Skip to main content

ঝাড়খণ্ডে হিন্দু মেয়ে অঙ্কিতা কে পুড়িয়ে হত্যা করলো শাহরুখ নামে এক মুসলমান যুবক

Jharkhand Killing: ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর গায়ে মহম্মদ শাহরুখ নামে এক মুসলমান যুবক আগুন লাগিয়ে দেয় অঙ্কিতার গায়ে। চিৎকার শুনে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। চিৎকার শুনে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় ফুলো ঝানো মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে রাঁচিতে রাজেন্দ্র ইনষ্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সসে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে ওই ছাত্রীকে বাঁচানো যায়নি। রবিবার হাসপতালে মৃত্যু হয়। তাঁর শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

সেই ঘটনার জেরে দুমকায় তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। রাস্তায় নামেন মানুষ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটনার দিনই শাহরুখকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে থাকে। রবিবার রাত থেকে দুমকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে সোমবার সকালে কিশোরীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ডেপুটি কমিশনার রবি শুক্লা এবং পুলিশ সুপার আম্বের লাকরা হাজির ছিলেন। তারই মধ্যে সোমবার নইম খান নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। 

অঙ্কিতা জানায়, তাকে মাস চারেক ধরে উত্ত্যক্ত করছিল বছর ২০-র শাহরুখ। ঘটনার আগেরদিনও কিশোরীকে হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত। কিশোরীর দাদু বলেন, 'কথা বলার জন্য ওকে (কিশোরী) চাপ দিচ্ছিল (শাহরুখ)। কোনওভাবে ওর ফোন নম্বর জোগাড় করেছিল। ঘটনার আগেরদিনও ওকে হুমকি দিয়েছিল।

মৃত্যুর আগে জবানবন্দিতে কিশোরী জানিয়েছেন, জানালা থেকে ঘরের মধ্যে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে দিয়েছিল। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় অঙ্কিতাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। কিশোরীর ঠাকুমা বলেছেন, 'অপরাধীদের ফাঁসি ঝোলাতে দেখলে তবেই আমার নাতনি বিচার পাবে।'


রবিবার অঙ্কিতার মৃত্যুর পর এই ঘটনার প্রতিবাদে হিন্দু সংগঠনগুলি পথে নামে। দুমকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মোমবাতি মিছিল করা হয়। প্রতিবাদী এবং পরিবারের সদস্যরা ওই অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের দাবি তোলেন। 

এদিকে এই ঘটনায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস এই বিষয়ে বলেন, ‘এটা লাভ জিহাদের ঘটনা। কিন্তু হাসপাতালে জীবনের জন্য লড়াই করা মেয়েটির কোনও খবর নেয়নি প্রশাসন। সাম্প্রতিক রাঁচি সহিংসতার ঘটনায় রাজ্য সরকার একজন অভিযুক্ত নাদিমকে এয়ারলিফট করে সব খরচ দিয়ে চিকিৎসা করায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ এই ঘটনার নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চায়নি।' যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তা দাবি করেছেন, তাঁরা মেয়েটির সুবিচার নিশ্চিত করবেন। তিনি বলেন, ‘দুমকার ডিসির সঙ্গে দুবার কথা হয়েছে। মামলার বিচার দ্রুত করা হবে এবং অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।'

অঙ্কিতা -এখানে একটি নামমাত্র। তার এর অন্য কোনো বিশেষ মূল্য নেই। অঙ্কিতার Value '0'। এরকম হাজারো অঙ্কিতারা প্রতিদিন শাহরুখের হাতে মরে। এরকম অঙ্কিতারা মরতেই থাকবে। কারণ তার Vote Value 100 হলেও, বাস্তবিক value 0.

এসব বন্ধ করার জন্য কখনো যদি কাওকে আদর্শ বলে মানতেই হয় তবে আমার কাছে সেটা হবে বিরাথু, যে রক্তের একটা ফোঁটাও ভোলে না, যে জিহাদীদের হাতে মৃত প্রত্যেক বৌদ্ধের নাম মনে রাখে। যে প্রত্যেক টা জিহাদীর নাম মনে রাখে। প্রত্যেকটা মনে রাখে, আর গুনে গুনে প্রতিশোধ নেয়। রাজনীতি নয়, ধর্মই যার কাছে সব। যে সহ্য করতে নয়, হত্যা করতে বিশ্বাসী।
এই একই রকম ঘটনা ঘটেছিল মায়ানমার। একটা বৌদ্ধ মেয়েকে মুসলমান যুবকের ধর্ষণ করার কারণে গোটা মায়ানমার জুড়ে মুসলমানদেরকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে পুড়িয়ে মেরেছিল বিরাথুর অনুগামীরা। তারপর থেকে মায়ানমারে ধর্ষণ হয় না বললেই চলে।

Popular posts from this blog

খাদ্যের আমিষ-নিরামিষ🌰 🧄

  আণবিক জীববিজ্ঞানের  দৃষ্টিকোণ থেকে আমিষ বা প্রোটিন হল পেপটাইড বন্ধনসমূহ দ্বারা পরস্পর সংযুক্ত অ্যামিনো অ্যাসিডের  পলিমার  শৃঙ্খল। মানব পরিপাকের সময় পাকস্থলীতে  হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড   ও   প্রোটিয়েজ   নামক   উৎসেচকের  ক্রিয়ার ফলে আমিষ অণুগুলো ভেঙে অনেকগুলো ক্ষুদ্রতর  পলিপেপটাইড শৃঙ্খলে  পরিণত হয়। মানবদেহ অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো  জৈবসংশ্লেষ  করতে পারে না, তাই খাদ্য হিসেবে গৃহীত আমিষে অবস্থিত এই অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো  শোষণ  হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমিষ মানবদেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান। এটি দেহকলার গাঠনিক উপাদানগুলোর একটি এবং জ্বালানির উৎস হিসেবেও কাজ করতে পারে। জ্বালানি হিসেবে আমিষ শর্করার সমপরিমাণ শক্তি ঘনত্ব প্রদান করে: প্রতি গ্রামে ৪ কিলোক্যালরি (১৭ কিলোজুল)। এর বিপরীতে স্নেহপদার্থ বা চর্বি প্রতি গ্রামে ৯ কিলোক্যালরি বা ৩৭ কিলোজুল শক্তি প্রদান করে। পুষ্টিগত দৃষ্টিকোণ থেকে আমিষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ও সংজ্ঞাসূ...

Dashavatar : 10 Avatars of Bhagwan Vishnu!

1. Matsya Avatar 2. Kurma Avatar 3. Varaha Avatar 4. Narasimha Avatar 5. Vamana Avatar 6. Parashurama Avatar 7. Shree Ram Avatar 8. Shri Krishna Avatar 9. Balarama Avatar 10. Kalki Avatar

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? ক...