মেয়েদের ১৪ বছর। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে 1949 সালে এই বয়স সংশোধন করা হয়। তখন মেয়েদের বিবাহের পরে ছয় ১৫ বছর এবং ছেলেদের ১৮ বছরই থাকে। 1978 সালে এটি পুনরায় সংশোধন করা হয়। তখন ছেলেদের বিবাহের বয়স হয় ২১ বছর এবং মেয়েদের ১৮ বছর। তখন থেকে এই নিয়মে চলে আসছে। তবে সরকার পুনরায় বিবাহের বয়স পরিবর্তন করার কথা ভাবছে। সম্ভবত মেয়েদের বিবাহের বয়স হতে চলেছে ২১ বছর। যাই হোক সমাজে বাল্যবিবাহ প্রধানত দুইভাবে হতে পারে-

১) পরিবারের সম্মতিতে অনুষ্ঠান করে

২) পাত্র-পাত্রীর সম্মতিতে পালিয়ে বিয়ে। 

এই দুই বিষয়ের মধ্যে আবার আমরা পরিবারের সম্মতিতে অনুষ্ঠিত কন্যার বাল্যবিবাহের বিরোধী। কিন্ত, কেন পরিবারের পক্ষ থেকে অল্প বয়সে বিবাহ দেওয়া হয়?


১| হঠাৎ উত্তম পাত্রের সন্ধান মেলা :- প্রথমত বেশিরভাগ উঠতি মেয়েকে হঠাৎই কোনো আত্মীয় বলে বসতে পারে, তাহলে আমার ছেলের সাথে আপনার মেয়ের বিয়ে দেন। আর এতে যদি সে প্রস্তাব যথাযথ হয়। তার আর্থিক পরিস্থিতির মাপকাঠিতে সে যদি সুযোগের পাত্র হয় তবে অজ্ঞানী কেন সজ্ঞানেও মেয়ের বাবা পাপ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় কেশবচন্দ্র সেনের কথা। তিনি নিজে বাল্যবিবাহ বিরোধী প্রচার করতেন। অথচ সুযোগের পাত্রের পেয়ে তিনি তার কন্যার বিবাহ দেন কোচবিহারের রাজার সাথে মাত্র ১৩ বছর বয়সে। সুতরাং সুযোগের পাত্রের সন্ধান পেলে যে কোনও পিতা গলে যায়।


২| কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার দায় মুক্তি : অনেক মতে কন্যা হল দায়। তাই অনেকেই সেই দায় থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে চান। বিশেষত সেই পিতা-মাতার যদি ২ এর অধিক সন্তান থাকে। তবে সে অবশ্যই একে একে সবার খুব দ্রুত বিবাহ দিতে চান। এ বিষয়ে তার যুক্তি, "যদি হঠাৎই আমি মারা যায়, তাহলে এদের কি হবে?"


৩| উপযুক্ত বাসস্থান: এছাড়াও পরিবারের সকলের থাকার যায়গার অভাবের কারনে, খোলা স্থানে স্নান, সৌচ, পোষাক পরিবর্তন কিংবা পরিবারের সবার থাকার উপযুক্ত ঘর না থাকা। সকলের এক যায়গায় থাকা এসব কারনেও বাল্যবিবাহ হয়। কারণগুলো শ্রুতি কটু হলেও এটাও অনেক বড় কারণ।  পরিবারগুলো একটু একটু করে স্বপ্ন বোনে, সেই স্বপ্নের স্বচ্ছলতার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এইরকম দারিদ্রতা।  খনন বাবা চাইলেও মেয়েকে ধরে রাখতে পারেন না, বিয়ে দিতেই হয়।


৪|পরিবারের ইজ্জত বাঁচানো : ভারতীয় সমাজ বিবাহের পূর্বে বন্ধুত্ব ব্যতীত অন্য কোনোরকম সম্পর্ককে মেনে নিতে পারে না। উঠতি বয়সে কোনো ছেলে বন্ধু যদি বেশি ঘন ঘন যাতায়াত করে বা ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে তখন পরিবার আগে থেকেই সতর্ক হয়ে পূর্ব-সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে বিবাহ সম্পর্কের দিকে পা বাড়ায়।


