Indian Navy Flag- Another Step Towards Decolonisation!

অবশেষে স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ব্রিটিশ শাসনের চিহ্ন মুছে ফেললো ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। ভারতীয় নৌসেনার পতাকা থেকে জর্জ ক্রস চিহ্ন সরিয়ে বসানো হল শিবাজীর মুদ্রা ও অশোক স্তম্ভ। ১৯৫০ সালের পর থেকে এই নিয়ে চার বার রং এবং ধাঁচ বদলাল ভারতীয় নৌসেনার পতাকার।

নৌবাহিনীর প্রাচীন ইতিহাস

যদিও বৈদিক যুগেও নৌবাহিনীর উল্লেখ পাওয়া যায়, তবে প্রাচীন ইতিহাসে নবম শতাব্দীর চোল সাম্রাজ্যের সময়ে নৌবাহিনীর গুরুত্ব সামনে আসে। জানা যায় যে, চোল শাসক প্রথম রাজেন্দ্র চোলের নৌবাহিনী এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তিনি সমগ্র বঙ্গোপসাগরের উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যখন চোল শাসক প্রথম রাজরাজ শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চল জয় করেছিলেন, তখন রাজেন্দ্র প্রথম বিশাল নৌবাহিনীর সাহায্যে সমগ্র শ্রীলঙ্কা জয় করেছিলেন।

শিবাজীর কৃতিত্ব

প্রকৃতপক্ষে, ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্ম ছত্রপতি শিবাজীর সময়ে বলে মনে করা হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে, শিবাজি বিদেশী আক্রমণকারীদের হাত থেকে সমুদ্র উপকূল রক্ষা করার জন্য প্রায় পাঁচ ডজন যুদ্ধজাহাজ এবং পাঁচ হাজার সৈন্য নিয়ে প্রথমবারের মতো একটি নৌবাহিনী তৈরি করেছিলেন। অ্যাডমিরাল কানহোজি আংরের নেতৃত্বে শিবাজীর নৌবাহিনী ব্রিটিশদের সাথে ডাচ এবং পর্তুগিজদের সাথে লড়াই করার সময় কোঙ্কন উপকূল দখল করে।

ঔপনিবেশিক শাসন

যদিও ভারতীয় নৌবাহিনীর গঠন শিবাজী মহারাজ করেছিলেন, তবে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে অস্তিত্ব লাভ করে ব্রিটিশ আমলে। 2 শে অক্টোবর, 1934-এ, ব্রিটিশরা নৌ পরিষেবার নাম রয়্যাল নেভি তে পরিবর্তন করেছিল, কিন্তু দেশের স্বাধীনতার সাথে সাথে, 26 জানুয়ারী, 1950 সালে, রয়্যাল কে সরিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী নামকরণ করা হয়েছিল। গত কয়েক দশক ধরে, ঔপনিবেশিক পতাকাটি সরানো হয়নি, কিন্তু এতদিন পরে ভারত সরকার সেটিকে একটি নতুন পতাকা দিয়ে প্রতিস্থাপন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা নতুন পতাকায় সাদা পতাকার কোণে ভারতের জাতীয় পতাকা থাকলেও মুছে দেওয়া হয়েছে জর্জ ক্রস। যুক্ত করা হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার প্রতীক এবং স্লোগান, 'শ নৌ বরুণ'। দেশে তৈরি প্রথম বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্তকে ভারতীয় নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয় আজ।

জলে ভাসল আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant), আর তার সঙ্গেই তৈরি হল এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ভারতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত ((INS Vikrant) আজ যাত্রা শুরু করল। আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী (PM)। আর তার সঙ্গেই বদলে গেল ভারতীয় নৌবাহিনীর পতাকা। ব্রিটিশ শাসনের স্মৃতিবাহী সেন্ট জর্জ ক্রস নয়, এবার থেকে ইন্ডিয়ান নেভির পতাকায় ছত্রপতি শিবাজির 'রাজমুদ্রা'।

