Skip to main content

April Fool পালনের ইতিহাস....

১ লা এপ্রিল... সবাইকে এপ্রিল ফুল” বা “বোকা” বানাবার দিন.... তাই তো? না...বন্ধুরা, শুধু তাই নয়। এই ১লা এপ্রিল পালনের ইতিহাস খুঁজলে আরো দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়... এবং তা হল -

প্রথমত , ভারতবর্ষ যেমন ৮০০ বছর মুসলমান শাসনের পদানত ছিল, ঠিক তেমনই ৭৫০ বছর মুসলমানেরা স্পেন শাসন করেছে। পরবর্তীতে ভারতের মুসলমান সম্প্রদায় একবার ভারত ভাগ করেই ক্ষান্ত হয় নি... আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কার প্রহর গোনা শুরু হয়ে গেছে, পক্ষান্তরে প্রায় সমপর্যায়ে ইসলামী শাসনাধীন স্পেন আজ ইসলাম মুক্ত.....!! কিন্তু কিভাবে???

দ্বিতীয়ত , ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা কেন এই দিনটিকে গভীর দুঃখের সঙ্গে পালন করে থাকেন? শুধু কি তাই....? বিষয়টি তাদের কাছে অত্যন্ত ঘৃণ্যও বটে....!! কিন্তু কেন??? কি সেই মজার ঘটনা..? আসুন আজ তাই আলোচনা করা যাক....।

৭১১ খ্রিঃ মুজাহিদ তারিক ইবন জায়েদ মাত্র ১৭০০ সেনার এক বার্বেরিক অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে স্পেন জয় করেন প্রতিষ্ঠা করেন দার-উল-ইসলামের ইসলাম জাহান। পরবর্তী প্রায় ৭৫০ বছরের শরিয়ত দুঃশাসনের শেষে খ্রিষ্টানরা যখন তাদের পুরানো স্বাধিকার ফিরে পেতে একান্ত ভাবে মরিয়া, ঠিক এমন সময়ে রাজা ফার্ডিন্যান্ডের সঙ্গে বিবাহ হল পর্তুগীজ রাজকন্যা ইসাবেলার। এই বিবাহ বন্ধনের ফল স্বরূপ স্পেনীয়-পর্তুগীজ শক্তির এক মহা সমন্বয় ঘটে এবং এই দুই দেশের মিলিত শক্তি আক্রমন করে মুসলমান বাহিনীর বিরুদ্ধে। স্পেনের বিভিন্ন এলাকায় মিত্রবাহিনী জয়লাভ করতে শুরু করে।

তাদের প্রবল আক্রমনের মুখে পড়ে স্পেনের মুসলমান শাসকেরা সব এলাকা হারিয়ে অবশেষে রাজধানী গ্রানাডায় এসে হাজির হয়। এখানেও ইসাবেলা ও ফার্ডিন্যান্ডের যৌথ হামলার মুখে সাহাবীদের একেবারে নাস্তানাবুদ অবস্থা হয়। চারিদিক থেকে মুসলিমরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে।

এই সুযোগে ফার্ডিন্যান্ড হঠাৎ একদিন অদ্ভুত এক ঘোষণা করে বসেন .... 'মুসলিমরা যদি সম্পূর্ণ নিরস্ত্রভাবে পবিত্র মসজিদ সমূহে আশ্রয় নেয়, তবে তাদের রক্ষা করা হবে। সেনা বাহিনী তাদের কোন ক্ষতি করবে না'। মুসলমানের দল... হয় তার এই বক্তব্যের পিছনে লুকিয়ে থাকা রহস্যের কোন কিনারা খুঁজে পায়নি, কিংবা তাদের প্রান রক্ষায় এ ছাড়া আর বিকল্প কোন পথও খোলা ছিল না। ফলত দলে দলে আল্লার শান্তির বরপুত্রেরা সপরিবারে অস্ত্রশস্ত্র পরিত্যাগ করে বাঁচার তাগিদে স্থানীয় মসজিদ গুলিতে আশ্রয় নেয়।

