Skip to main content

আফগান পলায়ন - বাধ্যতা নাকি ষড়যন্ত্র?

আফগানদের ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সকল পুরুষ ও যুবক।  কোনো নারী বা শিশুকে পালাতে দেখা যায়নি।


 এটা কি সম্ভব যে মৃত্যু আপনার ঘরে এবং মাথায় ঘোরাফেরা করছে এবং আপনি আপনার মা, বোন, স্ত্রী এবং সন্তানদের রেখে পালিয়ে যাচ্ছেন?  পালালেই পালাবে, কিন্তু পরিবারের বাকিরা কি শুধু হাত ধরে ঘরে বসে থাকতে পারে?  একটি শিশু, একটি অবিবাহিত মহিলা, একটি অবিবাহিত বৃদ্ধ মহিলা, একটি অবিবাহিত যুবতী তার জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাবে না?  অবশ্যই পালিয়ে যাবে, বরং সে তোমাকে তার সাথে নিয়ে পালিয়ে যাবে অথবা সে তোমাকে ঘরে লুকিয়ে রাখবে এবং সে নিজেই বাড়ির দরজায় প্রহরী হয়ে দাঁড়াবে।


 কিন্তু আফগানিস্তানে এরকম কিছুই হয়নি।  বরং ছিল ঠিক উল্টো, এতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে আফগানিস্তানে যা-ই নাটক হয়েছে, তা হয়েছে পূর্ব পরিকল্পিত পরিকল্পনায় এবং ঘরের নারী-পুরুষের পারস্পরিক সম্মতিতে।  নারীদেরকে আফগানে অবস্থান করা এবং তাদের বাড়ি ও জমির যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে এবং পুরুষরা আশ্রয় নিতে অন্য দেশে যাওয়ার অনুশীলনে নিয়োজিত হয়েছে যাতে তারা সেখানে মুসলিম শক্তি এবং গাযওয়া-ইতে তাদের শক্তি যোগ করতে পারে। -হিন্দ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যেতে পারে।প্রচার করতে পারে  এটাও এক ধরনের জিহাদ যা অত্যন্ত চতুর ও সুন্দরভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।


 আশ্চর্য লাগে খালি হাতে মানুষ ছুটে যাচ্ছে, কারো হাতে কিছু নেই।  ইতিহাসে এমন পলাতক আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি বা শুনিনি।  দ্বিতীয়ত, দেশ থেকে তাদের পালিয়ে যাওয়া সন্দেহের জন্ম দেয় যদিও এই পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা কোনো সহিংসতা, লুটপাট ও ধর্ষক ছাড়াই ঘটেছে।  যদি দেখা যায়, তালেবানরা আফগানিস্তান দখল করেনি, তবে এটা স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে আফগানিস্তান সরকার আফগানিস্তানকে তালেবানের হাতে তুলে দিয়েছে, কোনো যুদ্ধ ছাড়াই, কোনো দাঙ্গা ছাড়াই।  এমনকি তালেবানরাও আফগানিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়নি, নারীদের টেনে আনেনি, তাদের সম্ভ্রম লুট করেনি, শিশুদের হত্যা করেনি, নারীদের বাজার সাজায়নি, পুরুষদের আলিঙ্গন করেনি, এমনকি তাদের মোড়ে ফাঁসি দেয়নি, কারণ কী? এই আফগান পাঠানরা হঠাৎ করেই পলাতক শরণার্থী হয়ে আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করে।


একটা ষড়যন্ত্র আছে, অনেক বড় একটা ষড়যন্ত্র এবং এই ষড়যন্ত্র ভারতের শত্রু দেশগুলো মিলে পাকিস্তানের নেতৃত্বে চালিয়েছে এবং যারা স্থলপথে ভারতীয় কিন্তু বিবেকের দিক থেকে পাকিস্তানি তাদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।


 ভারতের প্রতিটি হিন্দু ও অমুসলিমকে এই ষড়যন্ত্র বুঝতে হবে এবং একই সাথে বুঝতে হবে যে এখন হাত দিয়ে বসে থাকা খুব বিপজ্জনক হবে, এখন অহিংসার সন্ধানী হওয়া খুব বিপজ্জনক হবে, এখন এটি হবে অপেক্ষা করা খুবই বিপজ্জনক।


 ভারতকে পূর্ণ সামর্থ্য সহ হিন্দু জাতি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য হিন্দুদের এখন একটি বিপ্লব শুরু করা উচিত এবং এই বিপ্লবে আমাদের আবারও আমাদের দেহ, মন ও সম্পদ ত্যাগ করা উচিত। ভারতের সেই বুদ্ধিজীবীদের বার্তাগুলি মনোযোগ সহকারে পড়ুন যারা আফগান স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য তালেবানদের অভিনন্দন জানাচ্ছে, তাহলে কি আমরা হিন্দুদের ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা উচিত নয়? তারা যখন একটি গণতন্ত্র আফগানিস্তানের স্বাধীনতার আহ্বান জানাচ্ছে এবং সেখানে শরিয়া আইন প্রয়োগ করছে, তখন হিন্দুরা কেন এই তথাকথিত গণতন্ত্রকে হিন্দু ব্যবস্থায় রূপান্তরিত করতে পারবে না?

