Skip to main content

VHP কে কিছু প্রশ্ন

কিছু প্রশ্ন আছে আমার আপনারা উত্তর দিতে পারলে চেষ্টা করবেন।

রামনবমীতে শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলো VHP। সেখানে মার খেলো হিন্দুরা। দোকান, বাড়ি, গাড়ি জ্বললো হিন্দুর। তারপর বাড়িতে "য়ে মকান বিকাউ হে" পোস্টার লাগিয়ে হিন্দুরা গৃহত্যাগ করলো। 

১| VHP এর তরফ থেকে ওইসব গৃহত্যাগীদের জন্য কি করা হয়েছে? কোনো বিকল্প বাসস্থান, রোজগারের ব্যবস্থা করা হয়েছে কি?

২| ওইসব গৃহত্যাগীদেরকে আবারো কি নিজের বাসস্থানে বাস করবার মতো সাহস জাগাতে পেরেছে VHP?  আবারো কি ওই রোজগার তথা ব্যবসা চালাতে সাহস পায়, তার জন্য তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে VHP? কি করা হয়েছে তাদের জন্য?

অনেকেই আমার উত্তরে বলবেন টিভি খুলে দেখুন, শুধু বুলডোজার চলছে। যারা অপরাধ করেছে, তারা শাস্তি পেয়ে গেছে। ভুলভাল না বলে বরং TV দেখুন, মজা পাবেন। টিভিতে কি মজা চলছে তা আমার অজানা নয়, তবুও আমি  মজা পেলাম না। কেনো জানো? 

১| VHP সমস্ত কিছু জানার সত্ত্বেও বিনা প্রস্তুতিতে হিন্দুদেরকে নিজের দায়িত্ব, নিজের নেতৃত্ব নিয়ে গেছিলো মিছিলে, তাই দায়িত্ব VHP এর।

২| এতো বড় ঘটনা প্রসঙ্গে কেনো একটি কথাও VHP নেতৃত্বের মুখ দিয়ে বের হলো না?

৩| VHP নিজে থেকে কোনো FIR করেছে বলে আমি শুনিনি। সম্ভবত পুলিশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে FIR করেছে।

৪| যারা শারীরিক ভাবে আহত বা নিহত হয়েছে তাদেরকে আর্থিক সাহায্য করার কথা বলেনি VHP.

৫| যেসব হিন্দুরা Arrest হয়েছে তাদেরকে সাহায্য করার কথাও বলেনি VHP. 

৬| গুজরাটে, উত্তরপ্রদেশে যা বুলডোজার চলছে তা সরকারের ইচ্ছায়। আর রাজস্থানে 144 ধারা, কারফিউ চলছে সেটাও সরকারের ইচ্ছায়। VHP এর ভূমিকা কি?

VHP কোনো পাড়ার একটি ছোট্ট ক্লাব নয়, একটি বড় সংগঠন। তার কাছ থেকে এইরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন কান্ডকারখানা অনঅভিপ্রেত ।

Popular posts from this blog

আগে এত মহাপুরুষ কিভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ম নিতেন?

রামকৃষ্ণ মিশনের একজন মহারাজকে কিছু দিন আগে প্রশ্ন করা হয়, "মহারাজ, এত মহাপুরুষ কিভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ম নিতেন? আর বর্তমানে কেন আর সেই মহাপুরুষরা জন্মায় না?" অসাধারণ উত্তরে মহারাজ একটি বাণী উদ্ধৃতির মাধ্যমে বলেছিলেন, "আকাশে প্লেন ওড়ে, সে তো আর যেখানে সেখানে ইচ্ছামত নামতে পারে না! তার নামার জন্য উপযুক্ত এয়ারপোর্ট প্রয়োজন হয়। ঠিক সেই রকম এক সময় ছিল যখন এই ভারতবর্ষে উপযুক্ত ' মা ' ছিল। এখন সেই এয়ারপোর্ট নেই, তাই বড় বড় প্লেন আর নামতে চাইলেও পারছে না"। আধুনিক মনঃ বিজ্ঞানের মতে, সন্তান কেমন মানুষ হবে সেটা ৮৫% নির্ভর করে মা-এর উপর। আর তা নির্ধারণ হয়ে যায় মায়ের গর্ভে সন্তান আসা এবং জন্মের ৫ বছরের মধ্যে। মায়ের চিন্তা, কথা, ভালো লাগা-মন্দ লাগা, রুচি, আদর্শ, সন্তানের উপর দারুনভাবে প্রভাব ফেলতে থাকে গর্ভে থাকা অবস্থাতেই। মায়ের কষ্ট, তার কষ্ট। মায়ের আনন্দ, তার আনন্দ। মায়ের খাবার, তার খাবার। তাহলে মায়ের ইচ্ছা, তার ইচ্ছা হবে না কেন! মায়ের আদর্শ তার আদর্শ, মায়ের জীবনবোধ, সন্তানের জীবন বোধ হবে। সেখান থেকেই তার শিক্ষা শুরু 3 Idiots এর All is Well এর মত...

