Skip to main content

মাদ্রাসায় পড়ুয়া মুসলমান vs কলেজে পড়ুয়া মুসলমান --কারা কতটা ক্ষতিকর?

অধিকাংশ হিন্দুরা মনে করে মোল্লারা/হুজুররা ভারতের জন্য ক্ষতিকর। তাই সরকারের উচিত সব মাদ্রাসা বন্ধ করে স্কুল কলেজে আধুনিক শিক্ষা দিয়ে মুসলিমদের মানসিকতা পাল্টে দেয়া। -সত্যি কি তাদের মানসিকতা পাল্টে যাবে?নাকি হিতে বিপত্তি ঘটবে! এই ৩টি পড়ার পর আপনার ধারনা একেবারেই বদলে যাবে।

একজন মুসলিম ততক্ষন পর্যন্ত উদার, যতক্ষন পর্যন্ত তিনি ইসলাম ভালভাবে বুঝে উঠতে পারেনি ।

সহজ করে বলা যায় আপনার চারপাশে যেসব উদার মুসলিম আছেন তারা এখনো কুরান-হাদিস সেই অর্থে বুঝে উঠতে পারেনি তাই তারা এখনো ইসলামি ভাবধারায় প্রভাবিত হয়নি। কারন কুরান- হাদিস এ উদারতা অপেক্ষা মুসলিমদের আত্মপক্ষ সমর্থন, ইসলাম কায়েম, নারীকে অবমূল্যায়ন, কাফের বা অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্বে নিষেধাজ্ঞা, অমুসলিমদের নিকৃষ্ট জীব ভাবা, সমাজে ইসলাম কায়েম করার কৌশল - ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক বিধিবিধান রয়েছে। ইসলাম ধর্ম একজন মুসলিমকে সংগীত, চিত্রকলা, নৃত্যকলা থেকে শুধু বিরতই রাখেনা, একই সাথে অমুসলিমদের প্রতি ধারনা ও আচরন ঠিক করে দেয়।

২০০* সালে নিউইয়র্ক এ টুইনটাওয়ার হামলার পর ইউরোপে ইসলাম নিয়ে ব্যাপক গবেষনা শুরু হয়। ইউরোপীয় সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে মুসলিম দুই প্রকার : ১) আধুনিক/মডারেট মুসলমান ২) দাড়ি টুপির মোল্লা মুসলমান।

কোন মুসলিম যখন মাদ্রাসা, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হয় তখন সে হয়ে পড়ে মোল্লা মুসলিম। ধর্মের বিধিবিধানে আপাদমস্তক মুড়িয়ে ফেলে।

অপরদিকে কোন মুসলিম যখন স্কুল কলেজের জ্ঞান বিজ্ঞানের শিক্ষায় শিক্ষিত হয় তখন সে হয়ে পড়ে মডারেট মুসলিম। ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক বিজ্ঞানের যুক্তি গূলোকে ইসলাম দিয়ে জাস্টিফাই করে ফেলে।

মোল্লাদের দাড়ি টুপির জন্য জন্য আলাদা করে চেনা যায়। দাড়ি টুপি আছে বলে হিন্দু মেয়েরা এদের এড়িয়ে চলে। কিন্তু মডারেট মুসলমানদের চেনার কোন উপায় নেই। এরা ক্লিন সেভ করে, সুট টাই, মডার্ন ড্রেস পরে চলাফেরা করে।

দাড়ি টুপি মোল্লারা হিন্দু মেয়েদের জন্য যতটা না ক্ষতিকর তার চাইতে বেশি ক্ষতিকর হল সেকুলার ভাব ধরে থাকা ক্লিন সেভ করা, জিন্স, সুট টাই পরা- আধুনিক খোলসে থাকা মডারেট মুসলিমরা। মডারেট মুসলিম ছেলেরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় হিন্দু মেয়েদের সংস্পর্শে আসে। হিন্দু মেয়েরাও তাদের বাহ্যিক আধুনিক চলাফেরা,পোশাক দেখেই তাদের প্রেমে পড়ে যায়। হিন্দু মেয়েটিকে আশ্বাস দেয়- "ভালবাসার চেয়ে ধর্ম বড় নয়। ভালবাসা জাতি, ধর্ম সব কিছুর উর্ধ্বে, তুমি তোমার ধর্ম নিয়ে থেকো!! এই আশ্বাস আর স্মার্টনেস দেখেই হিন্দু মেয়েরা নিজ ধর্ম পরিত্যাগ করে মডারেট মুসলিমদের প্রেমের ফাদে পা দেয়।

