Skip to main content

বেশ করেছে ISRO বিজ্ঞানীরা তিরুপতি মন্দিরে পুজো দিয়েছে


✍ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ


অপার শক্তিশালী, বিপুল ধনপতি রাষ্ট্র আমেরিকা প্রতিবার কিচ্ছুটি করার আগে, মহাকাশে যান পাঠাবার আগে "গড ব্লেস আমেরিকা" বলে শুরু করে। গড় মানে ধরে নেয় সব দেব-দেবী, বিশ্বাস-বন্দনার নিটফল। আমরা হলিউডের ছবিতে দেখি বটে কিন্তু সাধারণ ঘটনা বলে কাটিয়ে দিই।


সোভিয়েতের ইউরি গ্যাগারিন সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি মহাকাশ ভ্রমণ করেন। অর্থডক্স চার্চে বিশ্বাসী। ভ্রমণে যাওয়ার আগে চার্চে ও যান। মহাকাশ ভ্রমণের পর, অনেকেই দাবি করেন যে গ্যাগারিন, মহাকাশ ভ্রমণের সময়, মন্তব্য করেন যে, "আমি এখানে উপরে কোন ইশ্বর দেখতে পাচ্ছি না।" যদিও, মহাকাশ ভ্রমণের সময় পৃথিবীর আর্থ- বেজড স্টেশনের সাথে গ্যাগারিনের কথোপকথনের কোন অডিও রেকর্ডে এমন কোন শব্দ পাওয়া যায় নি। এই ন্যারেটিভটা জনপ্রিয় করেছিলেন নিকিতা খুসচেভ। ভগবান নেই। থাকতে পারেনা। যদি ও পরে সোভিয়েতেই লেনিনের পাদদেশে প্রণামীর থালা রাখার কান্ড ঘটেছিল। আজ ও কতো লোকে মাথা ঠেকিয়ে আসে তার সমাধিতে।


ইশ্বর সহায় না হলে সহায় হবে কে? তার বিকল্প কী আমরা তৈরি করতে পেরেছি? যদি করেই থাকি তা কয়েক দশক বাদে ইশ্বরের আসন নেবে না? ধরুন বিজ্ঞানই না হয় নিলো দেবস্থান। অংক করতে করতে একসময় আধ্যাত্মিকতা গবেষণায় আসে নাকি। স্থান কাল পাত্র বুঝতে ও। সেই বিশ্বাস টলমল করা যায়?


হ্যাঁ এর আগে প্রত্যেকটা ইসরো প্রধান নারকেল ফাটিয়ে, কালো টিকে লাগিয়ে যাত্রার শুভারম্ভ করেছে। যুদ্ধবিমান বিদেশ থেকে এলেও প্রদীপ, টিকায় বরণ করে নেওয়া হয়েছে ঘরের বউ বা বিদেশ ফেরত সন্তানকে যেভাবে বরণ করা হয়। তাতে কিন্তু অগ্রগতির যাত্রা পথ আটকায়নি। আরেকটা খুব ভালো জিনিস দক্ষিণ ভারতীয়দের মধ্যে লক্ষ করি। তারা কিন্তু pretend করেনা। তাই RRR ছবিতে রামের অনুসঙ্গ টেনে আনতে গল্পকারের হাত কাঁপেনা। বিজ্ঞানীদের মন্দিরে যেতে লজ্জা লাগে না। রকেটে সিঁদুরের টিপ্ পরিয়ে দিতে ভয় লাগে না। ৫০০০ বছরের সংস্কৃতি লুকিয়ে রাখার কোন মনোকামনা থাকেনা।


অনেকে দেখলাম দারুণ মস্করা করছে চন্দ্রাভিযানের মঙ্গল কামনা করে ইসরো প্রধানের পুজো দেওয়া নিয়ে। এরা আবার শুনি দুটো কথা খুব বলে। "মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ" আর "কমরেডের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ"। এই পাপ পূন্যের নিক্তিটা কোন পলিটব্যুরো ঠিক করে দেয় না। ফাউন্ডেশন ঠিক করে দেয়। এদের আপত্তি থাকে না নাসার বিজ্ঞানীদের "গুড লর্ড" বলে একে অপর কে আলিঙ্গন করতে দেখলে। বিশ্বাস বিষম বস্তু। এই যে আমরা বিশ্বাস করি আমাদের ছাড়াও এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আরো কিছু লোকের। অনেক দূরের কোন গ্রহে কেউ আছে, কোন তারাতে বাস করতে পারবে আমার সন্তান, আমাদের চেয়ে উন্নত কেউ কেউ আলোকবর্ষ দূরে টেলিস্কোপে চোখ রেখে বসে আছে নিশ্চিত। চাঁদের বুড়ির বাইরে ও একটা অন্ধকার দিক আছে তার। তারা ও আমাদের হয়তো খুঁজছে বিজ্ঞান আর ওই বিশ্বাসে ভর করেই। ওটা ও বিশ্বাস ।


বিশ্বাস তো শ্রেণীহীন সমাজের চিরবাসনারও। বিশ্বাস তো চাঁদমামা আর চাঁদের পাহাড়েরও। বিশ্বাসকে আঘাত করে এ লড়াই জেতা যাবে কি?



