Skip to main content

ব্রাহ্মণ অত্যাচার ও জাতিভেদ তত্ত্বের সত্যতা

আমরা প্রতিদিন নানান রকম খবর পায়। কখনো পারিবারিক (বাবা, দাদু, মামার বাড়ি, মাসির বাড়ি, পিসির বাড়ি) অর্থাৎ আত্মীয়ের সূত্রে। আর এক রকম খবর আমরা পায় বন্ধুদের সূত্রে.... যেমন কোনো বন্ধুর বাবা মা অসুস্থ, কারো বিয়ে হয়েছে, কেউ মারা গেছে, কারো ছেলে হয়েছে, কারো অন্নপ্রাশন হয়েছে এইসব খবর শুনি। তাইতো? কিন্তু, কখনো কোন কোনো বন্ধুকে বলতে শুনেছেন, "আমার পাশের বাড়ির একজন ইসলাম গ্রহণ করেছে", বা, "আমার কাকা ইসলাম গ্রহণ করলো, ক'দিন পর আমরাও গ্রহণ করব"। শুনেছেন? শোনেননি। তাইতো?


আবার বয়স্ক ব্যাক্তি (দাদু, দাদুর বাবা) কে বলতে শুনেছেন, "আমার আর একটা দাদা ছিল, সে রোগে মারা গেছে"। কিন্তু কখনো কোনো বয়স্ক ব্যাক্তি বলেছে, " আমার আর একটা দাদা ছিলো, যে ইসলাম গ্রহণ করেছিলো। শুনেছেন?


কিন্তু, আমাদের ইতিহাস বইয়ের " প্রতিবাদী ধর্ম আন্দোলন" চ্যাপ্টারে পড়ানো হয়, ব্রাহ্মণদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে নিচু জাতের মানুষেরা হিন্দু ধর্মে ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলো। কারণ ইসলামে কোনো জাতিভেদ নেই। কিন্তু, সেটা আদৌ কি সত্যি?

সবচেয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষ হলো তথাকথিত নিম্ন বর্ণের মানুষেরা। তাঁরা, আর যাই করুন, ধর্ম ত্যাগ করবে না। হিন্দুরা কখনোই কোনো কালেই স্বধর্ম ত্যাগ করেনি যতক্ষণ না, গলা তলোয়ার ধরা হয়েছে। এমন কি গলাতে তলোয়ার ধরার পরেও ইসলাম গ্রহণ করে না। যতোই কষ্ট দেওয়া হোক, মৃত্যু বরণ করে সেও ভালো, তবুও ইসলাম গ্রহণ করেনা।


তবে, আমরা যে রকম খবর শুনতে পাই, সেগুলো হলো--

1. কোনো মেয়ে মুসলমান ছেলেকে বিয়ে করেছে। হ্যাঁ, এটাই হয়। মেয়েদেরকে সহজেই ধর্মান্তরিত করা যায়। বিয়ে করে। তারপর, 4-5 টা সন্তান নেওয়া।

2. সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার খবর আমরা পায়। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাতে টার্গেট করা হয় মেয়েদেরকে।

3. Direct action: সশস্ত্র জিহাদ, পুরো একটা বিশাল এলাকাকে টার্গেট করে, সেই এলাকাতে থাকা অর্ধেক হিন্দু পুরুষদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু মেয়েদেরকে যেতে দেওয়া হয় না। তাদেরকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া হয়। তাদেরকে গণধর্ষণ করা হয়। তারপর তাদের প্রত্যেকের পেটে মুসলমান সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়।

যে অর্ধেক পুরুষকে আটকে রাখা হয় তাদের উপর continue নজর দারি করা হয়, তারা যাতে পালাতে না পারে, এভাবে দীর্ঘদিন থাকার ফলে তারা নিজেরাই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেয়।

