Skip to main content

পেঁয়াজ রসুন ভক্ষন নিষিদ্ধ কেন?

আমার রিসার্চ গাইড - ডাঃ এ.কে. পাশোয়ান দেশের একজন খ্যাতনামা পেইন স্পেশালিষ্ট। কয়েকদিন পূর্বে তার জন্মদিনের পার্টিতে আমায় নিমন্ত্রন করেন।

স্বভাবতই পার্টিতে গিয়ে আমি শুধু কোল্ড ড্রিংকস আর কাজু বাদাম খেয়ে সময় অতিবাহিত করছিলাম। তিনি তা লক্ষ করে জিজ্ঞেস করেন, "ক্যায়া বাত হে ব্যাটা, তু কুছ লেতা কিও নেহী?" আমি কাচুমাচু করে বললাম, "স্যার, ম্যা তো শাকাহারী হুঁ, পেঁয়াজ লসুন - নেহী লেতা।"

আমি ভাবছিলাম তিনি আমার কারন শুনে বিরক্ত হবেন। কিন্তু তিনি যারপরনাই খুশী হয়ে গেলেন। আমার পিঠ চাপরে বললেন, "বহুত বড়িয়া! তু বহুত উপর যায়েগা ব্যাটা। যো লোগ শাকাহারী হোতে হ্যা - অউর পেঁয়াজ লসুন নেহী খাতে হ্যা,- উন লোগোকা দিমাগ বহুত শান্ত হোতা হ্যা। ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন যে তুড়ন্ত ডিসিশন লেনেমে ইয়ে লোগ বহুত সক্ষম হোতে হ্যা। কনসেনট্রেশান বহুত জ্যাদা হোতা হ্যা ঊন লোগো কা।"

আমি ইতস্তত করে বললাম, "না স্যার, এসব তো শুধু কথার কথা। আমার এমন কোন গুন নেই। যারা পেঁয়াজ রসুন খায় তাদেরও কনসেনট্রেশান যথেষ্ট ভাল হয়।"
তিনি আমার প্রত্যুত্তরে একটু ক্ষুন্ন হলেন। বললেন,- "আমি কোন কথা এমনি এমনি বলিনা। যা আমি বলেছি সেগুলি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত। অনেক গবেষণার রিপোর্ট রয়েছে এই সিদ্ধান্তের উপর। আমি সেই গবেষণালব্ধ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এই কথাগুলি বলেছি।"

পরেরদিন তিনি বেশ কিছু রিসার্চ আর্টিকেলের লিংক দিলেন আমায়। দুইদিন যাবৎ সেগুলি পড়ে আমি আশ্চর্য হয়ে গেলাম। আমাদের ঋষিরা যে সাত্ত্বিক আহারের কথা বলে গেছেন, তা যে কতটা বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থপ্রদ, - সেই সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই ছিলনা এতদিন।

পেঁয়াজ রসুনের মধ্যে Sulphoxide নামে এক যৌগ রাসায়নিক উপাদান বর্তমান যার মধ্যে Sulfinyl ( SO) নামে কার্যকরী রাসায়নিক গ্রুপের উপস্থিতি রয়েছে। New York Times a প্রকাশিত এক গবেষনাপত্রে ( ১ ) পেঁয়াজ রসুনকে গানপাউডারের সাথে সাদৃশ্যপূর্ন বলে মন্তব্য করা হয়েছে। এদের মধ্যে উপস্থিত এই সালফার যৌগ প্রকৃতিপ্রদত্ত এক দারুন আত্মরক্ষার উপায় হিসাবে ব্যাবহৃত হয়। পোকামাকড় বা কোন জীবজন্তু পেঁয়াজ রসুন খেতে এসে দাঁত বসালেই পেঁয়াজ রসুনের কোষ হতে নিঃসৃত এই সালফার যৌগ এক তীব্র গন্ধ ছড়ায়, জ্বালা সৃষ্টি করে। ফলে কোন কীটপতঙ্গ বা জীবজন্তু দ্বিতীয়বার পেঁয়াজ রসুন খেতে আসেনা। এই রাসায়নিক উপাদান জীবানুনাশক হিসাবে কাজ করে, কীটপতঙ্গকে দূরে রাখে এবং কুকুর বেড়ালের রক্তে প্রয়োগ করে দেখা গেছে তা রক্তের লোহিত কনিকা নষ্ট করে দেয়।

