Skip to main content

Demografic Change কি জানেন ?

Demografic_change হল কোনো জায়গার জনসংখ্যার বিন্যাস এর পরিবর্তন। মুসলমানরা কিভাবে Demografic_Change করে চলেছে জানেন? পশ্চিমবঙ্গের বেশীরভাগ গ্রামেই মুসলমান ঢুকে গ্যাছে।

কিন্তু কিভাবে জানেন ? ? ?

সাধারণত হিন্দু গ্রামের ভিতরের কোনো জমি মুসলমানদের বিক্রি করা হয় না। কেউ বেইমানি করে বিক্রি করলে তবেই। এই বেইমানির ফল গোটা গ্রামকে ভুগতে হয়। সবাই জানে মুসলমানরা সূচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোয়। কেও বেইমানি করে এক কাঠা জমি বিক্রি করলেই সেই স্থানে আগামী ১ বছরের মধ্যে অন্তত ২০ জন লোককে দেখা যায়। নিজের বাসস্থান করার পর সে নিজের বোন/ভাই/ জামাই / মামা / মাসি/পিসিকে এনে বসাতে শুরু করে। জায়গা না থাকায় তারা পাশের ফাঁকা জায়গা ব্যবহার করতে লাগে (মাসিক ভাড়া দিয়ে)। স্বাভাবিকভাবেই সবারই মায়া লাগে দেখে। তখনই মায়ায় পড়ে পাশের জমির মালিক তার জমিটি বিক্রি করে দেন ওই মুসলমানকে। এভাবেই চলতে থাকে সংখ্যা বৃদ্ধির পালা। তারপর তৈরী হয় মসজিদ, কবরস্থান।

এরপর যে হিন্দু বাড়ির পাশে মুসলমানরা বাড়ি করে সেই বাড়ি ছেড়ে হিন্দুরা অন্য জায়গা খুঁজতে শুরু করে- কখনও মুরগীর অত্যাচারে, বা মুসলমানদের আচার ব্যবহার সহ্য করতে না পারার কারণে।

তারপর গ্রামটি যখন মুসলিম বহুল হয়ে যায় তখন শুরু হয় হিন্দুর উপর অত্যাচার। এভাবেই এক একটি হিন্দু গ্রাম মুসলিম প্রধান হচ্ছে। দেখবেন গ্রামের নাম হিন্দু কিন্তু গ্রামে একটাও হিন্দু নাই। যেমন- হরিশ্চন্দ্রপুর, হরিপুর ইত্যাদি।

★ এখনও যেসব গ্রামে মুসলমান নাই সেই সব গ্রামের মানুষকে সচেতন করতে হবে।

★ টাকার লোভে পড়ে গোটা গ্রামের ক্ষতি করবেন না।

★ কেউ যদি জমি বিক্রি করে দেই, গ্রামের লোক জানতে পারলে অবিলম্বে পাড়ার / গ্রামের সবাই মিলে সেই ভুল শুধরে নিন।

★ প্রয়োজনে double টাকা দিন সেটাও ভালো। কারণ পরবর্তী দুই প্রজন্ম আপনার গ্রাম সুরক্ষিত থাকবে।

★ ভাববেন না অন্য পাড়ায় হয়েছে/ আমার বাড়ি থেকে অনেক দূর/ আমার কিছু হবে না ।

★ মুসলমান যে গ্রামে ঢোকে সেই গ্রামে 10 বছরের মধ্যে হিন্দুরা সংখ্যা লঘু হয়ে যায় ।

★হিন্দুরা যে গ্রাম একবার ছাড়তে লাগে সে গ্রাম ১০ বছর হিন্দু শূন্য হয়ে যায়

একটা মানুষ যতোই খারাপ স্বপ্ন দেখুক নিজের বাপের_ভিটে ছেড়ে যাবার স্বপ্ন দেখতে পারেনা । তাই, আপনি যদি সেই স্বপ্নকে বাস্তবে দেখতে না চান তাহলে মুসলমানকে জায়গা বিক্রি করবেন না, বা বিক্রিকে সমর্থন করবেন না।
Jay Shree Ram||🙏🏻