মোল্লারা ভারতের কলকাঠি নাড়ানোর খুব একটা সুযোগ পায়না,

ভারতের কলকাঠি নাড়ে জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া, আলিগড় থেকে জিন্স পরা/সুটেড বুটেড মডারেট মুসলিমরা। টুপিদাড়ি মোল্লাদের অপকর্ম হল ৪ বিয়ে ১৬ টা বাচ্চা জম্ম দেয়া। কিন্তু মডারেটদের মনোভাব বুঝা কঠিন, এসব মডারেটরা সেকুলারিজমের ভাব ধরে মোল্লাদের ডাল হয়ে থেকে রক্ষা করে। শার্ট, জিন্স প্যান্ট পরা মোডারেট মুসলিম আপনার বন্ধু, শিক্ষক, প্রফেসর, প্রশাসন, পুলিশ, সেকুলার, বামপন্থী রূপে ভারতের লোকসভা, বিধানসভা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, আইন, তথ্য, সিনেমা, সংবাদ সবকিছু বিকৃত করে ফেলছে। মনে রাখবেন একজন মোডারেট মুসলিম খুব সহজেই হিপোক্রেসি করতে পারে কারন সে ইসলামি চেতনা ভেতরে লুকিয়ে রেখে নিজেকে লিবারেল দাবি করতে পারে।

ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন ভারতীয় মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে শিক্ষিত হলেই ধর্মীয় প্রভাব হ্রাস পাবে কিন্তু জ্ঞান বিজ্ঞানটাই যদি ইসলামি চেতনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করা হয় তবে তা কীভাবে ধর্মীয় চেতনাকে খর্ব করবে?

মানে, একটা সাধারন বিশ্ববিদ্যালয় আর জামিয়া মিলিয়া / আলীগড়ের মৌলিক পার্থক্য হল একটি ধর্মীয় বলয় মুক্ত অন্যটি ধর্মীয় বলয় যুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা। ভারতে হিন্দুরা ধর্মমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে নাস্তিক আর্দশে গড়ে উঠতেছে আর মুসলিম শিক্ষার্থীরা মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ইসলামিক মুল্যবোধকে অক্ষুন্ন রেখে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্চে।

ঠিক এই কারনে উচ্চ শিক্ষার আলো পেয়েও জামিয়া মিলিয়া, আলীগড় মুসলিম কিংবা শ খানেক ইসলামি বিশ্ববিধ্যালয় থেকে জাকির নায়েক আর হিজাব পরা নায়িকা জন্ম নিচ্চে শাহীনবাগ আন্দোলন করার জন্য কিংবা জাকির নায়েকের ন্যায় ইসলামকে মার্কেটিং করার জন্য কিংবা সেকুলার ভাব ধরে ভারতীয় আইন, আদালত, ইতিহাস বিকৃতি, সংস্কৃতি কে তাচ্ছিল্য করার জন্য।

সেকুলার জাতি গঠনের উদ্দেশ্যে হিন্দুরা সাধারন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষিত হয়ে ধর্মকে ঘৃনা করতে শিখবে আর মুসলিমরা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে ইসলাম কে ডিফেন্ড করবে -এটাই সেকুলার ভারতের চরম অসংগতি https://en.m.wikipedia.

org/wiki/List_of_Islamic_universities_and_colleges_in_

India

ধরে নিলাম ভারতীয় মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে শিক্ষিত হতে পাচ্চেনা বলেই হলেই ধর্মীয় বলয় মুক্ত হতে পাচ্চেনা কিন্তু ইউরোপের শিক্ষাব্যবস্থা তো সম্পূর্ন ধর্মযুক্ত, আধুনিক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও মানবিক। বিশেষ করে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাবাদের আলোকে তো শিক্ষা দেওয়া হয় না। তারপরও কেন ইউরোপের শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া অধিকাংশ মুসলমান ধর্মহীন না হয়ে ইসলামপন্থী হয়ে উঠে? কেন তাদের মুসলিম উম্মাহবাদ ও ইসলামের প্রতি আসক্তি জন্মে ? ইউরোপের ধর্মযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও অধিকাংশ মুসলমানরা কেন ইসলামের মাঝে বিজ্ঞান খুঁজে পায়? কেন তারা মনে করে একমাত্র ইসলামই সত্য ধর্ম?

মুম্বাই হামলা কিংবা ঢাকার হলি আর্টিজানে আতংকবাদী সবাই ছিল উচ্চ শিক্ষিত তরুন। পাকিস্থানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রকে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে উচ্চশিক্ষিত সহপাঠিরাই পিটিয়ে হত্যা করে ফেলেছে।

ভারতে আসাউদ্দিন ওয়াইসি, জাকির নায়েক অনেক বড় ডিগ্রীধারী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। একজন লন্ডন থেকে পিইএইচডি ডিগ্রীধারী অন্যজন এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক। কিন্তু উন্নত শিক্ষা মুসলিমকে বিতর্ক করতে শিখিয়েছে, শাহীনবাগ করতে শিখিয়েছে, সেকুলার মুখোশ পরে রাজনীতি করতে শিখিয়েছে, কিন্তু উদার সাম্যবাদী সত্যিকার সেকুলার হতে শেখায়নি। শুধুমাত্র হাতেগোনা দুয়েকজন মুসলিম সত্যিকার সেকুলার মননের অধিকারী হয়,যাদের কর্মকান্ডে মোল্লারা কাফের ফতোয়া জারি করে দেয়।