4. রাজনৈতিক শক্তি:- ইসলামিক পৃষ্টপোষাক রাজা, বা রাজনৈতিক শক্তিরা ক্ষমতায় থাকলে সেখানে জোর করে ধর্মান্তরনের খবর পাওয়া যায়। যেমন মুঘল আমলে এক এক সময়ে এক এক এলাকাকে টার্গেট করা হয়েছে। সেখানে সামগ্রিক ধর্মান্তরন হয়েছে। আবার এখন যেমন বাম শাসিত কেরালা, তামিলনাড়ু এইসব এলাকাতে জোর করে ধর্মান্তরনের খবর পাওয়া যায়।

মুসলমান জনসংখ্যা এভাবেই বেড়েছে। ব্রাহ্মণ অত্যাচার ও জাতিভেদ তত্ত্ব সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। 


আর যারা মনে করেন ইসলামে জাতিভেদ নেই, তাদের জন্য শুধুমাত্র শিয়া মুসলমানদের শ্রেণি বিভাগ টা দিলাম। আসা করি এটাই যথেষ্ট।


বিস্তারিত পড়তে চাইলে--

ইবাদি, খারিজী, যায়িদী, ইসমাইলি, হানাফি, সালাফি, আলারাইট, মুতাজিলা, হানবালি, আশারি, আহমাদিয়া, ওহাবি, আহলে হাদিস, বারেলভি, দেওবন্দী, দ্রুজ, সুফরিস, হারুরিস, আজারিকা, দ্বাদশী, কাদিয়ানি, শাফি, মালিকী, তাবলীগ জামাতি, সুফী-এটা কোনটা কী, কিভাবে, কেন হলো?-এর জন্য মোঃ আল-ইমরান আবীর-এর উত্তর https://bn.quora.com/%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%80-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%80/answers/211477105?ch=15&oid=211477105&share=85ef089f&srid=htRn9u&target_type=answer


এটাও পড়তে পারেন-

শিয়া ইসলামের ইতিহাসের বিভিন্ন দিক

Popular posts from this blog

আগে এত মহাপুরুষ কিভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ম নিতেন?

রামকৃষ্ণ মিশনের একজন মহারাজকে কিছু দিন আগে প্রশ্ন করা হয়, "মহারাজ, এত মহাপুরুষ কিভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ম নিতেন? আর বর্তমানে কেন আর সেই মহাপুরুষরা জন্মায় না?" অসাধারণ উত্তরে মহারাজ একটি বাণী উদ্ধৃতির মাধ্যমে বলেছিলেন, "আকাশে প্লেন ওড়ে, সে তো আর যেখানে সেখানে ইচ্ছামত নামতে পারে না! তার নামার জন্য উপযুক্ত এয়ারপোর্ট প্রয়োজন হয়। ঠিক সেই রকম এক সময় ছিল যখন এই ভারতবর্ষে উপযুক্ত ' মা ' ছিল। এখন সেই এয়ারপোর্ট নেই, তাই বড় বড় প্লেন আর নামতে চাইলেও পারছে না"। আধুনিক মনঃ বিজ্ঞানের মতে, সন্তান কেমন মানুষ হবে সেটা ৮৫% নির্ভর করে মা-এর উপর। আর তা নির্ধারণ হয়ে যায় মায়ের গর্ভে সন্তান আসা এবং জন্মের ৫ বছরের মধ্যে। মায়ের চিন্তা, কথা, ভালো লাগা-মন্দ লাগা, রুচি, আদর্শ, সন্তানের উপর দারুনভাবে প্রভাব ফেলতে থাকে গর্ভে থাকা অবস্থাতেই। মায়ের কষ্ট, তার কষ্ট। মায়ের আনন্দ, তার আনন্দ। মায়ের খাবার, তার খাবার। তাহলে মায়ের ইচ্ছা, তার ইচ্ছা হবে না কেন! মায়ের আদর্শ তার আদর্শ, মায়ের জীবনবোধ, সন্তানের জীবন বোধ হবে। সেখান থেকেই তার শিক্ষা শুরু 3 Idiots এর All is Well এর মত...