ব্যাস.... ফার্ডিন্যান্ড এটাই চেয়েছিলেন। এর পর ইসলামের প্রদর্শিত শান্তির পথেই স্পেনের মাটিতে ইসলামের সলীল সমাধি রচনায় তারই নির্দেশে স্পেনীয় সৈন্যের দল নগরীর সবকটি মসজিদের চারপাশ ঘিরে ধরে শান্তির আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সেই শীতল আগুনে ছারপোকার মত কিলবিলিয়ে জ্যান্ত পুড়ে মরতে থাকে মুসলমান নর-নারী, শিশু-বাচ্চার দল। 

জ্বলন্ত অগ্নিশিখায় সেদিন অন্তত ৭ লাখ নবী অনুসারীর জীবন শিখা নির্বাপিত হয়েছিল। যা ফ্রান্সকে সম্পুর্ন রূপে মুসলিম শূন্য করতে সর্বতো ভাবে সাহায্য করেছিল। । ফার্ডিন্যান্ড.... হয়তো বা সেদিন হেঁসে বলেছিলেন.... "হায়রে মুসলিম! দ্যাখো কেমন করে তোমাদের এপ্রিল ফুল করতে হয়। - ওহে এপ্রিলের আস্ত গাধার দল ... অনুভব করো শান্তির আগুনের শীতলতা ”

সেই দিনটি ছিল ১৪৯২ সালের ১ লা এপ্রিল... ।

সত্যি সত্যিই এই দিনটিতে ফার্ডিন্যান্ড স্পেন জয় করে মুসলমানকে মারাত্মক ভাবে বোকা বানিয়েছিলেন। আর তাইতো সেদিন থেকেই খ্রিষ্টানরা প্রতি বছর ১লা এপ্রিল ঘটা করে 'এপ্রিল ফুল' পালন করে থাকেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য স্পেনীয় জনগন ১৯৯৩ সালের ১লা এপ্রিল গ্রানাডা বিজয়ের ৫০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্পেনের রাজধানী মদ্রিদে এক অতি জাঁকজমক পূর্ণ সভায় মিলিত হয়ে তাদের অতীত গৌরব গাঁথা স্মরন করেন এবং তাদের আজকের নাগরিক সুরক্ষা ও সম্বৃদ্ধির জনক ফার্ডিন্যান্ডের প্রতি সবিশেষ প্রণতি জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি এই অতীত বিজয়ের বিষয়ে এতটুকুও অনুতাপ প্রকাশ না করে বরং ফার্ডিন্যান্ডের প্রদর্শিত পথেই যে বিশ্ব-ইসলাম নির্মূলকরণ সম্ভব সে সম্পর্কেও কিছুটা আলোকপাত করা হয়।

Popular posts from this blog

আগে এত মহাপুরুষ কিভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ম নিতেন?

রামকৃষ্ণ মিশনের একজন মহারাজকে কিছু দিন আগে প্রশ্ন করা হয়, "মহারাজ, এত মহাপুরুষ কিভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ম নিতেন? আর বর্তমানে কেন আর সেই মহাপুরুষরা জন্মায় না?" অসাধারণ উত্তরে মহারাজ একটি বাণী উদ্ধৃতির মাধ্যমে বলেছিলেন, "আকাশে প্লেন ওড়ে, সে তো আর যেখানে সেখানে ইচ্ছামত নামতে পারে না! তার নামার জন্য উপযুক্ত এয়ারপোর্ট প্রয়োজন হয়। ঠিক সেই রকম এক সময় ছিল যখন এই ভারতবর্ষে উপযুক্ত ' মা ' ছিল। এখন সেই এয়ারপোর্ট নেই, তাই বড় বড় প্লেন আর নামতে চাইলেও পারছে না"। আধুনিক মনঃ বিজ্ঞানের মতে, সন্তান কেমন মানুষ হবে সেটা ৮৫% নির্ভর করে মা-এর উপর। আর তা নির্ধারণ হয়ে যায় মায়ের গর্ভে সন্তান আসা এবং জন্মের ৫ বছরের মধ্যে। মায়ের চিন্তা, কথা, ভালো লাগা-মন্দ লাগা, রুচি, আদর্শ, সন্তানের উপর দারুনভাবে প্রভাব ফেলতে থাকে গর্ভে থাকা অবস্থাতেই। মায়ের কষ্ট, তার কষ্ট। মায়ের আনন্দ, তার আনন্দ। মায়ের খাবার, তার খাবার। তাহলে মায়ের ইচ্ছা, তার ইচ্ছা হবে না কেন! মায়ের আদর্শ তার আদর্শ, মায়ের জীবনবোধ, সন্তানের জীবন বোধ হবে। সেখান থেকেই তার শিক্ষা শুরু 3 Idiots এর All is Well এর মত...

