Skip to main content

হিমালয় পর্বত না থাকলে ভারতবর্ষের আবহাওয়া কেমন হতো?

 হিমালয় পর্বত ভারতবর্ষের আবহাওয়াকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। এটি ভারতবর্ষকে উত্তরের ঠান্ডা বাতাস থেকে রক্ষা করে এবং দক্ষিণের উষ্ণ বাতাসকে আটকে রাখে। এই কারণে, ভারতবর্ষের আবহাওয়া সাধারণত উষ্ণ এবং আর্দ্র থাকে।

হিমালয় পর্বত না থাকলে, ভারতবর্ষের আবহাওয়া অনেকটাই আলাদা হত। উত্তরের ঠান্ডা বাতাস ভারতবর্ষের সমগ্র অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারত। ফলে, ভারতবর্ষের আবহাওয়া অনেক বেশি ঠান্ডা হত। দক্ষিণের উষ্ণ বাতাসও ভারতবর্ষের সমগ্র অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারত। ফলে, ভারতবর্ষের আবহাওয়া অনেক বেশি শুষ্ক হত।

নির্দিষ্টভাবে, হিমালয় পর্বত না থাকলে ভারতবর্ষের আবহাওয়া নিম্নরূপ হত:

  • উত্তর ভারত: উত্তর ভারতের আবহাওয়া অনেক বেশি ঠান্ডা হত। শীতকালে তাপমাত্রা শূন্যের নিচে নেমে যেতে পারত। গ্রীষ্মকালেও তাপমাত্রা বেশি উঁচুতে উঠত না।
  • দক্ষিণ ভারত: দক্ষিণ ভারতের আবহাওয়া অনেক বেশি শুষ্ক হত। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কমে যেত।
  • মধ্য ভারত: মধ্য ভারতের আবহাওয়া অনেক বেশি অনিয়মিত হত। শীতকালে ঠান্ডা এবং গ্রীষ্মকালে গরম হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকত।

হিমালয় পর্বত না থাকলে ভারতবর্ষের জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, শিল্প, এবং পরিবহন ব্যবস্থার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতো।

নিম্নরূপ কিছু নির্দিষ্ট প্রভাব উল্লেখ করা যেতে পারে:

  • জলবায়ু পরিবর্তন: হিমালয় পর্বত না থাকলে, ভারতবর্ষের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরও তীব্র হত। ঠান্ডা বাতাসের প্রবেশের ফলে, ভারতবর্ষের তাপমাত্রা আরও বেশি বৃদ্ধি পেত।
  • কৃষি: হিমালয় পর্বত না থাকলে, ভারতবর্ষের কৃষি ব্যবস্থার উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ত। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে, উচ্চভূমি এলাকায় কৃষি ফলন কমে যেত। দক্ষিণের শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে, নিম্নভূমি এলাকায় কৃষি ফলন কমে যেত।
  • শিল্প: হিমালয় পর্বত না থাকলে, ভারতবর্ষের শিল্প ব্যবস্থার উপরও প্রভাব পড়ত। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে, উচ্চভূমি এলাকায় শিল্প উৎপাদন কমে যেত। দক্ষিণের শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে, নিম্নভূমি এলাকায় শিল্প উৎপাদন কমে যেত।
  • পরিবহন: হিমালয় পর্বত না থাকলে, ভারতবর্ষের পরিবহন ব্যবস্থাও ব্যাহত হত। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে, উচ্চভূমি এলাকায় পরিবহন ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়ত। দক্ষিণের শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে, নিম্নভূমি এলাকায় পরিবহন ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিত।
Courtesy : Google AI

