আগে এত মহাপুরুষ কিভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ম নিতেন?

জনবিস্ফোরণকে হাতিয়ার করে বাড়ছে ইসলামিক আগ্রাসন এই বাংলায়, অন্যদিকে সমান্তরালে চলছে দুই বাংলা নিয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত ইসলামী খিলাফত গড়ার কাজ, তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর।

বহু চৰ্চিত ডেমোগ্রাফিক চেঞ্জ অথবা জন সংখ্যার সংখ্যা তথ্যের নিরিখে দ্রুত গতিতে ঘটা মুসলিম জনসংখ্যার বিস্তার পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের মতো বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন রাজ্য গুলোতে হিন্দুদের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার ঘটেছে যা হিন্দু জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটাতে সহায়তা করছে। এই ভয় যে অমূলক নয় তা পরিসংখ্যান দেখলেই

দেশভাগের সময় পশ্চিমবাংলার মুসলিম জনসংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ১২% এবং পূর্ববঙ্গে হিন্দুরা ছিল ৩০%। জনসংখ্যার এই পরিবর্তন নজর এড়ায়নি লেখক ও রিসার্চার জ্যানেট লেভির । তিনি আমেরিকান থিঙ্কারে ইসলামিক আগ্রাসনের ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। মুসলিম জনবিস্ফোরণের জন্য তিনি বিপুল পরিমানে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ, হিন্দুদের উপর নির্যাতন এবং জোরপূর্বক মুসলিম ধর্মে দীক্ষিতকরণকে দায়ী করেছেন।

মুসলিম জনসংখ্যা পশ্চিমবাংলায় এখন আনুমানিক ৩০% (২০১১ সালে ২৭% ছিল)। মালদা এবং মুর্শিদাবাদে মুসলিম জনসংখ্যা ৬৩%। পশ্চিমবঙ্গে যেখানে মুসলিমরা বহাল তবিয়তে আছে সেখানে বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা খুবই করুন। লেভি আরো বলেছেন এই জনবিস্ফোরণকে হাতিয়ার করে বাড়ছে ইসলামিক আগ্রাসন।

সীমান্তবর্তী জেলাগুলো যেমন মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর দিনাজপুরকে টার্গেট করা হচ্ছে এবং ওই অঞ্চলগুলোকে কেন্দ্র করে ইসলামিক খিলাফত গঠনের চক্রান্ত বহুদিন ধরে চলছে বলেছেন ওই লেখক। সূত্রের খবর অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে পুরো উত্তর পূর্বভারত নিয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত এক বৃহত্তর বাংলাদেশ গড়ার চক্রান্তে শামিল হয়েছে পাকিস্তানের আই এস আই এবং বাংলাদেশের ইসলামিক জন্য সংগঠনগুলো। একাধিক আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই নিয়ে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।

[] গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর রিপোর্টে উঠে বৃহত্তর চক্রান্তের সত্যতা যা ভয়ের সঞ্চার করেছে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, জলপাইগুড়ির বিভিন্ন মাদ্রাসা গুলোর যোগসাজশের প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

পশ্চিম বাংলার জন সংখ্যা র ৩০% মুসলিম হলেও, মুসলিমদের অধীনে এখন পশ্চিম বাংলার ২৬% চাষের জমি। মুসলিমদের জমি অধিগ্রহণে কাশ্মীরের পরেই পশ্চিম বাংলা। কাশ্মীরের মুসলিম জন সংখ্যা ৬৭% হলেও মুসলিমদের অধিগ্রহণ করা চাষের জমি ৩১% এর বেশি নয়। মুসলিমদের অধিগ্রহণ করা চাষের জমি নিরিখে, ভারতে কাশ্মীরের পরেই জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিম বাংলা, অর্থাৎ পশ্চিম বাংলার চাষের জমির ২৬% এখন মুসলিমদের দখলে। এর পর রয়েছে কেরালা ও অসম এর স্থান। কিন্তু কেন এমন হলো? এর উত্তর লুকিয়ে আছে বামফ্রন্ট জামানার দুটি নীতির মধ্যে।