ইতিহাসের পাতা থেকে - কামিনী রায়

"কেন একজন নারীকে ঘরে বন্দী করে সমাজে তার ন্যায্য স্থান থেকে বঞ্চিত করা হবে?" গর্জে উঠেছিলেন কামিনী রায়। কে ছিলেন এই প্রতিবাদী নারী? আজ বলবো তাঁরই কাহিনী। কামিনী রায় ছিলেন একজন কবি এবং ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা যিনি অনার্স ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হয়েছেন, যিনি তার সমগ্র জীবন নারী শিক্ষা ও অধিকারের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন এবং যিনি তার কর্মের মাধ্যমে ভারতীয় ইতিহাসে একটি আলাদা ছাপ রেখে গেছেন। 1864 সালের 12 অক্টোবর বর্তমান বাংলাদেশের বাকেরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কামিনী। অল্প বয়স থেকেই কামিনী সমাজে নিজের জায়গার জন্য লড়াই শুরু করেন। তিনি গণিতে পারদর্শী ছিলেন, কিন্তু কবিতা ও সাহিত্যের প্রতি তিনি তীব্র অনুরাগ অনুভব করেছিলেন। 1880 সালে, তিনি কলকাতার বেথুন কলেজে যোগদান করেন, যেখানে তিনি তার সমসাময়িক, আর এক ভারতীয় নারীবাদী অবলা বোসের সাথে নারীবাদী লেখার অন্বেষণ শুরু করেন। 1886 সালে, 22 বছর বয়সে, তিনি ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা হয়েছিলেন যিনি অনার্স ডিগ্রী লাভ করেন, সংস্কৃতে বিএ সহ স্নাতক হন। তিনি একই বছর একজন শিক্ষক হিসাবে কলেজে যোগদান করেন। কামিনী তার প্রথম কবিতার বই, 'আলো ও ...

দাবাড়ু প্রজ্ঞা!

১০ আগস্ট, ২০০৫'র কথা। তামিলনাড়ু স্টেট কর্পোরেশন ব্যাংকের চাকরিজীবী রমেশ বাবু এবং তাঁর স্ত্রী নাগালাক্সমী'র ঘরে দ্বিতীয় সন্তান হিসেবে জন্ম হলো একটি ছেলের। ভারতের ঐ জায়গাটায় সাধারণত সন্তানদের নামের সাথে বাবার নাম যুক্ত করার রীতি আছে, এবং সে রীতি অনুযায়ী আগত সন্তানের নাম রাখা হলো প্রজ্ঞানন্দ, বাবার নাম যুক্ত করার পর ছেলেটার পুরো নাম দাঁড়ালো: রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। আর তাঁর বড় বোন: রমেশবাবু বৈশালী। প্রায় কাছাকাছি বয়সের প্রজ্ঞা আর বৈশালী'র বড় হয়ে ওঠার গল্প প্রায় একই, এবং তাদের মধ্যে একটা বিশেষ মিল আছে- দুজনই দাবাড়ু। দাবাড়ু প্রজ্ঞা আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনায় আসে মাত্র দশ বছর দশ মাস এবং উনিশ দিন বয়সে- ২০১৬ সালের ২৯-এ মে'র ঘটনা। কেআইআইটি ইন্টারন্যাশনাল ওপেন টুর্নামেন্টের নবম রাউন্ডে আল মুথাইয়া'র সাথে খেলা গেমটা জেতার মাধ্যমে প্রজ্ঞা তাঁর আন্তর্জাতিক মাস্টার খেতাবটি নিশ্চিত করেন। শুধু খেতাব পেয়েই শেষ না- প্রজ্ঞানন্দ হয়ে ওঠেন বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী আন্তর্জাতিক মাস্টার! তাঁর ঠিক দুই বছর পর, ২০১৮ সালের ২৩-শে জুন প্রজ্ঞা ইতালিতে অনুষ্ঠিত একটি টুর্নামেন্ট খেলার ম...