Skip to main content

সংসদ সার্কাস!

9th July, 2022


আজ সংসদের (রাজ্যসভা এবং লোকসভার) কার্যকলাপ 5+5 = 10 মিনিটের বেশি টিকলো না। আজ সংসদের অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন। সংসদের অধিবেশন শুরু হয়েছিল যথা সময়ে। কিন্ত অধিবেশন শুরু হওয়া মাত্রই বিরোধী দলের হৈ-হট্টগোলের কারণে অধিবেশন বন্ধ হয়ে যায়। সংসদের উভয় কক্ষেই এই একই ঘটনা ঘটে। বলা হয়- "সদনের কার্য দুপুর 02:00 পর্যন্ত স্থগিত রাখা হল"। দুপুর দুটোর পরে আবারও অধিবেশন শুরু হয়। কিন্ত আবারও 10 মিনিটের মধ্যেই সব শেষ।



কিন্ত কেনো হচ্ছে এমন? এর আগে কি হৈ-হট্টগোল হত না? এটাই কি প্রথম? মাত্র 10-15 জনের চিৎকারের জন্য যদি সংসদের এত মূল্যবান সময় নষ্ট হয়, তাহলে কাদের ক্ষতি?

ক্ষতি যে জনগণের এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর হৈ-হট্টগোল করার ঘটনাও এই প্রথম নয়, এর আগেও হৈ-হট্টগোল হত। কিন্ত সরকার পক্ষ কঠোর হাতে তা প্রতিরোধ করতো। কিন্ত গত 3 টে অধিবেশন থেকে সরকারের অন্যরকম অভিমত দেখা যাচ্ছে। সরকার পক্ষের অধিকাংশ সাংসদ ও মন্ত্রী সংসদে উপস্থিত হচ্ছেন না। ফলে একতরফা চিৎকার ও প্রতিরোধহীনতায় সংসদের কার্য বিঘ্নিত হচ্ছে।


এখন প্রশ্ন মাত্র 10-15 জনের চিৎকারের জন্য যদি সংসদের কার্য অচল হয় তবে বিলগুলো পাশ হয় কিভাবে? এর উত্তর - যেদিন বিল পাশ হয় সেদিন আগে থেকেই হুইপ জারি করে নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের আসতে অনুরোধ করা হয়। তাই সংসদে সরকার পক্ষের এক গর্জনেই বিরোধীরা মুতে ফেলে। সরকারপক্ষের "শেইমমমম্" (shame) বলা হোক বা টেবিল বাজানো কোনোটাই বিরোধীদের বুক কাঁপাতে বাকি রাখেনা। পাশাপাশি তর্ক করার জন্য তাবড় তাবড় নেতারা উপস্থিত থাকেন। ছোটখাট মন্ত্রীরাও সেদিন কিছু কম যাননা। অমিত শাহ্ তো বসেন, "क्या कह करी हो। हाम जान दे देंगै इसके लिए।"


সুতবাং পার্থক্যটা পরিস্কার। একটা aggressive mode, আরেকরা গা-ছাড়া মনোভাব। আজ যেই 15 জনের চিৎকারে সংসদের কার্য স্থগিত হয়ে গেল সেদিন 150 জনের চিৎকারেও সংসদের কার্য স্থগিত হয় না। আজ যা 5 মিনিটের চিৎকারেই স্থগিত হয়ে গেলো সেদিন তা 6-7 ঘন্টার বিতর্কের পরেও শেষ হয় না।


মিডিয়া রিপোর্টস্ অনুযায়ী আজ সংসদে বিল পাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্ত আদৌ কি বিল পাশ করানোর ইচ্ছা ছিল আজ? এই কয়েকজন সাংসদের ভরসায় যদি বিল পেশ করা হত তবে কি বিল আদৌ পাশ হত?


সংসদের কোনোকক্ষেই হাজির ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সরাষ্ট্রমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এবং কিছু উপমন্ত্রী। দুপুরের পর যখন আবার 02:00 থেকে সংসদের কার্য শুরু হয় তখন সংখ্যাটা আরও কমে যায়। সংসদে সরকারপক্ষের সাংসদদের উপস্থিতির হার এরকম হলে সরকারকে অধিবেশনের কার্য যে স্থগিত করতে হবে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। আবারও হয় অধিবেশনের শেষ দিনে মাননীয় স্পিকার কেঁদে কেঁদে বলবেন, "বিরোধীরা সংসদের কার্য চালাতে দিল না। সংসদে কার্য চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই সংসদের অধিবেশন বন্ধ করা হল।"