সুতরাং মোল্লা অপেক্ষা মডারেট মুসলিম আরও ক্ষতিকর। মোল্লারা ৪ টা বিয়ে করে ৮/১০টা করে বাচ্চা ফয়দা করে মুসলিম সংখ্যা বাড়াচ্ছে আর মডারেট মুসলিমরা সেকুলারিজমের নামে ভারতের আইন রাজনীতি রাস্ট্র সমাজ শিক্ষা,সংস্কৃতি,স্বাবলম্বী সবকিছুতেই বাধা বির্তক সৃষ্টি করছে।

পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীরা দাবি করেন, বাংলাদেশের মোল্লাদের ন্যায় পশ্চিমবঙ্গ মোল্লারা অতটা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ান না । কিন্তু কথা হল এই অসাম্প্রদায়িক নীতি কতদিন টিকবে? -যতদিন মুসলিমরা ঐ এলাকায় / রাজ্যে সংখ্যালঘু ।

অপরদিকে সোশাল মিডিয়ায় কোন বর্ডার নেই তাই বাংলাদেশের ইসলামি ওয়াজ/বক্তৃতা, কোরান হাদিসের ব্যাখ্যা সোশাল মিডিয়ার বদৌলতে পশ্চিম বাংলার মুসলিম জনগোষ্ঠিকে ব্যাপক প্রভাবিত করছে। একইভাবে পাকিস্তানী মোল্লাদের উর্দু ওয়াজ গুলো ভারতীয়

হিন্দিউর্দু ভাষী মুসলিমরা দেদারছে গিলছে । যারা এখনো বলেই চলেছেন ভারতীয় মুসলিম আর বাংলাদেশের মুসলিমদের মধ্যে নীতি ও আর্দশে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই কাঁটাতার ফিজিক্যালি তাদের আলাদা করে রেখেছে কিন্তু বর্ডারলেস সোশাল মিডিয়া তাদের সাইকোলজিক্যালি এক ও অভিন্ন উম্মত করে তুলছে। বাংলাদেশি মোল্লাদের ফেসবুক ও ইউটিউবের কমেন্ট সেকশন দেখলে চাক্ষুষ প্রমান মিলবে।

তাহলে মুসলিমদের এই ডাবল পলিটিক্স হতে ভারতকে রক্ষা করার উপায় কি?

-মুসলিমদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিম্ফল আধুনিক শিক্ষা দেয়া বন্ধ করতে হবে। তার পরিবর্তে মাদ্রাসা শিক্ষায় মুসলিমদের আরও মোল্লা বানিয়ে রাখতে হবে যেন ক্লিন সেভ করে সুট কোট টাই পরে সেকুলার ভাব ধরে রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, রাজসভা বিধানসভা, সংবিধান, আইন ও বিদেশনীতির ক্ষতি সাধন করতে না পারে।

মাদ্রাসায় পড়ুয়া মোল্লাদের বহু বিবাহ, বহু সন্তান নীতির ইসলামি সাম্রাজ্যবাদ রুক্ষতে "সবার জন্য দুই সন্তান" আইন অতিসত্ত্বর কার্যকর করতে হবে।

কোন হিন্দুব্যাক্তি অন্যধর্মের ব্যাক্তির সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও ধর্মান্তরিত হতে পারবেন না এবং তার ঔরসজাত সন্তানগন ভারতীয় নাগরিকত্ব পাবার ক্ষেত্রে অবশ্যই হিন্দুধর্মালম্বী হতে হবে। - এইরূপ আইন প্রণয়ন করতে হবে।

ইসলামের দৃষ্টিতে ১ জন মা ধর্মান্তরিত হওয়া যতটা না গুরুতপূর্ন তার পেটে জন্ম নেয়া একাধিক সন্তানের ধর্মীয় পরিচয় তার চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ন।

এইজন্য সাইফের স্ত্রী কারিনা, শারুখের স্ত্রী গোরি ধর্ম না পরিবর্তন না করলেও তাদের সন্তানরা ঠিকই মুসলিম আইডেন্টিটিতে বেড়ে ওঠছে। আর এভাবেই হিন্দু নারীরা মুসলিম না হয়েও ইসলাম ধর্মের বিস্তারে মুসলিম সন্তান পয়দা করে যাচ্চে।

[সরকারের টাকায় মাদ্রাসা পরিচালন বন্ধ করা উচিত সুতরাং আসামে যেসব সরকারি মাদ্রাসা বন্ধ করা হয়েছে তা যৌক্তিক। ইসলাম এতটাই চতুর ধর্ম যে উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশের প্রনীত আইন ও যথেষ্ট নয়]