রসুনের কোষে allicin (2-Propene-1-sulfinothioic acid S-2 - propenyl ester) নামে এক রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন হয় যা রসুনের তীব্র গন্ধের (aroma) জন্য দায়ী। এই রাসায়নিক পদার্থটি মানুষের কোষের উপর তার ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে সক্ষম বলে প্রমানিত।

পেঁয়াজের কোষে উৎপন্ন সালফার যৌগ অত্যন্ত সূক্ষ ও নিম্নভরসম্পন্ন হওয়ায় তা বাঁয়ুবাহিত হয়ে আমাদের চোখে নাকে এসে এক তীব্র জ্বালা সৃষ্টি করে, অশ্রু নিঃসৃত করে।
Dr. Robert [Bob] C. Beck, DSc. তাঁর গবেষণাপত্রে রসুনকে বিষাক্ত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি তার গবেষণায় লক্ষ করেন রসুনে উপস্থিত sulphone hydroxyl ion মস্তিষ্কের blood-brain barrier অতিক্রম করে মস্তিস্ক কোষে প্রবেশ করে কোষের ক্ষতিসাধন করে।

১৯৫০ সালে Doc Hallan's group নামক এক Flight Test Engineering সংস্থায় কর্মরত ফ্লাইট সার্জন সেই সংস্থায় কর্মরত সকল পাইলটদের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন,- প্লেইন চালানোর ৭২ ঘন্টা আগে থেকে পেঁয়াজ রসুন স্পর্শ করা চলবে না।" কারন,- পেঁয়াজ রসুন খেলে আপতকালিন সময়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তিন থেকে চারগুন শ্লথ হয়ে যায় । দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীলতায় ঘাঁটতি দেখা দেয়। তার সেই নিয়ম মেনে আজও বিশ্বের বহু বিমান সংস্থায় পাইলটগন বিমানে চড়ার বাহাত্তর ঘন্টা আগে থেকে মাদক, পেঁয়াজ, রসুন স্পর্শ করেন না।

Alpha - Metrics Corporation নামক বায়োইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থায় কর্মরত Dr. Beck তার আবিষ্কৃত এক Biofeedback equipment নিয়ে গবেষণাকালে লক্ষ করেন রসুন খেলে কিছুক্ষনের জন্য মানুষের brain wave অবিন্যস্ত ( desynchronized) হয়ে যায় মধাহ্নভূজনে রসুন খেয়ে আসা কিছু ব্যাক্তির encephalogram করে তিনি লক্ষ করেন সেই মুহুর্তে মানুষগুলির ব্রেইনের তরঙ্গ মৃতপ্ৰায় অসুস্থ মানুষের ব্রেইন তরঙ্গের সমতুল্য।

Standford এ অনুষ্ঠিত এক গবেষণাপত্রে বলা হচ্ছে,- "এমন সব রোগী যাদের সর্বক্ষন মৃদু মাথা ব্যাথা লেগে থাকে এবং তারা দিনের শেষে কাজে মনসংযোগ করতে পারেনা, তাদেরকে তিন সপ্তাহের জন্য পেঁয়াজ রসুন থেকে দূরে রাখলে দারুন প্রতিকার লক্ষা করা যায়।" সেই গবেষণাপত্রেই লেখা হয়েছে,-"Garlic can affect the mind and concentration. Do not eat it if performing activities requiring concentration and mental acuity."

ইদানীং বহু গবেষণায় লক্ষ করা গেছে রসুন মানুষের শরীরে এলার্জির সৃষ্টি করে, পরিপাকতন্ত্রে কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ডাইরিয়া ঘটাতে সক্ষম। সেই গবেষণাপত্রেই লিখা হয়েছে,- "যদিও রসুনের কিছু উপকারী ঔষধি গুন রয়েছে, তথাপি খাদ্য হিসাবে রসুনের ক্ষতিকর প্রভাবই অধিক।"

