Skip to main content

পুরী মন্দির

হিন্দুদের আত্মনির্ভরতার অন্যতম নিদর্শন হলো পুরীর জগন্নাথ মন্দির। মন্দিরের উপর অনেক আক্রমণ হয়েছে। মুসলমান শাসকেরা ২০ বার আক্রমন করেছে, মাটিতে মিশিয়ে দেবার চেষ্টা করেছে জগন্নাথ মন্দিরকে। 


কিন্ত, কলিঙ্গের সমস্ত হিন্দু রাজারা একজোট হয়ে আক্রমনকে প্রতিহত করেছেন। আর, জগন্নাথ দেবের মূর্তিকে বাঁচিয়েছেন মন্দিরের পুরোহিতরা। মুসলমান শাসকেরা কখনও জগন্নাথদেবকে ছুতেও পারেননি। 


তাই জগন্নাথ দেবের মন্দিরে আক্রমণকারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল অনেকদিন আগেই। এটা প্রথম লিখেছিলো পুরি জগন্নাথ মন্দিরের পুরোহিতরা। সেখানে পাঁচটি ভাষায় স্পষ্টভাবে লেখা আছে-- সকল সনাতনীকে হিন্দুদের মন্দিরে স্বাগত। 


হিন্দু ছাড়াও বৌদ্ধ, জৈনরা ও শিখরা মন্দিরে ঢোকার সুযোগ পায়, তবে তাদেরকেও জন্মসূত্রে ভারতীয় হতে হবে। যেমন- থাইল্যান্ডের রাণী বৌদ্ধ হলেও মন্দিরে ঢুকতে পারেননি।


আপনার প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা মূল্যহীন। তাই- ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনও পুরি মন্দিরে ঢোকার অনেক চেষ্টা করেও ঢুকতে পারেননি।


আপনার আর্থিক ক্ষমতাও আপনাকে পুরী মন্দিরে ঢোকাতে পারবে না। সুইজারল্যান্ডের একজন ব্যবসায়ী পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে অনেক টাকা দিয়েছিলেন। কিন্ত, তিনিও ঢোকার অনুমতি পাননি। কারণ- তিনি একজন খ্রিস্টান।


সেই জগন্নাথ মন্দিরেই আজ আঘাত করার চেষ্টা করা হচ্ছে পরোক্ষে।


#SaveJagannathTemple

Popular posts from this blog

দাড়িভিটের স্ফুলিঙ্গ থেকে ভাষা আন্দোলনের প্রদীপ জ্বালাতে আমরা ব্যর্থ

এসো হে সেপ্টেম্বর, আমার ভাষার মাস। ভাষাতীর্থ দাড়িভিট, রাজেশ তাপসের বাস।। ২০১৮-র ২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার দাড়িভিট হাইস্কুলের গুলি চালনার ঘটনা এখন সবাই জানেন। আলোচনার সুবিধার জন্য অল্পকথায় প্রেক্ষাপটটা আরেকবার দেখে নেওয়া যাক। দাড়িভিট হাইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ছিল বাংলা ও বিজ্ঞান শিক্ষকের। এই স্কুলে উর্দুভাষী ছাত্র-ছাত্রী নেই। স্থানীয়রা মুসলমান। তৃণমূল নেতার তৎপরতায় সরকারের বিদ্যালয় দপ্তর পাঠালো বাংলা ও বিজ্ঞান শিক্ষকের জায়গায় উর্দু শিক্ষক এবং সংস্কৃত শিক্ষক। অবাঞ্ছিত উর্দু শিক্ষকের নিয়োগকে একটু সহনশীল করার জন্য সম্ভবত সংস্কৃত শিক্ষককের নামটাও যুক্ত করা হয়েছিল। ছাত্ররা মানেনি, প্রতিবাদ করেছিল। প্রতিবাদ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। অতএব পুলিশ সামান্য উত্তেজনাতেই গুলি চালায়, ফলে দুই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণের মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ সপ্তাহখানেক উত্তাল হয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি মিছিল মিটিং করে। বিজেপি ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ বন ডাকে যা আংশিক সফল হয়। এই বনধকে সফল করতে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার দাড়িভিট গেল...

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? ক...