Popular posts from this blog

 বর্তমানে রাত্রীকালীন বিবাহের প্রাসঙ্গিকতা :- ____________________________________ মুসলমান অত্যাচারের কারণে 'রাত্রি কালীন গোপন বিবাহ' রীতির প্রচলন। এসব সত্য জানার সত্ত্বেও এখনও এই রীতি বয়ে নিয়ে হচ্ছে। তার সম্ভাব্য কারণ কি কি হতে পারে? ১| দিনের বেলা সকলে ব্যস্ত থাকে নানা কাজে। কেও স্কুলে, কেও অফিসে কেও বা অন্য কোনো কাজে লিপ্ত থাকেন। তাই সেই কাজের মাঝে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না। তাই সন্ধ্যার লগ্নে বিয়ে হলে মানুষ দুপুরে কাজের শেষে বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যেয় সেজেগুজে এসে বিয়ে দেখতে পারে। রাত্রে প্রায় সকলেই বাড়িতে থাকেন। তাই কোথাও নিমন্ত্রণ রক্ষা করা বিষয়টা অনেকটাই নির্ঝঞ্ঝাট মনে হয়। ২| এখন বিবাহ একটি পারিবারিক উৎসব নয়। বরং বিবাহ আত্ম অহংকার, ক্ষমতার প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে। রাতে জমকালো Light Show দেখানো যায়। বাজীর প্রদর্শনী করা যায়। এর সাথে আরও যত রকমভাবে নিজের ক্ষমতার প্রদর্শন করা সম্ভব সবরকম চেষ্টাই করা হয়। কিন্ত দিনে এই সমস্ত ঘটনার Prime Focus একজনের উপর পড়া সম্ভব নয়, তাই রাত্রে। ৩| সামাজিক দৃষ্টিকোণ: বর্তমানে দিনে বিবাহ দেওয়াকে দারিদ্রতার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা ...

ব্রাহ্মণ্য অত্যাচার তত্ত্বের Propaganda Vs Reality

ভারত বাংলাদেশ আর পাকিস্তান মিলে প্রায় 50 কোটি মুসলিম বাস করে। কিন্তু, এতো মুসলিম তো আরবেও নেই। তাহলে এতো মুসলমান এলো কোথা থেকে? অন্য ধর্মের লোক এতো দ্রুত হারে বাড়ছে না কেনো? অন্য ধর্মের 50 কোটি লোক হলোনা কেনো ? Communist আর secular দের বক্তব্য এরা হিন্দুই ছিল, কিন্তু ব্রাহ্মণদের অত্যাচারের ফলে আর মুসলিমদের ধর্মের উদারতার কারণে জাত-পাতহীনতার কারণে এরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। এরা মুসলিমদের দান-ধ্যানের নীতি, সুফি_সন্তদের জীবনযাত্রায় প্রভাবিত হয়ে "ইসলাম" ধর্ম গ্রহণ করেছে। ব্রাহ্মণদের অত্যাচার তত্ত্ব  Communist রা হিন্দু সমাজকে দুইভাগে ভাগ করেন-- 1. উচ্চ বর্ণ  2. নিম্ন বর্ণ সমাজের সবচেয়ে ভক্তিবান মানুষ হলো তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষরা। তাদের কাছে ধর্মই সব। তাঁরা সব করতে পারেন কিন্তু ঠাকুর কে অবহেলা করেন না। তাঁরা শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের অত্যাচারের জন্যেই ধর্মান্তরিত হয়েছে এটা বিশ্বাস করেন কিভাবে❓ এটা তো গেলো পুরোনো যুগের কথা.... এবার এখনকার কথা বলি.... আচ্ছা বলুন তো, আমরা আমাদের পারিবারিক সূত্রে বা বন্ধুদের সূত্রে প্রায় প্রতিদিন নানান রকম খবর শুনি। যেমন- কারোর বিয়ে হয়েছে, কার...

বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথালয় এর সংযুক্তিকরণ

আমি কিছু ছোট ছোট old age home এবং orphan home এ গেছি এবং সেখানে গিয়ে মনে হয়েছে বৃদ্ধ মানুষগুলো তাঁদের পরিবারের ছোটো-ছোটো নাতি-নাতনীদের মিস করেন। আবার অনাথালয়ের orphan দের কাছে গিয়ে মনে হয়েছে তারা যদি দাদু ঠাকুমাদের মত কাওকে পেত, যারা তাদের একটু গল্প বলবে, মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের আদর করবে তাহলে তারাও হয়ত অনেকটা ভালো থাকত। তাই আমার মনে হয়েছে বৃদ্ধাশ্রম ও orphan home যদি একই ছাদের নীচে করা সম্ভব হয় তাহলে ওইসব বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার যে কষ্ট, সেটা সামান্য হলেও লাঘব হবে। এবার আমি এটা নিয়ে কতটা ঠিক ভেবেছি বা এটা ইমপ্লিমেন্ট করা কতটা সম্ভব বা তার প্রতিবন্ধকতার জায়গা গুলো আমি সম্পুর্ন ওয়াকিবহল নই। সম্পূর্ণ একটা ইমোশনাল ভাবনা থেকে এটা আমি ম্যাডামকে জানিয়েছি। ম্যাডাম বা ডিপার্টমেন্ট এ যারা দীর্ঘদিন ধরে অনেক গুরুদায়িত্ব সামলেছেন তাঁদের সবার পর্বত সমান অভিজ্ঞতা। যদি তাঁরা এই ভাবনার মধ্যে কোনো পজিটিভ দিক আছে বলে মনে করেন এবং প্রাকটিক্যাল গ্রাউন্ডে এটা ইমপ্লিমেন্ট করা সম্ভব মনে করেন এবং এক ছাদের তলায় old age home এবং orphan home তৈরী করা...