Skip to main content

হিন্দুদের প্রতিবাদ

প্রতিবাদ করে কি হয়? মুসলমানরা ভয় পায়? মুসলমানদের বাড়ির সামনে 10000 লোক জড়ো হয়ে কততালির ছন্দে জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম বলে চিৎকার করেই কি মুসলমানদের শায়েস্তা করা যায়!? হত্যার প্রত্যাঘাতে এত বড় শাস্তি দেবেন মুসলমানদেরকে! ছিঃ! আপনারা অমানবিক। হত্যাকারীদের এইভাবে ভয় দেখানো অনুচিত!

- ফাঁকা ফ্রেম আর ফুলের মালা প্রস্তুত।
- ডায়লগ তো Ready, "হিন্দুরা সচেতন না হলে গর্ভের সন্তানও সুরক্ষিত নয়"

- শুধুমাত্র পরবর্তী dead body আসার অপেক্ষা। পরবর্তী সংবাদ এলেই সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়বো, "জিহাদীরা মেরে দিলো" বলে। সাতদিন ধরে চলবে শোক জ্ঞাপন আর আক্ষেপের পালা। নির্দেশ এলে একটা শান্তি মিছিল, কিংবা প্রতিবাদ মিছিলও করা হতে পারে। যাই হোক, পরবর্তী dead body আসুক তো, তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবো। 

🖊- শকুন

কার্যধারার পার্থক্য:-
-------------------------

কানাইলাল নূপুর শর্মাকে সমর্থন করায় কোনো চিৎকার হলো না, ধর্ণা হলো না, বাল্লার নামে চিৎকার করে কানাইলালের বাড়ির সামনে গিয়ে ভিড় জমলো না। Fund এলো, অস্ত্র তৈরী হলো, সামান্য দু'জন মিলে কল্লা কেটে জেলে গেলো। ওদের পরিবারের কোনোরকম আর্থিক বা সামাজিক সমস্যা যে হবে না, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত।

উল্টোদিকে, কানাইলালের সমর্থনে গোটা শহর জাম করা হলো। শান্তি মিছিল হলো, প্রতিবাদ মিছিল হলো। জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীরাম করে চিৎকার করে বাইক Rally হলো। একটু আধটু অস্ত্র আর DJ নিয়ে নাচও চললো। সাতদিনের শোক সংবাদের এখানেই সমাপ্তি। আবারো পরবর্তী সংবাদের অপেক্ষা।

জয় শ্রীরাম ||⚔

Popular posts from this blog

বাংলার বারুজীবী বৃত্তান্ত

একসময় পান সুপারি দিয়ে নেমন্তন্ন করার প্রথা ছিল গ্রাম বাংলায়। তারপর ভোজের শেষে মুখুশুদ্ধি হিসেবেও পানের ব্যবহার ছিল তখন ।পান রাঙ্গা ঠোঁট ছিল আজকের সুন্দরীদের লিপস্টিক এর বিকল্প। আর এই পানের চাষ ও বিক্রির সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের বলা হতো বারুজীবি বা বারুই। পশ্চিমবঙ্গে হাওড়া ,হুগলি ও বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়িতে রয়েছে বারুইপাড়া ।এছাড়া দুই মেদনীপুর সহ অন্যান্য জেলাতেও কমবেশি এই সম্প্রদায়ের লোক বাস করে। একেবারে নিরীহ শান্ত সৌম্য ভীতু প্রকৃতির সম্প্রদায় ।তবে শৈল্পিক চিন্তাধারা বিশেষভাবে ফুটে ওঠে এই সম্প্রদায়ের। উৎপত্তি - বারুজিবী জাতির উৎপত্তি সম্পর্কে একটি প্রচলিত লোককথা রয়েছে ।সেখানে বলা হয়েছে এক শিব ভক্ত ব্রাহ্মণ ছিলেন ।তিনি প্রতিদিন শিব পূজা করতেন। কিন্তু, তার আরো অনেক কাজ ছিল ।যেমন যেমন পান চাষ, কাপড়বোনা প্রভৃতি।ব্রাহ্মণের বেশিরভাগ সময় চলে যেত ওই কাজে।তারপর কোন এক সময় পেলে শিবের মাথায় দুই একটি ফুল ছুঁড়ে কর্তব্য সারতেন। এসব দেখে শিব ঠাকুর তাকে আন্তরিকভাবে শুধুমাত্র তার পূজা করতে বললেন। এবং আরো জানিয়ে দিলেন তা করলে তার কোন অভাব থাকবে না। কিন্তু, ব্রাহ্মণ সে ...