৫| কন্যার বিপথ গমন : সমস্ত মেয়েরা innocent নয়। কিছু Dangerous মেয়েও আছে। যারা প্রেম, নেশা, টাকা কপচানো, ধোকাবাজী, উন্মত্ত Reels maker... ইত্যাদি। যদিও এদের বাগে আনা যায় না। তবুও বাবা-মা এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। যদি কোনোভাবেই সম্ভব না হয়, তখনই বিয়ে দিয়ে শান্ত করার ব্যবস্থা করা হয়।


৬|পাঠে অমনযোগীতা/ স্কুল থেকে ঝড়ে পড়া : যাদের পড়াশোনায় মন বসে না। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফেল করলে তাদেরকেও অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।


৭| ভাই বোনের সারাক্ষণ ঝামেলা : অনেক ক্ষেত্রেই ভাই বোনের মধ্যে সারাক্ষণ ঝামেলা, গন্ডগোল চলতে থাকে।। ভাই-বোনের মধ্যে প্রতিদিন এভাবে ঝামেলার চললে এসব থামানোর উপায় হিসেবেও বিয়েকে বেছে নেওয়া হয়।


৮| অর্থাভাব : পরিবার খুবই দরিদ্র হলে। খাওয়া-পড়ার সংস্থান না হলেও পরিবার বিবাহ দিয়ে দেয়। আবার খুব ধনী হলেও বয়সের তোয়াক্কা না করেই কন্যার/পুত্রের বিবাহ দিয়ে দেওয়া হয়।


৯| মৌলবাদী মানসিকতা : মৌলবাদীদের মতে অল্প বয়সে মেয়েদের বিবাহ দিলে তারা ধার্মিক হয়। স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ত হয়। পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হয়। কথার অবাধ্য হয় না। তাই মৌলবাদী চিন্তাধারার মানুষেরা সব সময় বিয়ের জন্য অল্পবয়সী মেয়ে খোঁজে। এছাড়াও কুমারীত্বও (Verginity) তাদের অন্যতম চাহিদা।


১০|সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা : পরিবারের কন্যার যাতায়াতের পথে বখাটে ছেলের আড্ডা মারা, দূরে স্কুল-টিউসনে যাতায়াতের পথে তাদের অগণিত বাধা, বাড়ির পাশের মাতালের কু-নজর, পাড়ার প্রতিবেশীদের কুনজর পড়লে পরিবার কন্যাকে নিয়ে অসুরক্ষিত অনুভব করেন। তাই এই পরিবেশ থেকে দূরে অন্যত্র সরিয়ে দিতে চান। তাই উপায় হিসেবে বিবাহ কে বেছে নেওয়া হয়।


১১| শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব : পরিবারের অনেকেই বিবাহ পরবর্তী গর্ভধারণ সংক্রান্ত সমস্যাকে গুরুত্ব দিতে চান না। তাই এরকম বড় সমস্যাকে উপেক্ষা করেই কন্যার বিবাহ দেন। 


১২| বিবাহ আইন সম্পর্কে না জানা/ মানা : কিছু গ্রাম্য অঞ্চলে এখনও বিয়ের বয়স বলে নির্দিষ্ট কোনও বয়সকে মানা হয় না। তাদের মতে মেয়ে যৌবনে পা দিয়েছে মানেই বছর দুয়েকের মধ্যে মেয়ের বিয়ে দাও। এই হিসেবে বিয়ের বয়স 15/16/17।


১৩|প্রচলিত সামাজিক কু-প্রথা : সমাজের কোন কু-প্রথা অনুযায়ী অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়, সেটা আমার জানা নিই। তবে সবাই যখন বলছে সমাজে প্রচলিত কুপ্রথার কারনে অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেটাও হবে নিশ্চয়ই।


১৪| অভিভাবকহীনতা : বাবা/ মা অভিভাবক হিসেবেও কেউ একজন না থাকলে তখন সম্পূর্ণ দায়িত্ব একজন উপর বর্তায়। আবার বাবা-মা দুজনেই না থাকলে এটা কাকা/জ্যাঠা/মামা/পিসির দায়িত্ব। এক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় তারা আরো বেশি তাড়াতাড়ি এই দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেতে চায়। তাই তারা অভিভাবকহীন সন্তানদের বিবাহ দিয়ে তার জীবনকে আরো সহজ করে তুলতে চায়।