Popular posts from this blog

Indian Population 2050

আমার কথা প্রথমে কিছুটা ভিত্তিহীন মনে হয়। কিন্ত পরে সেটাই সত্যি হয়ে যায়। কিছু তথ্য দিয়ে রাখি, ১| আগামী বছর ভারতের জনসংখ্যা চিনকে ছাড়িয়ে যাবে। অর্থাৎ পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে ভারত। বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা 141 কোটি, আর চিনের জনসংখ্যা 142 কোটি। আগামী 1 বছরে চিনকে ছাড়িয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। ২| আপনি যেটা ভাবছেন সরকার কিন্ত সেটা ভাবছে না। সরকারের ভাবনা হলো, একটি বৃহৎ জনসংখ্যা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। সরকার Man কে Manpower এ রূপান্তরিত করার কথা ভাবছে। সরকার ভারতের জনসংখ্যা বাড়াতে চলেছে। 2050 এ ভারতের জনসংখ্যা বেড়ে হবে 166, আর চিনের জনসংখ্যা কমে হবে 131 কোটি। ৩| ভারতের স্বপ্ন সবচেয়ে কর্মক্ষম, সবচেয়ে তারুণ্যে ভরা দেশে পরিণত হওয়া। এই স্বীকৃতি ভারতের কাছে থাকবে না 2050 এ ভারতের মানুষের কর্মক্ষমতা এবং তারুণ্য হ্রাস পাবে। বরং পাকিস্তান, আমেরিকা এবং বাংলাদেশ এই তালিকার শীর্ষে থাকবে। ৪| জন্ম_নিয়ন্ত্রণের যে কুফল চিন ভোগ করছে ভারত তা চাই না। তাই জন্ম_নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটবে না ভারত। তাছাড়া দক্ষিণে জন্ম বৃদ্ধির হার অনেক কম। উত্তরে জন্ম_হার অনেক বেশি। ফলে একটি উত্...

संस्कृत वर्णमाला

अ आ इ  संस्कृत वर्णमाला अ अ अश्ब; आ आ आम्रः। अश्बः चतुरः ; आम्रः मधुरः। इ इ इक्षु: ; ई ई ईशाः।  रक्षतु सर्वानपि परमेशः। उ उ उदकम्, ऊ ऊ ऊर्मि । उदकम् प्रवहति, प्रभवति ऊर्मिः। ऋ ऋ ऋषिः ; ऋषिं नमामः। ऋ, ऌ इति वयं पठामः। ए ए एडः, स्थूलः पुष्ठः। ऐ ऐ इन्द्रजालिकः । ओ ओ ओतुः, 'म्याव् म्याव् ओतुः। ओ ओषधम्, मास्तु मास्तु। 

শশাঙ্ক

অপরাজিত বঙ্গাধিপতি শশাঙ্ক মহারাজ কানসোনাতে রাজধানী হতে হর্ষে দিয়েছে বাজ। মগধ, গৌড়, রাঢ় দেশ গাঁথে উড়িষ্যা ভুবনেশ্বর রাজনৈতিক সম্প্রসারে  কেঁপে ওঠে স্থানেশ্বর। একদিকে তিনি রক্ষা করেন হিন্দুত্বের ওই মতি পরমতসহিষ্ণু তবু মহাবিহারেও স্থিতি । জলকষ্টে দীঘির জল শরশঙ্ক খোঁড়েন নালন্দাতে বাড়ান হাত  ঐতিহ্যতে মোড়েন। কৃষি শিল্প জ্ঞানচর্চা বাণিজ্যে অগ্রগতি এমন রাজ্য শাসন করেন  গৌড়ের অধিপতি । বঙ্গাব্দের সূচনা খানা হয়ে যায় তাঁর হস্তে পাঁচশত তিরানব্বই সাল বিয়োগ করার ন্যস্তে । বাদ দাও যদি অঙ্কটা ওই দু'হাজার পার একুশ চৌদ্দোশ আটাশএলো এলো বাঙালির হুঁশ। ✍ কল্যাণ চক্রবর্তী 🎨 ছবি এঁকেছেন- শীর্ষ আচার্য আমার কল্পনার দৃষ্টিতে বাংলা বিহার উড়িষ্যার সম্রাট গৌরাধিপতি শশাঙ্ক এঁর নতুন আঙ্গিকে চিত্র অঙ্কন করলাম। বঙ্গাব্দের প্রবর্তক ও বাঙালির হৃদয় সম্রাট শশাঙ্কের জয়। শুভঃ বাঙালি নববর্ষ।