যারা অর্গানিক গার্ডেনিং করেন তারা জানেন, সব্জির বাগানে পোকামাকড় দূর করার জন্য DDT এর পরিবর্তে রসুন ব্যাবহার করলে পোকামাকড় থেকে বেশ মুক্তি পাওয়া যায়।

বিখ্যাত রোমান কবি Horace তার লেখা কাব্যগ্রন্থ Epodes এ রসুন সম্পর্কে লিখেছেন,- "More poisonous than hemlock"।

Shakespeare এর Midsummer Nights Dream নামক নাটকে Bottom নামক চরিত্রটি অপর একজন অভিনেতাকে রসুন খেতে নিষেধ করছেন, কারন আমাদের নিঃশ্বাসে মিষ্টি গন্ধ ছড়ানোই উদ্দেশ্য।

গ্রীক সভ্যতায় আভিজাত পরিবারগুলোতে পেঁয়াজ রসুন খাওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। এবং এই জাতীয় খাদ্যগ্রহনকে তারা অসভ্যতা বলে গন্য করত। পেঁয়াজ রসুন খেয়ে মন্দিরে প্রবেশ নিষেধ ছিল।

রেইকি অভ্যাসকারীরা পেঁয়াজ রসুনকে মাদক দ্রব্যের মতই এড়িয়ে চলেন৷ তারা বিশ্বাস করেন পেঁয়াজ রসুন মানুষের শরীর ও মনের কর্মক্ষম্নমতা হ্রাস করে। হাজার বছর যাবত জাপানের Taoists সম্প্রদায় পেঁয়াজ রসুনকে তাদের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর বলে মেনে আসছে।

অনেকেই তর্কের খাতিরে বলে থাকেন, পৃথিবীর এত এত মানুষ রোজ পেঁয়াজ রসুন খাচ্ছেন। তাদের এমন কি ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে? তারা সবাই তো ভালই আছে। সর্বোতভাবে তা সত্য। যেমনটা - পৃথিবীর বহু মানুষ প্রতিদিন মদ-বিড়ি-গাঁজা খাচ্ছে, ড্রাগ নিচ্ছে তবু ভালই দিনযাপন করছে। ক্ষতিটা সবসময় নজরে পড়েনা।

পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর শত বছর পূর্বে পদ্মার তীরে এক গ্রামবাংলায় বসে বিশ্ববাসীর উদ্দেশ্যে দৃঢ়তার সাথে উচ্চারণ করেছিলেন,- "মাছ মাংস খাসনে আর, পেঁয়াজ রসুন মাদক ছাড়।" তাঁর সেই নির্দেশ মেনে আজ কতশত মানুষ এক বিজ্ঞানসম্মত স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করছে, তার ইয়ত্তা নেই।

***************************************************

Referrences:

[1] M. L. Allen, M. H. Mellow, M. G. Robinson and W. C. Orr. The effect of raw onions on acid reflux and reflux symptoms. In the American Journal of Gastroenterology 85(4), pp. 377-380, April 1990.

[2] Eric Block. Garlic and Other Alliums: The Lore and The Science. Royal Society of Chemistry (1st Edition), May 28, 2010.

[3] Bob Beck. Is Garlic a Brain Poison? Nexus Magazine, Feb / Mar 2001. Source : From a lecture by Dr. Robert C Beck, DSC, given at the Whole Life Expo, Seattle, WA, USA, in March 1996.

[4] Bob Beck. The Beck Protocol - A Health Protocol for Use at Home. http://www.
bobbeck.com

[5] Kurma Das. Why no Garlic and Onions? http: //kurma.net/essays/e19comml

[6] Michele R. Davidson, Marcia L. London and Patricia A. Ladewig. Olds' Maternal- Newborn Nursing & Womens Health Across the Lifespan (9th Edition), Prentice Hall, Dec 30, 2010.

[7] G. Richard Locke. The Prevalence and Impact of Gastroesophageal Reflux Disease. International Foundation for Functional Gastrointestinal Disorders, August 2009.

[8] Harold McGee. The Chemical Weapons of Onions and Garlic. The New York Times, June 8, 2010.