Popular posts from this blog

Indian Population 2050

আমার কথা প্রথমে কিছুটা ভিত্তিহীন মনে হয়। কিন্ত পরে সেটাই সত্যি হয়ে যায়। কিছু তথ্য দিয়ে রাখি, ১| আগামী বছর ভারতের জনসংখ্যা চিনকে ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে ভারত। বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা 141 কোটি, আর চিনের জনসংখ্যা 142 কোটি। আগামী 1 বছরে চিনকে ছাড়িয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। ২| আপনি যেটা ভাবছেন সরকার কিন্ত সেটা ভাবছে না। সরকারের ভাবনা হলো, একটি বৃহৎ জনসংখ্যা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। সরকার Man কে Manpower এ রূপান্তরিত করার কথা ভাবছে। সরকার ভারতের জনসংখ্যা বাড়াতে চলেছে। 2050 এ ভারতের জনসংখ্যা বেড়ে হবে 166, আর চিনের জনসংখ্যা কমে হবে 131 কোটি। ৩| ভারতের স্বপ্ন সবচেয়ে কর্মক্ষম, সবচেয়ে তারুণ্যে ভরা দেশে পরিণত হওয়া। এই স্বীকৃতি ভারতের কাছে থাকবে না 2050 এ ভারতের মানুষের কর্মক্ষমতা এবং তারুণ্য হ্রাস পাবে। বরং পাকিস্তান, আমেরিকা এবং বাংলাদেশ এই তালিকার শীর্ষে থাকবে। ৪| জন্ম_নিয়ন্ত্রণের যে কুফল চিন ভোগ করছে ভারত তা চাই না। তাই জন্ম_নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটবে না ভারত। তাছাড়া দক্ষিণে জন্ম বৃদ্ধির হার অনেক কম। উত্তরে জন্ম_হার অনেক বেশি। ফলে একটি উত্...

চিন্তাধারার পার্থক্য

আমার নবীর সম্মানে হাত তুললে ওই হাত কেমন করে ভেঙে দিতে হয় সেটাও আমাদের জানা আছে। বিশ্ব নবীর সম্মান is an unparalleled issue। এই ইস্যুতে হেফাজত নাই, এই ইস্যুতে জামাত নাই, এই ইস্যুতে তবলিগ নাই, আওয়ামীলীগ নাই, ১৭ কোটি মানুষ এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে যায়। হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে একটি প্রাথমিক চিন্তাধারার পার্থক্য আছে। একই পরিস্থিতি এবং একই ধরনের মানুষের ভিত্তিতে যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় তবে পার্থক্য টি আরও স্পষ্টভাবে বোঝা যাবে। ঘটনা ১ :- কোনো জনবহুল স্থানে একজন মুসলমান হিন্দুদের দেবতার বদনাম করলে হিন্দু যুবকটির দুটি সম্ভাবনা থাকে-  প্রথমত, প্রতিবাদ করা দ্বিতীয়ত, চুপচাপ শুনে চলে আসা ধরুন যুবকটি প্রতিবাদ করে বললো, এইসব আলবাল বললে কানের নীচে দেবো। এরপর কথা কাটাকাটি শুরু হবে। তারপর লোক জড়ো হবে। কয়েকজন মুসলমান অবশ্যই ছুটে আসবে। এরপর হালকা ধস্তাধস্তি হয়ে ব্যাপার টা মিটমাট হয়ে যাবে তখনকার মতো। ওই মুসলমান ছেলেটি যখন বাড়ি ফিরবে তখন সে পরিবার, প্রতিবেশি, এবং মসজিদের তরফ থেকে সাবাসি পাবে। সবাই তার কাজকে সমর্থন করে আবারো একই কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।  অন্যদিকে, ওই হিন্দু ছেলেটি য...

संस्कृत वर्णमाला

अ आ इ  संस्कृत वर्णमाला अ अ अश्ब; आ आ आम्रः। अश्बः चतुरः ; आम्रः मधुरः। इ इ इक्षु: ; ई ई ईशाः।  रक्षतु सर्वानपि परमेशः। उ उ उदकम्, ऊ ऊ ऊर्मि । उदकम् प्रवहति, प्रभवति ऊर्मिः। ऋ ऋ ऋषिः ; ऋषिं नमामः। ऋ, ऌ इति वयं पठामः। ए ए एडः, स्थूलः पुष्ठः। ऐ ऐ इन्द्रजालिकः । ओ ओ ओतुः, 'म्याव् म्याव् ओतुः। ओ ओषधम्, मास्तु मास्तु।