#Chandrayaan3 #ISRO

Popular posts from this blog

ছেলেরা কেন দিনদিন 'বৌদিবাজ' হয়ে উঠছে?

সমাজটা খুবই খারাপ দিকে যাচ্ছে। ছেলেরা এখন বৌদিবাজ হয়ে উঠেছে! তারা একবার করে প্রেমে ছেঁকা খাওয়ার পর আর অন্য কোনও প্রেমিকা জোটায় না, বৌদিদের সাথে গল্প করে। কারণ - ১| ধোঁকা খায় না ২| হৃদয়ে আঘাত লাগে না ৩| Break up 💔 বলে কিছু থাকে না ৪| অনেকটা Stunt বাজীর মতো, মাথায় কোনো চাপ নেয়ার দরকার পরে না  আর একটা বিষয় হলো এখন বেশিরভাগ ছেলে পড়াশোনা দিকে ব্যস্ত। তাই তাদের হাতেও বেশি সময় থাকে না। আবার বৌদিদের হাতেও বেশি সময় সীমিত। তাই একটা Understanding বজায় থাকে। আরেকটা জিনিস হল নতুন প্রেমিকারা যেরকম নানারকম চাপ দেয়। বৌদীরা অনেকটা বোঝে ব্যাপারগুলো। যেমন- ফাঁকা পকেট, কম সময়, Relation Public না করা... এসব জিনিস। সেই কারণে তারা এতটা চাপ দেয় না। অল্পবয়সী মেয়ের একটু জেদি হয়। তাই তারা অকারণেই ঝগড়া করে যা এমনিতেই চাকরি আর ভবিষ্যতের চিন্তায় চিন্তিত ছেলেদের ভালো লাগে না। তাই তারা বৌদিদের দিকেই ঝোঁকে। বিয়ে তো অবশ্য ভালো কোনো মেয়ে দেখেই করবে, তার আগের সময়টা অন্য দিকে দেয় - বৌদিদের সাথে আড্ডা মারে। বৌদিদের সাথে কথা বলে আর কিছু হোক বা না হোক মানসিক শান্তি আছে। আমার বৌদিবাজ বন্ধুদের জন্য 💖

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? কেন আমরা ব

রাষ্ট্রভক্ত বীরাঙ্গনা হীরা দে

 🌹💥🕉️ দুর্নীতিবাজদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত তার উদাহরণ আমাদের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা থেকে জানা যায়। এই শাস্তিও কোন রাজা বা সরকার দিয়েছিল না দিয়ে ছিল শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্যরা। 💢 1311 খ্রিস্টাব্দে, আলাউদ্দিন খিলজিকে জলোর দুর্গের গোপন কথা বলার জন্য পুরস্কার হিসাবে পাওয়া অর্থ নিয়ে ভিকা দাহিয়া আনন্দের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন।এত টাকা এই প্রথম দেখল। হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিল যুদ্ধ শেষ হলে এই টাকা দিয়ে একটা বিলাসবহুল প্রাসাদ তৈরি করে আরামে বসবাস করবে।প্রাসাদের সামনে ঘোড়া বাঁধা থাকবে, চাকর থাকবে।  তার স্ত্রী হীরা স্বর্ণ ও রৌপ্য গয়না দ্বারা সারা শরীর ঢাকা থাকবে। আলাউদ্দিন কর্তৃক জালোর কেল্লায় নিযুক্ত সুবেদারের দরবারে তিনি বড় মর্যাদার বিবেচিত হবেন।বাড়িতে পৌঁছে বিড়বিড় করে হেসে টাকার বান্ডিলটা বাড়িয়ে দিলেন স্ত্রী হীরা দে'র হাতে।  🌹স্বামীর হাতে এত টাকা এবং স্বামীর মুখ ও অভিব্যক্তি দেখে হীরাদে আলাউদ্দিন খিলজির সৈন্যদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কারণ বুঝতে পেরে জালোরের যুদ্ধে হতাশ হয়ে হঠাৎ জালোরের দিকে ফিরে যায়। হীরা দে বুঝতে পেরেছিলেন যে তার স্বামী ভিকা দাহিয়া তার জন্মভূমি জ