প্রথমটি হলো নিয়ম ও পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ থেকে বেআইনি মুসলিম অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে পশ্চিম বাংলায় মুসলিমদের সংখ্যা গুরু করে দেওয়া ও এরই সাথে হিন্দুদের পশ্চিম বাংলায় সংখ্যালঘু করে দেওয়া। অভিযোগ ফরওয়ার্ড ব্লক তথা বামফ্রন্ট মন্ত্রীসভার অন্যতম সদস্য কালিমুদ্দিন শামসকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বেআইনি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের কি ভাবে আইনি ভাবে ও এরই সাথে পাকাপাকি ভাবে পশ্চিম বাংলার নাগরিক বা দেশের নাগরিক করে দেওয়া যায়। হিন্দুদের জমি জায়গা কেড়ে নিয়ে, মুসলিমদের জমি জায়গা ও রেশন কার্ড দিয়ে তাঁদের এই দেশের 'বৈধ' নাগরিক করে দেওয়া হলো, এবং এরই সাথে তারা হয়ে উঠলো বামফ্রন্টের বিশ্বস্ত ভোট ব্যাংক।

দ্বিতীয়টি হলো ভূমি সংস্কার। ১৯৭৭ সালে ক্ষমতায় আসবার পর CPI (M) এর নেতৃত্বে বামফ্রন্ট সরকার শুরু করে ভূমিসংস্কার নীতি। কমিউনিস্টদের বক্তব্য ছিল, জমিদারদের থেকে জমি নিয়ে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করা। আপাতো দৃষ্টিতে মনে হতেই পারে যে এটা এমন কি মন্দ জিনিস, ভালোই তো, জমিদারের জমি পাবে সাধারণ মানুষ, 'খেটে খাওয়া গরিব মানুষ'।

কিন্তু এই নীতির আড়ালেই ছিল গভীর চক্রান্ত। মুসলিম ভোট কে নিশ্চিত করতে তারা হাত মেলায় কট্টর মুসলিম মৌলবাদী জিহাদি শক্তির সাথে। শুরু হলো রাজ্য জুড়ে হিন্দু জমিদারদের নির্বিচারে হত্যা ও তাঁদের জমি কেড়ে নিয়ে তা দিয়ে দেওয়া দেওয়া হলো মুসলিমদের।

একর এর পর একর হিন্দুদের জমি, যা দেশ ভাগ হওয়ার পরেও হিন্দুদের ছিল, তা চলে যেতে শুরু করলো মুসলিমদের হাতে। পশ্চিম বাংলার হিন্দু জমিদারদের নতুন নাম দেওয়া হলো 'সাম্রাজ্যবাদী' ও 'শ্রেণী-শত্রু'। এদের উপরেই চলে বামফ্রন্টের অবর্ণনীয় অত্যাচার ও জুলুম, শুধুমাত্র 'কমিউনিস্ট আন্দোলন' ও 'শ্রেণী সংগ্রাম' এর নামে

দেশ ভাগের পর তো প্রায় সব কিছুই চলে গিয়েছিলো, তবুও যেটুকু হিন্দুদের জমি বাঁচানো গিয়েছিলো এপার বাংলায়, তাও মুসলিমদের হাতে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় বামফ্রন্ট আমলে ।

এদিকে এই তথ্য সামনে চলে আসায় বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।অন্যদিকে সি আই আই এর প্রাক্তন ডেপুটি ডিরেক্টর তরুণ কুমারের মতে, এই পরিসংখ্যান চমকে দেওয়ার মত এবং পশ্চিম বাংলায় শিল্পায়ন প্রক্রিয়ার পক্ষে বড় অন্তরায় |

এদিকে কোলকাতা নিবাসী RSS এর প্রচারক সন্দীপ ঘোষ এর মতে, “এই পরিসংখ্যান শিউরে উঠবার মতো। এই ভাবে চলতে থাকলে আরেকবার বঙ্গ ভঙ্গ কোনো ভাবেই আটকানো সম্ভম নয়। ইসলামিক সাম্রাজ্যবাদ ও তাঁদের সাহায্যকারী ও সহযোগী দল ও গোষ্ঠী এবং একই সাথে কমিউনিস্ট তথা বামপন্থীদের বিরুদ্ধেও গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, আর তবেই পশ্চিম বাংলা কে বাঁচানো সম্ভব।”