বিবাহ

বাঙ্গালি ব্রাহ্মণ সমাজে পাঁচটি শাখা রয়েছে — রাঢ়ী, বারেন্দ্র, বৈদিক, সপ্তশতী ও মধ্যশ্রেণী।  বাঙ্গালি কায়স্থ সমাজে রয়েছে চারটি শাখা — উত্তর রাঢ়ী, দক্ষিণ রাঢ়ী, বারেন্দ্র ও বঙ্গজ। এই সকল বর্ণ এবং তাদের শাখা ও উপশাখাগুলির মধ্যে বিবাহ প্রথায় দুটি বিভাগ দেখা যায় — বৈদিক ও লৌকিক।  লৌকিক প্রথাগুলি মেয়েলি আচার। এই কারণে এগুলি ‘স্ত্রী আচার’ নামে পরিচিত। বৈদিক আচারে সাম, যজুঃ ও ঋক্ বেদত্রয়ের অনুসরণকারী ব্রাহ্মণদের মধ্যে বিবাহ প্রথায় আবার সামান্য পার্থক্য দেখা যায়। হিন্দু বিবাহের বৈদিক আচারগুলির মধ্যে অপরিহার্য হল কুশণ্ডিকা, লাজহোম (লাজ বা খই দিয়ে যজ্ঞানুষ্ঠান), সপ্তপদী গমন, পাণিগ্রহণ (কন্যার পাণি অর্থাৎ হস্ত গ্রহণ), ধৃতিহোম (ধারণ করার অর্থাৎ কন্যাকে ধরে রাখার যজ্ঞ) ও চতুর্থী হোম। এছাড়া পালিত হয় অরুন্ধতী নক্ষত্র দর্শন, ধ্রুব নক্ষত্র দর্শন, শিলারোহণ ইত্যাদি কয়েকটি বৈদিক প্রথাও। বৈদিক প্রথাগুলি বিধিবদ্ধ শাস্ত্রীয় প্রথা ও বিবাহের মূল অঙ্গ। বাঙালি হিন্দু বিবাহের লৌকিক আচার বহুবিধ। এই প্রথাগুলি বর্ণ, শাখা, উপশাখা এবং অঞ্চল ভেদে ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হয়।  "বিবাহ”  শব্দ...
লাদাখে হিন্দুদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গেছে কাশ্মীরে হিন্দুদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গেছে মণিপুরে হিন্দুদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গেছে মেঘালয়ে হিন্দুদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গেছে নাগাল্যান্ডে হিন্দুদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গেছে মিজোরামে হিন্দুদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গেছে লাক্ষাদ্বীপে হিন্দুদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গেছে অরুণাচলে হিন্দুদের অস্তিত্ব শেষ হয়ে গেছে ভারতবর্ষের মোট 9 রাজ্যে হিন্দুদের অস্তিত্ব ক্ষীণ 200 জেলা থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুরা পলায়মান এরপরেও এরা হিন্দুরাষ্ট্রের সুখস্বপ্নে বিভোর! এরপরেও বাতেলাবাজদের বাতেলা বন্ধ হয় না!  এরপরেও বলবে, হিন্দুদের অস্তিত্ব নাকি ধ্বংস হবে না!