ইতিহাসের পাতা থেকে - কামিনী রায়

"কেন একজন নারীকে ঘরে বন্দী করে সমাজে তার ন্যায্য স্থান থেকে বঞ্চিত করা হবে?" গর্জে উঠেছিলেন কামিনী রায়। কে ছিলেন এই প্রতিবাদী নারী? আজ বলবো তাঁরই কাহিনী। কামিনী রায় ছিলেন একজন কবি এবং ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা যিনি অনার্স ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হয়েছেন, যিনি তার সমগ্র জীবন নারী শিক্ষা ও অধিকারের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন এবং যিনি তার কর্মের মাধ্যমে ভারতীয় ইতিহাসে একটি আলাদা ছাপ রেখে গেছেন। 1864 সালের 12 অক্টোবর বর্তমান বাংলাদেশের বাকেরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কামিনী। অল্প বয়স থেকেই কামিনী সমাজে নিজের জায়গার জন্য লড়াই শুরু করেন। তিনি গণিতে পারদর্শী ছিলেন, কিন্তু কবিতা ও সাহিত্যের প্রতি তিনি তীব্র অনুরাগ অনুভব করেছিলেন। 1880 সালে, তিনি কলকাতার বেথুন কলেজে যোগদান করেন, যেখানে তিনি তার সমসাময়িক, আর এক ভারতীয় নারীবাদী অবলা বোসের সাথে নারীবাদী লেখার অন্বেষণ শুরু করেন। 1886 সালে, 22 বছর বয়সে, তিনি ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা হয়েছিলেন যিনি অনার্স ডিগ্রী লাভ করেন, সংস্কৃতে বিএ সহ স্নাতক হন। তিনি একই বছর একজন শিক্ষক হিসাবে কলেজে যোগদান করেন। কামিনী তার প্রথম কবিতার বই, 'আলো ও ...

দাবাড়ু প্রজ্ঞা!

১০ আগস্ট, ২০০৫'র কথা। তামিলনাড়ু স্টেট কর্পোরেশন ব্যাংকের চাকরিজীবী রমেশ বাবু এবং তাঁর স্ত্রী নাগালাক্সমী'র ঘরে দ্বিতীয় সন্তান হিসেবে জন্ম হলো একটি ছেলের। ভারতের ঐ জায়গাটায় সাধারণত সন্তানদের নামের সাথে বাবার নাম যুক্ত করার রীতি আছে, এবং সে রীতি অনুযায়ী আগত সন্তানের নাম রাখা হলো প্রজ্ঞানন্দ, বাবার নাম যুক্ত করার পর ছেলেটার পুরো নাম দাঁড়ালো: রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। আর তাঁর বড় বোন: রমেশবাবু বৈশালী। প্রায় কাছাকাছি বয়সের প্রজ্ঞা আর বৈশালী'র বড় হয়ে ওঠার গল্প প্রায় একই, এবং তাদের মধ্যে একটা বিশেষ মিল আছে- দুজনই দাবাড়ু। দাবাড়ু প্রজ্ঞা আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনায় আসে মাত্র দশ বছর দশ মাস এবং উনিশ দিন বয়সে- ২০১৬ সালের ২৯-এ মে'র ঘটনা। কেআইআইটি ইন্টারন্যাশনাল ওপেন টুর্নামেন্টের নবম রাউন্ডে আল মুথাইয়া'র সাথে খেলা গেমটা জেতার মাধ্যমে প্রজ্ঞা তাঁর আন্তর্জাতিক মাস্টার খেতাবটি নিশ্চিত করেন। শুধু খেতাব পেয়েই শেষ না- প্রজ্ঞানন্দ হয়ে ওঠেন বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী আন্তর্জাতিক মাস্টার! তাঁর ঠিক দুই বছর পর, ২০১৮ সালের ২৩-শে জুন প্রজ্ঞা ইতালিতে অনুষ্ঠিত একটি টুর্নামেন্ট খেলার ম...