Popular posts from this blog

স্বাধীনতার নায়করা পর্ব: ~ ২

|| কালাপানির ডাক... || পার্ক স্ট্রিট সেভেন পয়েন্টের দিকে গেছেন নাকি কোনদিন ? গেলে দেখতে পাবেন গ্রীল দিয়ে ঘেরা এক যুবকের হাফ বাস্ট মূর্তি। নীচে নামটা লেখা আছে কিন্তু ধুলোয় বিবর্ণ। স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ইনি, তবে তাম্রপত্র জোটেনি। বদলে যে পরাধীন দেশবাসীর স্বাধীনতার জন্য জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়টা কাটিয়েছেন মর্ত্যের নরক সেলুলার জেলে, তারাই কেড়ে নিয়েছিলো তাঁর প্রাণ..! প্রকাশ্য রাস্তায় দিনের বেলায় প্রথমে মাথায় লোহার রডের বাড়ি। তারপর মাংস কাটার চপার দিয়ে ফালাফালা করে দেয়া হলো পেট। রক্তের স্রোতের সঙ্গে বেড়িয়ে এল নাড়িভুঁড়ি। এরই মধ্যে শাবল দিয়ে কেউ দু'চোখ খুবলে নিল তাঁর, জিভটা টেনে বের করে কেটে ফেলল মানুষের বেশে একদল শ্বাপদ! অনাথ হয়ে গেল তিন বছরের শিশুপুত্র সহ এক তরুণী বধু। শুনবেন নাকি মানুষটির পরিচয়..? তাহলে পিছিয়ে যাই বেশ কয়েকটি বছর.. ১৭ই আগষ্ট ১৯৩২ সাগর পাড়ি দিয়ে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে একটা জাহাজ এসে ভিড়লো পোর্ট ব্লেয়ার জাহাজ ঘাটায়। ডান্ডাবেড়ি লাগিয়ে নামিয়ে আনা হলো একদল তরুণ কে। শাসকের বয়ানে এরা ছিলেন বিপজ্জনক কয়েদী। দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মোচনে শ্বেতাঙ্গদের ...

স্বাধীনতার নায়করা পর্ব ~ ১২

 ||গুমনাম বিপ্লবী || সেদিন ছিলো ২৭শে জুলাই ১৯৩১.. সকাল দশটা নাগাদ একটা কালো অস্টিন গাড়ি ঢুকলো আলিপুর কোর্ট চত্বরে। সামনে বসা দেহরক্ষী নেমে দরজা খুলে দিতে ধীর পায়ে নামলেন বিচারপতি গার্লিক। কদিন আগেই রাইটার্স বিল্ডিং অলিন্দ যুদ্ধের নায়ক বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন। তার আগে আরো এক কিশোর চট্টগ্রামের রামকৃষ্ণ বিশ্বাস কেও পাঠিয়েছেন ভবপারে। বড়লাটের অভিনন্দন পেয়ে সকাল থেকেই মনটা খুশি খুশি। গুনগুন করে একটা গানের সুর ভাঁজতে ভাঁজতে পা দিলেন আদালতের সিঁড়িতে। দু তিন ধাপ উঠেছেন অমনি ওপরের থামের আড়াল থেকে বেরিয়ে এলো এক রোগাটে কিশোর। বিস্ময়ে হতবাক জজসাহেব দেখেন সে দুহাতে পিস্তল উঁচিয়ে তাক করেছে তারই দিকে। চীৎকার করার আগেই পরপর পাঁচটা গুলি ফুঁড়ে দিল তাকে। বিচারকের সম্পন্ন হলো শেষ বিচার! ততক্ষণে দেহরক্ষীও গুলি চালিয়েছে। আহত হয়েও কিশোর পকেট থেকে সায়ানাইড ক্যাপসুল বের করে মুখে দিল আর ঢলে পড়লো সিঁড়ির ওপর। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত টেগার্ট সহ কলকাতা পুলিশের বাঘা গোয়েন্দারা, তল্লাশি চালিয়ে কিশোরের পকেট থেকে পাওয়া গেল একটা নোটবুক। তাতে লেখা, "Get destroyed, get ...

স্বাধীনতার নায়করা পর্ব - ১৬

সত্যবতীকে চেনেন..? চিনবেনই বা কি করে আমাদের ইতিহাস বইতে তো আর এদের কথা লেখার মতো জায়গা হয়নি। তবে শুনুন সেই মহীয়সীর গল্প যিনি তাঁর দেহের বিনিময়ে দেশসেবায় ব্রতী হয়েছিলেন.... মেদিনীপুরের এই বিধবা সত্যবর্তী ছিলেন দেহপসারিনি। তাঁর কাছে যৌনক্ষুধা মেটাতে আসা পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে গোপন খবর জেনে নিয়ে বিপ্লবীদের জানিয়ে দিতেন সত্যবতী। পুলিশের পৌঁছোনোর আগেই পালিয়ে যেত বিপ্লবীরা। কিন্তু এ কাজেও শান্তি পাননি। পরে আইন অমান্য আন্দোলনে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছিলেন। নন্দীগ্রাম ও আসাদতলায় প্রথম লবণ আইন অমান্য করেছিলেন সত্যবতী। ১৯৩২-এ ১১ ফেব্রুয়ারি তেরপেখিয়া বাজারে মদের দোকানের সামনে পিকেটিং করার সময় পুলিশের লাঠির ঘায়ে জ্ঞান হারালে তাঁকে ওই জেলহেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। জেল থেকে তিন মাস পর এসে আবার প্রতিরোধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ১৯ আগস্ট নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে গিয়ে আবারও গ্রেফতার হয়েছিলেন। ততদিনে পুলিশ জানতে পেরেছিল যে, তিনি পুলিশের গোপন খবর বিপ্লবীদের জানিয়ে দেয়। পুলিশের লাঠির ঘায়ে তাঁর শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। তাঁর কিডনি আর অস্ত্র প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সব...