Skip to main content

বঙ্গাব্দের প্রবর্তক শশাঙ্ক

বঙ্গাধিপতি শশাঙ্কের রাজ্যাভিষেক হয়েছিল ৫৯৩ খ্রীষ্টাব্দে। সেই বছর থেকেই চালু হল বঙ্গ নববর্ষ ও বঙ্গাব্দ | আসুন এই বার একটু অঙ্ক কষে দেখা যাক ৫৯৩ + ১৪২৯ (বঙ্গাব্দ) = ২০২২ (খ্রীষ্টাব্দ)
কি তাহলে শশাঙ্কের রাজ্যাভিষেকের সাথে বাংলা নববর্ষ আর বঙ্গাব্দের মিল খুঁজে পেলেন তো ?

ওদিকে আকবর মোগল সম্রাট হয়েছিল ১৫৫৬ খ্রীষ্টাব্দে। সেই হিসেবে অঙ্ক কষলে কি দাঁড়ায় দেখা যাক।

১৫৫৬ খ্রী: + ১৪২৯ বঙ্গাব্দ = ২৯৮৫ খ্ৰীষ্টাব্দ।

অর্থাৎ আকবর যদি বাংলা নববর্ষ চালু করতো তাহলে ইংরেজি ক্যালেন্ডারে এই বছরটা দাঁড়াতো ২৯৮৫ খ্রীষ্টাব্দ। মানে শশাঙ্ককে ভুলে আকবরকে ক্রেডিট দিতে গেলে বাঙালীকে টাইম মেশিনে চেপে বর্তমান সময় থেকে আরও ৯৬৩ বছর এগিয়ে চলে যেতে হতো।

তাই বঙ্গের অধিপতি নরেন্দ্রাদিত্য শশাঙ্ক হলেন বাংলা নববর্ষের জনক। বাকুঁড়ার সোনাতপন গ্রামে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের প্রাচীন মন্দিরের গায়ে বঙ্গাব্দের উল্লেখ আছে যা আকবরের সিংহাসনে বসার ৩০০ বছরেরও আগের প্রামাণিক ঘটনা।

তবে আজকাল একে গোঁজামিল দিয়ে আকবরের নামে চালানোর ঘৃণ্য বাংলাদেশী চক্রান্তের বিরুদ্ধে সচেতন হোন। এখন থেকে প্রতিবাদ না করলে বাঙালীর বঙ্গাব্দ, নববর্ষ, বাংলা ক্যালেন্ডার সব কিছুই ঐ আরব সাম্রাজ্যবাদীরা একে একে চুরি করে নেবে। তখন আর বাঙালীর নীজস্বতা বলে কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। তখন আমার আপনার বাঙালী জাতিসত্বাটাই আরবীয়রা কব্জা করে নেবে। ওরা তখন হয়ে যাবে বাঙালী। আর আমরা আবার হয়ে যাব উদ্বাস্তু।

সকলকে বাঙ্গলা নববর্ষের আন্তরিক প্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই ! নতুন বছর ভাল কাটুক। সকলে ভাল থাকবেন।

#পয়লা বৈশাখ 
#বাঙ্গলা_ও_বাঙালী

Popular posts from this blog

 বর্তমানে রাত্রীকালীন বিবাহের প্রাসঙ্গিকতা :- ____________________________________ মুসলমান অত্যাচারের কারণে 'রাত্রি কালীন গোপন বিবাহ' রীতির প্রচলন। এসব সত্য জানার সত্ত্বেও এখনও এই রীতি বয়ে নিয়ে হচ্ছে। তার সম্ভাব্য কারণ কি কি হতে পারে? ১| দিনের বেলা সকলে ব্যস্ত থাকে নানা কাজে। কেও স্কুলে, কেও অফিসে কেও বা অন্য কোনো কাজে লিপ্ত থাকেন। তাই সেই কাজের মাঝে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না। তাই সন্ধ্যার লগ্নে বিয়ে হলে মানুষ দুপুরে কাজের শেষে বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যেয় সেজেগুজে এসে বিয়ে দেখতে পারে। রাত্রে প্রায় সকলেই বাড়িতে থাকেন। তাই কোথাও নিমন্ত্রণ রক্ষা করা বিষয়টা অনেকটাই নির্ঝঞ্ঝাট মনে হয়। ২| এখন বিবাহ একটি পারিবারিক উৎসব নয়। বরং বিবাহ আত্ম অহংকার, ক্ষমতার প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে। রাতে জমকালো Light Show দেখানো যায়। বাজীর প্রদর্শনী করা যায়। এর সাথে আরও যত রকমভাবে নিজের ক্ষমতার প্রদর্শন করা সম্ভব সবরকম চেষ্টাই করা হয়। কিন্ত দিনে এই সমস্ত ঘটনার Prime Focus একজনের উপর পড়া সম্ভব নয়, তাই রাত্রে। ৩| সামাজিক দৃষ্টিকোণ: বর্তমানে দিনে বিবাহ দেওয়াকে দারিদ্রতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ...