এই হল মেয়েদের বাল্যবিবাহের কারণ। কিন্তু এই আলোচনাটি বড্ড একপ্রসে হয়ে গেল। আমাদের সমাজে মেয়েদের বাল্যবিবাহ নিয়ে আলোচনা করা হলেও ছেলেদের নিয়ে আলোচনা করা হয় না। সরকার ছেলেদের বাল্যবিবাহ রোধে ততটা সক্রিয় নয়। কিন্ত, এর কারণ কি? 

মেয়েরা গর্ভধারণ করে। সন্তান প্রসবের সময় অনেকেই মারা যায়। তাই তাদের বিষয়ে সরকারকে সংসদে জবাব দিতে হয়। অন্যদিকে, ছেলেরা গর্ভধারণ করে না। তাই তাদের মৃত্যু হয় না। সেই কারণেই কি এই অবহেলা? যাইহোক এবার ছেলেদের অল্প বয়সে বিবাহের কারণগুলো জানা যাক-


১| প্রেমের আবেগ: অনেক ছেলে অল্প বয়সে প্রেমে পড়ে এবং তাদের প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চায়। এই ছেলেরা মনে করে যে, একমাত্র ওই প্রেমিকাকেই বিবাহ করলে সে সুখী হবে। তাই তারা তাদের এই অবুঝ প্রেমকে আরও এগিয়ে নিয়ে একটি পারিবারিক সম্পর্কের রূপ দেয়। পালিয়ে বিবাহ করে।


২| পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া: যেসব ছেলেদের পড়াশোনায় মন বসে না। পরীক্ষায় বার বার ফেল করতে করতে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। এরপর নিজেই নিজের খরচ চালানোর মতো উপার্জন করতে আরম্ভ করে। তখন তাদেরকেও অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়।


৩| নিজের মর্জি মতো চলা: ছেলেরা উঠতি বয়স  অনেকেইি নিজের মর্জি মতো চলতে আরম্ভ করে। তারা বাবা মাকে মান্য করে না। নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আরম্ভ করে। এ অবস্থায় তারা নিজেই বিবাহ করে নেয় বা বিবাহ দেওয়ার জন্য পরিবারের উপর চাপ দেয়।


৪| বাবা-মা কে বিশ্রাম দেওয়া: অনেকে এটা মনে করে ছেলের বিয়ে দিলে বাবা মায়ের পরিশ্রম কমে যাবে। তাই এই বিশ্বাসে অনেকেই অল্প বয়সে ছেলের বিবাহ করে। এতে বাবা-মা উভয়ই তাদের কাজে সাহায্য করার মত একজনকে পেয়ে যান। 


৫| অর্থনৈতিক কারণ: বড় পরিবারে অনেকগুলো ভাই-বোন হলে অনেক ক্ষেত্রে বাবা ছেলের বিবাহ দিয়ে তাদেরকে এটি আলাদা সংসারে পৃথক করে দেন। ফলে তারা তাদের মত একটি নিজস্ব পরিবার তৈরি করে জীবন যাপন করে। ফলে মূল পরিবারের উপর চাপ কমে যায়।


বাল্যবিবাহের ফলাফল:


শিক্ষা থেকে বঞ্চিত: বাল্যবিবাহের শিকার শিশুরা প্রায়ই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। কারণ, বিয়ের পর তারা গৃহস্থালির কাজ এবং সন্তানপালনের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকে। ফলে তাদের লেখাপড়ার সুযোগ কমে যায়। 

স্বাস্থ্যঝুঁকি: বাল্যবিবাহের কারণে শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। কারণ, তাদের দেহ যৌন মিলনের জন্য শারীরিকভাবে প্রস্তুত হয় না। ফলে তারা প্রজনন স্বাস্থ্য সমস্যা, গর্ভপাত, মৃত সন্তান প্রসব, অকাল মৃত্যু ইত্যাদির ঝুঁকিতে থাকে।