[9] National Digestive Diseases Information Clearinghouse. Gas in the Digestive Tract, January 2008. http://digestive.niddk.nih. gov/ddiseases/pubs/gas/Gas.pdf

[10] Onion Toxicity And The Raw Food Diet Raw Food Heath. http://www. raw-food-health.net/Onion-Toxicity.html

Popular posts from this blog

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? কেন আমরা ব

ছেলেরা কেন দিনদিন 'বৌদিবাজ' হয়ে উঠছে?

সমাজটা খুবই খারাপ দিকে যাচ্ছে। ছেলেরা এখন বৌদিবাজ হয়ে উঠেছে! তারা একবার করে প্রেমে ছেঁকা খাওয়ার পর আর অন্য কোনও প্রেমিকা জোটায় না, বৌদিদের সাথে গল্প করে। কারণ - ১| ধোঁকা খায় না ২| হৃদয়ে আঘাত লাগে না ৩| Break up 💔 বলে কিছু থাকে না ৪| অনেকটা Stunt বাজীর মতো, মাথায় কোনো চাপ নেয়ার দরকার পরে না  আর একটা বিষয় হলো এখন বেশিরভাগ ছেলে পড়াশোনা দিকে ব্যস্ত। তাই তাদের হাতেও বেশি সময় থাকে না। আবার বৌদিদের হাতেও বেশি সময় সীমিত। তাই একটা Understanding বজায় থাকে। আরেকটা জিনিস হল নতুন প্রেমিকারা যেরকম নানারকম চাপ দেয়। বৌদীরা অনেকটা বোঝে ব্যাপারগুলো। যেমন- ফাঁকা পকেট, কম সময়, Relation Public না করা... এসব জিনিস। সেই কারণে তারা এতটা চাপ দেয় না। অল্পবয়সী মেয়ের একটু জেদি হয়। তাই তারা অকারণেই ঝগড়া করে যা এমনিতেই চাকরি আর ভবিষ্যতের চিন্তায় চিন্তিত ছেলেদের ভালো লাগে না। তাই তারা বৌদিদের দিকেই ঝোঁকে। বিয়ে তো অবশ্য ভালো কোনো মেয়ে দেখেই করবে, তার আগের সময়টা অন্য দিকে দেয় - বৌদিদের সাথে আড্ডা মারে। বৌদিদের সাথে কথা বলে আর কিছু হোক বা না হোক মানসিক শান্তি আছে। আমার বৌদিবাজ বন্ধুদের জন্য 💖

রাষ্ট্রভক্ত বীরাঙ্গনা হীরা দে

 🌹💥🕉️ দুর্নীতিবাজদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত তার উদাহরণ আমাদের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা থেকে জানা যায়। এই শাস্তিও কোন রাজা বা সরকার দিয়েছিল না দিয়ে ছিল শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্যরা। 💢 1311 খ্রিস্টাব্দে, আলাউদ্দিন খিলজিকে জলোর দুর্গের গোপন কথা বলার জন্য পুরস্কার হিসাবে পাওয়া অর্থ নিয়ে ভিকা দাহিয়া আনন্দের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন।এত টাকা এই প্রথম দেখল। হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিল যুদ্ধ শেষ হলে এই টাকা দিয়ে একটা বিলাসবহুল প্রাসাদ তৈরি করে আরামে বসবাস করবে।প্রাসাদের সামনে ঘোড়া বাঁধা থাকবে, চাকর থাকবে।  তার স্ত্রী হীরা স্বর্ণ ও রৌপ্য গয়না দ্বারা সারা শরীর ঢাকা থাকবে। আলাউদ্দিন কর্তৃক জালোর কেল্লায় নিযুক্ত সুবেদারের দরবারে তিনি বড় মর্যাদার বিবেচিত হবেন।বাড়িতে পৌঁছে বিড়বিড় করে হেসে টাকার বান্ডিলটা বাড়িয়ে দিলেন স্ত্রী হীরা দে'র হাতে।  🌹স্বামীর হাতে এত টাকা এবং স্বামীর মুখ ও অভিব্যক্তি দেখে হীরাদে আলাউদ্দিন খিলজির সৈন্যদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কারণ বুঝতে পেরে জালোরের যুদ্ধে হতাশ হয়ে হঠাৎ জালোরের দিকে ফিরে যায়। হীরা দে বুঝতে পেরেছিলেন যে তার স্বামী ভিকা দাহিয়া তার জন্মভূমি জ