ব্রাহ্মণ্য অত্যাচার তত্ত্বের Propaganda Vs Reality

ভারত বাংলাদেশ আর পাকিস্তান মিলে প্রায় 50 কোটি মুসলিম বাস করে। কিন্তু, এতো মুসলিম তো আরবেও নেই। তাহলে এতো মুসলমান এলো কোথা থেকে? অন্য ধর্মের লোক এতো দ্রুত হারে বাড়ছে না কেনো? অন্য ধর্মের 50 কোটি লোক হলোনা কেনো ? Communist আর secular দের বক্তব্য এরা হিন্দুই ছিল, কিন্তু ব্রাহ্মণদের অত্যাচারের ফলে আর মুসলিমদের ধর্মের উদারতার কারণে জাত-পাতহীনতার কারণে এরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। এরা মুসলিমদের দান-ধ্যানের নীতি, সুফি_সন্তদের জীবনযাত্রায় প্রভাবিত হয়ে "ইসলাম" ধর্ম গ্রহণ করেছে। ব্রাহ্মণদের অত্যাচার তত্ত্ব  Communist রা হিন্দু সমাজকে দুইভাগে ভাগ করেন-- 1. উচ্চ বর্ণ  2. নিম্ন বর্ণ সমাজের সবচেয়ে ভক্তিবান মানুষ হলো তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষরা। তাদের কাছে ধর্মই সব। তাঁরা সব করতে পারেন কিন্তু ঠাকুর কে অবহেলা করেন না। তাঁরা শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের অত্যাচারের জন্যেই ধর্মান্তরিত হয়েছে এটা বিশ্বাস করেন কিভাবে❓ এটা তো গেলো পুরোনো যুগের কথা.... এবার এখনকার কথা বলি.... আচ্ছা বলুন তো, আমরা আমাদের পারিবারিক সূত্রে বা বন্ধুদের সূত্রে প্রায় প্রতিদিন নানান রকম খবর শুনি। যেমন- কারোর বিয়ে হয়েছে, কার...

বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথালয় এর সংযুক্তিকরণ

আমি কিছু ছোট ছোট old age home এবং orphan home এ গেছি এবং সেখানে গিয়ে মনে হয়েছে বৃদ্ধ মানুষগুলো তাঁদের পরিবারের ছোটো-ছোটো নাতি-নাতনীদের মিস করেন। আবার অনাথালয়ের orphan দের কাছে গিয়ে মনে হয়েছে তারা যদি দাদু ঠাকুমাদের মত কাওকে পেত, যারা তাদের একটু গল্প বলবে, মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের আদর করবে তাহলে তারাও হয়ত অনেকটা ভালো থাকত। তাই আমার মনে হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম ও orphan home যদি একই ছাদের নীচে করা সম্ভব হয় তাহলে ওইসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার যে কষ্ট, সেটা সামান্য হলেও লাঘব হবে। এবার আমি এটা নিয়ে কতটা ঠিক ভেবেছি বা এটা ইমপ্লিমেন্ট করা কতটা সম্ভব বা তার প্রতিবন্ধকতার জায়গা গুলো আমি সম্পুর্ন ওয়াকিবহল নই। সম্পূর্ণ একটা ইমোশনাল ভাবনা থেকে এটা আমি ম্যাডামকে জানিয়েছি। ম্যাডাম বা ডিপার্টমেন্ট এ যারা দীর্ঘদিন ধরে অনেক গুরুদায়িত্ব সামলেছেন তাঁদের সবার পর্বত সমান অভিজ্ঞতা। যদি তাঁরা এই ভাবনার মধ্যে কোনো পজিটিভ দিক আছে বলে মনে করেন এবং প্রাকটিক্যাল গ্রাউন্ডে এটা ইমপ্লিমেন্ট করা সম্ভব মনে করেন এবং এক ছাদের তলায় old age home এবং orphan home তৈরী করা...