শুক্রবার সকালে কেরলের কোচিতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের যাত্রা শুরু হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আইএনএস বিক্রান্ত শুধুমাত্র একটি যুদ্ধাস্ত্র নয়। ভারতের দক্ষতা এবং প্রতিভারও প্রমাণ।

এদিন ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রতীক (New Naval Ensign) নতুন করে উন্মোচিত করে তিনি বলেন এতদিন ব্রিটিশ শাসনের চিহ্ন ছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর (Indian Navy) প্রতীকে। এবার থেকে তা সরে গেল। আর ভারতের গর্ব ছত্রপতি শিবাজির আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হল নতুন প্রতীক।

প্রসঙ্গত এর আগে ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় নৌসেনায় সেন্ট জর্জ ক্রস এর ছবি ব্যবহৃত হত।

স্বাধীনতার পর 1950 থেকে ভারতীয় নৌসেনার পতাকা থেকে ব্রিটিশ Union Jack সরিয়ে ভারতের পতাকা বসানো হয়। কিন্ত ইংরেজ পতাকার আসল ধাঁচ/ছাঁচ থেকেই যায়।

এই পতাকা 2001 পর্যন্ত ব্যবহার করতো ভারতীয় নৌসেনা। 2001 এর পর আবারো নতুন পতাকার ডিজাইন করা হয়েছিল।

2001 থেকে 2004 পর্যন্ত এই পতাকা ব্যবহার করতো ভারতীয় নৌসেনা। আবারো পতাকার পরিবর্তন ঘটেছিল 2004 এ। আবারো ফিরিয়ে আনা হয়েছিল সেই পুরোনো ধাঁচের ব্রিটিশ চকের উপর ভারতীয় পতাকা, কিন্ত যুক্ত করা হয়েছিল অশোক স্তম্ভ

1950 থেকে 2022 এর আগের পর্যন্ত ভারতীয় নৌসেনার পতাকার বিবর্তন নিন্মরূপ

এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো Red Cross শুধুমাত্র ইংরেজদের প্রতিনিধিত্ব করেনা, এটা সেন্ট জর্জেরও প্রতিনিধিত্ব করে, যিনি একজন Military Saint ছিলেন। Red Cross বিভিন্ন যায়গায় পতাকা বা প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন- ইংরেজ পতাকা, UK পতাকা, এবং জর্জিয়ার পতাকা। যার প্রত্যকটিই সেসেন্ট জর্জের ক্রস চিহ্নের উপর নির্মিত।

বর্তমানে সেই সমস্ত বৈদেশিক মোহ কাটিয়ে ভারতীয় নৌসেনা ফিরল তার পুরাতন ঐতিহ্যে। ফিরে পেলো তার পুরাতন আদর্শ শিবাজী কে। যুক্ত করা হল ভারতীয় নৌসেনার স্লোগান, 'শ নৌ বরুণ'

এখন নৌবাহিনীর সাদা পতাকার উপরের কোণে আছে আমাদের জাতীয় পতাকা- তিরঙ্গা।

পাশে অশোক স্তম্ভের আকারে এবং ছত্রপতি শিবাজীর রাজমুদ্রা ডানদিকে নীল পটভূমির বিপরীতে সোনালি রঙে জ্বলজ্বল করছে। নীল অষ্টভুজাকার আকৃতির নোঙ্গরের উপরে বসে থাকা অশোক স্তম্ভ অটলতা কে চিত্রিত করছে।

এই অষ্টভুজ আকার আটটি দিকের প্রতিনিধিত্ব করছে, যা ভারতীয় নৌসেনার MULTI-DIRECTIONAL REACH এবং MULTI-DIMENSIONAL OPERATIONAL CAPABILITY কে বোঝায়।

এর নিচে সংস্কৃতে লেখা আছে 'শম ন বরুণ', যার অর্থ 'বরুণদেব আমাদের জন্য শুভ হোক।' এটাই ভারতীয় নৌসেনার শ্লোগান।

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better। আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস? আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? ক...

𝒯𝒽𝑒 𝐻𝒾𝓃𝒹𝓊𝓉𝓋𝒶

Search This Blog