Skip to main content

VHP কীভাবে বাঘ থেকে বেড়াতে পরিনত হল?

ভারতীয় জনতা পার্টির পালমপুর অধিবেশনে প্রস্তাব পাশ হয় - "সরকার গঠন হলে প্রথম কাজ হবে সংসদে রামমন্দিরের জন্য আইন পাশ করানো"। প্রবীণ তোগাড়িয়া 4 বছরে তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলেছেন, একসাথে বসে টাইমটেবিল তৈরী করো, সংসদে আইন পাশ করাতেই হবে। তারপর শেষ কথা হয়েছিল, "হয় সংসদে আইনের মাধ্যমে রামমন্দির তৈরীর কথা ছেড়ে দাও, নাহলে VHP ছেড়ে দাও।" তোগাড়িয়া বলেছিলেন "VHP ছেড়ে দেবো, সেও স্বীকার তবুও রামমন্দিরের দাবি ছাড়বো না, হিন্দুদের আমি ধোকা দেবো না" 
কিন্ত তিনি কোনোটাই ছাড়েননি।হিন্দুদের দাবীগুলো নিয়ে প্রবীণ তোগাড়িয়া প্রতিদিন সরকারকে আক্রমণ করতেন। তাই তাকে পদ থেকে সরানোর প্রস্তুতি শুরু হলো। তাকে VHP থেকে পাকাপাকিভাবে সরাতে 52 বছর পর হঠাৎই VHP তে নির্বাচন হলো, যা এর আগে কখনোই হয়নি। তাকে হারিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্যপাল কোগ্জে জী(80) কে। এই নির্বাচনে তার হারের অন্যতম কারণ 37 টা নতুন ভোটারের হঠাৎই আবির্ভাব। তৎকালীন এক মুখ্যমন্ত্রীও নাকি তাকে ভোট দিতে নিষেধ করে অনেক সদস্য কে ফোন করেছিলেন। এই ভোটের সময় মোহন ভাগবতও নাকি কিছুটা দূরেই ছিলেন । যাই হোক, তিনি হেরে গেলেন। তারপর টার্গেট করা হতে লাগলো তার সমর্থক অনুরাগীদেরকে। ধীরে ধীরে তিনি পরিচিতহীন হয়ে পড়লেন। এখন তাকে কেও চেনেই না। নেই কোনো সমর্থক ও।  

এতে প্রবীণ তোগাড়িয়া গেলো তাতে আমার কোনো চিন্তা নেই। কিন্ত প্রবীণ তোগাড়িয়ার পর থেকে যারা President পদে বসেছেন সকলেই বিজেপির মিত্র, হিন্দুদের নয়। তাই হালকা করে একটু বলেই কাজ শেষ হয়ে যায়, হিন্দুদের দাবি নিয়ে সরকারের উপর চাপ তৈরী করা নিতান্তই অনৈতিক কাজ!


এই দু'জনকে কেও চেনেন?
প্রথমজন VHP বর্তমান President- Raghav Reddy

দ্বিতীয়জন- VHP International President- Rabindra Narain Singh

এদেরকে জীবনে কখনো দেখেছেন? নাকি এই প্রথমবার দেখলেন? দেখবেন কীভাবে!? হিন্দুদের কোনো কাজেই এদেরকে দেখা যায় না। তাই এদেরকে কেও চেনেও না। বছরে একবার করে রামনবমী Rally করা ছাড়া এদের আর কোনো পৃথক অস্তিত্ব নেই। যাইহোক, হিন্দুত্বের সাথে আপস করলে অস্তিত্বের সংশয় হবে বৈকি! 

