Skip to main content

সুগার ড্যাডি-এর মানে কী?

আমেরিকার ভিলিনোভা বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বৃত্তি পাওয়ার পরও আইনে স্নাতক হওয়ার পাঠক্রমের প্রথম বর্ষের টিউশন ফি এবং আনুষাঙ্গিক খরচই প্রায় ৫০ হাজার ডলার। খরচের এমন বহর হওয়ায় অনেক ছাত্রছাত্রীকেই দেনার দায়ে ডুবে যেতে হয়। আবার অনেকেই দেনা না করেই দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে পড়াশুনো। 

কিন্তু কিভাবে দেনা না করেই পড়াশুনো চালাচ্ছে 'অনেকেই'? এইসব ছাত্রছাত্রীরা যারা দেনা করছেন না অথচ লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন তারা আসলে এক বা একাধিক 'সুগার ড্যাডির' সাহায্য পাচ্ছেন।

'সুগার ড্যাডি' এই শব্দবন্ধের সঙ্গে কি আপনার পরিচয় আছে? না থাকলে করে নিন এবার। 'সুগার ড্যাডি'-রা হলেন সেইসব পুরুষ যারা এককালীন বা নিয়মিত বিরতিতে টাকা খরচ করেন তাদের সুগার বেবি', অর্থাৎ কম বয়সী মেয়েদের সঙ্গ পেতে।

এরকমই জানাচ্ছেন, সিকিং অ্যারেঞ্জমেন্ট ডট কম নামক একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটটি 'সুপার ড্যাডি' ও 'সুগার বেবি'দের মধ্যে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয় পারিশ্রমিকের বিনিময়ে।

ওয়েবসাইটটির প্রতিষ্ঠাতা ব্র্যান্ডন ওয়েড জানাচ্ছেন, প্রথম দিকে তাঁরা ছাত্রীদের কথা ভেবে এই ওয়েবসাইটটি তৈরী করেননি। কিন্তু পরে দেখা গেল বিশাল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীরা এখানে নাম লেখাচ্ছেন। বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটির মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৯ লক্ষ আর তার এক তৃতীয়াংশই ছাত্রছাত্রী। পরিস্থিতি দেখে ওয়েবসাইটটির কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে চাঁদা (সাবসক্রিপশন ফি) যওকুফ করে দিয়েছেন। যদিও 'সুগার ড্যাডি'দের এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করার জন্য মাসে ১৮০ ডলার পর্যন্ত খরচ করতে হয়।

আমেরিকার বিভিন্ন শহরে জীবন ধারণের মান এতটাই উঁচু যে খরচের পরিমানও অনেক। ফলে সেখানে পড়াশোনো এবং থাকা খাওয়ার জন্য যে ছাত্রছাত্রীরা হামেশাই অর্থ সংকটে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। আর তাই 'সুগার বেবি' ও 'সুগার ড্যাডি'রা পরস্পরের পরিপূরক হয়ে উঠছে সহজেই। একদিকে অর্থের হাতছানি আর অন্যদিকে মোহিনী মায়া।

তবে সমালোচকরা এই ব্যবস্থাকে "যৌন ব্যবসার নামান্তর" বললেও, ছাত্রছাত্রীদের কাছে এটা একটা "সহায়ক ব্যবস্থা"।

Popular posts from this blog

খাদ্যের আমিষ-নিরামিষ🌰 🧄

  আণবিক জীববিজ্ঞানের  দৃষ্টিকোণ থেকে আমিষ বা প্রোটিন হল পেপটাইড বন্ধনসমূহ দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত অ্যামিনো অ্যাসিডের  পলিমার  শৃঙ্খল। মানব পরিপাকের সময় পাকস্থলীতে  হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড   ও   প্রোটিয়েজ   নামক   উৎসেচকের  ক্রিয়ার ফলে আমিষ অণুগুলো ভেঙে অনেকগুলো ক্ষুদ্রতর  পলিপেপটাইড শৃঙ্খলে  পরিণত হয়। মানবদেহ অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো  জৈবসংশ্লেষ  করতে পারে না, তাই খাদ্য হিসেবে গৃহীত আমিষে অবস্থিত এই অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো  শোষণ  হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমিষ মানবদেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান। এটি দেহকলার গাঠনিক উপাদানগুলোর একটি এবং জ্বালানির উৎস হিসেবেও কাজ করতে পারে। জ্বালানি হিসেবে আমিষ শর্করার সমপরিমাণ শক্তি ঘনত্ব প্রদান করে: প্রতি গ্রামে ৪ কিলোক্যালরি (১৭ কিলোজুল)। এর বিপরীতে স্নেহপদার্থ বা চর্বি প্রতি গ্রামে ৯ কিলোক্যালরি বা ৩৭ কিলোজুল শক্তি প্রদান করে। পুষ্টিগত দৃষ্টিকোণ থেকে আমিষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ও সংজ্ঞাসূ...

Dashavatar : 10 Avatars of Bhagwan Vishnu!

1. Matsya Avatar 2. Kurma Avatar 3. Varaha Avatar 4. Narasimha Avatar 5. Vamana Avatar 6. Parashurama Avatar 7. Shree Ram Avatar 8. Shri Krishna Avatar 9. Balarama Avatar 10. Kalki Avatar

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? ক...