Skip to main content

জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কীভাবে?

জলের প্রবাহ ও স্রোতকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করাকে বলা হয় জলবিদ্যুৎ।
জল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে জলের বিভব শক্তিকে কাজে লাগানো হয়। স্বাভাবিক অবস্থান থেকে পরিবর্তন করে কোন বস্তুকে অন্য কোন অবস্থানে আনলে বস্তু কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে তাকে বিভব শক্তি বলে। যেমনঃ আমরা যখন কোন বস্তুকে যদি ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে তুলি তখন আমরা পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের বিরুদ্ধে কাজ করি। ফলে বস্তুটি কিছু বিভব শক্তি লাভ করে। এখন বস্তুটিকে ছেড়ে দিলে আবার যখন ভূপৃষ্ঠে পড়বে তখন সেটি ঐ পরিমাণ কাজ করতে পারবে। বিভব শক্তি Ep=mgh. আমরা শক্তির নিত্যতার সূত্র থেকে জানতে পারি, 
বিভব শক্তি =গতি শক্তি 
Ep= Ek
mgh= 0.5 mv^2

জলকে যখন বাঁধ দিয়ে আটকানো হয় তখন পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। জলের তলের উচ্চতা বৃদ্ধি বা এর গভীরতা বৃদ্ধির ফলে জলের মধ্যে অধিক বিভব শক্তি জমা হয়। কোন পাহাড়ের উপত্যকায় নিচের প্রান্তে বাঁধ দিয়ে এই কাজটি সাধারণত করা হয়ে থাকে। নদী থেকে
আসা জলপ্রবাহ বাঁধে বাধা পেয়ে জমা হতে থাকে, এতে বাঁধের পেছনে একটি কৃত্রিম হ্রদ সৃষ্টি হয়। হ্রদ পানিতে পূর্ণ হয়ে গেলে হ্রদ থেকে জল একটি মোটা নলের ভিতর দিয়ে নিচে অবস্থিত একটি তড়িৎ উৎপাদন কেন্দ্রে প্রবাহিত করা হয়। জল পতনের সময় এর মধ্যে জমা থাকা বিভব শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। এই গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি টার্বাইনকে ঘোরানো হয়। টার্বাইন হচ্ছে ব্লেডযুক্ত একটি চাকা। টার্বাইনটি একটি তড়িৎ জেনারেটরের সাথে সরাসরি সংযুক্ত থাকে। এই জেনারেটরে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় উৎপন্ন এই তড়িৎ এরপর তারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।


Popular posts from this blog

গুলি করো না, তলোয়ার মারবে না  শুধু অর্থনৈতিক বয়কট করো...... *****************************

বিরাথু .......🙏🌹  👉 যে কাজটা আমেরিকা, ফ্রান্স, ভারত, রাশিয়া কেউ করতে পারেনি... সেই কাজটা বার্মার "বিরাথু" জি করেছিল...!  Ashwin Wirathu  👉 আজ বার্মায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মসজিদগুলো জনশূন্য পড়ে আছে... কারণ আজকে দেশে কোনো মুসলমান দেখা যায় না... যে সেখানে গিয়ে মসজিদগুলো দেখে... আর যে আছে সে। স্বাস্থ্যের জন্য ভুগছে....!  "বিরাথু" এর পরেই মানুষ জানতে পারল কে এই মহান ব্যক্তি...? , এবং তারা কি করেছে...? ,  👉 ভারতেরও কি এমন একটা আসীন "বিরাথু" দরকার...? , ভারতে কে এই সাধুর মতো ভূমিকা পালন করতে পারে...? , বন্ধুরা "আসিন ভিরাথু" - সেই জাফরান সাধক যার নামে মুসলমানরা কাঁপে...!  "বিরাথু"... হ্যাঁ, এই শব্দটাই যথেষ্ট মিয়ানমারে, এই শব্দটি শুনলে মুসলিমরা শিউরে ওঠে...!  👉 বুঝুন কি ভাবে বার্মার বৌদ্ধ গুরু "বিরাথু জি" মুসলিমকে তাড়িয়ে দিয়েছেন নাকি দুর্বল করেছেন...!  '786' সংখ্যাটিকে যেমন মুসলমানদের জন্য ভাগ্যবান বলে মনে করা হয়, তেমনি বিরাথু "969" নম্বরটি বের করে নিয়েছিলেন... এবং তিনি সারা দেশের মানু...

