Skip to main content

হিন্দু সংহতি- হিন্দুর সাথে, হিন্দুর পাশে

                     হিন্দুর সাথে, হিন্দুর পাশে
_____________________________________________

বাঙালি হিন্দুর মাটি বাঁচানোর লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। বাঙালি হিন্দুর সম্মান বাঁচানোর লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাঙালি হিন্দুর অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের নাম হিন্দু সংহতি। জেহাদ মুক্ত পশ্চিমবঙ্গের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের সংকল্পের নাম হিন্দু সংহতি।
_____________________________________________


হিন্দু সংহতির সামর্থ্য সীমিত, কিন্ত ইচ্ছাশক্তি সীমাহীন। ছোটো ছোটো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য 'বুলডগ টেনসিটিনিয়ে কাজ করাই তাদের লক্ষ্য। লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়া নাবালিকা হোক কিংবা সংখ্যালঘু এলাকাতে হিন্দু নির্যাতন সর্বত্রই বিনা দ্বিধায় সাহায্যের হাত বাড়ায় সংহতি। বন্যা বিপর্যস্ত অনাহারে থাকা মানুষের পাশে রাজনৈতিক লাভ শূন্যতা উপলব্ধি করে যখন সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন সবচেয়ে আগে ছুটে যায় হিন্দু সংহতি। আবার কেউ স্বধর্মে ফিরতে চাইলে তাকে স্বাগত জানিয়ে ঘরে ফেরার পথও সুগম করে দেন তারা।

যখন কোনো হিন্দু সামাজিকভাবে 'একঘরেহয়ে পড়ে কিংবা আইন যখন সাহায্য করতে অস্বীকার করে তখন নির্ভয়ে এগিয়ে আসে সংহতি। আইনি সহযোগিতা হোক বা আর্থিক সহযোগিতা কিংবা নাবালিকা উদ্ধারে দেরী করার বিরুদ্ধে থানা ঘেরাও করা কোনো কাজেই পিছিয়ে থাকে না তারা।

যেখানে হিন্দু গণহত্যায় RSS হিন্দু-মুসলমান ভাই-ভাই বলে গলা জড়িয়ে ধরে কিংবা BJP এর মতো তথাকথিত হিন্দুবাদী দল যখন মুসলমান ভোট হারানোর ভয়ে মুখ খুলতে রাজি হয় না। তখন হিন্দুর একমাত্র ভরসা হিন্দু সংহতি।


Popular posts from this blog

দাড়িভিটের স্ফুলিঙ্গ থেকে ভাষা আন্দোলনের প্রদীপ জ্বালাতে আমরা ব্যর্থ

এসো হে সেপ্টেম্বর, আমার ভাষার মাস। ভাষাতীর্থ দাড়িভিট, রাজেশ তাপসের বাস।। ২০১৮-র ২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার দাড়িভিট হাইস্কুলের গুলি চালনার ঘটনা এখন সবাই জানেন। আলোচনার সুবিধার জন্য অল্পকথায় প্রেক্ষাপটটা আরেকবার দেখে নেওয়া যাক। দাড়িভিট হাইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ছিল বাংলা ও বিজ্ঞান শিক্ষকের। এই স্কুলে উর্দুভাষী ছাত্র-ছাত্রী নেই। স্থানীয়রা মুসলমান। তৃণমূল নেতার তৎপরতায় সরকারের বিদ্যালয় দপ্তর পাঠালো বাংলা ও বিজ্ঞান শিক্ষকের জায়গায় উর্দু শিক্ষক এবং সংস্কৃত শিক্ষক। অবাঞ্ছিত উর্দু শিক্ষকের নিয়োগকে একটু সহনশীল করার জন্য সম্ভবত সংস্কৃত শিক্ষককের নামটাও যুক্ত করা হয়েছিল। ছাত্ররা মানেনি, প্রতিবাদ করেছিল। প্রতিবাদ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। অতএব পুলিশ সামান্য উত্তেজনাতেই গুলি চালায়, ফলে দুই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণের মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ সপ্তাহখানেক উত্তাল হয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি মিছিল মিটিং করে। বিজেপি ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ বন ডাকে যা আংশিক সফল হয়। এই বনধকে সফল করতে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার দাড়িভিট গেল...

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? ক...