ইতিহাসের পাতা থেকে - কামিনী রায়

"কেন একজন নারীকে ঘরে বন্দী করে সমাজে তার ন্যায্য স্থান থেকে বঞ্চিত করা হবে?" গর্জে উঠেছিলেন কামিনী রায়। কে ছিলেন এই প্রতিবাদী নারী? আজ বলবো তাঁরই কাহিনী। কামিনী রায় ছিলেন একজন কবি এবং ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা যিনি অনার্স ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হয়েছেন, যিনি তার সমগ্র জীবন নারী শিক্ষা ও অধিকারের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন এবং যিনি তার কর্মের মাধ্যমে ভারতীয় ইতিহাসে একটি আলাদা ছাপ রেখে গেছেন। 1864 সালের 12 অক্টোবর বর্তমান বাংলাদেশের বাকেরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন কামিনী। অল্প বয়স থেকেই কামিনী সমাজে নিজের জায়গার জন্য লড়াই শুরু করেন। তিনি গণিতে পারদর্শী ছিলেন, কিন্তু কবিতা ও সাহিত্যের প্রতি তিনি তীব্র অনুরাগ অনুভব করেছিলেন। 1880 সালে, তিনি কলকাতার বেথুন কলেজে যোগদান করেন, যেখানে তিনি তার সমসাময়িক, আর এক ভারতীয় নারীবাদী অবলা বোসের সাথে নারীবাদী লেখার অন্বেষণ শুরু করেন। 1886 সালে, 22 বছর বয়সে, তিনি ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা হয়েছিলেন যিনি অনার্স ডিগ্রী লাভ করেন, সংস্কৃতে বিএ সহ স্নাতক হন। তিনি একই বছর একজন শিক্ষক হিসাবে কলেজে যোগদান করেন। কামিনী তার প্রথম কবিতার বই, 'আলো ও ...

দাবাড়ু প্রজ্ঞা!

১০ আগস্ট, ২০০৫'র কথা। তামিলনাড়ু স্টেট কর্পোরেশন ব্যাংকের চাকরিজীবী রমেশ বাবু এবং তাঁর স্ত্রী নাগালাক্সমী'র ঘরে দ্বিতীয় সন্তান হিসেবে জন্ম হলো একটি ছেলের। ভারতের ঐ জায়গাটায় সাধারণত সন্তানদের নামের সাথে বাবার নাম যুক্ত করার রীতি আছে, এবং সে রীতি অনুযায়ী আগত সন্তানের নাম রাখা হলো প্রজ্ঞানন্দ, বাবার নাম যুক্ত করার পর ছেলেটার পুরো নাম দাঁড়ালো: রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। আর তাঁর বড় বোন: রমেশবাবু বৈশালী। প্রায় কাছাকাছি বয়সের প্রজ্ঞা আর বৈশালী'র বড় হয়ে ওঠার গল্প প্রায় একই, এবং তাদের মধ্যে একটা বিশেষ মিল আছে- দুজনই দাবাড়ু। দাবাড়ু প্রজ্ঞা আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনায় আসে মাত্র দশ বছর দশ মাস এবং উনিশ দিন বয়সে- ২০১৬ সালের ২৯-এ মে'র ঘটনা। কেআইআইটি ইন্টারন্যাশনাল ওপেন টুর্নামেন্টের নবম রাউন্ডে আল মুথাইয়া'র সাথে খেলা গেমটা জেতার মাধ্যমে প্রজ্ঞা তাঁর আন্তর্জাতিক মাস্টার খেতাবটি নিশ্চিত করেন। শুধু খেতাব পেয়েই শেষ না- প্রজ্ঞানন্দ হয়ে ওঠেন বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী আন্তর্জাতিক মাস্টার! তাঁর ঠিক দুই বছর পর, ২০১৮ সালের ২৩-শে জুন প্রজ্ঞা ইতালিতে অনুষ্ঠিত একটি টুর্নামেন্ট খেলার ম...