স্বাধীনতার নায়করা পর্ব ~ ১৪

||সাধক যখন বিপ্লবী || আলিপুর বোমা মামলায় গ্রেপ্তার হল অরবিন্দ কে। অরবিন্দ ঘোষ ধরা পড়েন ৪৮নং গ্রে স্ট্রিটের বাড়িতে। সেদিন তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের সঙ্গে গিয়েছে এক ইংরেজ অফিসার। ঘরের চারদিকে তাকিয়ে সে তো হতভম্ব। আর ঘরের মেঝেয় মাদুর পেতে শুয়ে আছে। যে লোকটা, কে সে! সেই অরবিন্দ নাকি...? #স্বাধীনতার_নায়করা পর্ব - ১৪ 'হ্যাঁ, আমিই অরবিন্দ ঘোষ।' বলেলেন, সেই মেঝেয় শুয়ে আছে যে লোকটা..। ইংরেজ অফিসার তাকাল পুলিশের দিকে। অবিশ্বাস্য! এই অরবিন্দ ঘোষ, যে দীর্ঘ নয় বছর বিলেতে কাটিয়ে এসেছে। যে চাল-চলনে খানা- পিনায় পুরোদস্তুর সাহেব। যে নাকি ভালো করে বাংলা পর্যন্ত বলতে পারে না, তার এই দৈন্যদশা? তার একটা শোবার তক্তপোশও জোটে না? না বিছানা-বালিশ? এ যে একেবারে ইংরেজি ভোগবিলাসের প্রতি পরম তিরস্কার। অরবিন্দের দিকে চেয়ে ইংরেজ অফিসর ধিক্কার দিয়ে উঠল। বললেন, "আই অ্যাম অ্যাশেমড অব ইউ।” অরবিন্দ হাসলেন। বললেন, "তুমি হতভাগ্য, তোমাকে কি করে বোঝাব এই ভোগবিরতি জীবনের কত বড় বিভূতি।” সার্চ করে পাওয়া গেল এক কৌটো মাটি। - কি ওটা? বোমার মশলা..?" " তার চেয়েও মারাত্মক..", বললে...

PFI - Targer 2047

টার্গেট: ২০৪৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা হবে, ফাঁস PFI-এর পরিকল্পনা। পুলিশের অভিযানে বিহারে গ্রেপ্তার হওয়া ৩ ইসলামিক মৌলবাদীর কাছ থেকে পাওয়া গেলো মারাত্বক তথ্য। ৭ পাতার ছাপা নথিতে ভারতকে নিয়ে মারাত্বক পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই নথিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যে কিভাবে ২০৪৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারতে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে। আর এই পুরো পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া(PFI)। বিহার পুলিশের একটি দল ফুলওয়ারী শরীফ এলাকা থেকে এদের গ্রেপ্তার করে। এদের মূল মাথা মহম্মদ জালালুদ্দিন। এদের ঘরের বিছানার নিচে এমন একটি ষড়যন্ত্রের নথি পাওয়া গিয়েছে, যা দেখার পর চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের। পুরো পরিকল্পনার ব্যাপকতা আঁচ করে পুরো ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়ে NIA(National Investigation Agency)। ভারতে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য। উদ্ধার হওয়া ছাপা নথির নাম দেওয়া হয়েছে ‛India 2047’। তার নিচে রয়েছে ‛Towards Rule of Islam in India’। তার নিচে স্পষ্টত ইংরেজিতে লেখা রয়েছে, যার অর্থ বাংলাতে দাঁড়ায় ‛অভ্যন্তরীণ নথি, বিতরণের জন্য নয়’। মোট ৭ পাতার এই নথিতে বিস...