যৌতুকের শিকার: বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে যৌতুকের লেনদেন একটি সাধারণ ঘটনা। যৌতুকের জন্য মেয়েদের পরিবারকে অর্থ, সম্পত্তি বা অন্যান্য মূল্যবান জিনিস দিতে হয়। ফলে মেয়েদের পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটে।

নারী নির্যাতন: বাল্যবিবাহের কারণে নারী নির্যাতনের হার বৃদ্ধি পায়। কারণ, অল্প বয়সে বিয়ে হওয়া মেয়েরা শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল থাকে। ফলে তাদের উপর স্বামী, পরিবারের সদস্যদের দ্বারা নির্যাতনের ঝুঁকি বেশি থাকে।


দায়িত্ব পালনে অক্ষমতা:  বিবাহের পর যে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয়, অল্প বয়সী বালক বালিকারা অনেকেই তা পালন করতে সক্ষম হয় না। সেটা পরিবারের কাজকর্ম করা হোক কিংবা, উপার্জন করে পরিবার পরিপোষন দুটো ক্ষেত্রে ব্যর্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কারণে অনেক পরিবার ভেঙে যায় বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে।


মানসিক পরিবর্তন :  অনেকেই কম বয়সে আবেগের বসে বিবাহ করে। কিন্তু বিয়ের পর যখন তাদের মোহ কেটে যায় তখন তাদেরকেও মধ্যে আবার মানসিক পরিবর্তনে দেখা যায়। তখন কেও কেও পড়াশোনার জীবনে ফিরে যেতে চায়, কেউবা বাবা মায়ের কাছে ফিরে যেতে চায়, বন্ধু বান্ধবের সাথে সময় কাটাতে চায়। স্কুল জীবনকে miss করে। কিন্তু সাংসারিক বন্ধনের কারনে তারা ফিরতে পারে না। তখন সেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের মধ্যে মানসিক যন্ত্রণা দেখা দেয়।


উপসংহার 


সরকার চাইছে ফুলগুলো কলি অবস্থায় না তুলে বড় হয়ে ফোটার পর তোলা হোক। কুঁড়ি তুললে প্রত্যেক মালির ই রাগ হয়। তারা চান ফুলগুলো প্রস্ফুটিত হোক নিজের আনন্দে। মাঝে ভ্রমর এসে মধু খেয়ে যায় যাক, তাতে মালির আপত্তি নেই। বক্তব্য একটাই, তুলোনা কলি, ফুটতে দাও ফুলগুলি। 


সাধারণত ১৬-১৭ বছরের বিয়ের সময় মেয়েদের চেহারা থাকে হালকা । তবে সরকার চাই আগে মেয়েরা শারীরিকভাবে শক্তপোক্ত হোক, তবেই বিয়ে। 



ছেলেপুলেরা দিনদিন যেভাবে বৌদি-লাভার হয়ে উঠছে তাতে ভালোই হল। বিয়ের বয়স টা 18 এর বদলে 20 করে দিলেই ভালো। তাহলে ততদিনে ফুলগুলো সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হয়ে যাবে। এর পাশাপাশি যৌনতা নিয়ে যে জরতা, যে আরষ্টতা থাকে সেটাও কেটে যাবে। তবে ছেলে যদি আবার বৌদি-লাভার না হয়ে Seal-lover হয়, তাহলে বিপদ!😜

Popular posts from this blog

হিন্দু বিরোধী, বৈষম্যমূলক OBC আইন

২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসে। আর তারপরই রাজ্যের তথাকথিত পিছিয়ে পড়া (?) মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য কল্পতরু হয়ে ওঠেন মমতা ব্যানার্জি। মুসলিমদের জন্য নানা রকম সুযোগ সুবিধা দিতে থাকেন। আর সেই সময় চুপিসারে ২০১২ সালে পাস হয়ে যায় একটি আইন- “ The West Bengal Backward Classes (Other than Scheduled Castes and Scheduled Tribes) (Reservation of Vacancies in Services and Posts) Act, 2012,”  🔴কি ছিল সেই আইনে? আইন অনুযায়ী OBC ( Other Backward Classes ) কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়; OBC-A এবং OBC-B । আর এইভাবে রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ঢালাও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ দিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই সংরক্ষণ দেওয়া হয় পিছিয়ে পড়া হিন্দুদের কোটার ভাগ কেটে। এখানে উল্লেখযোগ্য, OBC-তে হিন্দুরা যে সংরক্ষণের সুবিধা লাভ করতেন, তা পিছিয়ে পড়ার মাপকাঠিতে। তাছাড়া, সংরক্ষণ তালিকায় তাদের জাতির সঙ্গে হিন্দু কথা লেখা থাকতো না। কিন্তু OBC-A এবং OBC-B ক্যাটাগরিতে  যাদের পিছিয়ে পড়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে, সেখানে তাদের জাতির পাশে পরিষ্কার ‛মুসলিম’ কথা...

