Skip to main content

বাঙালির প্রতিরোধ দিবস

২৯ শে জুলাই ১৯৪৬ -র বোম্বে অধিবেশন থেকে মুসলিম লীগের নেতা মহঃ আলী জিন্নার পৃথক পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে "Direct Action Day" বা প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের আহ্বানে, তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে ১৬ই আগস্ট ১৯৪৬ আজকের দিনেই কলকাতা মহানগরীর মাটিতে ঘটেছিল এক ভয়ঙ্কর হত্যালীলার ঘটনা। 

প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৫০০০ বাঙালি, ঘর ছাড়া হয়েছিলেন ১ লাখ। রাজাবাজার, সুখিয়া স্ট্রিট, মানিকতলা, ধর্মতলা স্ট্রিট, সেন্ট্রাল এভিনিউ, চিৎপুর, নারকেলডাঙা, ফুলবাগান, বিবেকানন্দ রোড, ক্যানিং স্ট্রিট, খিদিরপুরের রাস্তা ভিজে ছিল লুঠ, খুন, ধর্ষণের রক্তে। কমলালয় স্টোর্স, ভারতকলা স্ট্রিট, লক্ষ্মী স্টোর্সের লুঠের ঘটনা আজও সকলের স্মৃতিতে রয়েছে। ছবি বিশ্বাস, যাদব চক্রবর্তী, দেবেন্দ্র মল্লিক, এস এন মুখার্জীর মতো ব্যাক্তিত্বরা শিকার হন হামলাকারীদের। 

লুঠ ধর্ষণ খুনের বিরুদ্ধে শ্রদ্ধেয় গোপালচন্দ্র মুখার্জীর (গোপাল পাঁঠা) নেতৃত্বে ৪৮ ঘন্টা পর প্রতিরোধ গড়ে উঠলে ৭২ ঘন্টা পর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে। 

ইতিহাস ভুলিয়ে দেবার হাজার চেষ্টা হলেও বাঙালি ১৬ই আগস্টের নারকীয় হত্যালীলার ঘটনা কোনোদিনও ভুলবে না।
জয় বঙ্গ | জয় শশাঙ্ক | জয় মা কালী 🌺