Skip to main content

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের লোকসংগীত

 🇮🇳🧑🏻‍🎤🎶 ভারতের রাজ্যের লোকসংগীত 🎶🧑🏻‍🎤🇮🇳

(Folk music of Indian states)



✍️ রাজ্যঃ অন্ধ্র প্রদেশ

👉 লোকসঙ্গীত: সুভভি পাতালু, অগ্গু কথা, মাদিগা দাপ্পু, মালা জামিদিকা ।


✍️ রাজ্যঃ অরুণাচল

👉 লোকসঙ্গীত: বারবি, নিওগা, জা-জিন-জা জা-জিন-জা, ।


✍️ রাজ্যঃ আসাম

👉 লোকসঙ্গীত: বিহু, বদ, কার্বি, মিসিং, টিকির।


✍️ রাজ্যঃ উত্তর প্রদেশ

👉 লোকসঙ্গীত: কাজরি, রসিয়া, বিরহা, কবির বাণী, চৈতি, কাজনী গজল, থুমন, খেয়াল, মার্সিয়া, কাওয়াল ।


✍️ রাজ্যঃ উত্তরাখণ্ড

👉 লোকসঙ্গীত: থাদিয়া, ঝোরাসিকিমলু খাংথামো, ঘা তো কিতো, মণ্ডল, পানভারস, ঝোদা ও থাড্যা।


✍️ রাজ্যঃ ওড়িশা

👉 লোকসঙ্গীত: অবন্তী, পাঁচালী, ওদ্রমাগধি।


✍️ রাজ্যঃ কর্ণাটক

👉 লোকসঙ্গীত: জনপদগিথি, ভবগীতি, করদিমজল, যক্ষগান।


✍️ রাজ্যঃ কেরালা

👉 লোকসঙ্গীত: কথাকলি সঙ্গীত, মাপিলা পাট্টু, সোপানম, ওপ্পানা এবং কোল কালি। অট্টমথুল্লালের গান।


✍️ রাজ্যঃ গুজরাট

👉 লোকসঙ্গীত: গর্বা, ভজন, ডিওর ও লোকওয়ার্তা, কবির বাণী, মার্সিয়া ফাত্তানানা, কচ্ছের সিদি।


✍️ রাজ্যঃ গোয়া

👉 লোকসঙ্গীত: দেখনি, ফুজিদি, ধলো, মান্দো।


✍️ রাজ্যঃ ছত্তিশগড়

👉 লোকসঙ্গীত: পান্ডবনী, সামহার, বিহাও, সু, গৌনরো, খুদুও পাঠান, কুয়াশা, সাভানি, চের চের, দোহে, ভোজানি।


✍️ রাজ্যঃ ঝাড়খন্ড

👉 লোকসঙ্গীত: দোহারি, দমকচ, জননী, ঝুমার, ঝুমতা, মর্দানা দাইধারা, পহিল সানহা, অধরাতিয়া এবং ভিনসানা।


✍️ রাজ্যঃ তামিল নাড়ু

👉 লোকসঙ্গীত: পাদলগাল, নাটুপুরা, কুম্মী পাটু পুলয়ার, মেলোডিয়াস, তালামস্, পন্ন।


✍️ রাজ্যঃ তেলেঙ্গানা

👉 লোকসঙ্গীত: ওগুকথা, শারদা কালা, সুভি পাতালু।


✍️ রাজ্যঃ ত্রিপুরা

👉 লোকসঙ্গীত: যাদুনি বা সর্বাঙ্গ, শামানুমান, কুচুক হা স্কাম, গোরিয়া রেমন, রেজার লিভা, ওয়েইং খিমারি ইত্যাদি।


✍️ রাজ্যঃ নাগাল্যান্ড

👉 লোকসঙ্গীত: হেলিয়ামলেউ, হেরেলিউ, নিউলেউ, হেকিয়ালিউ।


✍️ রাজ্যঃ পশ্চিমবঙ্গ

👉 লোকসঙ্গীত: বাউল, রামপ্রসাদী, বিষ্ণুপুরী শাস্ত্রীয়, কীর্তন, শ্যামা সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি, দ্বিজেন্দ্রগীতি, প্রভাত সংগীতা, আগমণি-বিজয়া, পটুয়া সঙ্গীত, গম্ভীরা, ভাটিয়ালি, ভাটিয়ালি, পটুয়া সঙ্গীতের মতো একাধিক দেশীয় সঙ্গীত ধারা। .