𝒯𝒽𝑒 𝐻𝒾𝓃𝒹𝓊𝓉𝓋𝒶 𝒟𝒶𝒾𝓁𝓎

||হিন্দুত্বের সারাদিন ||   ১|  জনপ্রিয়তার নিরিখে রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে ফের শীর্ষে মোদি, বলছে মার্কিন সমীক্ষা। মর্নিং কনসাল্টের সমীক্ষা অনুযায়ী, ১২ রাষ্ট্রপ্রধানকে পিছনে ফেলে জনপ্রিয়তার নিরিখে এবারও একনম্বরে নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ঝুলিতে ৭৭ শতাংশ জনপ্রিয়তা।  আমেরিকার সংস্থা মর্নিং কনসাল্ট বিভিন্ন দেশের প্রধানদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সমীক্ষা করে। ৭ দিন অন্তর সমীক্ষা করেন তারা। এবারের সমীক্ষাতেও মোদির মুকুটে নয়া পালক জুড়েছে। এবারের তালিকায় একনম্বরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (৭৭ শতাংশ), দ্বিতীয় স্থানে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট লোপেজ ওবারডার (৬৩ শতাংশ), তৃতীয় স্থানে ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। সাত নম্বরে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২| "সিনেমাটার জন্য তো সমাজ ভেঙে ২ টুকরো হয়ে যাবে!'' The Kashmir Files-নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ নানা পটেকরের (Support link- https://dainik-b.in/NGBwPX0Wvob )

Parallel Government in Hindu Rastra

অনেকেই এখনও confusion এ আছেন। ব্যাপারটা পরিষ্কার করে দিই। আপনাদের কি মনে হয়? বিনা বাক্যে মুসলমানদের হাতে আফগানিস্তান ছেড়ে দিয়ে এসেছিলো হিন্দুরা? কি মনে হয় বিনা যুদ্ধেই বালোচিস্তান মুসলমানদের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলো? কোনো প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ছাড়াই মুসলমানরা হিন্দুদের দেশগুলো দখল করেছে? কোনো প্রতিবাদ হয়নি? কোনো প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি?  পোস্ট টা লেখার আগে ভাবছিলাম লেখার আদৌ দরকার আছে কি না? জ্ঞানপাপীরা এসব সমস্ত কিছুই জানে, তবুও মানে না। আসলে অন্ধের চেয়েও অন্ধ হওয়ার ভান করে যারা তারা কিছুই দেখতে পায় না। অনেকেরই ধারণা হিন্দুরা হয়তো বিনা যুদ্ধেই মুসলমানদের হাতে আফগানিস্তান ছেড়ে দিয়ে এসেছিলো হিন্দুরা। বিনা যুদ্ধেই হিন্দুরা মুসলমানদের হাতে বালোচিস্তান ছেড়ে দিয়ে এসেছিলো? এমন ধারণা যে সর্বৈব মিথ্যা তার প্রমান-  1. https://youtu.be/VSIyCwVQRio 2. https://youtu.be/VSIyCwVQRio 3. https://youtu.be/re8txYC56vo এখন প্রশ্ন, হিন্দুরা আফগানিস্তান, বালোচিস্তান ছেড়ে আসতে বাধ্য হলো কেন? এর উত্তর রাজশক্তির পতনের সাথে সাথেই হিন্দুদের পতন। ধরুন একজন হিন্দু রাজা কোনো মুসলমান রাজার সাথে পরাজিত হল...