Skip to main content

তার্কিক জিহাদ কি?

জিহাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো তর্ক। মুসলমানরা রেগে উত্তেজিত কন্ঠে তর্ক করে না, ওরা তর্ক করে মৃদু হেসে, যুক্তি সহকারে, কিছুটা তাচ্ছিল্য করে, কখনো খোঁচা দেয়, কিন্তু, একটা জিনিস এদের মধ্যে যথেষ্ট দেখা যায় সেটা হলো Confidence |

তুমি লক্ষ্য করে দেখবে মুসলমান ছেলেরা কথায় কথায় ধর্ম নিয়ে তর্ক করতে আরম্ভ করে, এর কারণ কি? এটাই এক ধরণের জিহাদ

মুসলমানদের গ্রুপগুলো লক্ষ্য করে দেখেছো? ওই গ্রুপ গুলোতে সারাক্ষণ মৌলবীদের ভাষণ, তর্ক, বক্তৃতা এইসব ঘোরে... আর থাকে অন্য ধর্মের লোকেদের সাথে তর্কের video...

এখন প্রশ্ন, এগুলো দিয়ে কি হয়? এগুলো দিয়ে অনেককিছুই হয়... 
1. নিজের ধর্মের Weak_Point গুলো জানা 
2. অন্য ধর্মের Weak_Point গুলো capture করা
3. ধার্মিক জ্ঞান বৃদ্ধি
4. তার্কিক জ্ঞান বৃদ্ধি

হিন্দুদের সাথে তর্ক করতে লাগলে হিন্দু ছেলেরা প্রথমেই মাথা গরম করে ফেলে। মাথা গরম হলে তর্কে হার নিশ্চিত। তাই মাথা ঠান্ডা রাখো।

পুরান সম্পর্কে জ্ঞান থাকলেও সেটা দিয়ে সবসময়ই তর্কে জেতা যায় না, তর্ক সম্পর্কেও জ্ঞান থাকা চাই... কারণ, ধার্মিক জ্ঞানের পাশাপাশি তার্কিক জ্ঞান না থাকলে আপনি তর্কে পেরে উঠবেন না.....

Love_Jihad এর love তো সূত্রপাত মাত্র, সেটাকে বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়ে নিয়ে যাবার জন্য, লাগে তর্ক, আর সেই কারণেই মুসলমান ছেলেরা সারাক্ষণ প্রস্তুতি নিয়ে রাখে...

একটা মেয়ে মুসলমান ছেলের সাথে প্রেমে পড়ার পরে যখনই শোনে বেদে মূর্তি পুজো নিষিদ্ধ, তখনই সে হতাশ হয়ে Google search করে, অথবা মুসলমানদের প্রকাশিত PDF নামায়, যেগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলভাল বর্ণনায় ভর্তি। মেয়েটার এই হতাশাকেই কাজে লাগায় তার জিহাদী প্রেমিক....... সে তখন বলে বেদে যেসব কথাগুলো বলা আছে, কোরানেও সেই একই কথা বলা আছে... আমরা কিন্তু, বেদ মেনে চলছি, বরং তোমরাই বেদ মানো না, তোমরা তো পাপ করছো... তাই পাপের মধ্যে না থেকে আসল বেদের ধর্মে ফিরে এসো....

Popular posts from this blog

দাড়িভিটের স্ফুলিঙ্গ থেকে ভাষা আন্দোলনের প্রদীপ জ্বালাতে আমরা ব্যর্থ

এসো হে সেপ্টেম্বর, আমার ভাষার মাস। ভাষাতীর্থ দাড়িভিট, রাজেশ তাপসের বাস।। ২০১৮-র ২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার দাড়িভিট হাইস্কুলের গুলি চালনার ঘটনা এখন সবাই জানেন। আলোচনার সুবিধার জন্য অল্পকথায় প্রেক্ষাপটটা আরেকবার দেখে নেওয়া যাক। দাড়িভিট হাইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ছিল বাংলা ও বিজ্ঞান শিক্ষকের। এই স্কুলে উর্দুভাষী ছাত্র-ছাত্রী নেই। স্থানীয়রা মুসলমান। তৃণমূল নেতার তৎপরতায় সরকারের বিদ্যালয় দপ্তর পাঠালো বাংলা ও বিজ্ঞান শিক্ষকের জায়গায় উর্দু শিক্ষক এবং সংস্কৃত শিক্ষক। অবাঞ্ছিত উর্দু শিক্ষকের নিয়োগকে একটু সহনশীল করার জন্য সম্ভবত সংস্কৃত শিক্ষককের নামটাও যুক্ত করা হয়েছিল। ছাত্ররা মানেনি, প্রতিবাদ করেছিল। প্রতিবাদ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। অতএব পুলিশ সামান্য উত্তেজনাতেই গুলি চালায়, ফলে দুই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণের মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ সপ্তাহখানেক উত্তাল হয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি মিছিল মিটিং করে। বিজেপি ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ বন ডাকে যা আংশিক সফল হয়। এই বনধকে সফল করতে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার দাড়িভিট গেল...

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? ক...