✍️ রাজ্যঃ পাঞ্জাব

👉 লোকসঙ্গীত: ভাংরা, যুগনি, টপ্পা, সিথনিয়ান, ছন্দ, হেরা, লরিয়ান।


✍️ রাজ্যঃ বিহার

👉 লোকসঙ্গীত: সোহার, সুমঙ্গলি, রপনিগীত, কাটনিগীত ইত্যাদি।


✍️ রাজ্যঃ মণিপুর

👉 লোকসঙ্গীত: খুবাকেশেইগোয়ামান্ড, ফুঘরী, বানভড়, খুল্লং এসার।


✍️ রাজ্যঃ মধ্য প্রদেশ

👉 লোকসঙ্গীত: আলহা, রেলো, লেহ, পাই, নির্গুনি লাবনী, শ্রীনগরী লাবনী, ইত্যাদি।


✍️ রাজ্যঃ মহারাষ্ট্র

👉 লোকসঙ্গীত: পোবারা, লাবনী, পাভোদাস, অভঙ্গ গন্ধাল এবং তামাশা।


✍️ রাজ্যঃ মিজোরাম

👉 লোকসঙ্গীত: বউ হলা, হলাদো, দর হলা, পুপুন হলা।


✍️ রাজ্যঃ মেঘালয়

👉 লোকসঙ্গীত: ফাওয়ার, ব্যালাড এবং ভার্সেস।


✍️ রাজ্যঃ হরিয়ানা

👉 লোকসঙ্গীত: যোগস্, ভাটস্ ও সংগীস্।


✍️ রাজ্যঃ হিমাচল

👉 লোকসঙ্গীত: ঝুর, লামন, সংস্কর, আইনচালিয়ান।


✍️ রাজ্যঃ রাজস্থান

👉 লোকসঙ্গীত: পানিহারি গান, মান্ড গান, পাবুজি কি পাওচ, মাঙ্গানিয়ান, ল্যাঙ্গাস মেরে।


✍️ রাজ্যঃ সিকিম

👉 লোকসঙ্গীত: সুরেলা লেপচা, ঘা টো কিতো।


কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলঃ

✍️ দিল্লি (রাজধানী)

👉 লোকসঙ্গীত: দিল্লির ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত দিল্লি ঘরানা নামে পরিচিত, যা হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং সুফি সঙ্গীতের এক অনন্য মিশ্রণ।


✍️ জম্মু ও কাশ্মীর 

👉 লোকসঙ্গীত: সুরমা, চকরী, হাফিজ নাগমা, লাদিশাহ, সুফিয়ানা কালাম।


✍️ লাদাখ

👉 লোকসঙ্গীত: লাদাখের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের মধ্যে রয়েছে দমন, সুরনা এবং পিওয়াং (শেহনাই এবং ড্রাম) বাদ্যযন্ত্র।  সংস্কৃত এবং তিব্বতি ভাষায় মন্ত্র উচ্চারণ লাদাখি সঙ্গীতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


✍️ আন্দামান নিকোবর

👉 লোকসঙ্গীত: আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের লোকসংগীতের একটি বিশিষ্ট রূপ হল "ডুগার" সঙ্গীত, যা স্থানীয় উপজাতিদের দ্বারা পরিবেশিত হয়।  ডুগার মিউজিকটি "ডুগেরা" বা "ঢোল" নামে একটি ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র দ্বারা উত্পাদিত ছন্দময় বীট দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যা একটি বড় ব্যারেল আকৃতির ড্রাম।


✍️ চণ্ডীগড়

👉 লোকসঙ্গীত: বিয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক গান আছে যেমন সুহাগ (কনে সম্পর্কিত), ঘোরিয়ান এবং সেহরা (বর সম্পর্কিত)।  বিভিন্ন ধরনের গানের মধ্যে রয়েছে সুহাগ, ঘোরিয়ান, কোলিয়ান, টপ্পে, সিথনিয়ান, চাঁদ, হেয়ার, লরিয়ান এবং আরও অনেক কিছু।


✍️ দাদরা ও নাগর হাভেলী 

👉 লোকসঙ্গীত: ধোদিয়া, নায়কা এবং দুবলা সম্প্রদায়ের লোকেরা উৎসব এবং বিয়েতে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজায়। আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য সঙ্গীত এবং নৃত্য করা ঐতিহ্যের একটি অংশ। তর্পা একটি বায়ু যন্ত্র, ঘাংরি একটি স্ট্রিং যন্ত্র যা লাউ দিয়ে তৈরি। এটি গল্প বলার সময় ওয়ারলি সম্প্রদায় ব্যবহার করে। তুর বা ড্রাম কাদামাটি এবং চামড়া দিয়ে তৈরি এবং থালি হল একটি পিতলের থালা যা স্ট্রাইকারের সাথে তাল বাদ্যযন্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়।


✍️ দমন ও দিউ

👉 লোকসঙ্গীত: সানজারি হল দিউ দমনের লোকসংগীত, এতে নয়জন শিল্পী রয়েছে।  এটিতে মাছি সম্প্রদায়ের মাছি গীত, রোপানি গীত যা ভাল ফসলের পরে গাওয়া হয় এবং খেজুরি গানের মতো অনুষ্ঠানও রয়েছে যা তারা খেজুরি গাছের সাথে সম্পর্কিত আবেগ প্রকাশ করে, যা তাদের জীবিকা নির্বাহের উত্স।


