Skip to main content

অঙ্কিতার খুনি শাহরুখকে পুড়িয়ে মারলে নগদ ১১ লাখ টাকা পুরস্কার!

কিছুদিন আগে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা অঙ্কিতাকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এই ঘটনায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিও করেছেন। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অভিযুক্ত শাহরুখ অঙ্কিতাকে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারে।
অযোধ্যার প্রধান সিদ্ধপীঠ হনুমানগড়ীর প্রবীণ পুরোহিত রাজু দাস এই বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন অঙ্কিতার হত্যাকারী শাহরুখকে যে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারতে পারবে তাকে ১১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। পাশাপাশি তার আরো দাবি যে এই পুরস্কারের টাকা ইতিমধ্যেই তার কাছে এসেও গেছে। তিনি জানান এখন আমি অপেক্ষায় আছি ঝাড়খণ্ডের এই মেয়েটির প্রতি কে সুবিচার করেন। অর্থাৎ তিনি দেখতে চাইছেন শাহরুখকে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মেরে কে এই পুরস্কারের টাকা তার কাছ থেকে নিয়ে যান।

বিবৃতি সহ একটি ভিডিও প্রকাশ করে রাজু দাস জানিয়েছেন, ” কি দোষ করেছিল ঝাড়খণ্ডের অঙ্কিতা? তাকে জোর করে বিয়ে করতে চেয়েছিল শাহরুখ। অঙ্কিতা অস্বীকার করলে তাকে পেট্রোল ঢেলে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারা হয়। শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত অঙ্কিতা বলে গেছেন, সে যে পরিমাণ যন্ত্রণা পাচ্ছে শাহরুখও যেন সেই সমান যন্ত্রণা পায়।”

তার আরো বক্তব্য,”আমাদের বোন আজ আর এই পৃথিবীতে নেই। তবে তার আত্মার শান্তির জন্য এমন কিছু করা উচিত যা তার সাথে করা হয়েছিল ।তাই আমি ঘোষণা করছি অভিযুক্ত শাহরুখকে যে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারতে পারবে তাকে আমি ১১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেবো।” এছাড়াও পুরোহিত রাজুর বক্তব্য, দেশের কোন মেয়ে যেন লাভ জিহাদের শিকার না হয়। সেক্ষেত্রে কোন সম্পর্কে জড়ানোর আগে প্রত্যেকের উচিত পরিবার ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অনুসন্ধান করা।

Popular posts from this blog

ছেলেরা কেন দিনদিন 'বৌদিবাজ' হয়ে উঠছে?

সমাজটা খুবই খারাপ দিকে যাচ্ছে। ছেলেরা এখন বৌদিবাজ হয়ে উঠেছে! তারা একবার করে প্রেমে ছেঁকা খাওয়ার পর আর অন্য কোনও প্রেমিকা জোটায় না, বৌদিদের সাথে গল্প করে। কারণ - ১| ধোঁকা খায় না ২| হৃদয়ে আঘাত লাগে না ৩| Break up 💔 বলে কিছু থাকে না ৪| অনেকটা Stunt বাজীর মতো, মাথায় কোনো চাপ নেয়ার দরকার পরে না  আর একটা বিষয় হলো এখন বেশিরভাগ ছেলে পড়াশোনা দিকে ব্যস্ত। তাই তাদের হাতেও বেশি সময় থাকে না। আবার বৌদিদের হাতেও বেশি সময় সীমিত। তাই একটা Understanding বজায় থাকে। আরেকটা জিনিস হল নতুন প্রেমিকারা যেরকম নানারকম চাপ দেয়। বৌদীরা অনেকটা বোঝে ব্যাপারগুলো। যেমন- ফাঁকা পকেট, কম সময়, Relation Public না করা... এসব জিনিস। সেই কারণে তারা এতটা চাপ দেয় না। অল্পবয়সী মেয়ের একটু জেদি হয়। তাই তারা অকারণেই ঝগড়া করে যা এমনিতেই চাকরি আর ভবিষ্যতের চিন্তায় চিন্তিত ছেলেদের ভালো লাগে না। তাই তারা বৌদিদের দিকেই ঝোঁকে। বিয়ে তো অবশ্য ভালো কোনো মেয়ে দেখেই করবে, তার আগের সময়টা অন্য দিকে দেয় - বৌদিদের সাথে আড্ডা মারে। বৌদিদের সাথে কথা বলে আর কিছু হোক বা না হোক মানসিক শান্তি আছে। আমার বৌদিবাজ বন্ধুদের জন্য 💖

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? কেন আমরা ব

রাষ্ট্রভক্ত বীরাঙ্গনা হীরা দে

 🌹💥🕉️ দুর্নীতিবাজদের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত তার উদাহরণ আমাদের ইতিহাসে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা থেকে জানা যায়। এই শাস্তিও কোন রাজা বা সরকার দিয়েছিল না দিয়ে ছিল শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্যরা। 💢 1311 খ্রিস্টাব্দে, আলাউদ্দিন খিলজিকে জলোর দুর্গের গোপন কথা বলার জন্য পুরস্কার হিসাবে পাওয়া অর্থ নিয়ে ভিকা দাহিয়া আনন্দের সাথে বাড়ি ফিরছিলেন।এত টাকা এই প্রথম দেখল। হাঁটতে হাঁটতে ভাবছিল যুদ্ধ শেষ হলে এই টাকা দিয়ে একটা বিলাসবহুল প্রাসাদ তৈরি করে আরামে বসবাস করবে।প্রাসাদের সামনে ঘোড়া বাঁধা থাকবে, চাকর থাকবে।  তার স্ত্রী হীরা স্বর্ণ ও রৌপ্য গয়না দ্বারা সারা শরীর ঢাকা থাকবে। আলাউদ্দিন কর্তৃক জালোর কেল্লায় নিযুক্ত সুবেদারের দরবারে তিনি বড় মর্যাদার বিবেচিত হবেন।বাড়িতে পৌঁছে বিড়বিড় করে হেসে টাকার বান্ডিলটা বাড়িয়ে দিলেন স্ত্রী হীরা দে'র হাতে।  🌹স্বামীর হাতে এত টাকা এবং স্বামীর মুখ ও অভিব্যক্তি দেখে হীরাদে আলাউদ্দিন খিলজির সৈন্যদের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কারণ বুঝতে পেরে জালোরের যুদ্ধে হতাশ হয়ে হঠাৎ জালোরের দিকে ফিরে যায়। হীরা দে বুঝতে পেরেছিলেন যে তার স্বামী ভিকা দাহিয়া তার জন্মভূমি জ