গুরুপূর্ণিমা :-
গুরুপূর্ণিমা পালন করা হয় আষাঢ় মাসের পূর্ণিমাতেই। এর দিনে গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়ে থাকে। আর এই দিনটিকে সর্বতভাবে একটি শুভ দিন বলে মনে করা হয়। কারণ-
১| এই দিনেই জন্ম নিয়েছিলেন ব্যাসদেব।
২| এই দিনে গৌতম বুদ্ধ ধর্ম নিয়ে উপদেশটি দিয়েছিলেন।
৩| ভগবান শিব এই তিথিতেই প্রথম জ্ঞান প্রদান করেছিলেন। আর সেখান থেকেই গুরু প্রথার সৃষ্টি হয়েছিলো। ভগবান শিবকে তাই আদিগুরু হিসাবে মানা হয়। গুরুর বচনকে পাথেয় করেই জীবনে এগিয়ে চলাই সকলের জীবনের মূল লক্ষ্য। তাই শাস্ত্রেও এই দিনটির বিশেষ মাহাত্ম্য অনেক বেশি।
শিক্ষক দিবস:-
এটি পালিত হয় সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর জন্মদিন উপলক্ষে। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তাঁর গুণমুগ্ধ ছাত্র ও বন্ধুরা তাঁর জন্মদিন পালন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু, তিনি বললেন "জন্মদিনের পরিবর্তে ৫ই সেপ্টেম্বর যদি শিক্ষক দিবস উদ্যাপিত হয় তবে আমি বিশেষরূপে অনুগ্রহ লাভ করবো।"
---এই হলো শিক্ষক দিবসের শুরু।
কিন্ত, এর উপর কিছু প্রশ্ন এবং সন্দেহ থেকে যায়। যেমন-
১| বেদব্যাস, পরশুরাম, দ্রোণাচার্য মতো শ্রেষ্ঠ গুরুকে টপকে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন সেরা_শিক্ষক হলেন কিভাবে ? কোন যুক্তিতে?
২| বেদব্যাস, পরশুরাম, দ্রোণাচার্য মতো গুরুর সাথে তাকে কি একই সারিতে দাঁড় করানো যায়? তিনি কি তাঁর যোগ্য?
৩| নাকি, ক্ষমতাবলে নিজেকে জাতির গুরু হিসেবে ঘোষণা করেছেন। স্বয়ং যার বিরুদ্ধেই থিসিস চুরির অভিযোগ, সেই কিনা সেরা শিক্ষক। আর তার জন্মদিনেই শিক্ষক দিবস্। বাঃ!
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তাঁর গুণমুগ্ধ ছাত্র ও বন্ধুরা তাঁর জন্মদিনটি পালন করতে চাইলে তিনি বললেন, "জন্মদিনের পরিবর্তে ৫ই সেপ্টেম্বর যদি শিক্ষক দিবস উদ্যাপিত হয় তবে আমি বিশেষরূপে অনুগ্রহ লাভ করবো।"
-এই হলো শিক্ষক দিবসের শুরু। অনেকে একে *"রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে নিজেকে অমরত্ব দানের প্রচেষ্টা" বলে মনে করেন।