✍️ লাক্ষাদ্বীপ

👉 লোকসঙ্গীত: লাক্ষাদ্বীপের একটি জনপ্রিয় লোকগানের ধারার নাম "কোলকালি।"  কোলকালি হল একটি প্রাণবন্ত এবং ছন্দময় দলগত নৃত্য যা পুরুষ ও মহিলা উভয়ের দ্বারাই সম্পাদিত হয়, যার সাথে ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র যেমন উদুক্কু (একটি ড্রাম), ইলাথালাম (করতাল), এবং ভালানথালা (এক ধরনের হ্যান্ডহেল্ড ড্রাম)।


✍️ পন্ডিচেরি

👉 লোকসঙ্গীত: পন্ডিচেরির সঙ্গীত ও নৃত্য মূলত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের দক্ষিণী শৈলীর একটি সম্প্রসারণ।  প্রধান নৃত্যের ধরনগুলি হল ভরতনাট্যম এবং কুচিপুডি যেখানে সঙ্গীতের কর্ণাটিক শৈলী হল প্রচলিত সঙ্গীত ঐতিহ্য।


ছবি: ইন্টারনেট

Popular posts from this blog

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? কেন আমরা ব

ছেলেরা কেন দিনদিন 'বৌদিবাজ' হয়ে উঠছে?

সমাজটা খুবই খারাপ দিকে যাচ্ছে। ছেলেরা এখন বৌদিবাজ হয়ে উঠেছে! তারা একবার করে প্রেমে ছেঁকা খাওয়ার পর আর অন্য কোনও প্রেমিকা জোটায় না, বৌদিদের সাথে গল্প করে। কারণ - ১| ধোঁকা খায় না ২| হৃদয়ে আঘাত লাগে না ৩| Break up 💔 বলে কিছু থাকে না ৪| অনেকটা Stunt বাজীর মতো, মাথায় কোনো চাপ নেয়ার দরকার পরে না  আর একটা বিষয় হলো এখন বেশিরভাগ ছেলে পড়াশোনা দিকে ব্যস্ত। তাই তাদের হাতেও বেশি সময় থাকে না। আবার বৌদিদের হাতেও বেশি সময় সীমিত। তাই একটা Understanding বজায় থাকে। আরেকটা জিনিস হল নতুন প্রেমিকারা যেরকম নানারকম চাপ দেয়। বৌদীরা অনেকটা বোঝে ব্যাপারগুলো। যেমন- ফাঁকা পকেট, কম সময়, Relation Public না করা... এসব জিনিস। সেই কারণে তারা এতটা চাপ দেয় না। অল্পবয়সী মেয়ের একটু জেদি হয়। তাই তারা অকারণেই ঝগড়া করে যা এমনিতেই চাকরি আর ভবিষ্যতের চিন্তায় চিন্তিত ছেলেদের ভালো লাগে না। তাই তারা বৌদিদের দিকেই ঝোঁকে। বিয়ে তো অবশ্য ভালো কোনো মেয়ে দেখেই করবে, তার আগের সময়টা অন্য দিকে দেয় - বৌদিদের সাথে আড্ডা মারে। বৌদিদের সাথে কথা বলে আর কিছু হোক বা না হোক মানসিক শান্তি আছে। আমার বৌদিবাজ বন্ধুদের জন্য 💖

রাষ্ট্রভক্ত বীরাঙ্গনা হীরা দে

 🌹💥🕉️ দুর্নীতিবাজদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত তার উদাহরণ আমাদের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা থেকে জানা যায়। এই শাস্তিও কোন রাজা বা সরকার দিয়েছিল না দিয়ে ছিল শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্যরা। 💢 1311 খ্রিস্টাব্দে, আলাউদ্দিন খিলজিকে জলোর দুর্গের গোপন কথা বলার জন্য পুরস্কার হিসাবে পাওয়া অর্থ নিয়ে ভিকা দাহিয়া আনন্দের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন।এত টাকা এই প্রথম দেখল। হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিল যুদ্ধ শেষ হলে এই টাকা দিয়ে একটা বিলাসবহুল প্রাসাদ তৈরি করে আরামে বসবাস করবে।প্রাসাদের সামনে ঘোড়া বাঁধা থাকবে, চাকর থাকবে।  তার স্ত্রী হীরা স্বর্ণ ও রৌপ্য গয়না দ্বারা সারা শরীর ঢাকা থাকবে। আলাউদ্দিন কর্তৃক জালোর কেল্লায় নিযুক্ত সুবেদারের দরবারে তিনি বড় মর্যাদার বিবেচিত হবেন।বাড়িতে পৌঁছে বিড়বিড় করে হেসে টাকার বান্ডিলটা বাড়িয়ে দিলেন স্ত্রী হীরা দে'র হাতে।  🌹স্বামীর হাতে এত টাকা এবং স্বামীর মুখ ও অভিব্যক্তি দেখে হীরাদে আলাউদ্দিন খিলজির সৈন্যদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কারণ বুঝতে পেরে জালোরের যুদ্ধে হতাশ হয়ে হঠাৎ জালোরের দিকে ফিরে যায়। হীরা দে বুঝতে পেরেছিলেন যে তার স্বামী ভিকা দাহিয়া তার জন্মভূমি জ