Popular posts from this blog

Indian Population 2050

আমার কথা প্রথমে কিছুটা ভিত্তিহীন মনে হয়। কিন্ত পরে সেটাই সত্যি হয়ে যায়। কিছু তথ্য দিয়ে রাখি, ১| আগামী বছর ভারতের জনসংখ্যা চিনকে ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে ভারত। বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা 141 কোটি, আর চিনের জনসংখ্যা 142 কোটি। আগামী 1 বছরে চিনকে ছাড়িয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। ২| আপনি যেটা ভাবছেন সরকার কিন্ত সেটা ভাবছে না। সরকারের ভাবনা হলো, একটি বৃহৎ জনসংখ্যা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। সরকার Man কে Manpower এ রূপান্তরিত করার কথা ভাবছে। সরকার ভারতের জনসংখ্যা বাড়াতে চলেছে। 2050 এ ভারতের জনসংখ্যা বেড়ে হবে 166, আর চিনের জনসংখ্যা কমে হবে 131 কোটি। ৩| ভারতের স্বপ্ন সবচেয়ে কর্মক্ষম, সবচেয়ে তারুণ্যে ভরা দেশে পরিণত হওয়া। এই স্বীকৃতি ভারতের কাছে থাকবে না 2050 এ ভারতের মানুষের কর্মক্ষমতা এবং তারুণ্য হ্রাস পাবে। বরং পাকিস্তান, আমেরিকা এবং বাংলাদেশ এই তালিকার শীর্ষে থাকবে। ৪| জন্ম_নিয়ন্ত্রণের যে কুফল চিন ভোগ করছে ভারত তা চাই না। তাই জন্ম_নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটবে না ভারত। তাছাড়া দক্ষিণে জন্ম বৃদ্ধির হার অনেক কম। উত্তরে জন্ম_হার অনেক বেশি। ফলে একটি উত্...

संस्कृत वर्णमाला

अ आ इ  संस्कृत वर्णमाला अ अ अश्ब; आ आ आम्रः। अश्बः चतुरः ; आम्रः मधुरः। इ इ इक्षु: ; ई ई ईशाः।  रक्षतु सर्वानपि परमेशः। उ उ उदकम्, ऊ ऊ ऊर्मि । उदकम् प्रवहति, प्रभवति ऊर्मिः। ऋ ऋ ऋषिः ; ऋषिं नमामः। ऋ, ऌ इति वयं पठामः। ए ए एडः, स्थूलः पुष्ठः। ऐ ऐ इन्द्रजालिकः । ओ ओ ओतुः, 'म्याव् म्याव् ओतुः। ओ ओषधम्, मास्तु मास्तु। 

শশাঙ্ক

অপরাজিত বঙ্গাধিপতি শশাঙ্ক মহারাজ কানসোনাতে রাজধানী হতে হর্ষে দিয়েছে বাজ। মগধ, গৌড়, রাঢ় দেশ গাঁথে উড়িষ্যা ভুবনেশ্বর রাজনৈতিক সম্প্রসারে  কেঁপে ওঠে স্থানেশ্বর। একদিকে তিনি রক্ষা করেন হিন্দুত্বের ওই মতি পরমতসহিষ্ণু তবু মহাবিহারেও স্থিতি । জলকষ্টে দীঘির জল শরশঙ্ক খোঁড়েন নালন্দাতে বাড়ান হাত  ঐতিহ্যতে মোড়েন। কৃষি শিল্প জ্ঞানচর্চা বাণিজ্যে অগ্রগতি এমন রাজ্য শাসন করেন  গৌড়ের অধিপতি । বঙ্গাব্দের সূচনা খানা হয়ে যায় তাঁর হস্তে পাঁচশত তিরানব্বই সাল বিয়োগ করার ন্যস্তে । বাদ দাও যদি অঙ্কটা ওই দু'হাজার পার একুশ চৌদ্দোশ আটাশএলো এলো বাঙালির হুঁশ। ✍ কল্যাণ চক্রবর্তী 🎨 ছবি এঁকেছেন- শীর্ষ আচার্য আমার কল্পনার দৃষ্টিতে বাংলা বিহার উড়িষ্যার সম্রাট গৌরাধিপতি শশাঙ্ক এঁর নতুন আঙ্গিকে চিত্র অঙ্কন করলাম। বঙ্গাব্দের প্রবর্তক ও বাঙালির হৃদয় সম্রাট শশাঙ্কের জয়। শুভঃ বাঙালি নববর্ষ।