Skip to main content

কলিযুগে কি হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব?

 মুসলমানরা যেখানে বাস করে সেটাই মুসলমান রাষ্ট্র, সেটা পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তই হোক না কেনো। যতই ক্ষুদ্র বা বৃহৎ অঞ্চলই হোক না কেনো মুসলমানরা বাস করে এর অর্থ সেটা মুসলমান রাষ্ট্র। 



আর হিন্দুদের হাতে না নিজস্ব সমাজ ব্যবস্থা আছে, না আছে নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা, না আছে নিজস্ব শিক্ষাব্যবস্থা, না আছে নিজস্ব বিচার ব্যবস্থা, হিন্দুরা না করতে পারে একচেটিয়া ব্যবসা, না দেয় দশাংশ দান (tax), না মানে কাওকে, না মানে সমাজ, না মানে ধর্ম। তাহলে কীভাবে হবে হিন্দুরাষ্ট্র ? 


আগে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে শেখো। যেদিন এগুলোকে   নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে সেদিনই হিন্দুরাষ্ট্র পেয়ে যাবে। তুমি যা ভাবছ, সরকার হিন্দুরাষ্ট্র দেবে, সেটা অসম্ভব। সরকার ইচ্ছা করলে শুধুমাত্র একটি ভৌগোলিক এলাকা দিতে পারে। কিন্ত তাকে নিয়ন্ত্রণ করা, হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করা এবং হিন্দুরাষ্ট্র হিসেবে চিরকাল অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব হিন্দুদের। 


আগে হিন্দুরাষ্ট্রের ধারণা পরিস্কার করো, তবেই হিন্দুরাষ্ট্র হিন্দুরাষ্ট্র করে লাফাবে। যদি হিন্দুরা কোনো এলাকাকে সম্পূর্ণ (95%+) নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সেটা পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তেই হোক না কেনো সেটাই হিন্দুরাষ্ট্র। এর পিছনে সরকারের স্ট্যাম্প এর প্রয়োজন নেই। কারণ এমনিতেই সমাজব্যবস্থা, শাসন ব্যবস্থা আর শিক্ষা ব্যবস্থা তোমার নিয়ন্ত্রণে আছে, তাহলে সরকারটাও তুমিই গড়ে, তুমিই ভাঙবে।

Popular posts from this blog

দাড়িভিটের স্ফুলিঙ্গ থেকে ভাষা আন্দোলনের প্রদীপ জ্বালাতে আমরা ব্যর্থ

এসো হে সেপ্টেম্বর, আমার ভাষার মাস। ভাষাতীর্থ দাড়িভিট, রাজেশ তাপসের বাস।। ২০১৮-র ২০ সেপ্টেম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার দাড়িভিট হাইস্কুলের গুলি চালনার ঘটনা এখন সবাই জানেন। আলোচনার সুবিধার জন্য অল্পকথায় প্রেক্ষাপটটা আরেকবার দেখে নেওয়া যাক। দাড়িভিট হাইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি ছিল বাংলা ও বিজ্ঞান শিক্ষকের। এই স্কুলে উর্দুভাষী ছাত্র-ছাত্রী নেই। স্থানীয়রা মুসলমান। তৃণমূল নেতার তৎপরতায় সরকারের বিদ্যালয় দপ্তর পাঠালো বাংলা ও বিজ্ঞান শিক্ষকের জায়গায় উর্দু শিক্ষক এবং সংস্কৃত শিক্ষক। অবাঞ্ছিত উর্দু শিক্ষকের নিয়োগকে একটু সহনশীল করার জন্য সম্ভবত সংস্কৃত শিক্ষককের নামটাও যুক্ত করা হয়েছিল। ছাত্ররা মানেনি, প্রতিবাদ করেছিল। প্রতিবাদ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। অতএব পুলিশ সামান্য উত্তেজনাতেই গুলি চালায়, ফলে দুই প্রাক্তন ছাত্র রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মণের মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ সপ্তাহখানেক উত্তাল হয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি মিছিল মিটিং করে। বিজেপি ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ বন ডাকে যা আংশিক সফল হয়। এই বনধকে সফল করতে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার দাড়িভিট গেল...

বলি প্রসঙ্গে আমার মতামত

ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এর চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better, তাহলে বলতে হয় আপনার জীবন আর মৃত্যুর sence নেই। কেন ছাগলের মৃত্যুটাই মৃত্যু? চালকুমড়ো বা আঁখের মৃত্যুটা মৃত্যু নয় কেন? আপনার যদি জীবন আর মৃত্যুর সম্বন্ধ প্রকৃত জ্ঞান থাকতো তাহলে তিনটি ক্ষেত্রেই আপনি সমান দুঃখ পেতেন। কিন্ত আপনার মনে হয় ছাগল বলি দেওয়ার চেয়ে চালকুমড়ো বা আখ বলি দেওয়া better।  আপনার এই প্রকৃতি দেখে বলতে হয়, জীবন বাঁচানো আপনার উদ্দেশ্য নয়, বরং আপনি রক্তকে ভয় পান, অস্ত্র কে ভয় পান। আপনার বাস্তবিক বোধ থাকলে আপনি অস্ত্রের আঘাতে চালকুমড়ো বা আঁখের এবং ছাগ তিনটি বলির ই বিরোধীতা করতেন। কারণ তিনটির প্রকৃতিই একই রকম, এই তিনটে থেকেই অনেক নতুন প্রাণের জন্ম হতে পারতো। তাই তিনটির হত্যাই একই রকম ক্ষতি করে। কিন্ত, শুধুমাত্র ছাগ বলি দেখলে যদি আপনার মনে হয় এটি মানুষের হিংস্র পাশবিক প্রবৃত্তি। তাহলে প্রশ্ন করতে হয়, আমরা কি সত্যিই অহিংস?  আমাদের মায়েরা প্রতিদিন জ্যান্ত মাছগুলো দুহাতে ধরে বঁটিতে ঘচাং করে একবারে জ্যান্তই কেটে ফেলেন। শহরের মাছ-মাংস বিক্রেতারাও একইভাবে কাটেন। তখন কি সেটা নৃশংসতা নয়? ক...